প্ৰবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪
[ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড
সেই জায়গাটি আবার খাইবার ঘরের জানােলা দিয়া দেখা সেদিন সন্ধা কোন চিত্ৰক থাকিলে শেভারেল
যায়। মেয়েটি সেইখানে বালিশগুলি নামাইয়া গরগামিনী প্রাসাদের ছবিখানা বাস্তবিকই সুন্দর হইত। ধূময়
প্ৰবীণার অপেক্ষায় ঘুরিয়া দাড়াইল । তাহার বড় বড় পাথরের শিখর ও বুৰুজ-দেওয়া বাড়ীখানি যেন একটি দুৰ্গ
কালো চোখদুটিই সবার আগে লোকের দৃষ্টি আকৰ্ষণ গাদে দেওয়া বড়-বড় জানালার নানা আকারের সাদী
করে । হরিণ-শিশু চোখের মতো তাদের সরল উদাস ভিতর দি সাল্লা পূৰ্যো কিৰণ লোনা ঢালিয়া দিতেছিল।
বৃষ্টি নিজের সৌন্দৰ্য্য সম্বন্ধে একেবারে উদাসীন। খুব লক্ষ একটা প্ৰকাণ্ড ৰিচগাছ প্ৰাসাদের বাহিরের একটা বুজের
কৰিলে দেখা যায় নববেীবনে বালিমা তাহার কচি মুখ- গাৱে হেলিয় পড়িয়াছে তাহার কালো-কাগো চালুগুলি
পানিকে এখনই ছাড়িয়া গিাছে তাহার মুখ ও গলার একপাশে হুইয়া পড়িয়া যেন বাড়ীর সম্মুখের মাপ-জোখ
সুং দক্ষিণ দেশীয়দের মতো একটু হলুলে ধরণের গলায় করা যাবস্থা ভঙ্গ করিতেছিল । পাথর-বাধানো চওড়া রাস্তা
জানো একখানা কালো লেসের মাল তাহার গাবে বাড়ীর ডানদিকে ঘুরিয়া গিয়ছে তাহার পাশ দিয়া এক
ং ও শাদা মসলিনের পোষাকটাকে একটু তঞ্চাৎ কবিয়া সাধি লা-লগা পাইন গাছ, পাশে একটা পুকুর। বাদিকে
দিয়াছে। মেটের কালো চুলগুলি পিছন দিকে জড়ো . কয়েকটা ঘাসের-জমি, তাহার. উপর মাঝে মাঝে গাহে
কৰিয়া বাধা, কাজেই বড় বড় চোখটি আরো বেশী সুন্দর কোপ সেখানে উজ্বল সবুজ রঙের লেবু ও বাবলাগাছের
দেখাইতেছে। মাথার উপর একটি ছোট টুপি, তাহার এক পাশে স্নচ ফাউগাছের লাল গুড়ি পড়ন্ত বোদে আভাষ
একটি গোলাপী ফিতার ফুল । অল-দল করিতেছে। বড় পুকুরটােহ এক জোড়া রাজাস
প্ৰবীণার চেহারা একেবারে অন্য ধরণের । তিনি একে জানার মধ্যে একটা-একটা পা জিয়া দিয়া আরামে গা
খুব লম্বা তাহার উপর আবার পাউডার দেওয়া চুলগুলি চিলা িদয়া সাঁতার দিতেছে ; ও পর গুলির মুখে সন্ধাৰ
মাথার উপর চুড়া করিয়া বাধাতে আরও লগা পথাইতেছে আলো চুম্বন দিয়া যাইতেছে, তাহারা স্থিরতাবে পৰি৷
চুলের উপর লেস ও ফিতা দেওয়া। তাহার বয়স প্ৰায় আছে ময়দানের মরকত মণির মতো উজ্জল সবুজ
পঞ্চাশের কাছাকাছি, কিন্তু মুখ ঐ এখনও বেশ তাজা ও ধাপগুলি ক্ৰমশ বাগানের নাঠের জংলী লালচে ঘাসের দিকে
সুন্দর, গায়ের রং গোণাণী । তাহার ঘুরিত অব ও নামিয়া আসিয়াছে । এই মাঠেই সেই মহিলাছটি বসিয়া ।
ধূসর রঙের দৃষ্টি হেন সকলকে অবহেলা কবিয়া দূৱে ঠেলি গাইবার ঘরের জানালো হইতে তঁহাদের চেহায়
দিতেছে, হাটিবার সমস্ত মাথাটা একটু পিছন দিকে হেলিয়া পবিদার দেখা যায় সেই ঘরে রে তিনটি ভবলোক পান
