পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম ধ এই নাও, জ্যাঠামশায়, তোমার জামায় লাগাবার জন্তে ক্যাটরিনাকে তাহার ছোট বাজনাটি বাজাইগা স্তরঞ্জি কেমন সুন্দর গোলাপ এনেছি। ফারের প্ৰিয় গানগুলি গাহিতে হুইবে । সেদিন কপাল তিনি আদর করিয়া টিনার গাল টিপিয়া বলিলে শুণে গান দুটির ভাবের সঙ্গে গায়িকার মনের ভাব খুব ওৱেবাদী, মেনার্তের সঙ্গে পালিয়েছিলি বুদ্ধি । বেচান্ধীকে . মিলিয়া গিয়াছিল, দুইটিতেই গায়ক তাহার হারামণি মালিয়ে মালি-না, দুটো চারটি মিষ্টি-মিষ্টি কথা বলে উদ্দেশ্যে ছদরে বাকুলতা ঢালিয়া দিতেছে আর একটু পাগল করে তুললি ? অার, আয়, আমরা তাস বেদন তাহার গানের বাধা না হইয়া যেন তাহারই যোগ খেলতে সবার আগে আমাদের সেই গানটা শোনাধি প্ৰায় বাড়াই দিল । তাহার সকল শক্তির মধ্যে গাহিৰা শক্তি অ্যাণ্টনি কাল সকালে বাক্ষে, শুনেছি ত । তোর কোকিল- ছিল শ্ৰেষ্ঠ, এই একটি মাত্ৰ গুণেই বোধ হয় সে কটা শুনিয়ে ওকে একেবারে পুরোদব ভাবুক ে প্ৰেমিক বাগদত্ত বড়পরে সুন্দীটিকে ছাড়াইয়া বাইতে পাতি করে তোেল, “বাঘে গিয়ে যেন ঠিক ঠিক চলতে পারে |” তাহার ভালবাসা, ঈৰ্ষা, গৰ্ব্ব, ও নিজের ভাগ্যের প্রতি ইটনার ছোট হাতখানি নিজের হাতের ভিতর দিয়া জড়াইয়া বিদ্ৰোহ সবগুলি লেন অ্যাজ একসঙ্গে মিশিয়া একটা হিয়া জমিদার-মহাশয় গৃহিণীকে “ওগো হেনরিটো, আবেগের শ্ৰোত বহাইয়া তাতার মধুৰ গভীর সুরের লাহী বলিয়া ডাক দিয়া আগে আগে বাড়ীর দিকে চলিলেন ৰূপ ধৰিয়া উলিয়া পড়িতেছি তাহার গলার স্ব বেশ দকালে বসিবার ঘরে বিলেন জানালাতে কোনো নীচু লেঙি শেভারেলের সঙ্গীতের উপর খুব বোৰু রকম আড়াল না থাকাতে এবং দোলে নাইট ও লেডিদের টনার পল বেশী গায়ি পাছে একটু খারাপ হইয়া যায়, লাল শাদা সোনালী প্ৰতি বাদেওয়া ছবি থাকতে সেদিকে তাহার খুব নজর ছিল, ঘরখানা লাইব্ৰেীৱ মতন মুখ আঁধার করিয়া নাই প্ৰাথন গানটির শেলে লেডি শেভারেল বলিলেন, া রের সুবিখ্যাত পূৰ্ব্বপুল সাৱ আণ্টনির ‘ক্যাটরিনা, অণি তোমার গান চমৎকার হয়েছে, তোমাকে কথানা ছবি দেয়ালে টাঙানো । চেহারাগান দমকালে অনন গাইতে আৰু হানি কখনো শুনিনি। আর-একবাট বটে। এই ছবিখানার মুখোমুখি একটি মহিলার ছবি লিতেছে, তাহার মুখশ্ৰী কোমল ও গম্ভীর, চুলগুলি কটা বা সেই গানটিই হইল তাহার পর দ্বিতীয় গান কিন্তু প্ৰায় সোনার মতন চকে, তুষারের মতন শুদ্ৰ ন চ সিয়া নটা বালিয়া গেল, কিছু স্তর