পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سntyه প্রবণসী SNH8H সহজে ঘুমাইবার জো ছিল না। তাহার উপর যেদিন হৈমন্ত্রীদের বাড়ী হইতে নানা কথা মাথায় লইয়া সুধা ফিরিত সেদিন প্রায় সারা রাত্রিই বিনিদ্র কাটিয়া যাইত । সেদিন অনেক রাত জাগিয়া সুধা ভোরে ঘুমাইয়। পড়িয়াছিল, পাচটার বদলে ছ’টাও বাজিয়া গিয়াছে । মহামায়া দেয়াল ধরিয়া সুধার থাটের কাছে আসিয়া ডাকিতেছেন, “ও সুধা, ওঠ না রে, বেলা হ’ল যে ! ওই দেখ সিড়িতে কে পাগড়ী মাথায় চিঠি হাতে ক’রে দাড়িয়ে আছে। দিদিমণিকে চিঠির জবাব দিতে হবে বলছে।” স্বধার ভোরবেলাকার আধ-ঘুমের মধুর স্বপ্ন ভাঙিয়। গেল। সে তাড়াতাড়ি উঠিয়া বসিয়া বলিল, “উ:, ঘরে রোদ এসে পড়েছে যে ” মুখ ধুইয়া চিঠি হাতে করিয়া দেখিল, হৈমন্ত লিথিয়াছে, “সুধ; আজ শনিবার তিনটার পর আমরা তপনবাবুর গ্রাম দেখতে যাব । আর কোনও সঙ্গী পেলাম না, তাই সুধীন বাবুকে ধরেছি সঙ্গে নিয়ে যাবার জন্যে । তোমাকে নিশ্চয় করে যেতে হবে। যদি শিবুকে নিয়ে যেতে চাও ত তাকেও তৈরি রেখে, ছেলেদের এসব কাজ এখন থেকে দেথ। ভাল। তুমি আসবেই, জবাব দিও। তি হৈমন্তী " শিবুর তখনও প্রায় মাঝ রাত্রি । একটা ঠেলা দিল । তোমার সুধা তাহাকে গিয়৷ “আঃ, দুপুৰ বাড়ে জালাতন আমি এখন তোমাদের ফরমাস থাটুতে পারব না ।” সুধা আবার ঠেল! দিয়া বলিল, “আমাদের জন্যে থেটে থেটে ত তোমার হাড়ে ঘুণ ধরে গেছে, এখন নিজের জন্যে একটু দয়া ক’রে থাট । তপন বাবুর গ্রাম দেখতে আমরা যাব, তুমি যাবে কি না বল ।” শিবু চোখ কচলাইয়া উঠিয়া বসিয়া খানিক কি ভাবিল, তাহার পর বলিল, “আচ্ছ, যেতে পারি ” গ্রাম বেশী দূরে নয়, কলিকাতার বাতিরেই একটা নীচু ধরণের জায়গায় । কঞ্চির বেড়ার উপর মাটি লেপা খড়ের চাল কিম্ব হোগলার ছাউনি দেওয়া ছোট ছোট বাড়ী। খুব কাছে কাছে পানী-বোঝাই অসংখ্য ডোবা ও পুকুর ; যে ডোবাগুলি বর্ষার আকস্মিক জলে স্বস্ট হইয়া পথের মাঝখানে পড়িয়াছে, তাহার উপর দুই-তিনটা বঁাশ ফেলিয়া সরু সাকে শিবু সত্যঙ্গ বলিল, করেী ল । তৈয়ারী হইয়াছে। গ্রামের ভিতরে পথ বলিতে তেমন কিছু নাই । মাঠের উপর ও ক্ষেতের আলের উপর দিয়া পায়েচলা পথ উচু নীচু হইয়া কখনও কাদায় নামিয়া কখনও খানখন্দ ডিজাইয়া চলিয়াছে । পুরুষে কাধে বোঝা লইয়া, স্ত্রীলোকে ছেলে কোলে করিয়া, রাখাল বালক গরু তাড়াহয় সব এই পথেই চলিয়াছে । মাঝে মাঝে চুণ বালি থসিয়া-পড়া নোনীধরা ফাট দেয়ালের পাকা বাড়ী খিড়কির পুকুরের উপর ঝুকিয়া পড়িয়াছে । সুধাদের থার্ড ক্লাস গাড়ীতে চড়িয়া সকলকে একটা ষ্টেশন হইতে ঠাটিয়া ধান্ততে হইবে । গ্রামের মাতুষদের মত থার্ড ক্লাসেই যায় । তাই চলিল। শিবু ও সতু দুই বালক ও ইহাদের সঙ্গ লইয়াছে, কারণ তাঙ্গারা পাড়াগায়ে টোপটি কবিতে হাওড়া ষ্টেশনে গিয়া দেখা গেল কোথা হইতে জুটিয়াছে । ৰুণঃাকে পায় মা, আজ অনেক দিন পরে তাঙ্গকে তপন বলিয়াছে গ্রামে সে কাজেই সকলেই ভালবাসে । স্বরেশও আসিয়া সুধা ও কৈ।মস্তী সচরাচর দেপিতে দেখিয় দুই জনেই খুশী হইল । তপনের পিতামাত। এই গ্রামেবই মাষ্টয়। কাষা-উপলক্ষে নানা দেশ-বিদেশে বাস করিয়া এখন তাহারা কfলকাতার কিন্তু গ্রামে তাঙ্কাদের ঘরবাড়া সমস্তই তিন চার বিঘা জমির উপর পাক বাড়ী, গোয়াল, বাসিনাই হঠয়াছেন । マ、tびジ ] টোকশাল, পুকুর, নারিকেল গাছের সারি, দুই দশটা আম কাঠাল, একোণে-ওকোণে বঁাশঝাড়–কিছুরই অভাব নাই । গ্রীষ্মকালে আম-কাঠালের সময় বৎসরে একবার করিয়া তাঙ্গর গ্রামে আসেন। গরমের দিলে দুই বেলা পুকুরের জলে ডুব দিয়া স্নান করিতে, সকাল সন্ধ্যা গাছের ডাব কাটিয়৷ গেলাস ভৰ্ত্তি ভর্তি অল থাইতে এবং প্রত্যহ নিজের হাতে ফল পাডিঙ্গ ফুল তুলিয়া টুকরী বোঝাই কfরতে বাড়ীর ছেলে-বুড়: সকলেরই খুব ভাল লাগিত । কিন্তু বৃষ্টির দিনে গ্রামের পথে চলিতে গেলে এক ঠাটু কাদা ন ভাঙিলে চলে না, গ্রামের তাতি কুমোর কামারের পেটের ভাতের অভাবে পরের বাগান রাতারাতি উজাড় করিয়! কিংবা পোড়োবাড়ীর দরজা জানালা আসবাব চুরি করিয়া অভাব মোচনের চেষ্টা করে দেখিয়া তপনের বড় কষ্ট হইত। প্রত্যেক বৎসরই দেশে আসিয়া দেখা যাইত বাড়ীর কাঠ-কাঠরা এটা ওটা সেটা কত