পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S1で子 জুলু যত আয়ু আবশ্বক, আমাদের আয়ু তাহ অপেক্ষ এখনও অনেক কম " ব্যয়সংক্ষেপ দ্বারা জাতীয় পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট টাকা পাইবার পথ ভারতশাসন আইন রাখে নাই, এবং সে-পথ রুদ্ধ না থাকিলেও কেবল সেই উপায়ে যথেষ্ট টাকা পাওয়া ধাইত না। নূতন রকমের ট্যাক্স বসাইয় আয় বাড়ান সহজ নহে এবং দরিদ্র দেশে নূতন ট্যাক্স বসাইলেও তাহ হইতে বেশী আয় হইবে না । বঙ্গের সরকারী আয় বৃদ্ধির উপায়ের আলোচনী সংক্ষেপে করা ধাইবে না । সে-চেষ্টা এখানে করিব না । সুতরাং সম্রাসন দমনের ব্যয় সস্থাসন দমনের ব্যয় বাবদে অৰ্দ্ধ কোটির উপর টাকা বজেটে বরাদ্দ করা অর্থসচিব বলিতেছেন, যদি সমুদয় রাজনৈতিক বনাদিগকে মুক্তি দেওয়া যায়, তাহা হইলেও সদ্য সদ্যহ ৫৪ লক্ষ টাকা বাচিবে না । কারণ, “অন্তরীণদের মুক্তি ও গবন্মে ট-বিপৰ্য্যাসক সমুদয় প্রচেষ্টার fতরোভাব একাৰ্থবোধক নহৈ এবং দুটি একসঙ্গে ঘটিবে না। এরূপ মুক্তি দিতে পারিবার কিছু কাল পর পধ্যস্ত সস্থাসন-প্রচেষ্টার পুনরাবির্ভাব কিংবা অন্তবিধ বিপধ্যাসক প্রচেষ্টার আবির্ভাব নিবারণকল্পে কিছু বন্দোবস্ত রাখিতে হইবে ।” श३भ्राrt । ইহা হইতে এই অনুমান করা অসঙ্গত হইবে না, ধে, বাংলা-গবন্মেন্টের মতে সন্ত্রাসন ও অন্যান্ত বিপর্যাসিক প্রচেষ্টার জড় মরে নাই, মূল বা বীজ নষ্ট হয় নাই । উইfর জড়, মূল বা বীজ কি বা কোথায় ? গবন্মেন্টের মতে তাহ কি, তাহ। গবন্মেণ্ট বলিতে পারেন । কিন্তু মনের কথা খুলিয়া বলা ত কোন দেশের গবন্মে টেরই রীতি নহে। অনেক সময় তাহাদের আচরণ হইতে তাহণদের মতের আভাস সংগ্ৰহ করিতে হয়। বাংলা-গবন্মেণ্টের কাৰ্য্যকলাপ হইতে মনে হইতে পারে, যে, বঙ্গে সস্ত্রাসনবাদের উৎপত্তি ও স্থিতির প্রধান কারণ, বঙ্গীয় যুবকবর্গের অধিকাংশের বেকার অবস্থা। তাহাই যদি হয়, তাহী হইলে বেকার-সমস্তার সমাধান না হইলে, দমনার্থ কঠোরতম আইনের প্রয়োগ ও প্রয়োজনীতিরিক্ত পুলিস কৰ্ম্মচারী సె ఉ~~ ) ? বিবিধ প্রসঙ্গ—সন্ত্রণসন দমনের ব্যয় ግ86 নিয়োগ সত্ত্বেও বিপৰ্য্যাসক সন্ত্রাসনবাদ প্রভৃতির তিরোভাব ঘটিবে না । কিন্তু বেকার-সমস্তার সমাধানের জন্য গবন্মে স্ট কি করিয়াছেন, করিতেছেন, করিবেন ? কতকগুলি যুবককে ছাত', সাবান, ছুরি, কাচি প্রস্তুত করিতে শিখাইলেই বেকার-সমস্যার সমাধান হইবে না । বস্তুত: “আনন্দবাজার পত্রিক।” অনুসন্ধান ও বিস্তারিত সমালোচনা দ্বারা দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন, ধে, সরকারী পণ্যশিল্প-বিভাগের এই চেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে। এখনও ইহার সরকারী কোন প্রতিবাদ দেখি নাই । বড় বড় পণ্যশিল্পের কারখানা এবং বড় বড় ব্যবসা বঙ্গের বাঙালীর স্থাপন ও পরিচালন না করিলে বেকার-সমস্যার সমাধান হইবে না। বঙ্গের অধিবাসীরা বাহিরে প্রস্তুত বা উৎপন্ন কাপড়, লোহালক্কড়, চিনি, লবণ, স্কৃত, তৈল ও তৈলবীজ প্রভৃতি কিনিবার জন্য প্রতি মাসে বহু কোটি টাকা খরচ করে । বঙ্গের প্রকৃত নিঃস্বার্থ নেতাদের দ্বারা পরিচালিত জাতীয় গবন্মেণট কখনও বঙ্গে স্থাপিত হইলে, এই গবন্মেণ্ট জাপানের জাতীয় গবন্মেণ্টের মত নানা উপায়ে উক্ত সকল পণ্যশিল্প ও ব্যবসা স্থাপন ও পরিচালনে আর্থিক ও অন্ত নানাবিধ সাহায্য কfরবেন । বঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব ত বলিয়াছেন, বাংলা দেশ স্বশাসক হইয়াছে । তিনি পণ্যশিল্প ব্যবসা ও কৃষি বিষয়ে জাপানী নীতি অনুসরণ করুন না ? কিন্তু বলি কাহাকে ? তিনি পুরুষানুক্রমে বঙ্গে বাস করিয়াও বোধ হয় বাংলা বলেন না, পড়েন না ! ছোট ছোট কুটারশিল্প প্রভৃতিকে সাহায্য দিবার নিমিত্ত একটা আইন হইয়াছে ও কিছু টাকারও বরাদ্ধ হইয়াছে জানি । কিন্তু বাহিরের বিরাট প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে লড়িবার পক্ষে ইহা যথেষ্ট নহে । অর্থসচিব বলিয়াছেন, সরকারী নানা বিভাগে আরও দশ হাজার লোককে নিয়োগ করা হইবে । ইহা ভাল । কিন্তু ইহাতেও বেকার-সমস্তার সমাধান হইবে না । বঙ্গের বহু যুবকের বেকার অবস্থা সন্ত্রাসনবাদের জড়, সরকারী এই মত অবলম্বন করিয়া সামান্ত কিছু বলিলাম । আমাদের মত কিন্তু অস্ত প্রকার । আমরা মনে করি, বিপৰ্য্যাসক প্রচেষ্টা-সমূহের উৎপত্তি হইয়াছে রাষ্ট্রনৈতিক কারণে। লর্ড কার্জনের আমলের আগে যে ব্রিটিশ