পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন ভালভাতের ব্যবস্থা tyఆదిక “ಶ್ನ ২,০২,২৪ হাজীর একর আরও কম হইয়া যায়। এখন ধানের আয় ৬৬ কোটী ទៅ ه لا يث اه, o -- 四引彎 *J » ፃ,or• • ,, , এবং পাটের আয় ২৫ কোটী এনে ১১ কোটী টাকা তৈলোৎপাদক শস্ত্য Sలి సి" , , বাংলায় ৩ কোট কৃষক উপাৰ্জ্জন করিতে পারে । এই তামাক R, 8 & n » ৯১ কোট টাকা ৩ কোট কৃষকের মধ্যে বণ্টন করিলে ইক্ষু २, a ० 夺 মোট ২ কোট ৬১ লক্ষ ৫৬ হাজার একর কৃষিকার্ধ্যরত লোকের সংখ্যা যদি ৩ কোট ৭৫ লক্ষ হয়, তাহা হইলে উপরের লিখিত বিভিন্ন শস্যের জন্য নির্দিষ্ট জমির পরিমাণ দেখিলে অনুমান করা অস্থায় হয় না যে ধান্য এবং পাটের চাষে নিযুক্ত লোকসংখ্যা ৩ কোট হইবে এবং অবশিষ্ট ৭৫ লক্ষ লোক অন্যান্য শস্যাদি উৎপাদনে নিযুক্ত থাকে। এই অনুমান নিভুল নহে, কিন্তু আলোচনার পক্ষে যথেষ্ট কার্ধ্যকরী। এখন প্রশ্নটি এইরূপ দাড়াইতেছে । একর জমীতে ধান্ত এবং ২৩ লক্ষ একর জমীতে পাট উৎপাদন করিয়া বাংলার ৩ কোট কৃষক কত টাক আয় করিতে পারে। প্রথম ধানের কথা ধরুন। প্রতি একরে গড়পরতা ১৫ মণ ধান উৎপন্ন হইয় থাকে। অবগু, কোনও জমীতে ধান্তশস্তের উৎপাদন-হার বেশী থাকিতে পারে, কিন্তু সমগ্র বাংলা দেশের হিসাবে প্রতি-একরে ১৫ মণ ধান অন্যায় আন্দাজ নহে । আজকাল এই কয় বৎসর ধরিয়া ১৫ মণ ধানের মূল্য ৩০ মাত্র। ইহা হইতে বীজ খরিদ ও কৃষিকার্য্যের যাবতীয় খরচ বাদ দিলাম না। ধরিয়া লইলাম প্রতি-একরে উৎপন্ন ধান্ত হইতে কৃষকগণ ৩০২ আয় করিতে পারে। সুতরাং ২ কোট ২ লক্ষ একর জমীতে ধান্ত উৎপাদন করিয়া বাংলার কৃষক আন্দাজ ৬৬ কোট টাকা আয় করে । এখন উৎপন্ন পাটের হিসাব দেখা যাক । ১৯২৯-৩০ সালের বাষিক শাসন-বিবরণীতে প্রকাশ ঐ বৎসর ২৯ লক্ষ একর জমীতে ৮৬,৫৬,৮৩৯ বস্ত পাট উৎপন্ন হইয়াছিল। এক বস্তাতে ৫ মণ পাট থাকার কথা ; স্থতরাং কিঞ্চিাধিক ৪ কোট ৩২ লক্ষ মণ পাট উৎপন্ন হইয়াছিল। পাটের বাজারদর প্রতি-মণ কমবেশী ৬ টাকা ; তাহা হইলে সমুদায় পাটের মূল্য কিঞ্চিদধিক ২৫ কোট টাকা হয়। এখানেও পাট-জাবাদের খরচ বাদ দিলাম না, দিলে মূল্যের অঙ্ক এই ২ কোটী ২ লক্ষ প্রতি কৃষকের আয় হয় কিঞ্চিদধিক ৩০২ মাত্র । কিন্তু ইহার মধ্যে আর একটু হিসাব রহিয়াছে। কৃষিকার্ধ্যের খরচ আমাদের জানা নাই। সঠিক অঙ্ক পাওয়াও দুষ্কর, তবে নূনতম অঙ্ক ধরিলেও শতকরা ১ পুত্র কম হইবে না। যদি এই চাষের খরচ বাদ দেওয়া হয় তবে জম প্রতি আয়ের অঙ্ক হয় ২৭ । আর একটা হিসাব এই—বাংলায় প্রজাদের দেয় খাজনার পরিমাণ বাৎসরিক ১৬ কোটা টাকা । হারাহারি ক্রমে ৩ কোট কৃষকের দেয় খাজনার পরিমাণ প্রায় ১৪ কোটা টাকা হইবে । উপরিউক্ত ৯১ কোট টাকা হইতে ১৪ কোটী বাদ দিলে অবশিষ্ট ৭৭ কোট টাকা ৩ কোট কৃষকের মধ্যে বণ্টন করিয়া প্রতি জনের গড়পরতা আয় হয় প্রায় ২৬ মাত্র। আবার ব্যাঙ্কতদন্ত-কমিটির সিদ্ধাস্ত এই ষে, বাংলার কৃষকের ঋণভারের পরিমাণ ১০০ কোটী টাকা এবং এজন্য বাধিক দেয় স্বদ শতকরা ১২ই টাকা হিসাবে প্রায় লোট-টাকা । এখন অবস্থার্ট এইরূপ—ধে-কৃষকের গড়পড়ত আধু-শুং কি ২৭ সে মালিকের খাজনা এবং মহাজনের স্বদ কি আসল কেমন করিয়া দিতে পারে, এবং যদি দিতেও পারে তবে তাহার ভরণপোষণের জন্ত বিশেষ কিছু অবশিষ্ট থাকে না । স্বতরাং ঋণের অঙ্ক তাহার বাড়িয়াই চলিবে । ভারতবর্ষের অধিবাসীর প্রতি জনের গড়পড়তা অায়ের আন্দাজ বহু লোকে করিয়াছেন। দাদাভাই নৌরজীর মতে বার্ষিক ২০২ ; ইদানীং অনেকের মতে ৬৭, বহু ইংরেজের মতে ১১৬২। এই সঙ্গে ইংলণ্ডের জন-প্রতি আয়ের অঙ্ক ১• • •<, আমেরিক যুক্তরাজ্যের ১৯২৫< । তুলনা করিয়া দেখিলে বুঝিতে পারিব আমাদের কৃষককুল কত দরিত্র। গড়পড়তা আয় মূনতম জায় নহে। স্বতরাং বাংলায় অনেক কৃষক আছে যাহার বাধিক আয় ২৫২ টাকারও কম । তাহারা কি প্রকারে বাচিয়া থাকে, তাহাদের মধ্যে গিয়া বসবাস না করিলে আমরা বুঝিতে পারিব না । এখন ঘিনিই “ভালভাতের" ব্যবস্থার কথা চিন্তা