পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র নয়, ধে, তাহার কয়েদী ; ভাবা উচিত, যে, তাহার মানুষ, মুতরাং অস্থ মামুষের পক্ষে যে উপায় অবলম্বন নিষিদ্ধ নহে, তাহার বনী বলিয়াই তাহা নিষিদ্ধ হইতে পারে না। গবন্মে ষ্টণ্ড বলিতে পারেন না, “আমরা প্রয়োপবেশকদের কোন কথা শুনিব না, শুনি না।” কারণ, গবন্মেণ প্রায়োপবেশক মহাত্মা গান্ধীর কিছু শুনিয়াছেন। অবন্ত, এ কথা উঠিতে পারে, যে, সবাহ ত মহাত্মা গান্ধী নয় । কিন্তু কোন অনুরোধ বা প্রাথন ধfদ সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত হয়, ভাং হইলে আজ্ঞাত ৪ অধ্যাত কথ} লোকের করিয়াছে বলিয়াই বিবেচনার অযোগ্য হইতে পারে না । e বন্দী-প্রায়োপবেশক কাহারও কথ্য গবন্মেন্ট কথন শুনেন নাই, ইহাও ঠিক নহে । ধর্তীন্দ্রনাথ দাস জেলে রাজনৈতিক বলীদের দুৰ্গতি দূর করিবার জন্য প্রায়োপবেশন কfরয় প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন । তিনি কুঁচিয়! থাকিতে থাfকতে গবন্মেস্ট কিছু করেন নাই বটে, কিন্তু তাহার আত্মবলিদানের ফলে যে আন্দোলন হইয়াছিল, তাহার প্রভাবে গবন্মেণ্টকে রাজনৈতিক বন্দীদের সম্বন্ধে কিছু নূতন ব্যবস্থা করিতে হইয়াছিল—যদিও যতীন্দ্রনাথ দাস যাহা কিছু চাহিয়াছিলেন, সব এথলও করা হয় নাই ! আমরা এমন কথা বলি মা, ধে, অ-বনী বা বন্দী কেই গবষ্মেন্টকে কিছু করিতে বলিয় সফলকাম না হইলে ধfদ তাহার পর প্রোয়োপবেশন করেন, তাহা হইলে গবন্মেণ্টের তাহা অবশুই করা উচিত। আমরা বলি, বন্দী বা অ-বন্দীর আবেদন, প্রার্থনা বা অঙ্গুরোধ যুক্তিসঙ্গত হইলে গবষ্মেন্টের তাহাতে কৰ্ণপাত করা উচিত—আবেদক প্রায়োপবেশন না-করিলেণ্ড করা উচিত, কfরলেও করা উচিত। যদি আবেদন যুক্তিসংগত না-হয়, যদি প্রাথিত বস্তুটি দেশহিতকর ওঁ জনহিতকর না হয়, তাহা হইলে, কেহ প্রায়োপবেশন করুক বা না-করুক, গবন্মে স্ট সেরূপ আবেদনে কণপাত কfরতে বাধ্য নহেন ; কিন্তু আবেদন অগ্রাহ করিলে ডাহার কারণ বিশদভাবে জনগণকে বুঝাইয়া বলা কৰ্ত্তব্য । “তুমি বা তোমরা প্ৰায়োপবেশন করিয়াছ, অতএব সেই কারণেই আমরা কিছু করিব না, কর্তৃপক্ষের মনের ভাব এরূপ হওয়া উচিত নয়। এই ভঙ্গীর পশ্চাতে যেন এই বিবিধ প্রসঙ্গ—আণ্ডামানে বন্দীদের প্রয়োপবেশন פנסיר মনোভাব রহিয়াছে, ধে, গবন্মেস্ট বন্দীদের আবেদনে কৰ্ণপাত করিলে লোকে ভাবিবে গবন্মেণ্ট ভয় পাইয়াছে, গবন্মেণ্টকে দুৰ্ব্বল ভাবিবে, অতএব লোকের মনে যাহাতে এরূপ ধারণা না-জন্মে সেই জন্য প্রেিয়াপবেশকদের কোন কথায় কর্ণপাত না-করা উচিত। এরূপ মনোভাব ও যুক্তিকে "ছেলেমাত্ৰী” বলা যাইতে পারে । কে না জানে, যে, সকল দেশের গবন্মে ণ্টই নিজ বৈধ প্রভূত্ব এবং নিয়ম ও শুঙ্খলা রক্ষার নিfমত্ত হাজার হাজার লোকের জীবনমরণকে তুচ্ছ ব্যাপার মনে করিতে অভ্যস্ত ও সমর্থ। দুই শত ব: আড়াই শত বন্দীর প্রয়োপবেশনে ভীত হইয়া গবন্মে ট একটা কিছু কfরবেন, কারলেন, বা করিয়াছেন, মূঢ় ব্যক্তিরাই এরূপ ভাবিতে পারে । বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় বাংলা-গবন্মে ন্টের পক্ষ হইতে এইরূপ কথা বলা হইয়াছে, যে, “ধত ক্ষণ প্রায়োপবেশন চলিবে, তত ক্ষণ কিছু করা হইবে না।” কিন্তু ইহার উত্তরে স্মরণ করাইয়া দিতে পারা যায়, যে, প্রায়োপবেশন যখন বন্দীরা করে নাই, যখন ভারত-গবন্মেন্টের কাছে তাহার। শুধু দরখাস্ত করিয়াছিল তখন বাংল-গবন্মেন্টের উপরওয়াল ভারত-গবন্মেণ্ট ত কিছু করেন নাই । এখন প্রায়োপবেশন ছাড়িয়া দিলে, বাংল-গবন্মের্ণীও যে উপরওয়াল ভারত-গবম্মেন্টের পথের পথিক হইবে না, তাহার প্রমাণ কি আছে ? তবে যদি সৌভাগ্যক্রমে ও স্ববুদ্ধিবশতঃ বাংলা-গবন্মেন্ট কিছু তাহা হইলে তাহা প্রায়োপবেশনের ফল বা অংশতঃ তাহার ফল মনে করা যাইভে পরিবে--তাহ্য গবষ্মেণ্টের ভয়ের ফল কখনই মনে করা উচিত হইবে মা । বরং ইহাই মনে করিতে হইবে, যে, এতগুলি লোক যাহার জন্তু প্রাণ দিতে প্রস্তুত হইয়াছে বা হইয়াছিল তাহা খুব গুরুতর ব্যাপার বুঝিয়া গবন্মেষ্ট তাহার সম্বন্ধে সুবিবেচনা করিয়াছেন । করেন, বস্তুত, বন্দীদের প্রায়োপবেশনের উদ্বেগু গবষ্মেন্টকে ভয় দেখান নহে, উদ্বেগু গবষ্মেণ্টকে তাহাদের অনুরোধগুলির গুরুত্ব অনুভব করান—আমরা এই রূপ বুঝিয়াছি। আমুরোধগুলি তাহাদের নানা দুঃখপীড়িত নিরাশ মনের খেয়াল মাত্র নহে, তাহাজের বিবেচনায় সেগুলি মামুষের প্রকৃত জীবনপদবাচ্য জীবনের সহিত জড়িত। এইটি