যেন গৰ্ব্বরে হার আভিাতের পরিচয় দিতেছে । করিতেছিলেন তাহারা বেশ ভাল করিয়াই হাঁহাদের দেখিতে
নীলরঙের অ্যাটলাট পোষাকে তাহাকে ঠিক ব্লাজেন্দ্ৰাণী পাইতেছিলেন । ওই দুই সুন্দগ্ৰীৱ সহিত হারা প্ৰত্যেকেই
মতো মানাইয়াছিল, ময়দানে বেঢ়াইবার সময় দেখিয়া মনে ৰাক্তিগতভাবে জড়িত ভদ্ৰলোক গুলির পেদি বার মতো
হুইতেছিল যেন প্ৰসিদ্ধ চিত্ৰক জোসুয়া রেনবের চেহারা তবে কোনো নুতন লোক এই ঘরে প্রথম
আঁকা কোন ভূবনমোহিনী মূৰ্ত্তি ছবির ফ্ৰেম ছাড়িয়া সাৱ কিলে হয়ত ঘরখানা ৰূপেই বেশী মুণ্ড হইয়া পড়িবেন
ঠাণ্ডা হাওয়া থাইতে নানিয়া পড়িাছেন বয়সী মণী ঘরে আবাবের সংখ্যা নিতান্ত কম হওয়াতে তাহাৰ
একটু দুব হইতে ডাকিন্তু বলিলেন “কাটেনি, বালিশ গুলো উপনার মন্দিরের মতো স্থাপত্য-ীেন্দৰ্যই লোকের ঘন
একটু নানিয়ে রাখ, নইলে মুখে বড় রোব পড়বে হ মোহিত করে এক দরজা হইতে আর-এক দরজা বৰি
কথা বলার ভঙ্গীটা ঠিক হুকুম করার মতে একখানা নাছর পাতা, একটুকরা পুরানো কাপেট খাইবার
ক্যাটরিনা হুকুম তালিম করিলে দুজনে সেইখানে টেবিলের তলায় পড়িয় । এক কোণে একটা বাস
বসিয়া পঢ়িলেন । হাঁদের মধ্যে একজনের হৃদয় বিষাদ-ভরা বাণিবার কাঠের তাক এই কাটা সামান্ত জিনিষ দৃষ্টিকে
ও আর-একনের শুদয় জগৎ সন্ধে সম্পূৰ্ণ উদাসীন । কিছুমাত্র ঠেকাইয়া রাখতে পারে না। ঘরটি দেখিলে
২য় সংখ্যা
স্মৃতির সেীরভ
খাবার ঘর বলিয়া মনে হয় না, যেন সুন্দর কাজকাৰ্য্য নিখুঁত কাটের দিফে চাহিত না । তাহাবশাদা পথাপ
দেখাইবার জন্যই জায়গাটি ধিবিদ্যা রাখা । ছাট টেবিলটি ছোট ছোট হাত দুখানি নীল শিরা ও সুগা অ ল
তাহারণটারি ধারের লোক কয়টি যেন হঠাৎ উড়িয়া গুলিও পেয় আলোয় হাতের উপরের লেসের ফাল
গাৱি পড়িয়াছে। তাছাদের জন্যই নে ঘরখানা তাহা গুলিকে নিম্প্ৰভ করিয়া দিয়াছিল। কেন জানি, মুন
দেখিলে একটুও আনন্দ হয় না।
কিন্তু ভাল কবিয়া দেখিলেই বুঢ়া যাইবে যে লোক, চেয়ে কোমল মুণী আর কাহারও হইতে পারেন।
লিও নেহাৎ তাছিলা করিবার মতো নয়, ইহাদের মধ্যে পাটভাৱ-দেওয়া চুলের পাশে মুখের রং আরো খুলিয়াছে
দিন খবরের কাগজ হাতে করিয়া ফরাণী পালামেণ্টের নীল নীল শিরাগুলি চোপের পাতায় উপয় ফুটা ঠিা
টকা খৰৰ সংগ্ৰহ করিতে-করিতে মাঝে-মাকে তাহার সেগুলিকে অতি সুন্দর করিয়া তুলিয়াছে, পিঙ্গল চে
তৰুণ সম্বী দুইটির দিকে ফিরিয়া মন্তব্য করিতেছিলেন তিনি গুটি স্বালসামাখা । পাতল৷ নাক ও ছোট দিনে
বসে বৃদ্ধ । কিন্তু বৃদ্ধ ইংরেজ মহলে তিনি পুধ নাম কোনো খুত নাই। চিবুক ও চোয়ালের নীচের দিকটা
শাইবারই যোগ্য । তাহার কালো চোপটি উচু ঘন জ্বর, বোধ হয় একটু বেশী ছোট, মুখের এইটুকুই তি। সম
