পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪২ প্ৰবাসী—আষাঢ়, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাপ, ১ম খণ্ড শিক্ষিত দীক্ষিত শান্ত শীৰ্ণ নিরীহ প্ৰয়োজনসাধক মনুষ্য এবংবিদ্যেপি চালারোটি স্বৰে আনি হ্যেবাদ্য বস্ত নহে। এ সমস্ত-শিক্ষাদীক্ষার প্রাচীরের ধ্বংসকারী: ৰোগ আশাস্তু প্ৰবল প্ৰচণ্ড মানুষ ! ইহার দ্বারা প্ৰয়োজন সাধন এমন জ্ঞানী দি চণ্ডলৈকে যজ্ঞেতাগ-শেন দেন তবে দুয়ে থাকুক, এ সৰ্ব্ববিধ কৰ্ম্ম লার মুকিমান-বিদ্ৰোহ। া তেই তাই যাহতি দেওয়া হইবে ইহার ব্ৰত নাই—এ ব্ৰাতা ! ব্ৰাহ্মণ-ক্ষত্ৰিয়ের স্নায় এ পরিমিত বোম্বাইবাসী পণ্ডিত বাজারাম ভাগবতের মতে ব্ৰাতা কোনো ধৰ্ম্ম লই নিষ্টি সীমাবদ্ধ স্থানে বসিল না অনাৰ্থজাতীয় ? তাহার মতে হাতের উদীয় তাহাৰ সমস্ত ভুবনধানি আসন কৰিবা না লইয়া বসিবেই না তাৰা প্ৰতোদের দ্বারা সে সব বিবি অথৰ্ব ১৫ কাণ্ড অনু, ৫ম পৰ্যায় } । বেদ ও বজ্ঞাদি করে এবং ৰিপুগ নানক দে পৰ্ব্বত্ৰ গনন করে । স্বারা এ বন্ধ নহে, তাহারাই বরং ইহার অনুসরণ করে (অৰ্থ ভ্ৰাত মান ভবঘুরে দল, ব্ৰাদণা ধৰ্ম্মে বাহিরে া ১৫ ফাও অ, ২য় পৰ্য্যায় ) । এইক্সপ সৰ্ব্বাই একদল মানুষ । সেই দলের লোকই ব্ৰাতা । বেীধাৰ স্বাধীন, সে প্ৰচণ্ড, সে বিদ্ৰোহ, সেই নায়ক , সব তাৰা বলেন দীক্ষাহীনের পুত্ৰই বাতা পশ্চাতে চলিয়াছে । সে যে বীর, সে ঈশান, সে নিয়ন্ত৷ অথৰ্ববেদের ১৫শ কাওখানি এই ব্ৰত্যের স্তবগান ধাম ধৰ্ম্মৰ, ১ম প্ৰম, মৰম অধ্যায় বিয়াই শেষ হইয়াছে এ গোটা কাণ্ডগানাই বাত-কাও মও বলেন অ্যাও ধীগা-প্ৰাপ্ত ন হইলে ত্ৰাতা হন ইহাতে কিছু লুকাইয়া, কিছু বাদ দিয়া বলা হয় নাই। সবই ব্ৰতা তান লিী পরিলা বাতান হকি বিনিবিংশ তহীন সাবিত্ৰী-লকে রাতা জানিবে সঙ্গু ১৭.২° ) খুব খোলা, খুব স্পষ্ট লেখা মাঝে যাকে বা-বার একই রতের মতে ব্ৰতা সমাজের জঞ্জাল । ইউরোণী কথার পুনৰুক্তি আছে, জোর দিবার জন্যই সেই পণ্ডিতগণের মধ্যে কেহ কেহ বলেন ব্ৰাতা চতুৰ্দ্ধিকে দল সব পুনৰুক্তি শীল পবিত্ৰাজক সরাসী । কিন্তু মূল দেখিলেই সব স্পষ্ট অথৰ্ব কিছুই গোপন করেন নাই, কারণ তখন সমাজ হইবে জীবন্ত তপন একদিকে যেমন শান্ত ধীর প্রগাচারী ছিলেন সায়ন ও তোর কলঙ্কটুকু চাকা দিতে পারেন এবং ব্ৰহ্মচারীর স্তবগান যেমন করা হইয়াছে, তেমনি অন্য - মানে বজিতেছেন কে দশান্ত অধীন ব্ৰাতের স্তবগানে তাহাদের কি অ কাজে ব্ৰতা হিমা প্ৰণাতে নাম উপৰৰ সঙ্কোচ নাই এই দুইটি পক্ষ বিস্তাৱ করিয়াই তো বন সাংখাদ থকাদি বেদবিহিতা: হি: { বিহঙ্গ অনন্ত আকাশে যাত্ৰা করিয়া নিয়াছে। কিন্তু বিকা তোমাতাবোতো বেধিবো তাতো পর কালে প্ৰাত্যের পরিচয়টুকু লুপ্ত করিবার জন্তু চেষ্টার চলো মূলং, কিংবদন, হাতে। সেমাধিদেব এৰেতি প্ৰতিপাদা বত্ৰ ব্ৰাতো। স্থতি কিং জগৰ বিশ্বে s শু তৰংগচ্ছবি, সি আর ক্ৰীট হয় নাই । অথৰ্ব্ব-অনুক্ৰমণিকায় এই কাণ্ডের প্রারম্ভেই আছে “অধ্যাত্মক” অৰ্থাৎ ইহা আত্মার উদ্দেশে গsং তালি লেখা । ব্ৰাতা যে আবার মতই মুক্ত, সে যে দেী হইয়াও এই কাণ্ডে জাতের মহিমা প্ৰকাশ করা হইতে বিদেহ । কাজেই কথাটা অনেক দু পৰ্য্যন্ত বেশ ঘাট, কিন্তু উপনয়নীন সংস্থাৱনি পুৰুষই ভ্ৰাত অতএব তবু, তো আসল কথা ঢাকা যায় না। কোনো কোনো দিলিহিত ক্ৰিয়ার অনধিকারী । সে কোনো গে ব্যবহা উপনিষদেও এইরুপ কথা আছে (চুলিকোপনিষৎ ১১, যোগা মহে এই জনমত মনে কলিয়াই ব্ৰাতা অধিকাৰী , Asiatic Society edition ) । ছান্দোগা কিন্তু বিশেষ মহানুভব , রাতা দেবপ্রিয়, ব্ৰাতা ও ক্ষত্ৰতো স্বলে বাতাকে পরমাথার সমান বলিয়াই স্বীকার করিয়াছেন, মূল, এবং বাতাই দেবতার অধিদেবতা—এসব কথা কিন্তু তাহা জ্ঞানীর পক্ষেই । ছান্দোগ্য ব্ৰাতাটিকে উড়াইয়া পাদিত হইয়াছে। ভ্ৰাতা যেখানে যায় বিশ্বজগ আত্মাকেই সবটা স্থান দেন নাই । দেবতা সেখানে তাহারই অনুসরণ করে, সে -১৭ ৩য় সংখ্যা] বই দাঁড়া, সে চলিলে সবই চলে । সে যেখানে যায় জ্ঞান দুইপ্ৰকার । একপ্রকায়—াতা বেথা৷ বাজার স্নায় মহিমায় যায় ইত্যাদি ।” নিজেকে জ্ঞানী বলিয়া জানেন। আর এক-কা যেখানে ইহা বলিয়া সায়ন বলিতেছেন ভ্ৰাতা নিজের জ্ঞানের কথা জানেনই না । অনেক সময় ন পুনতে সৰ্ব্ব বাতাপৱা প্ৰতিপাদন অপি তু এইপ আবৰিত জ্ঞানীর মধ্যেই খুব গভীর চাবের কা কিং পুণ্যশীল বিশ্বলংৰাং কৰ্ম্মপরে এক্ষিণবিদ্যা এতদি নিহিত থাকে। মাটির অভ্যন্তয়ে যেমন নিৰ্ম্মল স্বচ্ছ জলে এইসব কথা সমস্ত বাতাকে লক্ষা করিয়া বলা চলে অয়ন্ত যারা আছে, এই গান সেই প। মাটির শা না, কোনো একটি বিশেষ, বিধান মহাধিকার পুণাশীল, আছে, মাটি তাৰা জানে না এই জান কোনো বিশেষ বিধান, অথচ বাগষয়পরায়ণ ব্ৰাহ্মণের দ্বারা অবজ্ঞাত শিক্ষাদীক্ষার দ্বারা প্ৰস্তুত নহে - ইহা প্ৰাণের রায় বিধাতা কে লক্ষা করিয়াই বলা হইয়াছে ইহা বুলিতে হইবে।” ধান, েতমনি গভীর তেমনি বিরাট। অধৰে যে যিা মুলে কিন্তু ব্ৰাত্যের সঙ্গে সুরা প্ৰভৃতিরও যোগ হিয়াছে ব্ৰাতা আছে, হয়তো তাহা এই প্ৰাকৃত স্বাৰা তাহাকে যে বিধান বলা হইয়াছে, সে প্ৰাকৃত মানুষের শাস্ত্ৰ . জ্ঞানকে লক্ষা করিয়া বলা হইয়াছে । এই