পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বিন ইহ জনায়াসে বলা যাইতে পারে। তবে কি প্রতিপক্ষের মতই সমীচীন ? যদি তাহাই হুইবে, তাহা হইলে ১৩১ গ্লোকে ‘অনীতিকারম্ভরতে পদে 'রতে’ শব্দের সার্থকতা কি ? প্রতিপক্ষ ১৩২ গ্লোকে “ভূমিস্তৃত' শব্দের ষে অপরূপ ব্যাখ্যা করিতেছেন, তাহার প্রমাণই বা কোথায় ? রামচরিতের টীকা অতিক্রম করিবার অী দের সামর্থ্য নাই, ইহাই যদি প্রতিপক্ষের সত্য মত হয়, তাহা হইলে শেষোক্ত শ্লোকের ব্যাখ্যায় তাহার ব্যতিক্রমের কারণ কি ? ১৩৬ শ্লোকে মূল পুথিতে তয়োররক্ষণে পাঠই আছে, আমাদের বক্তব্য। কিন্তু vশাস্ত্রী মহাশয় তাহার অনুস্থত সম্পাদননীতি অনুসারে ইহার সংশোধিত পাঠ দিয়াছেন ‘তয়োরক্ষণে । কেন দিয়াছেন তাহার কোনও যুক্তি প্রদশিত না হওয়ায় উহার বিচার করা অসম্ভব । এই প্রসঙ্গে ইহাও প্রণিধানযোগ্য যে টীকাকার ‘ভূতময়াত্রাণযুক্ত’ পদের ব্যাখ্যায় যুক্ত' শব্দের অর্থ করিতেছেন ‘প্রসক্ত’ । উক্ত পদ যদি সত্য ও নীতির অরক্ষণে অত্যধিক আসক্ত" এই স্বাভাবিক অর্থেই গৃহীত হয়, তাহা হইলে কবির পরবী উক্তির সহিত ইহার এক স্বনার সামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়। যিনি সত্য ও নীতির মধ্যাদা লঙ্ঘনে অত্যধিক আসক্ত, তিনি ‘রামপাল আমার রাজলক্ষ্মী অপহরণ করিবে” এই মোহের বশবর্তী হইয়া স্বীয় ভ্রাতাকে কারাগারে নিক্ষেপ করিবেন, ইহা ত স্বাভাবিক। যদি রামপাল সত্য সত্যই ভ্রাতার রাজ্য অপহরণে প্রয়াসী হইতেন, তবে তাহার নির্বাতন হয়ত সত্যাচুগ ও নীতিসন্মত হইত। কিন্তু কাহার কথায় মহীপাল ভ্রাতার নিকট এইরূপ সম্ভাবিত বিপদের আশঙ্কা করিলেন ? কবি বলিতেছেন—‘মায়িধ্বনিনা” অর্থাৎ থল ব্যক্তিদের কখায় । যিনি সত্য ও নীতির অত্যধিক লঙ্ঘনে অভ্যস্ত, তিনি খল ব্যক্তিদিগের কথায় বিশ্বাস করিয়া নিরপরাধ কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে অমাহুষিকভাবে নির্বাতন করিবেন, ইহাই ত প্রত্যাশিত। পরিশেষে প্রতিপক্ষের প্রতি আমাদের জিজ্ঞাস্ত, মহীপাল যদি কেবল যুদ্ধকাধ্যেই নীতিবিরুদ্ধ মাৰ্গ আশ্রয় করিয়া থাকেন, তাই হইলে কি কারণে অনস্তসামন্তচক্র ৰ্তাহার বিরুদ্ধে অভূখিত হইলেন এবং কেনই বা তাহার ,র্তাহাকে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করিলেন ? o দিৰ্য-প্রসঙ্গ في نسواه এই মিলিত সামঞ্চচক্রের বিদ্রোহের সম্ভাৰিত কারণ কি একটু অনুসন্ধান করিয়া দেখা যাউক । “মিলিতানভসামগুচক্রের" প্রয়োগ হইতে অতুমিত হইতে পারে, এই বিদ্রোহ একটি বা দুইটি প্রদেশে সীমাবদ্ধ ছিল না, বাঙ্গালার অধিকাংশ স্থান জুড়িয়া ইহা উখিত হইয়াছিল। এইরূপে সম্মিলিত অভু্যখানের কারণ কি হইতে পারে ? অামাদের মনে হয় মহীপাল কর্তৃক সামস্তবর্গের অধিকারের হ্রাস বা বিলোপসাধনের চেষ্টাই ইহার মূল কারণ। ষে দুনীতিপরায়ণ রাজা খলদিগের কথায় তুলিয়া নির্দোষ ভ্রাতাকে কারাগারে নিক্ষেপ করিতেও কুষ্ঠিত হন নাই, তিনি সামস্তদিগের সমবেত স্বার্থে হস্তক্ষেপ করিতে প্রয়াসী হইবেন ইহাতে বিস্মিত হইবার কারণ নাই। ইংলণ্ডের ইতিহাসে অনুরূপ ঘটনার অসম্ভাব নাই। খ্ৰীষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ভূক্রিয়াসক্ত রাজা জন ভ্রাতু-পুত্র আর্থারকে গোপনে হত্যা করিয়া স্বরাজ্যে অত্যাচারের এরূপ তাওবলীলার প্রবর্তন করিলেন যে দেশের অভিজাতবর্গ তাহার বিরুদ্ধে অভু্যখিত হইতে বাধ্য হইলেন। র্তাহার কেবল স্বশ্রেণীর স্বার্থের দিকে লক্ষ্য না করিয়া সাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণ করিয়াছিলেন, ইহাই তাহদের বিশেষত্ব ও তাহদের প্রধান গৌরব। আমাদের এই যুক্তি যদি সত্য হয়, তাহা হইলে বলিতে হইবে যে মহীপালের বিরুদ্ধে সামন্তবর্গের অভু্যখান মূলতঃ তাহাজের সমবেত স্বার্থসংরক্ষণের এক বিরাট প্রচেষ্টা । এই অনুমান সত্য কি না পরীক্ষা করিয়া দেখা যাউক । যদি সামশুদিগের স্বার্থরক্ষাই এই বিদ্রোহের মূল কারণ ट्ञ, ऊांश् श्रल ऊँीशब्लां शूप छघ्नौ श्ग्रां प्रय ८करटन অধিকার বৃদ্ধি করিতে উদ্যত হইবেন ইহাই ত স্বাভাবিক। সুতরাং মহীপালের ভ্রাতৃদ্বয় শুরপাল ও রামপাল তৎকর্তৃক আকারণে নির্বাতনের জন্য যতই অনুকম্পার পাত্র হউন না কেন, তাহারা সামস্তবর্গের সাহায্য হইতে বঞ্চিত হইবেন এবং এক প্রকার নিরাশ্রয় হইয়া পড়িবেন, ইহাই ত স্বতঃসিদ্ধ। পরিশেষে রামপাল পুপ্ত পৈতৃক রাজ্যের উদ্ধারসাধনে উদ্যত হইয়া পুনরায় সামন্তবর্গের নিকট সাহায্য ভিক্ষা করিবেন এবং উক্ত সাহায্যের মূল্যস্বরূপ তাহাদিগকে ভূমি ও অর্থ দ্বান করিতে বাধ্য হইবেন, ইহাতে