পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যােগী এৰা,

শৰ য়াখতে নেই ; আজ লিঙ্গই শেষকালে খাওবাহন ফেলিয়া িদল এবং ধীয়েদের পিঠ ও মায়ে কোলের মাৰ - -- দিয়াদেী মনে হইল মায়া তঁহাদের একমাত্ৰ সন্তান , ধীয়েনের আন্তরিকতা ও আগ্ৰন্থ গল্প শুনিতে মায়ার তা খানে ঠেলিয়া শুই পড়িয়া মাকে আদেশ কলি—আমার দেই এই অগাধ সম্পত্তির অধিকাৰী হইৰে ; বহু অনাথ ভালো লাগিতেছিল না। বতাকে নোটীশ না দিয়াই শ্ৰোত্ৰী গুণ গ্ৰাহ করিয়া বলিলেন-ও আর আমাদের কি বড় ঘুম পেয়েছে, আমার পিঠে হাত বুলিয়ে দাও ৱে সৰ্ব্বনাশ কৱিা সঞ্চিত, অশ্ৰ-শ্বাসে কলঙ্কিত গল্পের মাঝখানে হঠাৎ উঠিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া ফয়বে ? গিরি মায়া পড়ে গেছে—নি ঘ দয়াদেবী মেয়ের মনে তাৰ বুদ্ধিয়া দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া অভিশপ্ত এই সম্পত্তি দিয়াই তাছাকে তাছার পিতায় সমস্ত আসিল, এবং অভিমান ভরে মায়ের ঘরে কিয়া দাদেবী শোয়ান, নিজের সামনে বসিয়ে খাওয়ান ; ওষুধ খেতে চান তাহাকে কোলের মধ্যে টানিয়া লইয়া তাহা সৰ্ব্বাঙ্গে দেন্ত, পের প্রায়শ্চিত করিতে হইৰে ; অতএব তাহাকে এমন চিন্তায় বাধা দিয়া বলি-মা, আমার ধুম বুদ্ধি পায় না, না, ধীনে দিলে তবে ধান । এখন ত কে সরানো চলবে সানার স্পৰ্শ বুলাইতে-লাইতে বলিলেন --সন্ধো বেলা ফাট সুপাত্ৰে সম্প্ৰদান করিতে হইবে, যে বাহিতের দরদ খিদে বুদ্ধি পায় না ? না। গিৰি সৱলে কি একটু সারলে তখন যা হয় করলেই ঘুম পেয়েছে কি ? খাবিনে ? বিযে, যে শ্বশুৱে অত্যাচারে অৰ্জিত সম্পত্তি প্ৰস্তাদের দয়াদেবী মেয়েকে কাছে বসাইয়া চুপিচুপি জিজ্ঞাসা মায়া ঠোঁট ফুলাইয়া অতিমান ক্ষু স্বরে বলিয়া উঠিল-- দ্বিত মাস বলিয়া মান্য করিয়া প্ৰজাহিতেই তাহাকে নিযুক্ত কবিলেন—দাৰ্থ মায়া, হেনকে বিয়ে কবি ? ধীরেন তাহাদেৱ বীতে থাকিবে নিয়া মাৱা খুব না, আমি খেতে চাইলে । তুমি আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে নিজের বিলাস চরিতাৰ্থ কবিৰাৱ । মারা মায়ের আ র মেয়ে ; নূতন খেলনা দেওয়া ল। কিন্তু দুদিনেই সে বুলিতে পারিল যে এ ঘুম পাড়িয়ে দাও বে না। চারিদিক হইতে যে অবস্থা ঘনাই উঠিয়াছে প্ৰস্তাবের মতন বিবাহের প্রস্তাবে উৎফুল্ল হইবা বলিয়া তাহার সে বীরেন-দাদা নহে তাহার সেই অংগেকার দয়ালেী বলিলেন—বাবা বীরেন, মোহিনীকে বলত, হাতে ৰীয়েস্ত্ৰে সঙ্গে মায়ার বিবাহ দিতে পাতিলে সব উঠিল—করব মা ! কিন্তু ধীরেন দাকে তোমার কাছে শু তে উল্লাস চঞ্চলতা নাই, মায়াকে দেখিলেই সে আগেকার মতন বামুন-ঠাকুরকে বলবে মায়ার লুচি ভেঙ্গে এই ঘরে দিয়ে জিায় থাকে এই কথা মনে হইতেই দয়াদেবী মুখ দেবো না কিন্তু ; আমি একলা তোমার কাছে শোক । তাহাকে দুইহাতে লড়াইয়া ধরিয়া হাসে না, সে একলা মুখ যাবে ইয়া উঠিয়াই আবার চিন্তাকুল হইয়া পঢ়িল। যদি বীরেন-দা পাশের ঘরে শোৰে । জা করিয়া বসিয়া থাকে আগে সে যাচিয়া গল্প শুনাইত ধীরেন উঠিয়া বাহির হইয় গেল-অমনি নায়াও তােক যায়াবা বীরেন্দ্ৰকে জামাই করিতে অস্বীকার করেন । মা হাসিয়া বলিলেন—তাই হৰে। কত জল করিয়া হাসাইত, এখন অনেক সাধ্যসাধনা না করিয়া লাফাইয়া উঠিয়া চুটিয়া সাহির হইয়া গিয়া ধীয়েদের দেবীর মনে হইল একবার স্বামীকে অনুরোধ করিয়া মায়া খুনী হইয়া এক ছুটে বাহির হইয়া গেল । ধীয়েনে দিলে তাহাকে দিয়া গঃ ধলানো যায় না। গল্প শুনিয়া হাত চাপিয়া