পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩২৪ কারণ, স্পষ্টই দেখিতেছি যে, বৈষ্ণবের সখা মানে এ নয় যে জীবনের নানা সখাসম্বন্ধের মধ্যে সেই পরম সংখার সঙ্গে সখ্যরসের আদানপ্ৰদান করা । বৃন্দাবনলীলায় শ্ৰীকৃষ্ণের সখ্য হইয়াছিল, সেই পুরাণ-কথা শ্ৰবণ করিয়া যেটুকু সখা, স মনে উপজিত হয়—সেইটুকু পৰ্য্যন্ত তার দেী। বৈষ্ণ বের বাৎসলা মানে এ নয়, যে, অামাদের ঘৰে থৱে যে সৎ হিয়াছে তারি মধো ভগবানের বাৎসলার উপলব্ধি করা । বালগোপাল কৃষ্ণের বিগ্ৰহকে বৎসক্ষেপে সেবা করার দ্বারা যেটুকু বাৎসলারস মনে জাগে, সেইটুকু তার পৰ্য্যন্ত দোঁড় তার বেশি নয় । অাৱ মধু রস মানেও এ নক্ষ যে সকল বাস্তব যুগলসম্বন্ধের মধ্যে সেই অনাদি-অনন্ত নিতা সুগল সম্বন্ধকে উপলদ্ধি করা । শ্ৰীগৌরাঙ্গ যের অবতার বলিয়া তার মধো শ্ৰীৱাধিকা-ভাব ফুটিয়াছিল মান, আর কোন বৈষ্ণবের পক্ষে নিজেকে প্ৰাধিকা বল্পনা করাও hercy আর বাস্তব যুগল সম্বরে ভিতর দেিয় ঐ সের কোন উপলব্ধির কথাই নাই ; কারণ বৈষ্ণব সাধনায় বাবের সঙ্গে কোন নাই। “ সম্বন্ধই শুধু বৈকুণ্ঠের তরে বৈষ্ণবের গান “স্বৰ্গ হইতে ৰিদাহের বি সেই বৈষ্ণব সন্ধাৱাকে আমাদের মত “দীন বাসীদের” জীবনে জীবনে এবং জীবনের প্রতি-অভিজ্ঞতার মধ্যে অজস্ৰ বহইয় দিয়াছেন, এইখানেই তার কৃতিত্ব বলিয়া আমার বিশ্বাস । অতঃপর বৈষ্ণব তহের কথা অর কোন একসময়ে হইৰে নুতন চরের চাষী কুল থেকে ওই ধু দেখয়ে নুন-পড়া চর কেমন সুখে কাটায় তারা হোণায় যাদের মা ? চৌদিকেতে জলের মেলা পদ্মাবতীর প্রলয়-খেলা, মাঝখানেতে সবুজ-ভেলা যাচ্ছে যেন ভাসি ; কেমন সুখে কাটায় সেথা নুতন চরের চাষী ? [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সকাল বেলা সুবেিয় ওঠে নদীর জলে নেঙ্গে । সোনার ঢেউয়ে পাল তুলে যায় জেলে-ভিত্তি ধেয়ে । সিক্ত বেলার কাকে কাকে চক। চকী যখন তাকে ংস, মাল, সারস, সরাল, করে হাসাঁহাসি কেমন সুখে জেগে ওঠে নুতন চরের চাষী ? দুপুর বেলা : লেগে মুচ কে হাসে বালু বেগে ধানের শহর থেণে যেখানটাতে চালু বুনো বাউয়ে বা গেগে বেজে ওঠে বাণী লাল দুধে তিন চরের চাষী ! পারতে, ভাঙন-বৃণে কাজে , গাছের সারি—- সেথায় নেমে যি যথন গেয়ে আপন ৰাষ্ট্ৰী শেষ থেরাটি তপন ভিড়ে হেংগল-বনে গুহে উঠে যাবুই রাশি রাশি, নিয়ে মুন চরের কাজের খতম রাখলে লাঙল গর, অধৱ ক’রে ঘরে নো যায় আপন ছাওয়াল জা ঠিক তখনি চক্ৰবাকে চক্ৰবান্ধীর মিলন মাগে কণ্ঠে অহা পাড়ানি গীতের মোহন বঁাশী ত্ৰি মাসে মিয়ে পড়ে নুতন