পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মা নহে, সমাজের সাদিগের রাষ্টীয় জীবন বা বিভক্ত হয় ; সেইসকল উচ্চবিভাগ আবার বংশাপে খণ্ড ব্যক্তিগত জীবনের উপর কোন প্ৰকার প্রতিবন্ধকও স্থাপন বিখণ্ডিত হয় এই সম্বন্ধে গোদের পরিভাবা কতকটা এই সাদৃশ্যগুলা একপ্ৰকার আকস্মিক ধরণের ও অস্পষ্ট ; কিন্তু সাধারণ তথাটা সুস্পষ্ট (২) ৰাশিক বলিলেও হয় । ইহ বিশ্বাস করা যাইতে পারে যে, অৰ্থাৎ “আীয়" বা ( race) জাতির সহচরী এই তার দিনে আমাদের পত্নীগ্ৰানে অস্তোষ্টির পরে, শব্দটি অগৰ্ব্ববেদে বিশ”এর সহচর এই অৰ্থে ভ জে মৃতব্যক্তির আবীর বা একত্ৰ সমবেত হয়, ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া মনে হৱ অস্তোষ্টিক্ৰিয়াৰ সহিত তাহার কিছু-না-কিছু অারো বিগত যোগ আছে। দীৰ্ঘ চালের যাত্ৰাপথে এই প্ৰণাটি যদি জয়” বা “জাতি" শব্দকে ( caste ) মনে কাইয়া দে কী তাৎপৰ্য্যাধ হাৱাইয়া থাকে তাহাতে কি আসিয়া যায় সারি পরিভাবিক সংজ্ঞা, গা -“ব্ৰা”, “জন', প্ৰাচীন পারিবারিক পদ্ধতির সহিত বৰ্ণভেদ প্ৰথা বে মনে হয়, ইহাৱা হয়-বিশে’’ নয়-“জনেরই ী য়তার সূত্রে আবদ্ধ তাহা ভিন্ন পধ্যায়ের । উভয়ে পৰ্যায়. শব্দ বা উপবিভাগ অতএব স্বাক্তাদিতে, যে-গে মধ্যে একটা প্ৰকৃত ধারাবাহিকতা আছে, জীবন-উৎস আৰ্গালোকদিগের উল্লেখ আছে, সেইযুগে অাৰ্য্যলোকেরা হইতে একটা সাক্ষাৎ প্ৰবাহ আছে া জের অধীনে বাস করিত যে-সমাজ শাখা তবে কি বলিতে হইবে যে, ভারত স্নাদিমা তির ঐতিহাকে ও কতকগুলি নিকৃষ্ট ও সমতুল্য ও পদ্ধতির আদিম আদৰ্শাই পিয়াছে । নিশ্চয়ই মুহের ঐতিহকে গতিশাসিত কতি এই সমাট যে তাহা নহে ভারতে বৰ্ণভেদপঙ্কতি যদি ডাসা-ভাসা কমে ছিল - যথেষ্ট জমাটভাবাপন্ন ছিল না। কতকগুলি সম-সাধারণ-হেতু হইতে নিঃসৃত হইয়া থাকে তাহা নামের বৈচিতা হইতেই পরিচিত হয় ভারতে প্ৰাচীন গ্ৰীশরোমে আবার সেইসকল হেতু হইতেই সম্পূৰ্ণ বিভিন্ন অবস্থা ও ঘটনা অনুসারে ঐ সমাজ বিভিন্ন আকার । এক পদ্ধতি নিঃসৃত হইয়াছে ধারণ করিয়াছিল। সংলগ্ন ধারণা বা মনোভাবগুলি জাতের থে পথে চলিয়৷ এই সমাজ ক্ৰমশ পুষ্ট হইয়া অনুপ্ৰবিষ্ট হিয়াছে যে অনন্যসাধারণ বিশেষ সেই পথে অগ্ৰসর করিয়া দিবার জন্য যে-সব জিনি প্ৰত্যে ঐ-সকল ধারণা ভারতের মতে প্ৰতি স্বতভাবে সাহাধা করিয়াছিল, তাহার মধ্যে কতক রাপিত হইয়াছিল, তাহা হইতে কি একটা মৌলিক ধরণের কন-কথন আমাদের নজরে পড়ে পূতন প্ৰতিষ্ঠান বিকসিত হইয়া উঠিবে না ? মুখের চোৱা ভারত-আক্ৰমণকারীরা