পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

也叫88 প্রবাসী 令\●88 সে অবগু খুব বেশী কিছু চায় না—চাইলে চলবেই বা কেন ? নিশা দেখতে খুব ভাল নয়, লেখাপড়াও বেশী শেখে নি, আর তার জমান টাকাও খুব বেশী নেই। একটি মাত্র বোন, ধার ক'রে ভাল বিয়ে দেওয়া লোকের মতে হয়ত বা উচিত ছিল, কিন্তু সে তাতে রাজী নয়। ধার শোধ দেওয়া মানে আরও বেশ কিছু দিন চাকরি করা— তাই যদি করবে তা হ’লে আর.কাজেই সে চায় এমন কোন ছেলে যার স্বভাব-চরিত্র ভাল, ভদ্রসমাজে মিশবার মত লেখাপড়া শিখেছে আর নিজের সংসার চালাবার মত রোজগার করে । তার ধারণা ছিল এ এমন বেশী কিছু নয়, কিন্তু অন্য অনেক কিছুর মতই বিয়ের বাজারের সঙ্গেও পরিচয় তার কমই ছিল । এ রকম ছেলেরও ব্যঞ্জীর-দর দেওয়া তার পক্ষে সহজ নয়, তা সে জানত না । কোন কিছু ঠিক করতে না পেরে সিতাংশু বড় বেশী বিত্রত হয়ে পড়েছিল। তার এক আত্মীয় একটি ছেলের সন্ধান দিলেন । ছেলেটি তার এক বন্ধুর । অমন স্বন্দর ব্যবহার না কি দেখতে পাওয়া যায় না। আজকালকার দিনে সিগারেটটি পর্ষ্যস্ত খায় না, বাপের একটিমাত্র ছেলে । তার বাপ থাকেন খুব সাদাসিধে ভাবে কিন্তু বেশ পয়সা আছে। সিতাংশু ভেবে দেখলে, মন নয়। রাজী হ’ল । মেয়ে দেখে তাদের পছন্দও হ’ল, টাকা নিয়েও গোলমাল হ’ল না। ‘ ছেলের বাপ মেয়ে দেখে আশীৰ্ব্বাদের দিন ঠিক ক'রে গেলেন। এত সহজে যে সব ঠিক হয়ে যাবে সিতাংগু তা কল্পনাও ক'রে নি। বিয়েট কোন রকমে দিয়ে দিতে পারলে হয়। আত্মীয়স্বজন সকলকেই বলতে হবে—কেই বা কি করে ? ছেলেকে একবার সে তার আপিসে গিয়ে দেখে এসেছিল, বেশ অমায়িক, লাজুক ছেলে, দেখতেও মন্দ নয়। ঠিক এই রকমটিই সে চাইছিল। এর হাতে নিশা যে স্বধী হবে সে-বিষয়ে তার কোন সন্দেহ ছিল না । আসন্ন মুক্তির আশায় সিতাংশু নিঃশ্বাস ফেললে । 穆 釁 蠍 দুপুরবেলা সিতাংগু বাড়ী ফিরল খুব ভ্রান্ত হয়ে । সোজা নিজের ঘরে যাচ্ছিল কিন্তু নিশা এত বেল! পৰ্য্যস্ত তার জন্তে না খেয়ে ব’সে অাছে মনে হ'তে তাঁর ঘরের দিকে গেল । তার শরীর ভাল ব’লে মনে হচ্ছিল না, এখনই থেতে যেতে পারবে না, নিশা যেন তার জঙ্গে অপেক্ষা না করে । ঘরে নিশা ছিল না কিন্তু সেদিকে লক্ষ্য করবার মত অবস্থাও তার ছিল না । সামনে এক জন লোক আছে আর সে যে নিশা ছাড়া আর কেউ হওয়া সম্ভব তাও ভেবে নেওয়ার কোন কারণ নেই, তাই সে বললে, “তুই এখনও খাস নি ত । আমার জন্তে বসে থাকিস কেন বল ত ?”..-কথা তার আর শেষ করা হ’ল না। যাকে উদ্দেশ ক’রে সে কথা বলছিল সে বললে, “নিশ নীচে গেছে, ডেকে দেব কি ?” “না দরকার নেই,–আচ্ছা দাও—তুমি কখন এসেছ ?” “একটু আগে-নিশা আপনার জন্তে বডড ভাবছিল, এইমাত্র নীচে গেল ঠাকুর চলে যাচ্ছে ব'লে।” “তুমি আজকাল আর এস না, না ? তুমি এলে তবু ও একটা সঙ্গী পায় । আমি ত সারাদিন বাইরেই থাকি ”

  • ওর বিয়ের পর আপনি•••” “কি করব ? বিশেষ কিছু ঠিক করি নি–দিন ধে রকম ক’রে হোক চলে যাবে, ভেবে কি করব ?”

“নিশ বিয়েতে একটুও স্বধী নয়, আপনার কথ ভেবে I* “আমার কথা আমিই ভাবতে পারি—আমার শরীরট বডড খারাপ লাগছে । তাঁকে ব'লে। সে যেন থেয়ে নেয়, আমার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে না ।” সিতাংশু চলে যেতেই নিশা এসে ঘরে ঢুকল । জিজ্ঞেস করলে, “দাদা কি বললে অমুদি ?” “ষ্ঠার শরীর ভাল নয় ; তুষ্ট খেয়ে নিগে যা।” “কি হয়েছে দাদার ?” *জিজ্ঞেস করি নি ।” “তবে কি করেছ ? এতক্ষণ সময় পেয়ে কিছুই বললি না ? তোর কি কোন দিন মুখ ফুটবে না ?” "মুখ ফুটে কি হবে বল ? ষে পাথর সে কি কখনও জাগে ? শুধু শুধু নিজেকে ছোট করি কেন ? সন্মান যেখানে এক দিন ফিরে পাবার আশা আছে, সেখানেই তা হারান চলে ।” "দাদার সঙ্গে কোন দিন সাহস ক’রে কথা কই নি, এবার কিন্তু বলব !” "পাগল হয়েছিল ? কি ভাববেন বল্ ত ?” “তোর লজ্জ নিয়েই যদি থাকিস তাহ’লে ঠকfব । দাদা কি ঠিক করেছে জানিস ? চাকরি ছেড়ে দিয়ে সন্ন্যাসী হবে•••” “র্তার যদি তাই ইচ্ছে হয়, কে বাধা দেবে বল ?” “তুই না ওকে ভালবাসিস ?” “ই, এক দিকের—তাই দাম নেই । তিনি আমাকে ত একটুও চান না, হয়ত স্থণা করেন ।”

  • কেন, তোমার অপরাধ ?” “সব সময় কি অপরাধ থাকে । না, না তুই ওসব কথা বলিস নে ৷”
  • আচ্ছ, দাদ। যদি সত্যি সংসার থেকে সরে দাড়ায় তাহ’লে তোর কি খুব দুঃখ হয় না ?”

“কি জানি ? উীর আদর্শ কত বড়।” *আদর্শ কি সব সময় ধরা যায় ?”