ভলা চক্চক্ করিতেছিল । বর চুলে মাঝে -মাতে পাক ই কোমলতার দিকে একটু বেশী কিয়া আছে,
ধয়াতে আরো দৃষ্টি আকৰ্ষণ করে। তাহা তীক্ষ দৃষ্টি ও বাজ ই পুতটুকুতে সেই কোমলতাই বাডিয়াছে টি
পাখীর ঠোঁটের মতন থাকা নাক দেখিলে তাহাকে কঠোর সঙ্ক ও বাকা, কপালটি মারের মতন নিকল কী
বলিয়া যেটুকু শঙ্কা হয়, মুখের কাছের রেখাগুলি সে মুখকে সুন্দর না, বলিয়া উপায় নাই ; কিন্তু অধিক
দয়া অনেকটা কাইয়া দেয় । সাইট, বৎসর বয়সে তাহার নরনারীই ইহার মধ্যে কোনো মাধুৰ্য্য খুজিয়া পাইত না ।
কয়টি দাতই আছে এবং মুখে ভাবে দৃঢ়তার একটুও যে চোখ রমণীর মুখের দিকে চাহিয়া প্ৰশংসা ও গিয়ে
তি নাই পাউডার-দেওয়া চুল গুলি টানিয়া পিছন স্বল হইছা না উঠিরা অলসভাবে তাহা গ্ৰহণ করে, বী
দিকে টিকির মতন করিয়া রাখাতে কপালের স্বাক্ষাগ্ৰ লেখা সে-চোখের পক্ষপাতী নয় । পুরুষের, বিশেষতঃ হাঙ্গে
আয়ো স্পষ্ট হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। একথান ছোট শক্ত নাকচোখগুলো একটু ভেঁাতা প্রকমের, হাৱা ত’ এই
চোৱে তিনি বসিয়া ছিলেন। চেয়ারাগােনা আরামকুশির কন্দৰ্পটিকে. দায়িক একটা টুলবাবু বলিয়াই উকাইয়া
নদিয়াও যা না, পিনেদিকটা একেবারে খাড়া, কাজেই বিবেন টেবিলের উপটা দিকে উপবিষ্ট পীনে
হার সোজা চেণ্টা পিঠ ও চওড়া বুকের চেহারাটা তাহাতে গিলফিল প্রায়ই ইহঁাকে মনে মনে এই নামে তি
বাল কম্বিাই দেখা যায় মোটকথা বৃদ্ধ সার মিিষ্টকার কবিতেন। অবশ্য অনায়াসে আমন ধৃষ্টতাটা করিয়া
গোরেলের চেহারাটা চমৎকার যাইবার মতন মুখের গড়ন কি পা পাস্ত্ৰী সাহেবের ছিল না।
া ৱে দিকে চাহিলেই হয়ত পাঠকে মনে হয়ে স্বাস্থ্যে উজ্জল সরল মুখ ও সতেজ হাতপালি
ইৰে তাহার একটি উপযুক্ত মুণক পুত্ৰ আছেন ; িকন্তু আটপৌরে জীবন-যাপনের পক্ষে খুব ভালই ছিল । ।
দায় দক্ষিণে উপবিষ্ট যুবকটিকে হয়ত তাহারা এই দেশীয় মালী নিঃ বেটসের মতে সৈনিক হইলে স্থা !
পদটা দিতে ততটা ইক্ষুক হইবেন না। যুবকের ব্ৰ ও চোখ হোৱাখানা খাস খুলিত । স্যর ক্ৰিষ্টফায়ের তাপিনে
অনেকট এই জমিদার-বংশেৱই মতন। যুবকের চেহারাটা উত্তরাধিকাৰী কানে উইৰো অবশ্য বংশগৗরবের দাবীতে
দি একটু কম সুন্দর হইত, তাহা হইলেও তাহার মালীর ভক্তির পাত্ৰ, কিন্তু তাই বলিয়া হোেৱ খোঁচাখোঁচা ।
লারাকের সৌন্দৰ্য্যেই লোকের চোখ ধাঁধাইত, কিন্তু তাহার নাক মুখ ও রোগ-পট্কা চেহারাটা সৈনিকের সাজে পাষ্ট্ৰী
পাতলা একহাৱা চেহারার কাঠামোগানাই এমন নিখুঁত ও সাহেবের মতন মানায় না। কিন্তু মালীর অত প্ৰশংসাতে
গঠিত যে এক দরজি ছাড়া আর কেহই তাহার মখমলের খিইবা হয়। মানুসের কালাগুলো যে বোত্মারক
২৫—১২
পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১২১
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
