পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—বৈশাখ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ** * * পৌছে নাই। বর্তমান প্রসঙ্গে তাহা করিবার চেষ্টা করাও বিবিধ প্ৰসঙ্গ অামাদের অভিপ্রেত নহে আমরা আপাততঃ বিয়া লইলাম ে স্নায় সত্য ও শাস্তির সপ্ত নতাকে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্ত মানবসমাজে স্বৰ্তমান গচা বিবাদ হইলে সত্যদেশে দুজন মানুষের মধ্যে কোন অবস্থায় ফক্লপ অসা উপায় অবলম্বন করা কোন কোন তাদের করেন বা যুদ্ধের সম তাহা নিম্পত্তি কহিবার বৈধ উপায় অ স্থলে অবশ্যক । কিন্তু যাহারা যুদ্ধ দেশে পঞ্চায়েং ডাকিয়া মীমাংসা করা যাইতে পারে, সালিসী ধন করেন, তাহাদিগকে সদা মনে বাণিতে, হইবে, যে বিচার দ্বারা বিবাদ ভান হইতে পারে, কিন্থা আদালতের যুদ্ধে জয়ী হওয়াটা দ্বারাই ইহা প্ৰমাণ হয় না যে, সাহায্যে গ মিটাৰ্ছয়া লইতে পারা যায় অামাদের স্থায় তাহারই দিকে । ইতে পারে যে কোন জাতি দেশে এবং অন্তাৱ সভা দেশে এইসকল উপায় অবলম্বন স্বায়কে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্যই যুদ্ধ করিতেছেন । কিন্তু না করিয়া কেহ কেহ পরস্পর মারামারি করিয়া কিম্বা তােহাৱা যে ন্যােয়র জন্যই জিতেছেন, জয়পরাজয়ের যায়৷ যাহারা ল্যাঙ্গে দ্য লাঠিয়ালের সাহায্য লইয়াণ্ড নিজের স্বাৰ্থসিদ্ধির চেষ্টা তাহার বিচার হইতে পারে না। কম্বিয় ধাঁকে । কিন্তু এসব অবৈধ ও অসভ্য উপায় । লড়িতেছেন, তাহাদেৱ জয় বা পরাজয় দুই-ই হইতে পাৱে জাতিতে জাতিতে মতভেদ হইলে, ঝগড়া হইলে, যদি তাহারা পরাজিত হন, তাহা হইলে তাহারা অন্যায়ের তাদের স্বার্থের সংঘৰ্ষ ঘটলে এখনও অধিকাংশ স্থলে দা লড়িতেছিলেন, এর মনে করিবার কোন কারণ অসভ্য উপায়েই বিবাদ ভজনের চেষ্টা করা হয় ; যদিও হইবে না যাহারা জয়ী হইবেন, স্নায় তাহদেরই পক্ষে কোন-কোন স্থলে নিজেদের মধ্যে তৰ্কবিতৰ্ক ও আলোচনা একপ মনে করিবাৱও কোন কারণ হইবে না । করিয়া মনে স্বাধিতে আর একটি কথা আরও ভাল দ্বারা এবং কোন কোন স্থলে নিরপেক্ষ কোন জাতিকে মধ্যস্ত - মানিয়াও গামিটােন হইয়াছে। হইবে । মনে কন, বাহারা মাছের ও মানবের স্বাধীনতার মানবসমাজেয় বর্তমান অবস্থায়, ভাষ্য স্বাৰ্থ রক্ষা জন্য যুদ্ধ কৰিতেছেন, তাহাদের দিত হইল ; তাহা হইলেণ্ড, করিবার জন্য, যে সব জাতির তক্ষপ স্বাৰ্থে আঘাত লাগে , তাহাবা জয়ী হইবার জন্তু যাহা কিছু কবিয়াছেন বা করিবেন, তাহাদিগকেও যুদ্ধক্লপ অসভ্য উপায় অবলম্বন করিতে হয় । সমস্তই ধৰ্ম্মসঙ্গত, ইহা প্ৰমাণিত