ক্ৰিউফৰি । সুন্দর গানে গলার উপর দি ইদিকে ইষ্ট গুশে গানটিও দুইবার না নিয়া ছাড়িলেন না। গানের শেষ ছে tাদের শাদা সাটিনের পোষাকা সুরটি যখন মিলাইয় গাইতেছে তখন তিনি বলিলে যেন জ্যোংঙ্গার মতন কোমল সুন্দরীর হজের কাছে “মার কলে-চোখ কি আশৰ্মিা মেছে : এইবা আপনার কৰ্কশতায় লঙ্কা পাইতেছে । তাহাকে দেদিলে তাস খেলা টেবিলটা নিয়ে এ ত মনে হয় বাজারাজা র মা হইবার উপযুক্ত ধটে । টেবিলট টানিয়া জানিয়া ভাসগুলি তাহার উপর বাৰিষা এই ঘৱে চ দেওয়া হইল ; ব্ৰোহ্ম সঙ্কা যেমন নিয়মিত তাহার পর পর মতন প্ৰিগতিতে স্তর ক্ৰিফালে তাৰে চাতালের মস্ত বড় ঘটিয়ে গম্ভীর স্বরে ঢং চং করিয়া সামনে হাটু গাডিয়া বঢ়িয়া তাহৱে হাটু আড়াইয়া ধৰি ময়টা বাদিয়া বা অমনি নিয়মিত ভাবেই এই ঘরে তিনি না হইয় তাহার গালে আস্তে-আন্তে টোকা দিতে জমিদার মহাশয় গৃহিণীকে লইয়া তাস’ খেলিতে বসেন দিতে হাসিতে লাগিলেন সাড়ে দশটা বাজিয়া গেলে নন্দিরে পরিবাৱে সকলে মেডি শোরেল বললেন, “ক্যাটরিনা, কি বোকানি মিলিত হন এবং মি: গিলক্ষিত্ৰ শাস্ত্ৰ হইতে প্ৰাৰ্থনা পাঠ মত- সব সেকেলে থিয়েটারী ঢং !—ালে বাচি পে গঢ় কবিয়া উঠিয়া গানের বইগুলি বাজার উপ কিন্তু আজ এখনও নটো বাজে নাই, কাজেই গুছাইয়া রাখিল নিদার ও তাহাব গৃহিণী ২ সংখ্যা স্মৃতির সোঁৱ তাহা দেখিয়া সে আস্তে- আস্তে ঘরের বাহিরে চলিয়া সে জ্যোংঙ্গাৰ আলোর এদিক-ওদিক পায়চারি ফরিয়া বেড়াইতে লাগিল তাহার ফ্যাকাশে মুখ আয়, শাশা ধানের নয় কানে উইক্রো ছিলেন, বাজনার গায়ে পোষাকে তাহাকে অতীতে কোনো লেডি শোরেলের হেলানদিয়া পাড়াইয়া আর অঙ্কণ পাৰ্টী ঘরের এক কোণে ছায়ামূৰ্ত্তি মতন দেখাইতেছিল, যেন চাঁদের আলোর মায়া একটা সোফায় শুই দুইজনই এখন একথানা করিয়া কাটাইতে না পারিয়া আবার এজগতে দেখা দিতে বই লইয়া বসিলেন । মিঃ গিলবিলের হাতে একটা আসিয়াছেন সিকের শেকসংখ্যা ; একান একটু পরে সে গাড়ী-বাৱান্দার দিকের জানালার কাছে blas” তিনি গদির উপর পড়িয়া আছেন । ঘরখানি গিয়া দাড়াইল, সামনের গাছপালা আর সবুজ মাঠের দিকে ৰোৱে নিঃকুম নিস্ত দশ মিনিট আগে এই ঘাই চাহিয়া দেখিল, কতদূর জুড়িয়া চলিয়া গিয়াছে ? দেয়। ব্যাটরিনার সুরের উচ্ছাসে কাপিয়া উঠিতেছিল । আলোর বেন শীতে আড়ষ্ট হইয়া বিভাবে পতিয়া না দালানে ভিতর দিয়া বিয়া-বিধ চলিয়াছে স্বালানের মাঝে-মাকে ছোট ছোট তেলেঙ্গ-বাতি আলোয় . হঠাৎ একটা গৱম