পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৫ প্ৰবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড খানামা গিরিধারী ভাৱ মেয়েলি গিলিপনায় আনাদা প্ৰহসন সকলকে অস্থির করে তুলে সেগুলোকে গুছিয়ে রেখে যেত। বাবা সৰ্ব্বদা অামায় কাছে কাছে ধতে চাইতেন ; তার মনটা আমার হাসিগনের মধ্যে যেন নিঃশ্বাস নিয়ে বঁাচত ? কিন্তু তাকে অতটুকু সুখী করতেও যে আমার নাম অসিতা ; কিন্তু আমার রংটা নাকি ঠিক অবহেলা ছিল আমার, সে কথা ভাবতেও আজি জায় বিয়াতের মতোই শুদ্ৰ, শানিত অসির মতন ককবকে তাই অনুতাপে মাথাটা ছিড়ে ছিড়ে পড়ে । অলিতা না বলে লোকে অামায় অসি বলে ডাকে । দাদা পড়বার ধরে পাড়ার ছেলেদের মজলিস বসত। আমার বাবা ছিলেন এলাহাবাদে ডাক্তার থেকে থেকে তাদের হাসির শব্দ আমার কানে এসে মাকে যখন হাৱাই তখন আমার বয়স পঁাচ বৎসর। ঐ বাজত । অামি ভাবভু, অতবড় একটা আনন্দ লোক , পাঁচ বৎসরের পরিচয়েই মা ছিলেন না। আর এই কুড়ি সেখানে আমার প্রবেশের অধিকার নেই কেন্দ, কেন নেই ; বৎসর ধরে যাকেই আমার অতৃপ্ত দেহ-পিপাসা নিয়ে বইয়ের পাতাগুলো কাপাসা হয়ে গিয়ে এই প্রশ্নটাই ঞ্চি তাতে চেয়েছি, সেই আমায় একপাট পুরোনো জুতো বিকে চোখেব সামনে জেগে উঠত। মতো পরে পাশে ফেলে রেখে গেছে আমি যেন একেটা তাদের প্রত্যেকটি কথার মধা দিয়ে আমি এক তনত চিন্তার ধারার, একটা নূতনতর জীবনের পন্ধিয়া আমরা মোট দু ভাই বো। সেজন্য অবশ্য আপণাস পেতু একটা মোহ আমাকে বাকুল করে তুলত নেই ; আমার ঐ একটি ভাই, সে বেঁচে থাকুক, শুন মনে হাত বাংলার মেয়ো পঞ্চাদের কোনোদিন পুৰুষের নিষ্কলঙ্ক হোক ভাৱ চরিত্র, বংশের উপযুক্ত হোক তার মতে করে গান্ধ ন মেয়ে থাটো হয়ে আছে বলে শিক্ষা দীক্ষা, আর কিছু চাই না। তারাও গাটো হয়ে তাদের সঙ্গে মেলামেশা করতে মাসে মনে আছে, আমরা খুব কেঁদেছিলুম। মৃত্যু হে কী তাদের সত্যিকার চেহারা ধরা যায় না। এই জন্তেই বাদে ব্যাপার, তা আমার তখনো জানাই ছিল না ; তবু আমার সুকে ওপৰ্ব্ব দুটো ভিন্ন স্নাত, ভিন্ন সুখ দুঃখ, ভিন্ন শিক্ষাপ্ৰাণ জানি না কোন রহস্যময় বেদনায় হাহাকার করে অকাল্লা নিয়ে গড়ে উঠেছে। তাদের একের সঙ্গে অপদে৷ উঠেছিল। আবার কাছে মা'র খানিকটা অশ্ৰ বুকি পাওনা কোনো যোগ নেই ; সামান্ত যেটুকু আছে তাও ছিল — কি গুণেই না আনায় বেঁধে রেখে গেছ মা গো মধা দিয়ে ; নিতান্ত