পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ প্ৰবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড শুছিয়ে লিখতে পারব কিনা জানিনে । ভেবেছিলুম। একদিন দেখলুম আমার কপট হাসি দিয়ে আর যাকেট লিখব না, কিন্তু তা হলে আমার অতীর ইতিহাসের মেধা লিহে থাকি বাবাকে তোলাতে পারিনি। তার সন্দেহ দণ্ডটাকে বাদ দেওয়া হবে । তোমরা পড়ে হয়ত হাসবে, ষ্টর অনিমেষ লক্ষ্য একেবারে আমার মৰ্থেৱ গোপনতম কিন্তু এ-কথাও বলে রাখছি যে মানুষের জীবনের হাজার কোণটিতে অবধি প্ৰবেশ করেছে। তিনি একদিন আ র নশো গোৱ মূলে এমনি একটা অৰ্থহীন প্ৰহসন, যদি ডেকে বলেন পশ্চিম থেকে একবার ঘুরে এলে হোত না একে তোমা প্ৰহসন বল । আদি নষ্টা চাৰিদিক থেকে কশাধাত সয়ে সয়ে একেবাৱে বইখানি নিশীথে । তার কল্পকুরে এই প্ৰথম মীয়া হয়ে উঠেছিল, পশ্চিমের এই আধান একটা মুক্তির কুহুমটিকে সে শ্ৰীমতী অ—ায়কে উদ্দেশ করে উৎসৰ্গ আম্বাদ নিয়ে আমাকে পাগল করে তুলল। তার পরিপূৰ্ণ করেছে। কবিতাগুলির কোনোটিতে প্ৰতীক্ষার দুঃসহ জোর মধ্যে আর বাবার পরিপূৰ্ণ দেহের মধ্যে আমি বা কুলত, কোনোটিতে বাৰ্থতার আশরা ইতিহাস নিজেকে নিঃশেৰে সমৰ্পন করে দিলুম একটা তাগের কোনোটিতে মিলনের উচ্ছল আনন্দ এগুলি সে জ্যোতিতে আমার বিষ জীবন বৰ্ষবোঁত প্ৰকৃতির আমাকেই উদ্দেশ করে লিখেছে...আমাকেই মতো ফ ল করে উঠল তার সঙ্গে অামার দিনেই বা জানাশোনা,—রি সিমলায় পৌছে খবর পেলুম নিশীথ ভালো হয়েছেন মধ্যে এত কবিতাও না গোপন ছিল । দাদাকে জিজ্ঞেস ভগবানকে প্ৰাণভরে ধন্যবাদ দিলুম। দাদার কাছে প্ৰতি করলুম “এতে লোকে কিছু মনে করবে না ?’ দাদা প্তার তার চিঠি আসত সেগুলোকে লুকিয়ে-লুকিয়ে বলেন “নিশীথ ত ছেলেমানুষ নয়, সে বেশ করে বুঝেশুনেই পাঁচবার দু’বার উণ্টে উণ্টে পড়তুম। সবার শেষে একটি এটা করেছে। কবি হলেও সংসারকে সে বোঝে কোণে, একপাশে যেখানে ছোট করে লেখা থাকত সুখের আবেগে বইখানিকে বুপে চেপে ধনু ? এত সুখ আসিতা কেমন আছেন", সে জায়গাথানিকে বুকে চেপে এমন অকস্মাৎ ; ও ভগবান ধরে অশুর স্ৰোত বইয়ে দিতুম । ঐটুকু ক অামার একটু পরে বাইরে এসে দাড়ালুম, দেখলুম পৃথিবী কাছে ওটুকুই কত মূল্য চেহারাটা নুতন হয়ে গেছে। ভাবলুম, প্ৰিয়তম ; এত একদিন জানােলার কাছে একটা সোফার পড়ে-পড়ে ভালোবালো তুমি আমাকে ? এর বাড়া সুখ কল্পনা তাবছি। সুরমা আমার চিঠি লিখেছে; সমস্ত রাজ্যের আসেনি কোথায় পড়ে