পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী শ্ৰাবণ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড নবাবজাদা তীক্ষ সমালোচনায় দৃষ্টিতে পিতামহের ছবি সেদিন সন্ধা থেকেই আকাশ মেধে ছেয়ে ছিল, রাৱে দেখছিলেন, তিনি একটু হেসে বললেন “শুধু ৰূপ সমান বড় বইতে আৱম্ভ হল নবাব বাড়ীর পুরানো আগাছা লো হয় না আমিনা, কপাল জোরও সমান চাই । এই ভরা বাগানে শুকনো পাতার ঘুণি নােচ সুর হয়ে গেল দেখ খাননা, তুমি যদি বা চোখের মায়া তাগ করতে বাজী হলে, আর তাদেরই সহচরীর মত একটি লিনা তস্কণী-বিয়ে তা তোমার বিদ্যেটা নেই, আর যদি বিদো-ওয়ালা কোনো লোক পাওয়া যেত তা হলে সে কখনই ছবি বানাবার মুখে সেই বাগানের ঘাসে ঢাকা পথের উপর দিয়ে দ্ৰুত । আমােৱ ফেলে বেরিয়ে গেল । উড়ে যাওয়া -শুকুনো পাতারই মন্ত জা চোখ খোতে চাইত না ।” তার আর কোনও চিহ্ন পাওয়া গেল না আমি আবার হাসির লহর তুলে বলে “যদি লোক (২) ফোটে তা হলে তাকে কি বকশিস ধাও ?” বুড়ো রহমতের মতে আগ্ৰায় এবার যেমন শ্ৰী নবাবজাদাও হেসেই বললেন “সৰ । পড়েছে, তার এই সাটু বছরের জীবনের অভিজ্ঞতায় যে সেদিন গভীর রাতে, উৎসবের দীপের মালা নিজে আর এমনটি দেখেনি সেই ঘাট্‌ বছরের বে ক-বছর সে যাবার পর চম্পা নিজের ঘর ছেড়ে, সেই প্ৰকাও আঁধা আগ্ৰায় কাটিয়েছে তার প্রত্যেক বারেই এই মতটা প্ৰয়া ধান পার হয়ে বুড়ী পায়ার ধরে চলল। সেদিন কি করাতে তার মতের মূলা তার নিজের কাছে ছাড়া আর জানি কেন বুঢ়ী পায়ারও চোখে ধুম ছিল না । । হয়ত বা সবার কাছেই একটু কমে এসেছিল । বাবাড়ীর পুরানো তালাবন্ধ ঘৱ গলবার সঙ্গে-সঙ্গে তারও মনের কোনো ভুলে-যাওয়া। কুঠরীর আগ সকালে তার উঠতে একটু বেলা হয়ে গিয়েছি, দরজা খুলে অনেক-রকম আক্ষেপেক্তি করতে করতে যাতে * পিয়েছিল। যে িদন সে নিজের িনটাল ৰূপ যেন নিয়ে শীরখানা দরজার কাছে টেনে এনে বহির এই বীতে সেই হাৱানো দিনগুলোর িদকেই চুকেছিল, অবস্থাটাকে পরখ করে নিলে, তারপর নিজের জীৰ্ণ খাই মন তার জয়ার বন্ধন খসিয়ে ফেলে ছুটে যেতে চাইছিল। থানাকে টেনে বের করে আগ্রামে তামাক সাজতে বসল। চম্পাকে ঘরে ঢুকতে দেখেই বুঢ়ী জিজ্ঞাসা করলে “কি তার অডার লোকদের আজ আসতে বড় দেরি হচ্ছে, নাতনি, এত রাতে যে ?” বুড়োর অঙ্গুরী তামাকের লোভে এখানে চম্পা বললে, “আলি, নবাব জাহান আলি খাঁর ছবি যে লোকের অভাব হয় না। তামাক টানতে টানতে তাদের বানিয়েছিল, তার ছেলে কোথায় গেল ?” সঙ্গে নিজের পুরানো মনিষ মাষ্ট্ৰীয় আৰ্মীরিয়ানা গল্প কয়াই বুঢ়ী অবাক হয়ে চম্পার দিকে তাকিয়ে বললে, “তার ছিল বুড়ো রহমতের নিত্যকৰ্ম্মপদ্ধতির প্রথম কৰ্ম্ম খোজে তোয় কি দরকার ? তার কাছে সেলাই শিখবি আঙিনার মাথান অবধি রোদ এগিয়ে এল , নাকি ? অমন কথা মনেও করিসনে হাসে যা ৭। বেগা নেই। ঐ যে শিকলটা নড়ে উঠল, এৰী । নেয় বছরের তার চোখ থাকে না বেগম-সাহেবা তা হলে দলের লোকগুলো আসছে । বুড়ো থাটিয়ার উপ কে যা শিখিয়েছেন তাই চের, অতথানিই বা কটা লোক জমিয়ে বসে চোখ বুজে সেই সাবেক কালের গড়গড়া গে জানে ? বুড়োর ছেলে রহমত ত শেষে কাণা হবার ভয়ে দুটো টান লাগালে -কাজ ছেড়ে দিলে, দিয়ে দোকানপাট বেচে অপ্ৰাব চলে সদর-দরজাটা অন্তে আস্তে খুলে গেল, আর একজন গেল। কাশিমের মা বুড়ী, সে দিন আনায় বলছিল যে কে ভিতরে এসে দাড়াণ তার বন্ধুদের ভদ্ৰতা ৰাণা কাশিম ও-বছর আগ্ৰায় তাকে দেখে এসেছে । ও কি কোনোদিনই বেশী ছিল না, তাদের কাউকে এমন ধীয়া নাতিন চললি নাকি ?” গতিতে আসতে শুনে কিছু আশ্চৰ্য্য হয়ে বুড়ে ফিরে চাইলে চম্পা একবার হাতে জড়িয়ে ধরে আবার বুঢ়ীকে দু হঠাৎ তার ফোটরে চােকা চোখ বিশ্বরে িঠকৰে েবয়া খুনি ছেড়ে দিয়ে বললে স্থা আরি, মাসি তবে । আসবার জোগা হল। শাদা গোঁফদাড়ীতে একো চোখের আলো কা, ময়লা-চাকানপত্ৰ বন্ধুমুক্তির বদলে এ কে তৰুণীর মুখে একটু হাসির আভাস ফুটে উঠল, সে দিছে ? বুঢ়া-বয়সে চোখের ভুল নাকি ? আর-একবার বললে, “আমি টাকাকড়ি কিছুই তোমার কাছে চাইছি না, লাল করে আকিয়ে দেখলে না, ভুল কেন হবে, ঐ ত আমার সে-কন অভাব কিছু নেই। আমি তোমার কাছে শষ্ট দেখা যাচ্ছে ফিরোজা রঙের ওড়নাতে সৰ্ব্বাঙ্গ ঢেকে রির ছবি তৈরীকরা শিখতে এতদূর এসেছি, এই আয়ার পাতলা একটি নেয়ে ডাগর চোখে তার দিকে ভিক্ষা, আর কিছু না ।” বে রয়েছে একি বিশ পঁচিশ বছর আগেকার একটা মেটো টাকা চায়না শুনেই বুড়োর মন খুী ৱে নি হাওয়ায় উড়ে এল নাকি ? তখন ত এইরকম কত উঠেছিল, তার উপর ত্ৰিয় কাজ শেখানো । পৃথিবীর কীৰ্ত্তি নবাববেগমের দুতী হয়ে তার ঘরের দরজায় আর-সব জিনিষের চেয়ে সে নিজের ঐ কাজটিকে ভাল সাড়াত। কি আপদ মেয়েটা যে নড়েও না, কথাও বাসুত । নেহাৎ চোখ যাবার ভয়ে কাজ ছেড়ে দিয়েছিল বটে, না, ঠিক ছবির মত দাড়িয়ে আছে । এমন অবস্থার কিন্তু বিচ্ছেদের কষ্টটা তার কিছু কম হয়নি । তায় বে করা উচিত তা হমতের তখনও মুমঘোরাচ্ছন্ন