পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سجنهج سيجا প্রবণসী s\ご88 ષ્ઠિારું 瞬 : - جيجي يقته، * - تن 3-ثع দুই ৫১০ ফুট জ্যা-বিশিষ্ট ই

-) &&.*

স্পাতের খিলান সেতু । י

উপর দিয়া দুইটি সমান্তরাল লৌহ রঞ্জ বা শৃঙ্খল হইতে দোলয়ম সেতুর নাম ঝুলন সেতু। জানি না, ইহা শ্রীকৃষ্ণের সিরিয়া নদীর উপর ২৯৫ ফুট ব্যবধানবিশিষ্ট ৫৬ ফুট উচ্চ প্রস্তস-নিৰ্ম্মিত সেতু । ইহা বৰ্ত্তমানে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত সৰ্ব্ববৃহৎ খিলান-সেতু । কঙ্করেষ্টক বৃত্তাভাস সেতু । তন্মধ্যে দুই দিক হইতে প্রসারিত গঠন ৩১০ ফুট করিয়া এবং মধ্যস্থিত দোলায়মান গঠন ২০০ ফুট লম্ব। ইহার ংশগুলি বিলাতের কারখানায় প্রস্তুত বলিয়া ইহার ব্যয় অধিক পড়িয়াছে। ( ৬২৬০০০ ডলার ) । হুগলীর জুবিলী সেতু ( ১৮৮৬-১৮৯০ ) উল্লিখিত শ্রেণীর অন্তভূক্ত । ইহার উচ্চতা জলের উপরিভাগ হইতে ৫৩ ফুট। মধ্যস্থ ১২০ ফুট দূরস্থিত দুইটি স্তম্ভের উপর সন্নিবিষ্ট অনবিচ্ছিন্ন জ্যায়ের দৈর্ঘ্য ৩৬০ ফুট । ৫ । ঝুলন সেতু —নদীর দুই তীরস্থ দুই উচ্চ স্তম্ভের ঝুলনের পরিকল্পনায় প্রস্তুত কি না ? বানর কেমন করিয়া নদী উত্তীর্ণ হয় তাহা অনেকে জানেন । বানর সস্তরণ দ্বারা নদী পার হইয় অন্ত দিকের তীরস্থ একটি স্বউচ্চ বৃক্ষে আরোহণ করিয়া পরের পর হস্ত দিয়৷ পদ ধারণ করিয়া লম্ব হইতে থাকে । এইরূপে দুই ধারে দীর্ঘ বানরের রজ্জ্ব দোল থাইতে থাইতে দুই বানর রজুর দুই প্রাস্তভাগ ধারণ করিলে ঝুলন সেতু হইল। আর তখনই ছোট ছোট বানর ও বানরীরা শিশু বক্ষে করিয়া নদীর অপর প্রাস্তে চলিয়৷ যায়। ইহা হইতে প্রতীয়মান হয় যে ঝুলন সেতু অতি প্রাচীন জাকৃতির সেতু। কিন্তু ইহাকে বৃহত্তর কাজে লাগাইবার জন্ত তেমন গবেষণা হয় নাই। প্রাচীন কালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোতস্বিনীকে উল্লঙ্ঘন করিবার জন্য ভারতবর্ষ, চীন, জাপান, তিব্বত প্রভৃতি দেশে এই প্রকার সেতুর প্রচলন ছিল। একটি রজ্জ্ব টাঙাইয়াও ঝুলন সেতু করা হইত। একটি রজুতে কোন পাত্র ঝুলান থাকিত এবং তাহা আর একটি রজজু দ্বারা এপার ওপারে টানিয়া লণ্ডয়া হইত। হরিদ্বারের লছমনঝোল একটি ঝুলন সেতুর উদাহরণ, বালিগঞ্জ লেকের দ্বীপে যাইবার জন্য যে সেতু - আছে তাহাও একটি ঝুলন সেতু। ত্রিবেণীর নিকট সরস্বতী নদী কতকগুলি