ছিলুম, কেউ জানে-শোনেনি, খবর একখানা িচঠিৰ ঘাড়ে চাপিয়ে শেষটা কণা প্রসঙ্গে সে খোঁজ নেয়নি, আর আজ তুমি আমার কোথায় টেনে তুলেছ আর বাই করো পৃথিবীকে বিশ্বাস কোনো ন একেবারে সমস্ত জগতে চোখের ওপর আজ হয়ত ধানে পারে৷ তাকে জবাবদিহি কোরে, যা তার কাছ বাংলা জুড়ে মেয়ো পড়ছে “ীমতী অ—বায়কে আয় থেকে নেৰে বোঝাপড়া করে নিয়ো এইসব। বোকা ঈৰ্ষা তাদের দৃষ্ট কুঞ্চিত হয়ে উঠছে জয়গৰ্ব্বে বুকটা করে পেতে গেলে যে পাওয়া সাধুৰ্য্য থাকে না ; যা উচ্ছসিত হয়ে উল ; সুরমা অঙ্গ কি ভাবছে ? অমনিসে জোট তা খাটিই হোক আর কিই হোক কলকাতায় ফিরে এসে শুনলুন নিশীথ প্রফেসারে তাই যে আমার একান্ত করে পাওয়া ?... দাদা ডাকালেন কাজ পেয়ে পাটনা চলে গেছে সে খবরটাও আদি মিলি চমকে ফিরে চাইলুং, দেখলুম একথানি বইয়ের পাইনি, তার ওপর অভিমান করতে ত পারলুম না। দাদা পাতা উটে উলেট তিনি আমার, ঘরে এসে ঢুকছেন, একটা বলেন বোকের মাথায় একটা কাজ করে সে তিহাঙ্গে তার মুখখানি গ্রোহ্মণ হয়ে উঠেছে একটু লক্ষিত হয়ে পড়েছে । তাই আমাদের জয়ে অপেক্ষা তারপর একটি মুঠে আম র জীবনের খেলাঘর না করেই চলে গেছে । ছেলেবেলা থেকেই ও এমনি কেমন করে যে হঠাৎ ওলটপাল হয়ে গেল এসে কথা লাজুক তাকে দোষ দেওয়া চলে না।” ২য় সংখ্যা] প্ৰহসন মাকে কিছু লুকাইনি। সে বলেছে তুমি এ-কথা আমি বলুম তার ইচ্ছা অমান্ত করার মত ঔদ্ধত্য আ কাউকে বোলো না, লোকে কানাবো করতে পেলে আমার নেই, তা ছাড়া তিনি ইংলোকে নেই বলেই তার উঠেপক্ষে লাগে—তাত জানাই। অ--রায়” যতদিন অন্তিম ইচ্ছাটা আমার বেশীরকম শ্ৰদ্ধায় । --রায় ততদিন তার আর ভয় নেই ; কিন্তু তার দাদা শুদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলেন, বক্ৰোন তবে তুই শ্যে যদি “অ’কে ছাপিয়ে আসি হয়ে ওঠে তার পরিণামটা মাষ্টারকেই বিয়ে কবি ? ” মনের সমস্ত শক্তিকে জাগ্ৰত করে দৃঢ় কাঁ আমি সময়টা বড় সুখেই কেটে যেতে লাগল। কিন্তু আমি বহু হাঁ।” দেখেটি মানুষ যখন বড় সুখের আবেগে বিতোর হয়ে পক্ষে, দাদা একটু ভেৰে বজেন “কিন্তু নিশীথের কথাটা য় অগোচরে তখন বিধাতার কৰ্ম্মশালার আঘাতের শেল তুই কি ভেবে দেখেছিস একবার ? তোয় একটুখানি তৈরি হতে থাকে আমার এত সুখ স্বৰ্গে কি তুলে তার সমস্ত জীবনটাই হয়ত মাটি হয়ে যাবে। সে যে-রকম settinental ! তুই বরঞ্চ একটু স্থির হয়ে দাদা বড়দিনের ছুটিতে সপ্তাহেকের জন্যে আমাদের . ভাব, ” মাসীর