পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩২৪ [ ১৭ ভাগ, ১ম খণ্ড বাকীতে গিয়ে হাজির হত- সেই অন্ধকার দালানের চম্পা সঙ্ক্যেবেলা প্ৰদীপ জেলে আমার কাজ আরম্ভ করলে সামদেৱ থয়, আর দৰাৰজাদা সেই ছে’ফা ফুলের মালার কিন্তু ভিতরের আলো যায় নিয়ে আসছে, তাকে বাদীপে, হাটের মধ্যে বাড়িয়ে, আর ঐ যে সামনে মৃত নবাবের ছবি কতগণ আলো জোগাবে সেদিন উত্তরের হাওয়া দরজায় দরজায় শীতের আগমন রহমতে কৰ্কশ কওঁ তাকে আবার আগ্ৰায় ফিরিয়ে বার্তা ঘোষণা করে বেছিল চম্প ঘুম থেকে উঠে জানুত, চম্কে উঠে সে আবার কাজে মন দিত একবার বাইরে এসে চারিদিকে তাকিয়ে লেখলে । আজ এমনি করেই এক বছর কেটে গেল, তারপর চম্পার আর হাটবার ক্ষমতা নেই, বহমতের বাড়ী যাওয়া হবে না, শুভদিন দেখা দিলে তার তৈরী তাজমহলের ছবি বাড়ীতেই কাজ করতে হবে। যমুনার নীল ধারা তার চোখে কুড়ার তারি পছন্দ হয়ে গেল। এই ত ঠিক কারিগরী পড়ল, চম্পার মনে হল, এই ক-দিনের অদেখাতেই ীি মা ! এৰা চপা নবাবজাদার ছবি বানাতে পারবে, হেন তার কাছে অপরিচিত হয়ে পড়েছে, আর নতুন পরিচয় এখন চোখ থাকলেই হয় করা সময় নেই চম্পার বুকের ভিতর কেঁপে উঠল। চোখ যে তার ছবি প্ৰায় শেষ হয়ে এসেছে, অঙ্গ অার কালের তাড়া থাকতেই হবে যেন করে হোক রাত্ৰে কাম করা সে নেই, দুপুৱে বসলেই হবে । তাই চপা গাড়িয়ে-ড়িয়ে ছেড়ে দিলে, দিনের বেলা যতক্ষণ আলো থাকৃত ততক্ষণ নিজের অনেক-কালের উপেক্ষিত সাথীদের চোখে দেখা কমনে সে কাজ করে বেত । যখন দিনের আলো৷ নিতে দেখে নিছিল । কারো যেন আজ হাসিমুখ নেই, সাই আসত, তখন চুপ করে চোখ বন্ধ করে আঁধার ঘরের তার উপর অভিমান করে মুখ বিষ করে আছে । বাস্তা কোণে পড়ে থাকত চোখের দৃষ্টির সবটুকুই সে এক ধাৱে শিশুগাছের পাতা চোখের জলের মত বিশ্ৰাম করে জায়গায় দান করে ফেলেছিল, পৃথিবীর আর কোনে পড়ছে তয় বাতাস তাদের উড়িয়ে নিয়ে চলেছে । তার ভাগ দিতে সে পারত ন যমুনারও আজ সুখ অীধার দিনত যেতে লাগল, চম্পায় সম্বলঙ তত বিয়ে চম্পা দাড়িয়ে সেই রাতের কথা ভাবছি, থ লাগল, বুঢ়ী ফাতেমা এখন মাঝে মাকে টাকা করে মুখে আম্বন্ধের বাড়ী ছেড়ে চলে এল নিয়ে বচসা করে। যার খাওয়া-পরার সংস্থান নেই বুঢ়ী ফাতেমা এতক্ষণে কোটা ঘরের কোণে হেৰে তার রোজ রোজ অত করে সাদা দি কেনা কেন ? কাণতে কাশতে হমতের বাড়ী কাজে চলল, চম্পাও বয়ে সেলাই ত টো জরিতেও করা যায় চম্পা রাত্রের চকল খাবাৱে পাট তুলে দিলে, জরি সাজাই থেকে গে দুপুর বেলা বাড়ীতে একমনে কাজ করে যেতে লােগ এত করেও বি. শেষ রক্ষা হয় না অনাহাৱে বিশেষ হয়ে গেলে আর আগ্ৰায় থাকার কোনো পটু দেহ তার ভেঙে পড়তে লাগল, সেলাইয়ে একদিন নেই। আয়োজনও যাবার সে সব ঠিক করেই দেখেছিল। একটা ভুল করে ফেলাতে রহমত এমন ভাবে তার দিকে আছা, আজকে সন্ধাটা কি খুব শিগগির খনি তাকালে যে চম্পায় বুকের রক্ত হিম হয়ে এল । রহমতের আসছে, ঘরের ভিতরের আলো বলে এল যে ! কিন্তু এই আশঙ্কা যুক্তি এবার কাজে খেটে যায় চম্পা ক্ৰমেই ফাতেমা ঘেয়ে গেল। তবে বোধ হয় আকাশে যে হতে পারছিল যে তার চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসছে, কয়েছে দরজা কাছে এসে চম্প একবার উপর দিকে কিন্তু সে এই ধারণাকে কিছুতেই আহিল দিতে চাইত না আকাশে মেঘের চিংমাত্ৰ নেই, যেন কা অগ্রহীন নীল চোপ তীব্র দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে । কিন্তু আর যে ঠেকিয়ে রাখা যায় না, দিন পুরেও যে সোনাল বিয় আগুনের ফিনকি যত বা তার েচাখে