প্ৰিয়তমার স্বৰ্ণময়ী কান্তি অহরহ তার মনকে টানত , এক কিছুতেই চট্‌ করে কছিল না। বা চোখে ময় তার মনে হত চোখের মায়া ছেড়ে দিয়ে আৰায় সেটা বাস্তবিকই মানুষ কি না সে বিষয়ে তখনও তার হাতেই ধরা দেয় তারপর যত দিন যেতে লােগ, তাঁর সন্দেহ যায়নি ততই পুরানো স্মৃতি মিলিয়ে আসতে লাগল, এখন সে হটাৎ তার কানে একটা কোমল গলার স্বর এসে দিবি পাড়ার ছোটলোকগুলোর সঙ্গে মিশে ছোটলো ছিল এই কি রহমত আলি ধাড়া ? হয়ে অাছে। সে যে নবাব জাহান আলি খাঁর পেয়াহে যাক, তা হলে এটা মানুবই বটে, কথা বল্‌ছে যখন কারিগর ছিল তা কি এখন তাকে দেখে কেউ যুদ্ধে না হাফ ছেড়ে বললে, “হা, আমিই রহমত। তুমি কে, পারে ? কোপা থেকে আসদ্ধ ? কিন্তু এতকাল পরে আবার কোথা থেকে তার হারানো উত্তরে শুনলে, “আমি চম্প, নবাব বাড়ী থেকে আসছি আবার নবাববাড়ী ! আজি দেখছি নেহাতই তার মাথা ীেবনের দূতী এসে হাজির হয়েছে । একে ত ফেয়াতে বিীপ হয়েছে, তা নাহলে হটাৎ এতকাল পরে নবাব বা তারা যায় না । আধুরী তামাক উপেক্ষার অভিমানে নিজে কে একটা মেয়ে এসে কখনও হাজির হয় ? আচ্ছা পুড়ে ছাই হয়ে গেল, বুড়ো তথন ৰাই বাক না কতদূর গড়ায় সে জিজ্ঞাসা করলে কৌশল বোঝাতে ব্যস্ত । স্থা তুমি কি চাও, কে তোমায় পাঠিয়েছে ? কিন্তু ও-কাজ ত একদিনে শিখবার নয়, আগে অনেক কেউই পাঠায়নি, নিজেই এসেছি , তোমার কাছে রাস্তা পার হতে হবে তারপর তীর্থের সন্ধান মিলুষে জীর একটি ভিক্ষা আছে বুড়োর বাড়ীতে কেউ নেই, সেখানে থাকা চলে না । কুী এতক্ষণে বাপা বোঝা গেল, চুড়ি ভিক্ষে চাইতে ফাতেমা রহমতের ঠিকা কি, তাকেই অনেক খোসামো তা ছেলেমানুষ, তাড়াহুড়ো না দিয়ে ভাল কথায় করে টাকা-কড়ির লোভ দেখিয়ে চম্পা তার খোলায় যে দিয়ে বিদায় করা যাক তা দেখ বাছা, এমন বাড়ীতে একটুখানি জায়গা করে নিলে কিছু মেলে দেখছই ত বুড়ো মানুষ, তিনকুলে কেউ তারপর একট-একটি করে দিন কেটে যেতে লাগল। যেই নিজেকেই চেয়ে চিন্তে খেতে হয় ; এত যে বয়েস চম্পার সারাদিনটা রহমতের বাড়ীতেই কাটুত ছে তবু একটা কি চাকর রাখি এমন ক্ষমতা নেই, অ্যাদার ছবি এখনও আরম্ভ হয়নি, রহমতের সব পরীক্ষা খেয় দিনে মুখে কেউ এক ফোটা জল দেবার নেই। এখনও সে জয়লাভ করেনি মখমলের বুকে বিয় মাদাৰ ওধারে অনেক বড়লোকের বাড়ী, গেলে তারা সুতো িদয়ে লতা, পাতা, ফুল, পাখী আঁকতে অঁাকতে ইফিনাকিছু তোমার দেবে তার মনটা মাঝে মারে অবাধ্য হয়ে তার সেই চিরপরিচিত