পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఈNERe প্রষণসী N989 জয়েণ্ট পালেমেণ্টারী কর্মীটি তাহাদের রিপোটে এক দিকে যেমন ভারতবর্ষের একত্ব বিনাশ বা হ্রাসের কথা বলিয়াছেন, তেমনই কেন্দ্রীয় ফেডার্যাল গবষ্মেন্ট স্থাপন দ্বারা ভারতবর্ষের অর্থগুত্ব রক্ষার কথাও বলিয়াছেন। কিন্তু কতকগুলা বিসদৃশ জিনিষকে এক জায়গায় রাখিয়া দিলেই সেগুলার অখণ্ড সত্তা রক্ষিত, উদ্ভূত বা প্রমাণিত হয় না। ফেডার্যাল ব্যবস্থাপক সভায় ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশসমূহের অধিবাসীদের প্রতিনিধি থাকিবে, আবার দেশী রাজ্যসমূহের স্বৈরশাসক রাজা-মহারাজী-নবাবনিজামদের মনোনীত লোক থাকিবে । দেশী রাজ্যসমূহের প্রজারা সে সব লোক নির্বাচন করিবে না—এই প্রজাদের কোনই অধিকার নাই ও থাকিবে না। স্বতরাং এই অদ্ভুত ফেডার্যাল ব্যবস্থাপক সভায়ু সেকেলে স্বৈরশাসকদের আজ্ঞাবহ লোকেরা থাকিবে, আবার কতকটা একেলে গণতান্ত্রিক রীতিতে ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষের লোকদের দ্বারা নিৰ্ব্বাচিত প্রতিনিধিও থাকিবে । তেলে জলে যেমন মিশ থায় না, তেমনি স্বৈরশাসন ও গণতান্ত্রিকতাতেও মিশ খায় না । যে ব্যবস্থাপক সভাতে এমন ভিন্নধৰ্ম্ম দু-রকম জিনিষের একত্র সমাবেশ হইবে, তাহার দ্বারা ভারতবর্ষের একত্ব ও অর্থগুত্ব রক্ষিত হইতে পারে না। উপরে “কতকটা একেলে গণতান্ত্রিক রীতি” শব্দগুলি প্রয়োগ করিয়াছি । কারণ, ভারতবর্ষে ঠিকৃ গণতান্ত্রিক রীতি অনুস্থত হয় নাই । এদেশের মাতুষদের পরিচয় ভারতশাসন আইনে এ নয়, যে, তাহারা এদেশের মাতুষ । সালের সারা ভারতশাসন আইনটার কোথাও অধিবাসীদিগকে ভারতীয় বা ইণ্ডিয়ান বলা হয় নাই। এমন কথা বলা হয় নাই, যে, ভারতীয়েরা এত জন প্রতিনিধি নির্বাচন করিবে । বাংলা, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব প্রভৃতি প্রদেশের লোকেদের সম্বন্ধে যে-সকল ব্যবস্থা আছে, তাহাতে তাঙ্গদের নির্বাচনাধিকার প্রভৃতির উল্লেখের সময় বাঙালী, মরাঠা, পঞ্জাবী প্রভৃতি নামের প্রয়োগ নাই । ব্রিটিশ আইনের চক্ষে সমগ্র ভারতে আমরা ভারতীয় নহি, নিজ নিজ প্রদেশে আমরা বাঙালী, মরাঠা, পঞ্জাবী, বিহারী, উৎকলীয়, আসামী, অন্ধ দেশীয়, হিন্দুস্থানী, সিন্ধী, তামিল প্রভৃতি নহি । সৰ্ব্বত্র আমরা হিন্দু বা মুসলমান বা শিখ তাহার > R\シ? বা বৌদ্ধ বা খ্ৰীষ্টিয়ান বা আদিম নিবাসী, কিংবা শ্রমিক, বণিক, জমিদার/ইত্যাদি । সুতরাং কেবল যে তথাকথিত প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের দ্বারাই ভারতবর্ষের একত্বের ও অর্থগুত্বের হ্রাস বা বিনাশ হইতেছে তাহা নহে, অন্যান্য উপায়েও তাহা সাধিত इङ्गे डएछ । আণ্ডামানে বন্দীদের প্রায়োপবেশন আণ্ডামানে ১৮৭ জন বন্দী স্বেচ্ছায় অল্পগ্রহণ ত্যাগ করিয়াছে, এই সংবাদে হৃদয়হীন মানুষ ছাড়া আর সকলেই বিচলিত হইবে । প্রত্যেক মানুষের কাছেই তাহার প্রাণ অতি প্রিয় ও মূল্যবান—অন্তের চক্ষে তাঙ্গ যাহাই ইউক না কেন । এই জন্য খুব প্রিয় বুঝাইতে প্ৰাণপ্রিয়, প্রাণাধিক প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয় । গুরুতর কারণ নী-ঘটিলে মাহয় প্রাণের মায়া ছাড়িয়া কোন কিছুর জন্য প্রাণপণ করে ন উন্মাদদের আত্মহত্যার কথা এখানে হইতেছে না। হঠাং ১৮৭ জন মানুষ একসঙ্গে উন্মাদ হুইয়া যায় নাই । এষ্ট বন্দীদের প্রয়োপবেশনের কারণ বন্ধ পরিমাণে একটা সরকারী জ্ঞাপনী হইতে খুঝা যায়। তাহাতে লিপি - হইয়াছে, যে, এই ১৮৭ জন ও আরও কয়েক জন বন্দী ভারতগবন্মেন্টের নিকট অল্পদিন পূৰ্ব্বে একটি আবেদন পাঠাঃ , তাহাতে এই এই অনুরোধ জানায়, যে, সমগ্র ব্রিটিশ ভার:ে (১) সমস্ত বিন-বিচারে বন্দী, বিচারাস্তে দণ্ডিত রাঙ্গনৈতিক বন্দী, এবং রাজবন্দীদিগকে থালাস দেওয়া হউ : (২) সমূদয় দমনমূলক আইন রদ করা হউক, এক অন্তরায়িত করিবার সব আদেশ প্রত্যাহৃত হউক । (৩) আওমোনে কারারুদ্ধ সমুদয় রাজনৈতিক বর্মীকে দে*ে ফিরাষ্টয়া আনা হউক এবং ভবিষ্যতে আর কোন রাজনৈতিক বন্দীকে আন্দামানে প্রেরণ করা বন্ধ করা হউক ; এবং (৪) সমুদয় রাজনৈতিক বন্দীকে “বী” শ্রেণীর (দ্বিতী শ্রেণীর ) কয়েদী বলিয়া গণ্য করা হউক । সরকারী জ্ঞাপনীতে জানান হইয়াছে যে, ভারত-গবয়েট এই আবেদন না-মঞ্জুর করিয়াছেন। না-মঞ্জুর করিবা কারণ এইরূপ বলা হুইয়াছে— Tho }overnment of India are in no circu"