পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাণশ্বিন বিবিধ প্রসঙ্গ—অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবন্ধ উদ্ধার 5۔یbسیb কলিকাতার একটি হিন্দুস্থানা বালিকা-বিদ্যালয় কয়েক মাস হইল কলিকাতার কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে হিন্দুস্থানীদের একটি বালিক-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । ধে দিম উচ্চার দ্বারোদঘাটন হয়, তাহার পর দিল থবরের কাগজে পড়িয়াfছলাম, গে, উহার কর্তৃপক্ষ বলিয়াছেন, বাঙালী ছাত্রী মাত্রকেই উহাতে বিনা বেতনে ভষ্টি করা হইবে ও শিক্ষা দেওয়া হইবে। যদি কর্তৃপক্ষ এই নিধুম করিতেন ও বলিতেন, যে, বাঙালী, হিন্দুস্থানী ও অন্ত অবাঙালী সকল ছাত্রীকেই কিংবা সকল গরীব ছাত্রীকেই তাহার। অবৈতনিক শিক্ষা দিবেন, তাহা হইলে তাহাধের প্রশংসা করিতে পারিতাম। কিন্তু কেবল বাঙালীর মেয়েরাই এবং প্রত্যেক বাঙালীর মেয়েই কাঙালিনী ও কুপার পাত্রী, কর্তৃপক্ষ অনভিপ্রেত ভাবেও কাৰ্য্যতঃ এইরূপ বলায় আমরা কৃতজ্ঞতা অসম্ভব করিতে পারি নাই, এবং, যদিও আমরা খ্রিস্ত্র বাঙালী জাতি, তথাপি কিঞ্চিৎ অপমান বোধ করিয়াছি । মডার্ণ রিভিয়ু হইতে অনুমতি ব্যতিরেকে. প্রবন্ধ উদ্ধার আমরা প্রতি মাসেই দেখিতে পাই, ভারতবর্ষের কোনন-কোন দৈনিক পত্র মামাধের অনুমতি না লইয়া আমাদের ইংরেজী মাসিক মডার্ণ রিভিয়ু হইতে ছোট বড় প্রবদ্ধ আদ্যোপাস্ত উদ্ধৃত করেন বা অহুবাদ করেন। কোন কোন প্রবন্ধ বহু কাগজে উদ্ধৃত হয়। ইহাদের মধ্যে যাহার যে-বার খুব বেশী ওস্তাদ দেখান, সে-বার আমাদের কাগজথানার নাম পৰ্য্যন্ত উল্লেখ করেন না। উদ্দেশু প্রবন্ধটি নিজেদের বলিয়া চালান। কেহ কেহ আমাদের কাগজের প্রবন্ধু ক্রমশ: প্রেকাশ করেন এবং প্রথম বা একাধিক কিঞ্চিতে মণ্ডার্ণ রিভিমুর নাম করেন না, শেষ কিস্তিতে প্রবন্ধের শেষে ছোট অক্ষরে আমাদের কাগজখানার নাম ছাপিয়া দেন । যাহারা একবারেই সমগুটি ছাপেন, তাহার। খুব সাধু হইলে প্রবন্ধের নামের নীচে বা উহার নাম ও লেখকের নামের লীচে মডার্ণ রিভিয়ুর নাম লা লিখিয়া সৰ্ব্বশেষে ছোট অক্ষরে তাহার নামটি ছাপেন । মডার্ণ রিভিমুর x ob--> * নাম সৰ্ব্বশেষে ছাপিবার উদেশ্ব, কোন প্রকারে সাধুত রক্ষা : সৰ্ব্বশেষে ও ছোট অক্ষরে ছাপিবার উদ্বেগু, নামটা আনেকের চোপে না পড়িলে প্রবখট। উস্মারক কাগজের নিক্সের বলিয়া পাঠকের ধারণা হুইবে । এই সব সাংবাদিকপ্রবয়ের ধারণ এই, যে, মাসিক পত্রের প্রবন্ধগুলি যে-কাগঞ্জে প্রথম বাহির হয় ও যাহার কক্ষ লিখিত, তাহার সম্পাদকের অনুমতি না লইয়াই আদ্যোপাশ্ব উদ্ধৃত করা চলে, এমন কি মূল সাময়িক পত্রথানার নাম উল্লেখ করাও উল্বারকের দয়াসাপেক্ষ । এরূপ আচরণ যে শ্বাস্থবিরুদ্ধ, তাহ উাহারা কি বুঝেন না ? পাশ্চাত্য রীতি অন্তরুপ। দৃষ্টাস্তস্বরূপ বলি, আমেরিকার “দি লিভিং এজ” বা জাৰ্ম্মেনীর Die Austere পত্রে ধর্থন আমাদের প্রবন্ধ উদ্ধৃত হয়, তখন গোড়াতেই মণ্ডার্ণ রিভিয়ুর নাম মুদ্রিত হয় । মধ্যে মধ্যে কৌতুকাবহ ব্যাপার ঘটে। কোন সাধু সম্পাদক মডার্ণ রিভিন্নুর নাম না করিয়া তাহার কোন প্রবন্ধ উদ্ধৃত করিলেন, তাহার পর তাহা আগু খবরের কাগজে উদ্ধৃত হইবার সময় মডার্ণ রিড়িয়ূর নাম উল্লিখিত না হইয় যে কাগজে উহু বিনা অনুমতিতে ও বিন ঋণ স্বীকারে উদ্ধৃত হইয়াছিল তাহারই প্রবন্ধ বলিয়া গুণ স্বীকৃত হইল! মাসখানেক আগেকার জগুবিধ কৌতুকাবহ একটা ঘটনা বলি। আগষ্ট মাসের মডার্ণ রিভিয়ুর গোড়াতেই আমরা শ্রযুক্ত শুভাষচন্দ্র বম্বর লিখিত মস্তিত্বগ্রহণ সম্বন্ধীয় একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করি। প্রবন্ধটি কলিকাতার ধুরন্ধর কংগ্রেগওয়াল কাগজগুলিও নিশ্চয়ই খুব অকিঞ্চিৎকর মনে করিয়াছিল, কারণ কেহই উহার উল্লেখ বা এক আধটা বাক্যও উস্তুত করে নাই । কিন্তু লাহোরের টিবিউলে উহা উদ্ধৃত হয়, এবং দিল্লীর একখানা কাগজ ‘হিন্দুখান টাইমস" উহা ক্রমশ: উদ্ধৃত করে। উস্তুত করিয়াছিল একেবারে সম্পাদকীয় প্রেবন্ধের পাশে, কিন্তু প্রথম কিস্তিতে কোথাও মডার্ণ ংিfeখুর নাম উল্লেখ করে নাই ( শেষে করিয়াছিল কি না ঠিক্ মনে পড়িতেছে না )। এই কিঞ্চিটি দিল্লীর ঐ কাগজে প্রকাশিত হইবামাঞ্জ কলিকাতার কোন প্রসিদ্ধ দৈনিকের সিমলাস্থিত সংবাদদাতার চোখে