পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৪ প্ৰবাসী-ভ্ৰাবণ, ১৩২৪ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৰাৱিরাশি ক্ৰমাগতই সৈকতে ধীরে ধীরে গড়িয়ে-গড়িয়ে সাধারণতঃ বৈষ্ণৰ কবিদের মধ্যে কেবলি নীহানা চুৰি এবং যশোদার তাতে প্ৰায় এবং শ্ৰীকৃষ্ণাকে বিচিত্ৰবেশে তাদের অনুষ্ট কলধ্বনি আমার কানে এল যেন সাজানো ইতাদি যোরো বাল্যলীলার কথাই পাওয়া আমারি কালে -কানে তারা আমার আনন্দে নন্দ জানিয়ে যায় । আাধাগ্নিক সাধনায় ইহার যত বড় মূলাই থােক, কাবা হিসাবে ইহার মূল্য অত্যন্ত কম যে আমার প্রাণের প্ৰিয় সে আমার পাশে নী লাথিয়াছে য়ে এই ভ্ৰাছাদনের নীচে সেই শীতল বাবে ঘূমিয়েছিল । হেরি নতি এনেতে পুস্থিত তাধি সেই স্তবতায় সেই শরতের চালোকে তার মুণ অ’ ক্ষেণে দলিহি নাই ?” আমার দিকে দুয়েছিল কিথা তার বাহুটি আমার বুকে জড়িয়েছিল—সেই তে ন মৰি তেৱে দিব গীর নী আমি সুখী হয়েছিলাম।” ময়ে কমন হেরি কৃষ্ণ কে পাথার বাতাস কর বা রোদে ৬ : মুখ মলিন দেখিয়া কষ্ট পাওয়ার সখ্যাসের বর্ণনার চেয়ে হাফেজ বা তি শোভিত ভো —- হুইটম্যানের সখারসের কৰ্ণনা যে অনেক বেশি নিৰি ও ইত্যাদি বাৎসলারসের গোলে৷ বৰ্ণনা সাহিতাহিসাবে । বাস্তব এবং আধ্যাকিও বটে, এটা বোধ হয় নিরপেক্ষ উচুদরের একথা কোনমতেই মানা যায় না। পাঠকমাত্ৰেই স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হইবেন না। এবং মাথের সম্বন্ধ শুধু ন-চান৷ চাহিবার এবং খাওয়াই তারপর বাৎসলারস । এ-রাসে অবং বাঙালীর জিং বার সম্বন্ধ নৱ— তার চেয়ে অনেক গভীর। Tennyso তাহা মানিতেই হইবে খৃষ্টানদেশের অ্যাটে মাঙোনা ও এর Ripab' বি.যে মাতৃত্বের ছবি কিরাছেন, স্বালবিও ছবিতে, Vicarious Motherhood এর সাধুন মাৱে যে কাচেরা আকুল ক্ৰন্দন সেই কাব্যে বাৎসল্যরসের পরিচয় পাওয়া গেলেও, :ে ন দেশেই বাৎসা তার বাৎস্য-প্ৰেম মনীছানা পাওয়ানো বাৎসল্য প্ৰেয়ে সের এমন একান্ত মাচুৰ্গা দেখিতে পাই না চেয়ে ঢের বড় । বৈষ্ণব কবিতার সাথ্যপ্ৰেম যেমন লার এই দিক্‌টা যথেষ্ট বিকাশ পাইয়াছে প্ৰেমও তেননি—ীবনের নিতান্ত বাইরে দিক্কার এ বলিতে হইবে । কিন্তু রায় রামানন্দের সঙ্গে - ত-বিষয়ে খনি অংশকে ত ["storal কাব্যের প্ৰশোরে মহাপ্ৰভু বাংলা-প্রোকে সখা প্ৰদের চেয়ে শ্ৰেষ্ঠ এ-কাণের বা নিতান্তই বাইরে স—ঐ একটু পাখা স্বান দিলেও, সাহিত্য বা শিয়ে থা বা কান্ত:প্ৰমের মত বাতাস করা, আহা ঐ ক, নীচীনা-থা বাৎসল্যপ্রোমের বিচিত্ৰ প্ৰকাশ হয় না যা শিথিপুস্থ দিয় চাৰ্যাগ – বা ঐ পৰ্যায়, তার প্ৰকাশ সংকীৰ্ণতর কেননা ইহার মধ্যে কোথাও কোন নয় মামা কবি oেwenty Patrore এর re অপষ্টতা নাই ; এ প্ৰেনে অভিব্যক্তির কোন ক্ষমপাকা কবিতার মা ! George Mlacdonaldএর ক্ৰমে-ক্ৰমে “ জানিতেছি, ক্ৰমে-ক্ৰমে পাইতেষ্ঠি, Bally" কবিতার মধ্যে বা Willian Blake এ Song এবং পাওয়ার মধ্যে নাপাওয়ার বেদনা এবং না-পাওয়া of Innocence এর মধ্যে আগব R. L. Stevenson মধ্যে প্ৰাপ্তির আনন্দ, ভোগে ত্যাগ, ত্যাগে ভোগ উপলব্ধি A Childs Garden of Verses এর মধ্যে যে করিতেছি—এসব রহস্য-বিচিত্ৰতা যাহা সখ্য বা মুগ্ধদপ্ৰমে পাওয়া যায় তাহ, মণ্ড বৈষ্ণব পদাবলী ঘাঁটিলেও আছে তাহা বাৎসল্যপ্ৰেমে নাই । বালক কৃষ্ণের বদনে যায় কি না সন্দেহ । Tennyson এর De Profundi দাও দেখানো প্ৰতি কতকগুলি রহস্তের অবতারণা মত শিশু জন্মের হস্তকথা বৈষ্ণবকবিতায় অাছে ।