তবে কি ? এ কি তাই নাকি ? এই শেষ ! কি এ ঘোলা হয়ে ওঠে। এখনও যে ছবির অনেক বাকী যে নবাবজাদার চোখে সেই মধুর হাসিট ফুটে ওঠেনি। ৪ৰ্থ সংখ্যা] চোখের অালো চম্পাৱ সমস্ত শরীয় থর করে কাপতে লাগল, এই যা হোক। স্থা গ, এখন বোসোনা একটু তোমাৰ নাৰ ফটুলের জন্তে তার সারা জীবনের সাধনা বিফল হয়ে দের বাড়ী ঐ ত দেখা যাচ্ছে, ঐ শাদা পাথয়ে চুকাল যাবে? তার অবসঙ্গ দেহ মেজের উপরে লুটিয়ে পড়ল বাড়ীখানা ত ?” জান ফিরে আসতেই সে উঠে সল সামনেই ঐ ৰে কুবতী মাথা নেকে ইসারায় বললে—“হঁ৷ ” চার প্রিয়তমের ছবি, সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর, কেবল চোখের বৃষ্টি “তবে অার কি । ও জা কত এখনও শূন্ত অৰ্থহীন । নিজের জীবন বলি নিয়েও কি শেসে আধিকোশ বড়জোর। রো, উঠলে বাকীপখাটা বাবে ই হবে ? চম্পা প্ৰাণপণ শক্তিতে উঠে বসা, ঘরের এখন, তার আগে ত আর লোকজন উঠবে না এই গীতে ভিতরের আঁধার ক্ৰমেই নিয়ে আসছে। সে ছবি নিয়ে দিনে এখন একটু বােলো বাপু, হাতপাতলৈ এই জার কাছে এসে বসে পড়ল সোনালী জরির সুতো ছিলোক । মিছাতের মত কালো মখমলের গায়ে খেলে যেতে লাগল এই মাঠের মাঝখানে একজন নবাবশেষ েক মে হোলিভরা চোখের ছবি সে বুকে করে এত পথ বয়ে কাল অাগে সাথ করে এক ফলের বাগান নেছিল তাকে এই মখমলের বুকে যে রেখে যেতেই হবে- বাগানের আর সবই লোপ পেয়েছে, কেবল বাকী আছে। বে েসই মোহন হাসিটি নবাবজাদার মুখকে আলোয় স্তরে গোটা-কয়েক ব-ব আমগাছ, আর মালীয় গৱে বিী চম্পা একবার ছবির দিকে তাকালে, মুহূর্বের অস্থিপঞ্জর সেই গাছের তলায় বুী তার কে তার চোখের সামনে সোনাণী আলোর ঢেউ খেলে নিয়ে এসে হাজির করলে । গে, তারপর সব আঁধার । বুড়ী বসেই আবার মুখ ছোটাতে সুক্ত করে দিছে, হ্যাগা বাছ, ফাতেমা বুড়ী যে আমার আসবায় জাগে

  • তখনও তোর হতে দেৱি আছে। পূবদিকের আকাশ বলেছিল যে তোমার বেশ টাকা-কড়ি আছে, তুমি মৰা

ৰেলর হয়ে উঠছে, তবে রাবির অন্ধকারের নিবিড়তা বাড়ীর মেয়ে, তুমি তা হলে এত পথ ইট য়ে গিয়ে তারার স্নান আলো মাঠের উপর ছড়িয়ে কেন ?” একটা পাংলা কুয়াসার আবরণ এখনও অন্ধ চম্পা এতক্ষণ তার দৃষ্টিহীন চোখ দিয়ে যেন বীয় মুখে আধ-ঘোমটা দিয়ে রেখেছে। এই ফিরে-পাওয়া জন্মভূমিকে চিন্‌বার চেষ্টা করছিল। বুী মাঠ মাঝখানে সরণপথ ধরে দুটি মানুষ আস্তে আস্তে কথায় সে তার দিকে মুখ ফিরিয়ে বলে টাকা এগিয়ে চলেছে। সেই কুয়াসাঘেরা মাঠে আর কেউ সবই ফুরিয়ে গেছে । আমি ত নবাববীয় মেয়ে না কোথাও নেই, একটা পাৰ্থীর চাকও কানে আসে না। দাসী । শ্ৰীলোক, একজন বৃন্ধা, আর একটি তৰুণী কি “দাসী ? তাই বলো, আমিও ত তাই ভাৰি যে নৰাৰ লিৰ সহজে বোঝা যায় না। বুঢ়ী একহাতে একটা বাড়ী মেরে নাকি এমন ছিৱি ! আহা গা তোৰা য়ে আর একহাতে মেয়েটির হাত ধরে পথ চোখ খোয়ালে কি করে ? লছিল, তার মুখে স্পষ্ট বিরক্তির চিচ্ছ । তরুণীর মুখের তকী একটু ক্ষীণহাসি হেসে বললে “চোখ জানা পর ঐ চারপাশের কুয়াসারই মত কিসের যেন এক দেবতাকে দিয়েছি মা ।” হাসি মিলোতে না মিলোতেই বরণ পড়ে গিয়েছে, তার মুখ দেখে কিছুই বোঝা যায় তার দৃষ্টিহাৱা চোখ থেকে জল করে পড়ল। একহাতে সে সযত্নে নিজের বুকের কাছে কাপড়ে “আহা, তা বাবেই , কঁদবেই ত জানো কি একটা জিনিস ধরে রেখেছে চোখ যাওয়া কি কম দুঃখের কথা ? আমার পিটারস বুী হটাৎ ভাঙা গলায় বলে উঠলে এখনও ত বাত বছর বয়সে চোখ কাণা হয়েছিল, ছোৱাল না, আর পাৱা যায় না। আচ্ছা কাজ নিয়েছি মানুষকে গাস দিয়ে তছাড়া কতো । তোমায় । এৰি