নিশ্বাসের হাওয়ার সঙ্গে গোলাপের কারটা একটু সরিয়া সহিব পিয়াছে । ইহা পরে গন্ধ তাহা দিকে ভাসিয়া. আসিল ; কে তাহাকে বাহ দ। সিড়ি দেিয় উঠা একিট মন্ত দালান সমস্ত বেইনে দাইয়া ধৰি একখানা নাম হাতে তার ছোট বীৱ পূৰ্ব্বদিকটা জুড়িয়া আছে কাটরিনার এই হাতখানি তুলিয়া ধরিণ একবা আপন মনে বেড়াইবার জায়গা ক্যাটরিনার শরীরের ভিতর দিয়া বেন-বিছ প্ৰবাহ - মোৎসার উক্ষণ আলো আদি দেয়াগের গায়ের থেলিয় গেল, একমুহূৰ্ত্ত সে পাথরের মূৰ্ত্তির মতন নিশ্চৰ নানরকম আসবাবপলের উপর পড়িয়া ও ছায়ার কি অালো হইয়া হিল ; পর মুঠেই হাত দুইখানাকে ঠেলিবা সরাই এটা আত ধরণের নয়া কাটিতেছিল। কোথাও একটা দিয়া খুধিয়া দাড়াইল । তাহােৱ মুখের উপর যে একখান খ্ৰীক মুঠিকোণা বা কোনো রোমান বাজার ঠি; এক মুখ কুকিয়াছিল, ক্যাটরিনা করুণামাখা চোখ দুটিতে জায়গায় একটা নীচু দেরাঙ্গের মধ্যে নানারকম প্ৰাপ্য ভৎসনা ডব্লিয়া তাহার দিকে তাকাইল । সে চোখে হরিণীর জিনিষ সংগ্ৰহ করা আছে ; আয়ু-এক জায়গায় হরিণ হি আপনাভোলা দৃষ্টি আর নাই । … গুই দৃষ্টিটুকুতেই ছাৰিী শিং, গরম দেশের নানারকম পাখী সাজানে বালিকার হৃদয়ের কথা ফুটিয়া উঠিয়াছিল। গী বড় শাখ, শামুক, হিন্দু দেবমুক্তি, তলোয়া, ছোৱা, ভালবাসা ও প্ৰবল হিংসাই তাহার স্বভাবের সাৰ । টুকরা বৰ্ম্ম, রোমান আলো, গ্ৰীক মন্দিহের ছোট ছোট খুব নীচু গলায় কাপ্তেন উইৰো বলিল, “আমার প্ৰতিবি,এইসব কত হকে একদের সংগ্ৰহ। উপরে ঠেলে সরিয়ে দিছ কেন তাহাদের না ? ভাগ আমাৰ প্ৰতি এই বংশৱ পুরানে ছবি লিতেছে- ছোট েছাট বিক্ষপ বলে কি তুমি আমারই উপরে যাগ করেছা! ছেলেমেয়ের মাথা চাচা গলার শক্ত কলের দেওয়া ছবি, আর ৰে-মানা আমাদের দুজনের জন্যেই এত করেছেন, তুমি কি এদিকে কত গোলাপী গণ্ডে বাহা ; সুন্দীদের মুহের চা ও যে আমি তার এত সাধের বাসনার পথে বাধা দিই? ইতে মাথার টুপির বাহার ঢের বেণী ; আবার কত বীর নি ত জানে আমাকে-অৰ্থাৎ আমাদের দুজনকেই ষের ছবি, তাহাদয় কাঁধ উচু উচু,লাল দাড়ি ঢোলো। কীবোর কাছে হৃদয় বলি দিতে হবে। বাবাদলের দিনে তার ক্ৰিষ্টফার সগৃহিণী এইখানে ক্যাটরিনা মাটিতে পা কিয়া ঘাড় ফিরাইয়া-বলি, এখানে বিলিয়াৰ্ড খেলাও চলিত। কিন্তু “হা, হ্যা, যা জানি তা’ আর দুবার করে বলতে এদিকটায় এক ক্যাটরিনা ছাড়া আর বড় কাহারও হবে না।” তি ছিল না মাঝে-মাঝে আর -একজনেরও ছিল । কাটরিনা মনের ভিতুৱা যে কথা কি দায়িতেছিল,