পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-3\e হইতে এমোনিয়া ও এসিড মিডিয়ম হইতে নাইট্রেট ভালরূপে গ্রহণ করিতে পারে । গাছ যত বড় হইতে থাকে তাহাদের দ্বারা এমোনিয়া গ্ৰহণ তত কমিয়া যায় এবং নাইট্রেট গ্রহণ বাড়িতে থাকে। জলে দ্রবণীয় চিনিশ্রেণীর জিনিষ বা কাৰ্ব্বোহাইড্রেট সঙ্গে থাকিলে গাছের এমোনিয়া গ্রহণ শক্তি বাড়িয়া যায়। তবে ছোটবেলায় খুব বেশী কাৰ্ব্বোহাইড্রেট থাকিলে উহাতে বাধা জন্মে। কাৰ্ব্বোহাইড্রেট কম থাকিলে এমোনিয়া হইতে গাছের ক্ষতি হয়। উত্তাপমাত্রী কমাবাড়ার সঙ্গেও গাছের খাদ্যগ্রহণের সম্বন্ধ আছে। ৬ পি-এইচে এমোনিয়াম সালফেট ও ৪৫এ সোডিয়াম নাইট্রেট হইতে আপেল ৯° উত্তাপমাত্রায় অন্ধকারে সোজা ধরণের প্রোটিন উৎপন্ন করিতে পারে । এমোনিয়া খাদ্যেই এই কাৰ্য্য ভাল হয়। এই উত্তাপমাত্রায় প্রোটিন শিকড়ের দিকে থাকে বলিয়া গাছের ঐ অংশগুলি খুব, তাড়াতাড়ি বাড়ে। ২১° উত্তাপমাত্রায় কুঁড়ির দিকে সোজা প্রোটিন বা এমিনো এসিড পাওয়া যায়। ঐ অংশগুলি তখন আবার খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। ধানগাছ কর্তৃক এমোনিয়া গ্রহণ সালফেট, ফসফেট, নাইট্রেট ও ক্লোরাইড এই ধারায় কমিতে থাকে। ইক্ষুগাছে নাইট্রেট অপেক্ষ এমোনিয়ায় পাতার সবুজ রং ক্লোরোফিল কম উৎপন্ন হয় । কেমন অবস্থায় কোন গাছের কোন অংশে কি কি দ্রব্য কিরূপ পরিমাণে থাকে, সে সম্বন্ধেও অনেক বিষয় জানা যাইতেছে । দ্রাক্ষাফল পাকিলে তাহাতে যে চিনি আসে তাহার বেশীর ভাগ দ্রাক্ষালতার প্রধান অংশে সঞ্চিত চিনি । ফলের চিনি গাছের সঞ্চিত চিনির পরিমাণের উপর নির্ভর করে। ঋতুর পরিবর্তনে ও রোগের দ্বারা গাছের চিনির রকমের ও পরিমাণের বিভিন্নত হয়। গাছের পুষ্টিসাধন-ব্যাপারে ও রোগনিবারণে পটসিয়াম, লোহা, ম্যাঙ্গানীজ, ক্যালসিয়াম, তামা প্রভৃতি ধাতব দ্রব্যের বিশেষ অংশ আছে । আলোর অভাবে গাছের যে পুষ্টিহীনতা হয় পটাসিয়াম খাওয়াইয় তাহা অনেকাংশে শোধরান যায় । গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কোন কোন জলপদ্মের রেণুকণা বাড়াইবার পক্ষে বোরিক এসিড খুব উপকারী । সোহাগায় ছোলার ফসল বাড়ে। অজিন এ. বি. প্রৰণসী ১৬৪৪ গাছের ফুল ফল, শাখা-প্রশাখা প্রভৃতি বাড়াইয়া দেয় । ভাইটামিন বি, এবং অক্সিন এ. বি. গাছের এমোনিয়া গ্রহণ কমাইয় দেয় ও নাইট্রেট গ্রহণ বাড়াইয়া দেয় । থাইরয়েg সামগ্রীর ইনজেকশুনে ফুল ও ফলের উৎপাদন বাড়িয়া ষায় । পাত বাড়াইতে থাইরক্সিন भूtु বৃদ্ধিতে 'এড়িন্তালিন ও হাইপোফাইসিন (hypophysin), এবং কচুরীপানার ফুল ফোটানোয় ‘ফলিকুলিনকে ক্রিয় করিতে দেখা গিয়াছে । ভাইটামিন বি.ও কোন কো. ক্ষেত্রে ফল-ফলান কায্যে সহায়তা করে । (thyroxin ), বীজাণুর সাহায্যে বাতাসের নাইট্রোজেনকে উদ্ভিদের খাদ্যে পরিণত করা হয় । কতক প্রকার গাছের ( leginninous plants ) শিকড়ে স্ফোটকের মত হয় । ইহাঙ্গে বীজাণুসকল (rhizobin ) বাস করিয়া বাতাস হইতে নাইট্রোজেন সংগ্রহপূর্বক গাছের খাদ্যে পরিণত করিলে গাছ উহা গ্রহণ করে। বর্তমানে বীজাণু-বিশেষ জন্মাইয়া জমিতে ছড়াইয়া দেওয়া হয় এবং জমি তাহাতে নাইট্রেট-সারে সমৃদ্ধ হঠয় উঠে । গাছ না থাকিলেও কেবলমাত্র বীজাণু নাইট্রোজেন ধরিয়া লইতে পারে বলিয়া এত দিন যে ধারণা ছিল তাহা এখন ভুল বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে। ঐরপে উৎপন্ন সার জমিতে ছড়াইয়া গেলে অন্য গাছেও উহা গ্রহণ করিতে পারে। উপযুক্ত পরিমাণ কাৰ্ব্বনিক এসিড থাকিলে বীজাণুসকল সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী নাইট্রোজেন গ্রহণ করিতে পারে। সেই জন্ত চিনি থাকিলে ক্রিয় ভাল হয় ( চিনি গজিয়া গেলে তাহা হইতে কাৰ্ব্বনিক এসিড উৎপন্ন হয় । ) বাহিরে বীজাণু জন্মাইয় তাহা জমিতে ছড়াইয়া দিবার সুবিধা এই ষে তাঙ্গতে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় বীজাণু থাকে, অপকারী বীজাণুগুলি বাদ পড়ে। উইলসন-প্রমুখ বৈজ্ঞানিকগণ রুবি-রসায়নে বীজাণু-সংক্রান্ত গবেষণা করিতেছেন। ভিন্ন ভিন্ন দেশে বৈজ্ঞানিকের কৃষি-রসায়নের গবেষণা করিয়া কৃষির উন্নতিসাধনে সাহায্য করিতেছেন, ভারতবধ কৃষিপ্রধান দেশ হইলেও এখালে কৃষিকার্য্যে বিজ্ঞানের সাহাধ্য কম লওয়া হয়। বর্তমানে গভর্ণমেণ্টের এদিকে কিছু (cultures) BBBB BB BBB BBB BBB D DDD BBB BBB BB BBBBB BB BBB BB B BBBBBBB