হইবে না। ইহাও সভ্যতার পক্ষপাঠীরা যে সময় আসিবে প্ৰমাণিত হইবে না, যেবিজয়ীরা জয়ী হইবার পর যাহা ধন দেেশ েদশে জাতিতে জাতিতে মতান্ত, মনান্তয়, বা কিছু দাবী করবেন, দ্বিৱ যে কোন সৰ্ড অব পালনী, স্বার্থের বিরোধ উপস্থিত হইলে, মায়ামারি কাটােকাট না বলিবেন, তাহাই ধৰ্ম্মানুমোদিত । কারয়া অন্তৰ্জাতিক আদালতের সাহায্যে বিবদমান দেশ বা কোনটা িঠক কোনটা ঠিক নয়, কোন ধৰ্ম্মসঙ্গত সৰ্ত্ত তিসকলের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপিত হইবে। তাছার জন্য কোন সী ধৰ্ম্মসঙ্গত নয়, তাহা স্থির করিতে হইলে ধৰ্ম্ম রা চেষ্টাও করিতেছে ন । কিন্তু আপাততঃ স্নায়কে, বুদ্ধি দ্বারা বিচার করিতে হইবে পাশ্চাত্য বহু জাতির মধ্যে বৰ্ত্তমান যুদ্ধে উভয় পক্ষই কল্যাণকেমানবের স্বাধীনতাকে পদদলিত হইতে দেখা পেগা তার অনেকে স্বয়াই শ্ৰেয়া মনে কবিয়া স্থায় বলতেছেন েয তাহারা স্থায় সত্য ও মানুষের স্বাধীনতাৰ সত্য ও স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধেরই সমৰ্থন করি বুদ্ধ কলিতেছেন । এই প্রসঙ্গে উভয় পক্ষের এই দাবীর কটা কথা বেশ জোৱ বিবােদ অঙ্গনে চেষ্টা শান্ধির সময় আসবে, তখন, কোন পক্ষ কিপ করা হয় নাই ১ম সংখ্যা বিবিধ প্ৰসন্— শান্তির সন্ধ সত্যাসত্যতা প্ৰমাণিত হইয়া যাইবে । যে পক্ষই জাতিদেৱ সভ্যতা যদি উচ্চতম সোপানে অধিষ্ঠিত থাকিত, হইয়া প্ৰখ্যাত হউক, তাহাদিগকে দেখাইতে হইবে, যে, যদি তাদের ধৰ্ম্মবুদ্ধিৰ প্ৰথর ইত, তাহা হইলে আমরা তাহারা সত্য, সতাই স্নায় সত্য ও স্বাধীনতার জন্তু যুদ্ধ বিজয়ী পক্ষকে সকল জাতির সম্বন্ধে সমদৰ্শী হইতে বলিতে করিতেছিল। ইহা কেমন করিয়া দেখান যাইতে পারিতাম। কিন্তু সভ্যতা ও জাতীয় ধৰ্ম্মৰন্ধিয় বৰ্তমান পারে ? অবস্থায় সৰ্ব্বত্ৰ সন্দী হইতে বলা চলে না। কারণ দেখাইবার একটা উপায় এই যে, দ্ধের আগে যে সব প্ৰবল জাতি ধৰ্ম্মবুদ্ধির প্রেরণা নিজের অধীন কোম, দেশ ও জাতি স্বাধীন ছিল, যুদ্ধের পরে জীি পক্ষ তাহাদেৱ দেশকে, স্বাধীনতা রক্ষায় সমৰ্থ না করিয়াই, স্বাধীন কাহারও স্বাধীনতা নষ্ট কৱিবেন না জা করিয়া দিলে, উছা কোন দস্থ্য জাতি স্বায়া কবজিত হইতে যুদ্ধ করিতে গিয়া বৃহৎ বা ক্ষুদ্ৰ কোন জাতির স্বাধীনতা পারে । এই জন্য আমরা যুদ্ধের পরে, স্বাধীন ও পয়াধীশ অপহরণ কহিলে তাহা অতি বিকট প্ৰহসন হইবে । জী জাতিদের সম্বন্ধে কিছু পৃথক ব্যবস্থা করিতে বলিতে বাধ্য পক্ষ যে ও নয়, তাহা দেখাইবার অার -একটা -উপায়, হইতেছি । যদিও উভয় প্ৰকা ব্যবস্থায়ই চরম লক্ষ্য। কোন দেশ বা জাতি বাধ্য অধিকার হইতে বঞ্চিত যাহাতে হইবে এক — মানুষকে নিজের শক্তি সামৰ্থ্য দ্বারা নিজের না থাকে, তাহার ব্যবস্থা করা । এক জাতি যদি যুদ্ধের মঙ্গলসাধন করিবার অবাধ ও সম্পূৰ্ণ অধিকার ও বলয় । ও অন্ত জাতির কোন প্ৰদেশ বা জেলা অপ- প্ৰদান কোন কোন স্থলে মাৰ্কায়ারি ব্যবস্থাও হইতে হণ করিয়া থাকে, তাহা ফিরাইয়া দিতে হইবে । বেমন পারে ; যদিও ঠিক কি হইবে বলা যায় না। জাৰ্মেনী ফালে কিয়দংশ প্ৰায় ৫০ বৎসর ধৰিয়া দখল ইউরোপে পোল্যাণ্ডের কথা ধরা যাক। যুদ্ধের বহু বৎসা কবিয়া আছে তাহ ফিরাইয়া দিতে হইবে । ইহা একটা পুৰ্ব্বে এই দেশকে তিন টুকরা করিয়া জাৰ্মেী শিয়া দৃষ্টা মাত্ৰ। এই নিয়ম জেতা ও বিজিত সকল দেশ ও অষ্টিয়া প্ৰাস করে । এখনও সেই অবস্থা আছে । যুদ্ধে জাতিকে মানিতে হুইবে । ইহা বলিলে চলিবে না, তুমি মধ্যেই জাৰ্মেনী ও শিয়ার সাটু উভয়েই পোলদিগকে হাবিয়া গিয়াছ ; অতএব ভায়ের কাঠাণ তোমার মাথাতেই স্বশাসন-ক্ষমতা দিবার অঙ্গীকার করেন। অঙ্গীকায় ভাঙিব । কাঠালের কোষ ও বীজ অক্ষণের কাৰ্য্যটা আমরা করিবার সময় তাহদের অভিপ্ৰায় বাস্তবিক কিপ ছিল অপরের সাহায্য বাতিরেকে নিৰ্ব্বাহ করিতে পারিব । বলা যায় না তাহাদের আন্তরিক উন্ধে তাল এই নিয়ম শুধু ইউরোপে নয়, এশিয়া ও আজিকাতেও ধরিয়া লইলে, সম্ভবতঃ তাদের অভিপ্ৰায় এই ছিল যে, কহেিত হইবেচীনের কিয়দংশ জানো দখল পোলয় সম্পূৰ্ণ স্বাধীন হইবে না, কিন্তু আপনাদের দলের করিয়াছিল বলিয়া, যুদ্ধের পরেও তাহা জাৰ্মেনীর বা অপর আভ্যন্তরিক বাবস্থা সমস্ত নিজেরাই কায়ার অধিকার কোন জাতির অধীন থাকিবে, এক্সপ ব্যবস্থা হওয়া উচিত পাইবে । হয় ত বা শিয়ায় সম্ৰাট পরিবায়ে, কিয় নয়। চীনের অংশ চীনকে ফিরাইয়া দিতে হইবে । চীন জাৰ্মানীয় সম্ৰাট-পরিবারের, কাহাকেও পোলদেয় রায় স্বাধীন দেশ । আপনাদের রাষ্ট্ৰীয় কাৰ্য্য চীনারা বহু কাল করিয়া দেওয়া হইবে এবং তাহার উপর শিয়ার জায় বা হইতে নিৰ্ব্বাহ কৰিয়া আদিতেছে । তাহারা সামান্য এক স্নামেনীয় কৈসর অধিরাজ থাকিবেন, এক্ষেপ সঙ্কল্পও ছিল, আধটা জেলার কাজ চালাইতে পাতিৰে না, ইহা লিলে শিয়ায় বিয়াৰ হওয়ায় বালন্ত উঠি দি সাধারণা কে বিশ্বাস কবিদে মন প্ৰতিষ্ঠিত হইতে চলিয়াছে।” শিয়ার কৰ্ত্তমান নেতারা যুদ্ধের আগ্ধে হইতে বেসব দেশ স্বাধীন ছিল, তাহদের ীিয়াছেন যে পোলদিগকে ইত এখন পৰ্যন্ত গান আছে, তাদের সংক্ষে । ওয়া হইব । তাহা যদি হয় সম্ভবতঃ বা সাধারণ ব্যবস্থা করিতে বলিতেছি না। পৃথিবীর প্রবলতম স্তরে পক্ষপাতী হইবে