জান সাধারণ ভাৱবৰ্দ্ধিত সহজ বিদার সম্পৰ্কে । এই বিদ্যাতেই ব্ৰাজ্য , জনগণের গভীর অন্তরে নিত্য নিহিত আছে। অৰে খায় -পীড়িত জনসমূহকে নবজীবন নবশক্তি নব-আদৰ্শ প্রত্যের সঙ্গে সঙ্গে বিশ অৰ্থাৎ জনসমূহের উলে আছে। খুব সম্ভব ব্ৰাতা-কাণ্ডে কোথাও বা খুব উজ ত্ৰাতা পূৰ্ণ প্ৰাণের এক পিঠ মাত্ৰ - ইয়াকে ও ব্ৰতশীল আদৰ্শবান ব্ৰতীনকে, কোথাও বা আত্মবিশ্বত গী ব্ৰহ্মচারীকে লইয়াই পূৰ্ণ জীবন, পূৰ্ণ প্ৰাণ, পূৰ্ণ ব্ৰত । অবশ্য “সহজ-দ্ধানী” ব্ৰতীনকে স্তব করা হইয়াহে। কোণাগ আল ব্ৰতীন নিয়মশ্ৰষ্ট হইলেই যে সে পূজ্য হয় তাহা উভয়কেই করা হইয়াছে। এই বিষয়ে আমি নিজে । তাই সায়ন বলিতেছেন যে এমন ব্ৰাতাকেই পূজা বলিতে চাই না, পাঠক স্বয়ং বিচার ফরিয়া লইবেন । লিখিনি বিশ্বান মহাধিকার, পুণাশীল অথচ নিয়ম মানে তথ- হয়তো বাগযজ্ঞে বিধিনিষেধে সামাজিক অষা না বলিয়া নিয়মনিষ্ঠ বিপ্ৰাদির অবস্থাত । অৰ্থাৎ বিনি জৰ্জরিত হইয়া উঠিয়াছিল। তাই মানৰ শিক্ষাদীক্ষা বিকা, বাহা অয়ে এত উচ্চ আদশ স্বভাবতঃ বহিরে স্বাভাবিক জীবনের জন্য ব্যাপ্ত হইয়া উঠতেছিল। বিদ্যমান রহিয়াছে বে তিনি সামাজিক পরিচিত অভ্যস্ত তাই সামাজিক বাবস্থার নিয়মের গওঁীর বাহিৰে প্ৰাণীন নিয়মকে গতানুগতিক ভাবে গহণ করিতে স্বতঃস্থ সহজ প্রাণ ও সহজ জ্ঞানের জন্তু া স্বাস দেশ স। প্ৰশোপনিষদে অাছে ব্ৰাতা স্তং প্ৰাশৈকগুধি” “হে ছাপাইয়া উঠিতেছিল অথর্বের এই ব্যাকুলতা ভ্ৰাতা, প্ৰাকৈ ধি, তুমি প্ৰাণমাকেই প্ৰতাক্ষ করিয়া । আমাদের এখনকার বন্ধতার নিপীড়িত মনকে বড় যা থানে শঙ্কর বলিতেছেন প্ৰথমজহা অনাসা সংস্কৰ্তর করিয়া তোলে তাৰা অসংতো ব্ৰাতাস হং স্বভাবত এব শুদ্ধ হে খুৰ সম্ভব এই ব্ৰাতাদেরই একদল নানাস্থানে বিচৰণ ভ্ৰাতা তুমিই তো সকলের আগে (নিয়ম-সংস্কারাদি সব করিয়া চৰক” আখ্যা পাইয়াছিল। ইহাদেৱ কৃপায় আদয়া যার পয়ে পরে দী হইয়াছে), তখন কেবা তোমার দাবি বহু বিজ্ঞান ও শিয়াদি বা করিয়াছি। কিন্তু সংস্কার কৱিবে, তাই তোমার সংখা হয় নাই ; তুমি তাই দীক্ষা হইতে যে বড় দীক্ষা এই ভ্ৰাতা দিতে সক্ষমতাৰ স্বভাবতই শুদ্ধ কোনো বিশেষ বিজ্ঞানের বা শিল্পের দীক্ষা নহে-তাহা এমনও হইতে পারে যে ব্ৰহ্মচারীর যেমন একটা ব্ৰত মুক্তির দীক্ষা, তাহ সহজের দীক্ষা, তাহা প্ৰাণের দীক্ষা নীল ধীর নিয়-নিষ্ঠ type আছে এবং তাহাকে যেমন স্তব ‘ব্ৰাতা প্ৰজাপতিকে বিক্ষু কবিয়া তুলিলা ব্ৰাজ্যই হইয়াছে, তেমনি ব্ৰাতা typাকেই স্তব করা হইয়াছে । তার শ্ৰেষ্ঠ (সুবৰ্ণ) সৃষ্টি — ১। প্ৰজাপতি