ি বৈদ্যাৰ কবিতায় শেষাশেষি দেখা িদয়াছিল বটে, কিন্তু রবীন্দ্ৰনাথের নাম করিবার জো নাই—কারণ তিনি প্ৰ ৪ৰ্থ সংখ্যা কবিতার নকল কহিয়া নাকি প্ৰতীক্ষা দেশে শী তাধিকাৰ গোপন প্ৰণয়ের একটা কাহিনী ইয়াছেন, কেননা প্ৰতীচ্য দেশের লোকেরা তাহাদের ক্ৰমশঃ জমিয়া ওঠে বটে। কিন্তু সেই কৃষ্ণকাহিনীর বিবি। দাব্যের নকলটা ধবিতে পাৱে নাই,—নহলে বলিতাম যে জয় কবিদের আবকাহিনী একেবারেই চাপা পড়িয়া যায়। ফাবো যে বাৎসলারস আছে- শুধু একটি কবিতা অন্যান্ত কবির জীবনের বিকাশ যেমন তাদের কাব্যায়ী জয়-কথা’র শিশুর আবিৰ্ভাবে অনিষ্কাচনীয় রহণ্ডের যে সাদ আছে—সমস্ত বৈষ্ণব পদাবলীতে তাহা অ লাচনা করিলেই ধরা পড়ে, তেমনিত বৈষ্ণবপদ কোথাও কৰ্ত্তাদের পদাবলী আলোচনা করিলে তাদের জীবনে বিকাশ কিছুমাৰ টের পাওয়া যায় না । তার প্রধান জা ছিলি মানার পুতুল খেলাঃ রাধাকৃষ্ণপ্রোমের কাহিনীটাকে আশ্ৰয় করিা তাদের তোয়ে আমি ভেবেছি বায়ু পৰি অ প্ৰকাশ করিতে হইয়াছে তুই আমার ঠাকুরো সনে দ্বিতীয় কারণ, ঐ কত গুলি তুমি কোটরে কোটরে তাদের পদগুলিকে গুজি বিধি পুর সিংহাসনে দেওয়া হইয়াছে—সুতরাং তাদের ভাবের ক্ৰমবিকাশ নিঃ কতিবে কে ? তৃতীয় কারণ, লোকের মুখে উঠেছিল এটি তুই দিলি দে’তো মত দিবাচে, পদকৰ্ত্তাদের রচনায় ভাবার এমনি বদল হইয়াছে যে, - সে ভাষার ভিতর হইতে বচনা ড়িয়ে চিলি সঙ্গে সঙ্গে কালনিৰ্ণয় একেৰায়েই এইজৱ বৈষ্ণবকবিদের ব্যক্তিত্বের আভাস টুকু দিয়ে ঘন টুকর ভাবে পাওয়া, যার মা ; ব্যক্তিত্বের পূৱাচো তুই প্ৰয়াতের আগে দেখিবার কোন উপায় নাই । বৈষ্কাৰ কবিতা বান্ধি নৰবাসী কবিতা হয় নাই এসেছি আনন্দ তারপর রাধাকৃকের গোপন প্ৰণৱে হয়ে আমার বুকে বিললি ? ঐ কাহিনীটি এমনি ঘোরতর যৌনসম্বন্ধের কাহিনী, যে, তাহার কা এইবার মধুৰ সেই আসা যাক রসের বৈষ্ণবকবিতা আলোচনার আগে একটি কামশাস্থে মামলা গোগানো ছাড়া উচ্চ মান-প্ৰেমে থা বলা দরকার যে মহাপ্ৰভু বিশেষ কোন মালমসলা জোগানো যায় না । চৈতsের পূৰ্ব্বেকার যুক্ত বিদ কবিতা | কেৰলি । যুৱ সৰ্ব্বস্ব—খা বাৎসল্যাদি কুমার সরকার তার নৰপ্ৰকাশিত “Lowe in Hind কবিতা তখন নিতাই কম ছি Liter, নামক গ্ৰ বিদ্যাপতি-প্রসঙ্গে বলিয়াছে সহজে সাধনা যার রসেরই বাড়াবাড়ি, অন্তরসের অ আলোচনা বড় The davali are the songs of deight in lিesh —পদাবলী কেবল ইন্দ্যিভোগের আনন্দের গান অন্ততঃ অধিকাংশ পদাবলী যে তাই উঠে এ বিষয়ে যোগ মেহে গাজী প্ৰণাম অঙ্গে - প্ৰশ্ন নাই । চণ্ডীদাস ইভিয়ালসার নিয়াম ছাড়াই এসব সোঁদা গেীরাদের আবিৰ্ভাবের পরে প্রোমের উচ্চস্বরাগ্রামে উঠিয়াছেন বলিয়া শোনা যায় এবং স্থানে স্থানে তিনি উঠিয়াছেন ও বটে, তবু ওঁর রচনার মধ্যে মাৰি অবশ্য পূৰ্ব্বারাগ, অনুৰাগ, খণ্ডিত ইগ্ৰিলালসার গান যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান হে প্ৰকৃতি যে-সকল ভাগে বৈষ্যৰ মধুসের পদা, স্বাক্ষপে নিলিখিত পদটি উদ্ধার করা বাইতেছে। বাজানো হইয়া থাকে, বৈষ্ণৰ সাধনা হিসাবে ভাৱ সাধাগ্ৰণেৱ পাঠ কাগজে সকল পাক্তি উত করা গেল না। সাৰ্থকতা আছে, তাহা আলোচনা করিতে চাই না । টা ঠিক যে সেই সব ভাগের হিত দিয়া কৃষ্ণ নাহি দেখি যাতে । “ দেব