পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী כר* ১৩৪৪ রাজনারায়ণ বসুর স্বাস্তুভিটার ধ্বংসাবশেয কালক্রমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ও বোড়ালের গ্রাম্যশ্রী নষ্ট হইয়া যায়। পরে ৬ জগদীশচন্দ্র ঘোষ এই গ্রামখানি আনুমানিক ২৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে মুসলমান স্ববেদারদের নিকট হইতে “জঙ্গলকাটি পত্তনি" রূপে প্রাপ্ত হইয় গ্রামের মধ্যে লোক বসতি বৃদ্ধি ও লুপ্ত কীৰ্তিসমূহের পুনরুদ্ধার করিবার চেষ্টা করেন। তাহার তিরোধানের পর উক্ত কাৰ্য্য মন্দাভূত হইয়া পড়ে। পরে শ্রযুক্ত হীরালাল ঘোষ (vজগদীশ ঘোষের অধস্তন নবম পুরুষ ) উক্ত দেবালয়ের উন্নতি সাধনের জন্য চেষ্টা করিতে থাকেন ও ৬ত্রিপুরস্কন্দরী মঠের স্তুপ খনন করাষ্টতে আরম্ভ করেন । তবে একার অর্থ ও সামর্থ্যে উক্ত ব্যয়বহুল কাৰ্য্য বেশী দিন চালান সম্ভবপর হয় মাই। তবে যে-পৰ্য্যস্ত খনন করান হইয়াছিল ( ১৩০২-৩ সালে ) তাহ দ্বারাই মন্দির ও মন্দিরসংলগ্ন অন্যান্য গৃহাদির হর্দৃঢ় ও স্বপ্রশস্ত ভিত্তি আবিষ্কৃত হয়, বিচিত্র ধরণের ও কারুকার্য্যখচিত বহু ইট ও দেবীর একটি ধাতুনিৰ্ম্মিত যন্ত্র পাওয়া যায়। ভূগর্ত হইতে উত্তোলিত ঐ সমস্ত ইষ্টকের একটি চিত্র এই স্থানে দেওয়া হইল। এই ইষ্টকগুলি এমন সেন-র:জ1র ম'ৰ্ণিকার ধর্তমান অবস্থ৷ স্বদুঢ় যে দেখিলে মনে হয় যেন সদ্যোনিৰ্ম্মিত । এইগুলি আরুতিতেও বিভিন্ন প্রকার । ইহার কতকগুলি গোল, কতকগুলি চতুষ্কোণ ও কতকগুলি রিকোণ। এই পীঠস্থানের “efত্রপুরসুন্দরী সেবা সমিতি” নামক একটি সমিতি গঠিত উন্নতিকল্পে ১৩৪১ সাল হঠতে হয় ও এই সমিতি উৎ ইতিহাসপ্ৰসিদ্ধ স্থানের উন্নতিমূলক যাবতীয় কায্যের ভার গ্রহণ করেন। ইঙ্গদের সমবেত চেষ্টার ফলে অতি অল্পদিনের মধ্যেই বহু উল্লেখযোগ্য কাৰ্য্য সম্পাদিত হইয়াছে । দেবীর পুরাতন মুঠিব অমুকরণে গত ২৩শে মাঘ ১৩৪১ সালে দেবীর একটি স্ববৃহৎ অষ্টধাতুমূর্তি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে ও নিত্য সেবাচনা চলিতেছে। এই অতি প্রাচীন পীঠস্থানে আসিয়া দুবাগত যাত্রীদের যাহাতে কোনরূপ অসুবিধা ভোগ করিতে না হয় সে ব্যবস্থাও এই সমিতি হইতে করা হইতেছে । এত বড় অষ্টধাতুমূৰ্ত্তি ২৪-পরগণার কোন দেবালয়ে নাই। তবে অর্থাভাববশতঃ এই বিশাল মূৰ্ত্তির উপযুক্ত মন্দির অদ্যাপি পুননিৰ্ম্মিত হয় নাই। উপস্থিত একটি ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে দেবীর পুজাৰ্চনা চলিতেছে ।