যে সময়ে ধীরে ধীরে বিদ এতটা বদল হইয়া গিয়াছে যে, জাতের অন্ত ত খুৰ পথে অগ্রসর হ তছিল, তখন তাহারা দায়ে আদিকালের ছাঁচগুলাকে চিনিতেই পাৱা যার না ঠিক যাবার জাতির মতো জীবনযাত্ৰা নিৰ্বাহ না আসলে কিন্তু জাতটা উহাদেরই বৈধ উদ্ভাবিকারী খুব অস্থির ধরণে দীবনযাপন করিত প্ৰকার পান্ত সাধনের মূীভূত কলকোশলটাকে স্থানচুতির কৃষ্ণাই অনুসরণ করিতেছি । এই চলিক তক্ষণ না আমরা আয়ত্ত করিতে পারি, ততক্ষণ কিছুই রাষ্টনৈতিক সমাজ-গঠনের পক্ষে খুবই প্ৰতিকুল, হইল না বলিয়া মনে করিতে হইবে পুরাতন প্ৰতিষ্ঠানসমূহে সংরক্ষণের পক্ষে খুবই অনুকূল বহিীবন ও সামাজিক জীবনের খুঁটিনাটি সম্বন্ধে তাছাড়া স্থানীয় সংগ্ৰামের পরাজয় জনসমূহের অবস্থা বৈদিক সুক্তাদিতে কোন সুস্পষ্ট বিবরণ পাওয়া যায় না উপর কিছু না কিছু প্ৰতিক্ৰিয় কবিতই কতি । এইটুকু আমরা দেখিতে পাই যে, মাধ্যলোকেরা শাখা হলেই উহাৱা গণ্ডবিখণ্ড ও বিষ্টি হইয়া পড়িত জাতি বা জনসমুহপে (ন) ছাইয়া পড়ে ; সেই ক্ৰমিক প্ৰণাদির ঐতেিহ বজায় রাশিয়া, ভগ্নাংশগুলি হানি সকল শাখা বা জন কতকগুলি উচ্চবিভাগে ( বিশঃ বিধা প্ৰভৃতি অভিনব স্বাগের প্রয়োজন বশে, আৰাৱ নুতন এবং ইহার তুমি স্বত্বাধিকা সৰ্ব্বসাধারাগয় ; উহা এৰ ৱিা পড়িয়া উঠিল। ইহার দরুন, বংশগত কঠোর একটি গঠন প্ৰণালী যাহা দেখিয়া ধারিতা কতকট আঘাত পাইল। বিভিন্ন নুতন দল অনেকেরই মনে প্ৰতিভাত হয় অনেকেরই মনে হয়, নের স্থার উদ্‌ঘাটত হইল এই গ্ৰাম আদিমকালের গোরেই ( clan ) পাশ্চাতাদেশে লোকসমূহের অবস্থান বেঙ্কপ দেখিতে ইহা প্ৰতিষ্ঠিত হইয়া, শোণিত-সাম, সম্পত্তি ও অধিকার যায়, প্রাচাদেশে সে কদাচিৎ দেখিতে পাওয়া সামাকে চিরস্থায়ী করিয়া বাথিয়াছে। আমি নিশ্চয় করিয়া প্ৰতিষ্ঠিত রাজ্যের অভাবটা প্ৰাচাদেশে পৰ্যার বলিতে পারিনা, ভারতের সৰ্ব্বত্ৰই এই মে কারণ ও কাৰ্য্য উভয়ই আবহমান কাল পৰ্গা উৎপত্তি পূব প্ৰাচীন কি না, উহারা বিশেষ-অবস্থার মধ্যে হত এইৰূপ চলিত কতকটা রক্ষা করিয়াছে কিন্তু পড়িয়া দৈবক্ৰনে আদিমকালীন সমাজের ছাঁচে আপনা নগর গুলি ইথার ব্যতিক্ৰমস্থল। প্ৰাচীনযুগে দিগকে গড়িয়া তুলিয়াছে কি না। অন্তত উহাৱা একটা দলবদ্ধ যা কোন ত্ৰেখাচিৎ যে আমরা ধরিতে পারি না, তাহা সমাজের শক্তিশালী ঐতিহের পরিচয় দেয় কাৰিক। আরও পরবর্তীকা ল, যে-সকল বড় বড় রাজ- বিস্মৃত প্রদেশে, ইহারই সমান একাভুক্ত পরিবার-পতি ধী সংস্থাপিত হইয়াছিল, তাহার মূল সুদৃঢ় ছিল না বিরাজ করিতেছে।. বংশানুক্ৰমে