কেলে প্ৰয়োজনের মধ্য দিয়ে গুণ শোধ দিতে প্ৰাণ যে যায় এ দুঃখের কি আর অশুচিতার মধা দিয়ে শেষ নেই? এ অশ্ৰণৱ কি আর বিরাম নেই ? অামাদের বাড়ীর ঠিক সামনেই ছিল মাঠ । সেখানে শর ইতিহাসই আজ বলতে বসেছি তােৱ, খেলতে নেমে গোলে, দাদার ঘরটিতে চোরের মতে তখন কামরা বড় হয়েছি। বাবা কাজ থেকে অবদা সে কতু । এ ছিল মাতালের নেশার মতন । বে নিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছেন মাকে আমরা ত যে তাদের বইগুলোকে নতুন মলাট পরিয়ে, জামাল সঙ্গে ভুলতে পেরেছিলুম, তিনি তত সহজে পারেননি । থেকে আস্তে করে ছাতাটিকে অবধি কেড়োড়ে দে তা সমস্ত কাজে একটা নিৰুৎসাহ এসেছিল। যে টেবিলে তুলে বেথে তৃপ্তিতে আমার মনটা কানা-কানা ভা বলে তিনি লেখাপড়া করতেন, চায়ের পেয়ালা থেকে হয়ে উঠত, সে কথা বোঝবার সাদা আমার কোনেদি আরম্ভ করে খাবাৱে শ্লেট, খবরের কাগজ, চশমার খাপ, হয়নি, আজো না । কাৎ হয়ে-পড়া ফুলদান পৰ্য্যন্ত স্নাজ্যের সমস্ত জিনিষ মিলে একদিন সকলে খেলে ফিরে এসেছে ; আদি দায় তায় উপারটাকে নিবি করে তুলত । ‘সন্ধা হলে উড়ে ঘর থেকে পালিয়ে এসে পাশের ঘরটিতে লুকিয়েছি ২য় সংখ্যা] প্ৰহসন ১৬১ বাতাসে দুরের মাধখানকার পখাটা কেঁপে কেঁপে উঠছে, চুপ করে ইলুম। পাজ তার সঙ্গে আমার বুকটাও ছত্রছর করে বাপহে । ভেঙ্গে একটা দীৰ্ঘশ্বাস বেছি একজন এল ; স্পষ্ট দেখলুম দে দীৰ্ঘশ্বাস বা এ বাণীতে পা দিয়ে অবধি বইগুলোর স্বভাৰ বিখং খান পাখা বিস্তাৱ করলে, তারপর ক্ষে গিয়ে নিশীথের পাৱে নীচে লুটছে ছে। ওরা ঘড়ি ঘড়ি পোৰাক বদলাব?” কে একজন পড়ল। মনটাকে বুৰালুৰ যে এ স্বপ্ন। গীয়ভাবে উত্তর কলে “দেশে বাবাৱে একটা প্ৰাণের সমস্ত ছক গোপন সক নিৰ্ভয়ে এখানে ছড়িয়ে স্নাথ চলে, কেউ এটা পরিণােন কিছুতেই ভালো হবে না । দেখতে পায় না –কিন্তু দাদা দেখতে পেয়েছিলেন । তারপর একটা চাপ গলার হালি । স্নামে আমার সমস্ত পরদিন দাদার ঘরে আমার ডাক পড়ল ীির ভেসে যেতে লাগলে । কে যেন আমায় পুনের দায়ে আমার জন্তে কী দুৰ্ভাগোর আয়োজন হচ্ছে তা ত আর দিম বিচারকের চোখের সামনে দাড় করিয়ে দিয়েছে। অাথে জানা ছিল না তবু কেন যে বুকটা ভৱে সজোছে মনে হলে আমার মনের যে গোপন রহস্তটুকু আমি সেদিন এমনভাবে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল। ভাবছি, মা বন্ধি ধরে বুঝতে চেষ্টা করেছি, তাই যেন তাদের