বাড়ী বেড়াতে গেছেন। বাড়ীতে বাব কি আর ভাৰব ? নিজের ওপর, নিজের অদৃষ্টর ওপর মীর আর আমি। একদিন বেড়িয়ে এসে বাবা বিছানায় অভিমান হয়েছিল। তাই নিঠুর হয়েই নিজের ওপর শোধ ললেন । ডাক্তার এসে বলে গেণ নিউমোনিয়া , কিন্তু তুলতে বসেছিলুম। আর অভিমান হয়েছিল নিশীথে এত শীগগির তাকেও যে হারাব তখনো তা জানিনি । ওপর । আমি না হয় দুৰ্ভাগাটাকে ইচ্ছা করেই স্বীকা ( $ } ছি, কিন্তু সে কেন এসে জোর করে বলবে না তোমাকে দাদা ফিরে এসে বাবাকে দেখতে পাননি ; তার বুকের আমি ছাড়ব না, তোমাকে আমি চাই ?” নিজেকে দি আয়টি পেয়ে আমার শোকা প্ৰাণ কিছুদিনেই দিহে তার ওপরও আমি শোধ তুলতে বললুম। জায়ারমিতাকার সুখদুঃখের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে পড়াল । হাসিমুখেই তাই দুৰ্ভাগ্যটাকে বরণ করলুম। শুভ তাৰা একটি বছৰ অতীতের বুকে গড়িয়ে পড়ল । মুহূৰ্ত্তেও দাদা চোখে ফেঁটা আশ্ৰ এনে বলেন তোকে দাদা আমার ডেকে বলেন “তোমাকে একটা আর নিশীথকে একসঙ্গে দেখব আশা ছিল আসি তুই বলব-বলৰ দিন ধরে ’ মনে করছি। এমন করে আর আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলি ।”—আর আমার কতদিন চলবে ? নিশীথকে একখানা চিঠি লিখে দি , স্বপ্নই বুদ্ধি অটুট থাকল ? ভগবান । তোমাদের বিয়ের কথাটা এইবার উঠুক ।” একটা চোঁকিকে এ বিবাহে সুরমার খুব উৎসাহ দেখা গেল । একটা স্বাণ করে একটু স্থির হয়ে নিলুম, তারপর বাম “তা নীরব শ্ৰদ্ধার দৃষ্টি দিয়ে সে আমার এই আয়োৎসৰ্গটাকে চাইতে তুমি মাষ্টার-মশাইদের বাড়ীতে এখনি একখানা অভিনন্দন করলে । চিিঠ লিখে দাও, আসছে মাসেই বিয়েটা যাতে হয়।” তারপর স্বামীর সঙ্গে চিরপরিচিতের মত চির-অপরিচিত সে কি আসি ? তোর সততেই বৃহত্ত একটা সংসারে এসে দুকলুম। মনে হলো আমার সমস্ত আমি শক্ত হয়ে দাড়িয়ে বহুম, “এ যদি হয়, তবে এ কৰ্ত্তব্য যেন ফুরিয়েছে, আমার কাছে সংসারে, সংসারে আমার নয়, অদৃষ্ঠে ! বাৰু৷ মৃত্যুশয্যায় আমাকে কাছে আমার, কারো যেন কোনো দাবী দাওয়া নেই তাঁরই হাতে সাঁপে দিয়ে গেছেন । স্বামীর সঙ্গে বড় একটা দেখা হোত না ; আমি কেতু সাপ দেখলে লোকে যেমন করে চমকায়, দাদা ঠিক না, তিনিও যেচে আমার সঙ্গে কথা কইতেন না। তিনি তেমনি করে চমকে উঠলেন , একটু পরে একটু দ্বিত্ব হয়ে হয়ত অধঃপাতের সুখ থেকে আদায় যাচাতে পারতেন এ আমি হতে দিতে পারব ন তিনি যদি একটু শক্ত হোনে তৰে হয়ত এমন করে ।