পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ অলখ-ৰেrারণ

কি চুরি গিয়াছে। জিনিষ কিছুই মূল্যবান নয়, কিন্তু বার বার চুরি যাওয়ায় অসুবিধা আছে, মানুষের উপর বিশ্বাসও একেবারে চলিয়া যায়। তপন এম-এ পাস করিবার পর এই গ্রামের কাজ লইয়াই থাকিবে ঠিক করিয়াছিল । গ্রামে একটা ইস্কুল খুলিয়া ও গোটা দুই-চার তাত বসাইয়া প্রথম সে কাজ আরম্ভ উভয় কাজের জন্যই তাহাদের বাড়ীতে স্থান যথেষ্ট করে । ছিল । তার পর ধীরে ধীরে লাইব্রেরী, পথ মেরামত, ঔষধ বিতরণ, বন্ধক রাখিয়া অতি সামান্য স্বদে কর্জ দেওয়া, কুস্তির আখড়া ইত্যাদি নানা জিনিষের ধীরে ধীরে স্বত্রপাত হইতেছে । মাতৃয়ের উপার্জনশক্রি ও সততার উন্নতির দিকেই তাঙ্গর সকলের চেয়ে নজর বেশ । ভাঙিয়ঃ তাঙ্গর স্বপন গ্রামে পেীড়িল তপন সারাদিনের প্লেৱে মাটি তাতিয়া ঝাঝ পড়হু বৌদ্রে মাসের পথ উঠিতেছে । তপনের ইস্কুলের ছেলের অতিথিদের জন্ম তাঃ বি বাড়েব বাবান্দা ঘটাথানিক আগেষ্ট ধুইয় এখন ভাতাতে শীতল পটি পাভিয়ু দিয়াছে । শোকের পা ধুইবার জন্য একটি কবিয়া মাছ গাড়তে জল রাপিয়াছে । মেযেদেব BB BBSSBB BBBBB BBB BB BBBS BBB BBBB BBS হাত মূপ ধুইবার স্থান করিয়াছে । সকলের হাত পৃ: ধোয়ু হইলে তপন বলিল, “এৰাব ও •tশর উপর লাল গামছা ক্লিয় তোমাদের আfওথ্যের আসল আয়োজন দেথি ।" বড় বড় পাথরের থাল। তাতে ছেলেক দেখা দিল । থালায় মুগের ডাল ভিজা, ছানার টুকর', চিনি, পা-ফল, শাখআলুর টুকরা, পাক কলা, আম, অল্প অল্প করিয়া সব সাজানো। একটি কবিয়ু পাথর-বাটিতে বেলের পান, ও পাথরেব গেলাসে ডাবের জল । এক জন আধুনিক ভাবাপন্ন ছেলে একটা কাসার থালার উপর গুটি চাব করিয়ু পেয়ালা পিরিচ সাজাইয়ু আনিয়া লিল, “আমাদের চা ষ্টোভ সবই আছে, ক’ পেয়ালা চা rরব বলুন, ক’রে দিচ্ছি।” মেয়েদের লক্ষ্য করিয়াই বিশেষ চাবে বলা হক্টঙেচিল, কাজেই জবাব তাহামেরই দিতে ঠবে। সুধা বলিল, “আমার বেশী চ খাওয়া অভ্যাস নই, আমার জন্ধে চা করবেন না।” ছেলেটি না দমিয়া বলিল, “আমি কোকো ও ক’রে আনতে পারি, পাচ মিনিট মাত্র সময় লাগবে, বেশী দেরী হবে না।” হৈমন্ত্রী বলিল, “কোক্যের প্রয়োজন নেই, বেলের পান। ডাবের জল থেয়ে আর কি কিছু খাওয়া যায় ?” . ছেলেটি অগত্য পেয়ালা পিরিচ লইয়া চলিয়া গেল । নিখিল বলিল, “ওতে তপন, ছেলেদের শহর ও গ্রামের এমন সমস্বয় কবতে শিখি ও না । ত মাতুষের আয় বাড়বে না, ব্যয়ই বাড়বে।” তপন বলিল, “সমস্ত বিদ্যাক্ট গুরুর কাছ থেকে শেখা বলতে মানুষের আত্মসম্মানে একটু লাগে, তাদের স্বলব্ধ বিদ্যা এবং জ্ঞান ও যে কিছু আছে, তাও ত তার দেখাতে চাইবে।” . এই বাড়ীতেই স্কুলের ঘর, জলযোগের পর ছেলের দেখাইতে লইয়া চলিল । বেশ বড় বড় ঘর, কোন ঘরে با گی মাতুব পাতিয়া ক্লাস চয়, কোন কোন ঘরে বেঞ্চি এবং ডেস্কও আছে | নি’থল জিজ্ঞাসা করিল, “তোমাদের ইস্কুলে এমন জাতিভেদ পেন ? কেউ বসে বাজাসনে আর কেউ বসে একেবারে মাটির শেলে ?” তপন সলিল, “ছেলেদের জিজ্ঞাস কব কেন জাতিভেদ ।” একটি ছেলে রসিকতাটাকে গম্ভীরভাবে গ্রহণ করিয়া উত্তর দিল, “যে সব ছেলেদেৰ বয়স কম তারা নিজেদের জন্তে বেঞ্চি তৈরি করতে প্ৰনে না, তাই তাদের মাদুৰ কিনে অমর কাঠের কাজ শেখবার জন্যে নিজেদের আগে ভৈfর করতে শিথি ।" মহেন্দ্র বেঞ্চিতে হাত বুলষ্টয়া বলিল, “কাপড়চোপড় ছেড়বার সম্ভাবন। অবশু আছে, কিন্তু তাহলে ও এর জিনিস মন্দ করে নি । নিজেদেরই কাপড় ছিড়িলে পরের বীর সাবধান হয়ে থে7চা পেরেকগুলোর উপর নজর দেবে ।" ছেলেদের ডেস্কের সঙ্গে দেরাজ ও ছিল । মহেন্দ্র একট: দেরাজ টানিয়া দেখিল চাবিবন্ধ । তপন বলিল, “চাবি ছেলেদের কাছে আছে । ওহে, আঞ্জকে কার চাবির পাল! নিয়ে এস দেখি ” হৈমস্ত বিস্থিত হইয়া বলিল, “চাবির পাল মানে ”ি