সেদিন পেছন থেকে অামায় টেনেছিলেন তার অদৃশ্য বাহুর চকিতের মতো সে অভয় প্ৰসাৱ দিয়ে ; তখন কিন্তু সেকথা ভাবিনি কথাটা আমারও মনে একটুখানি ছায়াপাত করে গেল দি। আমার জোর কাৱেই ধরে নিয়ে গেলেন, বলেন নেহলো, উষ্ণ রক্তের হোত আমার কানের কাছে তেী “ক্ট ত তার দোৰ আদি । সব তাতেই তোর লাজ । বাড়িয়ে করছে। মৃত্য এ নিশী, তোমাদের পরিচয় করে দি..... এরি মধ্যে কে একজন বলে উঠল—“ যেন ঠিক সেই নীরবে । নিশীথকে একটি কম্পিত হাতের নমস্কায় জানিয়ে নোেৱ কাঠির স্বৰ্থেব মতে— ইত্যাদি তার কথা শেৰ দাদা টেবিলেৰে উপরকার কাগজগুলোকে থাকা গোছাতে সকলে একসঙ্গে বাহব। দিয়ে উঠল। একজন তার আরম্ভ করলুম। কারো মুথেই কোনো কথা নেই, দ্বাৰা পিঠ চাপড়ে বলে ঠিক বলেছিল কবি - প্ৰতিত হয়ে কেবল জনাব মুখ চাঙা চাওদ্ধি করছেন। বাতাসে পৰ্ণাটাকে খুব নোলে ৰাপিয়ে দিয়ে গেলা ! নিকগণ চাড়িয়ে, যেনে, ছুটে বেরিয়ে এসে বাঁচলুম ; এমন সেই একটি মুহূৰ্ত্তে যতখানি সস্থল লোকটাকে দেখে নিন্ম fও মানুষের হয় মনে মনে দাদাকে অভিসপাত্ত ষ্টি হওয়ার যোেগা বট : কী উগল তার চোৱে ষ্ট, করলুম অথচ তার পশ্চায়ে একটা অশ সাগর বেন নিপুরি মতে পরদিন দেখি দাদা নিশীথকে একবারে আমাদেৱ হয়ে আছে চায়ের আবহাওয়ার মধ্যে ডবল প্রোমোশান দিয়ে তুলে নিঃশব্দে সে-ঘর থেকে বে:ি বাবা কাছে ১ এনেছেন । কবিতার চায়ের পোলাগুলো সেদিন ভরতি গিরিধারী আলো ধতিরে দিয়ে যাচ্ছে, মাঠ হয়ে উঠণে, নদী দিকে চেয়ে মনে হলো তার হাতে দশাই এককোণে একটি চেপে , একথানা বই নিয়ে পকথার দিন গুলো যেন ভেসে ভেসে আসছে তাহ পাতাগুলোকে এৰা ডান থেকে বয়ে আৰাৱ ৷ বলেন “নিশীথের সঙ্গে বন্ধুত্বটা পাকাপাকি অঙ্গ থেকে ডানদিকে নিয়ে যাচ্ছেন । বাবা বনে “তোমায় করে নেওয়া গেল অসি। --তুমি ওকে একটুও সচে ডাকৰ ভাবছিলুম আসি : তুমি নেহাৎ একলা আছ দেখে করতে দি না ।” নিশীথের চোখের একটা সল একে আনিয়েছি মাসে সাধনাথানি একটু পড়ে পুংকের হাসি আমার চারিদিকের বাতাসটাকে মাতাল শোনাও ত মা, সময়টা যেন কাটছেই না করে দিয়ে গোল রাতে তে যাওয়ার অাগে দাদাকে সে কবিটির কথা ভিাষা বলুন । দাদা করেন ও যে নিী , আমার যে এত সহজ হয়ে গেল, তা কেৰে আনিই এর পর নিশীথের সঙ্গে আমার সম্বন্ধটা কেমন করে —এমন বন্ধু পাওয়া ভাগের কথা বটে । কতক্ষণ ধরে খেলুম। প্ৰণাৰে কঁচা কখনো অসঙ্কোচ হতে পারে