চরে চাষী শ্ৰী ি সন্ন দাসগুপ্ত মন্দালয় মন্দাল বা মণ্ডলে প্ৰথদেশের প্রাচীন রাজধানী। রাজা মিলুন দিন ১৮৫৭ সালে এই নগর প্রতিষ্ঠা করেন । ই রেঙ্গুন থেকে রেলপথে ৩৮৬ মাইল দূরে ই রেললাইন ১৮৮৯ সালে খোলা হয় । সুতরাং রেলষ্টেসনট পুরাণ অথচ ব্ৰহ্মদেশের বিশেষত্ব স্থাপত্যের কারুকাৰ্য্য ঐ বাড়ীকে ৪ৰ্থ সংখ্যা মন্দাল দেশের ধ্বংসপ্ৰাপ্ত শাখা। মচি ও মিজুন প’ষ্ট’ এই গীটার বাহিরের ব্যাস ১৮ ফুট ৬ ইঞ্চি ভিতরের করে ব্যাস শুৱা ফুকরের খণাই ১১ ফুট ৬ ইঞ্চি, বাহিরের গাড়াই টন বা ২১৮ - মোন । সুন্দর শোভন করেনি। ষ্টেশন হতে বাহির হলেই একটি শাস্তু সেন থেকে বাহিরে এলেই অনেক আমাছ গোল বাগান চোখে পড়ে পথের বঁা-ধাৱে ষ্টেসনের চোখে পড়ে সেগুলি সুপ্ৰসিদ্ধ ছোতে আমের বাগাত। নিকটেই ডাক-বাংলা তার কাছেই হাসপাতাল এই আন সে-দেশে সবাই খুব তারিফ করে আদর করে হাতা সুন্দর বাগান। থায়, অথচ ভারি সন্তায় বিকাছ—দুটাকা চারটাকাশ শহরটির আয়তন বেঙ্গুনের চেয়ে বড় । পুরাতন শহর রেঙ্গুনে ভারতবর্থের আম বিকায়, কিন্তু বড় মহাৰ্য্য , শুধু বা ডারিন-কেল্লা থেকে আর করে পশ্চিম দিকে নদীর লোকেরাই কিনতে পারে যাৱ পৰ্যন্ত এবং দক্ষিণে শায়ু ষ্টেন পৰ্য্যন্ত শহরটি বিস্তৃত । মণ্ডলে শহরে তরকারি-পাতি খুব সস্তা মণ্ডলেখা শায় ষ্টেসনটি মতলে মন্দালয় শহরের দক্ষিণ সীমায় খোড়ার পর থেকে ধান প্ৰভৃতি কপলের চাষেরও খুব সুবিধা সেখানে প্ৰসিদ্ধ মহামুনি-মন্দির বা আরাকান-পাগো হয়েছে মণ্ডলে থেকে চোব্ মাইল দূরে মদায়া নাম অবস্থিত । এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত মহামুনি বুদ্ধের প্রকাও জাগা থেকে নানাবিধ তরিতরকারি ফলমূল শাঙ্কস মূৰ্ত্তিটি আরাকান দেশ থেকে ডাঙ্গা-পথে ১৭৮৪ সালে প্ৰাণা পান সুপারি নিত্য মওলোতে চালান আসে। ব্ৰহ্মদে বোদও পায়া আনিয়েছিলেন তাই মন্দিরটি নামে সেই মদায়া চাল সুপ্ৰসিদ্ধ । মণ্ডলের মাঝ অঞ্চলে সদয় বাজায় ঘটনার স্মৃতি জড়িয়ে গেছে । জাফরিন কোর উত্তরে ও সেখানে ব্ৰহ্মদেশের বিশেষত্ব-স্বচক সুন্দর কাঙ্ককাৰ্য্যা পূৰ্ব্বেও দক্ষিণের মতন শহরতলী আছে । সমস্ত শহরে কাঠের বাৰু৷ কোঁটা, বেতের চেয়ার কোঁচ, রেশমের আয় ছাব্বিশটি জায়াৎ, কিয়া, পাগোড়া ও সমাধিমন্দির সোলার ফুল, গালা-করা জিনিস প্রচুর পরিমাণে বিক্ৰয় হয়। আছে । এইগুলির কাল্প-কাৰ্য্য ও শোভন আকৃতি শহর এই সমস্ত দোক্‌ানেই সুন্দী যুবতীয়া রেশমী পোষাকেয় টকে ঐসম্পন্ন করে রেখেছে। রঙের বাহাৱেঁ দোকান অঁালো করে জিনিস বেচে ।