পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ( o তিনি ষড়যন্ত্র চাল প্রভৃতিকে পৃথিবীর শাস্তি ও অগ্রগতির পরিপন্থী মনে করতেন । রাজনীতির তলায় যে নৈতিক শক্তি রয়েছে, তার উপরই তিনি বিশেষ জোর দিতেন । তিনি মনে করতেন, যে, সমস্ত গবষ্মেণ্টের প্রধান উদেশ্ব হওয়া উচিত, প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনতার ইচ্ছা ও আত্মসম্মানের গৰ্ব্ব যাতে বিকশিত হয় তার পথ ক’রে দেওয়া । তিনি নারীকে পুরুষের সমান বলে মনে করতেন । fossa zoos, -lt is as great to be a woman, as to be a man. fsf enige argiteit.-Nothing is greater than to be the mother of men. Íssa Moi o N —The best of every man is his mother fef: "zit zzi - ze eiza তাকেই বলে, যেখানে বড় পুরুষ ও বড় মহিলা থাকেন এবং নার যদি গ্রামের মধ্যে থাকেন, তবে সেই হবে মহানগরী । মলের স্বাধীনতাকে তিনি খুব বড় ব’লে মনে করতেন । তিনি বলতেন,— Without emancipation of mind political freedom is more than useless. ভুইটম্যান চলেছিলেন একটা আiদশ লক্ষ করে আমাদের 3 উচিত হবে আদশ লক্ষ ক'রে নিরলস গতিতে চলা—এই রকম যদি একটা কিছু আমরা করতে পারি, তবেঙ্গ হুইটম্যান স্মৃতিসভা কর। দার্থক হবে । অভিযোগী শ্রমিক ও বিত্তহীন 'মধ্যবিত্ত’ বেকার ভারতবর্ষের বড়লাটেরও কিছু অভাব-অভিযোগ নিশ্চয়ই আছে। বাংলার লাট, সিবিলিয়ান কমিশনারগণ, প্রধান মন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা—ইহঁাদের সকলেরই অভাবঅভিযোগ আছে । এই সব অভাব-অভিযোগের প্রতিকারের নিমিত্ত আন্দোলন হইতে পারে । কিন্তু করে কে ? আর্থিক হিসাবে ইহঁাদের চেয়ে নিম্নস্তরের দুই শ্রেণীর অভাব-অভিযোগগ্ৰস্ত লোক আছেন র্যfহাদের সম্বন্ধে, বেশী বা অল্প, আন্দোলন ও খবরের কাগজে লেখালেখি হইয়া থাকে। কারখানার শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন খুব হইয়া থাকে ও হইতেছে । ‘মধ্যবিত্ত বেকারদের জন্য আন্দোলন প্রায় হয় না বলিলেই চলে। শ্রমিকদের অবস্থা নিশ্চয়ই আরও উন্নত হইতে পারে ও হওয়া উচিত। কিন্তু তাহাদের ও ‘মধ্যবিত্ব' বেকারদের মধ্যে প্রভেদটা মনে রাখা উচিত । এই শ্রমিকরা বেকার নহে, তাহদের কিছু উপার্জন আছে, তাহাতে তাহাদের গ্রাসাচ্ছাদন চলে, এবং উহু,ত্ত কিছু তাহারা বাড়ীতে পাঠায়—ত যত কম বা বেশীই হউক । শ্রমিকরা প্রায়ই নিরক্ষর। শিক্ষার জন্য তাহদের পিতামাতা এক পয়সাও ব্যয় করেন নাই, তাহারা শিক্ষার জনা কোন পরিশ্রম কমে নাই । ‘মধ্যবিত্ত বেকাররা নামে মধ্যবিত্ত, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তাহারা বিত্তহীন। তাহার প্রবণসী ●*88 শিক্ষালাভের জন্য অনেক টাকা খরচ ও অনেক বৎসর পরিশ্রম করিয়াছে । তাহদের কোন উপার্জনই নাই, স্বতরাং উদ্ধ,ক্তও নাই। তাহারা কেহ কেহ আত্মহত্য করে। কোন শ্রমিককে রোজগারের অভাবে আত্মহতা। করিতে হয় না । অথচ শ্রমিকনেতারা শ্রমিকদের দুঃখে অভিভূত, কিন্তু মধ্যবিত্ত বেকারদের সম্বন্ধে নিশ্চেষ্ট ও নিৰ্ব্বাকু । ইহার কারণ কি ? বড়লাট হইতে আরম্ভ করিয়া সকলেরই দুঃখদুৰ্গতি দূরীকরণের চেষ্টা অবগুষ্ট হওয়া উচিত, কিন্তু মধ্যবিদ শিক্ষিত বেকাররা বাদ পড়ে কেন ? কাশীপ্রসাদ জায়সৱাল স্বপণ্ডিত ডক্টর কাশীপ্রসাদ জায়সৱালের মৃত্যুতে প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাস সম্বন্ধীয় গবেষণার ক্ষেত্রে এক জ. বিদ্বান বুদ্ধিমান সুনিপুণ কৰ্ম্মীর তিরোভাব হইল । তাহার বয়স মাত্র ৬৬ বৎসর হইয়াছিল । তিনি ব্যারিষ্টর" করিতেন । তাহাতে ঠাহার পসার ও খুব ছিল । হিন্দু আইন ও ইনকম-ট্যাক্সের আঠনে তিনি বিশেষজ্ঞ ছিলেন কিন্তু তাহার প্রিয় কাজ ছিল ঐতিহাসিক গবেষণ র্তাহার গবেষণা ও সূক্ষ্মদৃষ্টির ফলে প্রাচীন ভারতেতিহাসে অনেক তমসাচ্ছন্ন যুগে আলোক পড়িয়াছে। ভারতীয় প্রাচীন রাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তাহার “হিন্দু পলিটি” নামক গ্রন্থ অপূৰ্ব্ব । তাহ পড়িলে বুঝা যায়, প্রাচীন ভারতে সব রকম শাসনপ্রণালীর পরীক্ষ হইয়া গিয়াছে । ইহার অনেক কথ। তিনি প্রথমে মডার্ণ রিভিয়ু কাগজে প্রকাশ করেন বিহার এগু, উড়িষ্যা রিসাচ সোসাইটিজ, জার্ণ্যালের তিনি সম্পাদক ও প্রাণ ছিলেন । তিনিই উদ্যোগী হইয়া ভিক্ষু রাহুল সাংকৃত্যায়নকে তিব্বতে পাঠান। তিনি নবীন গবেষকদিগকে ডাকিয়া তাহাদের সহিত আলাপ-পরিচয় করিতেন এবং তাহাদের গবেষণায় মূল্যবান কিছু দেখিলে তাহাদিগকে উৎসাহিত করিতেন। কৃষ্ণনগরে বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলন ইহা সস্তোষের বিষয় যে এ বৎসর কৃষ্ণনগরে ধ বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের অধিবেশন হইবে, ইতিমধ্যেই তাহা আয়োজন আরম্ভ হইয়াছে । নদীয়া জেলার লোকদিগকে এ বিষয়ে একটি কথা স্মরণ করাইয়া দেওয়া অসঙ্গত হইবে • এই কাজটি শুধু কৃষ্ণনগর শহরের লোকদেরই কাজ ন । নদীয়া জেলায় যে-কেহ থাকেন, নদীয়া জেলার যে-*ে অন্যত্র থাকেন, ইহা তাহাদের সকলেরই কাজ। যিনি । ভাবে পারেন, কাজটি স্বসম্পন্ন করিবার চেষ্ট করুন ।