অবিভক্তভাবে প্ৰাই তােহাসের অস্তিত্ব ক্ষণস্থায়ী ছিল শাসনাধীনে উহাৱা মণ্ডলীবদ্ধ হইয়া আছে বৈদিক সুক্তির কাল হইতে আরম্ভ করিয়া, একাণ প্ৰতিষ্ঠানাদি বরাবর রক্ষা করিতে হইবে ইহাই উহাঙ্গের পৰ্যন্ত গ্রামই হিন্দুীবনের একমাত্ৰ কাঠাম সুক্তি- ভিতরকার ভাব মধ্যে যে-এান দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা কৃষিপ্রধান শুধু ইহাই নহে অপেক্ষ গোচারণ-প্রধানই বেশী িছল জন' শব্দ যা আমি পুৰ্ব্বে বলিয়াছি, ক্লীয় গ্ৰামগুলির স্বত্বাধিকার গোচাণ-ভূমি “ব্ৰজ” হইতে পৃথক করা যায়ন, সেই বৃন্দ সাধারণের হওয়ায় এবং গ্ৰামগুলি একই জমির উপর কাছা দেৱ মাৱ কতকগুলি পৰ্যায়-শব্দ একই ছবি, আমাদের কাছি পাকা, তাতার ফলে ব্যবসায়-সাম্য উৎপন্ন হইয়াছিল। সমক্ষে আনয়ন করে এইরুপ গোত্ৰ ভারতেও এই একই ফল উৎপন্ন হয় যখন কুমোঙ্গে গোষ্ঠ এই শাদিক অৰ্থেই “গোত্ৰ” শ স্ব ব্যবহত গ্ৰাম, চামারের প্রাম, কামারের গ্ৰাম,—ৰেীসাহিতো । পরে, এই শব্দটি প্ৰায় clan অৰ্থেই ব্যবহৃত যাদের উল্লেখ প্ৰাই দেখা যায়- এই সকল প্ৰামের কথা দেখিতে পাই ; এই অৰ্থে শব্দটির ব্যবহার যে মনে করা যায়, তখন আর সন্দেহ থাকে না গোড়া ন তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । ইহা হইতে যদি কোন-প্ৰকার শোণিতসম্বন্ধের সূত্ৰে গ্ৰাম-বিশেষের কাধিকার ইহাই সপ্রমাণ ?- সুক্তিসমূহের নীরবত লোকে বা পরস্পর আবদ্ধ হইয়া থাকে তবে এই প্ৰায় বতে কোন স্থির সিদ্ধা কথা ঘোতের ব্ৰাপ্তি তাছাড়া ব্যবসায়-সামা অারও বিস্তার লাভ করিবারই কথা । মধ্যৱৰ্ত্তী ধাপের অবলম্বন বাতীত এই শব্দের প্রয়োগ থাটা ব্ৰাহ্মণ গ্ৰামের সম্বন্ধেই প্ৰায় উপস্থিত অধিত হয় না বৃজন' শব্দে গোড়ার অৰ্থ ধরিয়া হইয়া থাকে অতএব, ী রতার সম্বই এই সকল ইয়াৰ পুৰ কাছাকাছি যে “গোত্ৰ’ শব্দ, এই শব্দ ও কতকটা মণ্ডলীকে অন্তত অনেক স্থলেই পরিশাসিত কতি । কটু প্ৰকার ক্ৰমবিকাশের মধ্য দিয়া চলিয়াছে, উহাৱও কেন না, ইছা নিশ্চয়, ব্ৰাহ্মণে পক্ষে পাতীয়তার সম্বন্ধই এই পৰ্যায়-শঙ্গ-অৱত উথার অনেকটা কাছাকাছি নিতা আবশ্যক ছিল,—ব্যবসায়-সামা নহে, ব্ৰাগণো বাহির হইয়াছে—সে শঙ্কট—“গ্ৰাম । জ্ঞানুষ্ঠান প্ৰভৃতি ক্ৰিয়াকলাপের দ্বারা যত না হউক বিগ্রামের জীবননিৰ্ব্বাহ প্ৰণালী সম্পূৰ্ণচপে স্ব-ত বেশীর ভাগ, কৃষি ও গোচারণের দ্বারাই জীবিকা নিৰ্ব্বাহ পক। অনেক প্রদেশেই, ইহা একটা দলবদ্ধ সমাজবিশেষ, কবিত। তথাপি, ব্ৰাহ্মণদের দৃষ্টা চতু ৰ্থ অপেক্ষাত , - ।