ধরিয়া এক নিশ্বালে বলিল – বীরেন-দ, আমাৰ স্নবিদ। কিন্তু তিনি যদি এই প্ৰস্তাবে কুদ্ধ হইয়া বীরেনের গলা দুই হাতে জড়াই। ধরিয়া বলি-বীরেন। ভাই, মা হাসিয়া ফুটিকুটি হইলেও, যে গল্প বলে তাহার থে পড়বার ঘরে এস, আমা গল্প বলতে হবে কোনো অনিষ্ট করিয়া বসেন ! দয়াদেবী ভাবিলেন তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হবে, না বলে ! আজি থেকে তুমি হাসির একটি রেখাও ফুটে না, ইহাতে গন্ন শোনার আনন্দ কাপোকা যেমন করিদা তেলাপোকাকে টানিয়া লইয়া আমার বুকে বাসা বাধিস্থাছে—যে-কোনো মৰ্তে আর মায়ের ধরে তে পাবে না, আমি একলা মায়ের কাছে মায়ায় মনে জমিতে পারে না। । মায়া এখন মায়ের ও যেন যা, মায়া তেমনি কবিতা ধীয়েনকে টানিয়া লইয়া পেল । আমার গলা টিপিয়া মারিতে পারে এমন অবস্থাতেও পদ্ম হইয়া পড়িতেছে ;-মা সৰ্ব্বদা বিছানায় পড়িয়াই ধীরেনকে একখানা চেয়ারে বসাইদা, আর-একথানা চেয়া স্বাধী আমার একটা অনুরোধ রাখিৰেন না ? কিন্তু (৮) তাহার সামনে টানিয়া অনিয়া তাহার কোল ঘেঁসিয়া নিজে কাছেন, মায়ার নাওব্লা-খাওয়া তিনি আর আগের মতন ধিৰে যে তাঁহারই বা ভরসা কিলে , বড় রাণীর সন্তান মায়া জনে জনে এই খবর এমন উৎসাহের সহিত দিলে দেখিতে পারেন না, যা করে তাহার কি মোহিনী বসিয়া মায়া হুকুম কৱিল—সেই রাকোস না খোজোদের রাই বলিয়া যে স্বামী গ্ৰীৱ অঙ্গল উপেক্ষা করিয়া শুনাই৷ বেড়াইল যে তাহা তাহার বাবার কানে উঠিতেও যাকে সে কখনো একলা পায় না ; মা আজকাল ধীনেকে গল্পটা বল রাঙ্গ বিবাহ কতিতে যাইতে বিলম্ব হইল নী পারিয়াছিলেন এবং গুণময় কাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করি লইয়াই ব্যস্ত এজন্য তাহের মনের মধ্যে রেনের উপর দম-দেওয়া গ্ৰামোফোনের মতন ধীরেন একটানা বলিয় ৰঙ্গে বরণ কৰিয়া ধরে তুলিতে হুইবে বলিয়া দুঃখে নে—হঁ্যা রে মায়া, বীরেনের সঙ্গে তোর বিয়ে হবে কে বা ? হিংসা ও বিক্তি একটু একটু কবিয়া মিয়া উঠিতেছিল । যাইতে লাগিল—এক যে ছিল ব্ৰাহ্মণ, সে যাবে দেশ জীয়ে বড় রাষ্ট্ৰ আত্মহতা রিলে যে স্বামী সী হইয়া মায়া ভয়ে-ভয়ে তাহার উচ্ছসিত সহস্ৰ কথা দমন কৰিয়া এই সঙ্গীীন বাড়ীতে বীরেনকে পাইয়া মায়া একদিকে কতে গেছে, ৰেশ গেছে, এম্বোরাণী ভাগিামানী শুধু বলি-মা যেমন উৎফুল হইয়া উঠিয়াছিল, অনাদিকে তেমনি বিরক্ত দাদেবী একাকী বিছানায় পড়িয়া-পড়িয়া ভাবিতে জহির দিয়ে গেছে, এ ত তার পরম ভাগ্য গুণময় শুধু একটা “স্থা করিয়া চিন্তার মবোৰ ছিলেন বীরেন ও মায়ার কথা মায়া বীরেনকে বেণ গোলমালটা চুকে যাওয়ার পর গেলেই ভালো হত দিলেন। মায়া বােপকে যমের মতন ডরাইত ; সে বাবাকে একদিন সন্ধ্যাবেল বাবার সঙ্গে গাড়ীতে করিয়া হাওয়া ভালো বাসিয়াছে, কিন্তু মায়ের ভালোবাসার এতটুকু ভাগ ী মাৰীৰে তাহার মৃত্যুর জন্য কিছুমাত্ৰ ব্যথিত হইবেন গম্ভীর হইতে দেখিয়া সেখান হইতে অস্তে আস্তে সৱি যাইবা ফিজিয়া আসিয়া মায়া মায়ের ঘরে চুকিয়া দেখিল দেওয়া সে সহিতে পারে না, তখন তাহার মধ্যে চুয়াশা দয়াদেবী করিতে সাহস পাইতেছিলেন না । এই সরিয়া একটু আড়ালে গিয়াই দোঁড়িয়া পলাইয়া গেল।

  • ীনে তাহার মায়ের কোলের কাছে বসিয়া একখানা বই বাপের হিংস্ৰতা ফুটিয়া উঠে । তাহার ধাপ ধীরেনকে মা । তিমি এতদিন শয্যাগত হইয়া পঢ়িা আছেন, স্বামী গুণময় ভাবিতে লাগিলেন—ীরেন ছেলেটা মন নয়

পড়িয়া গুনাইতেছে এবং মা বীরেনের পিঠে হাত বুলাইয়া দেহ হইতে বঞ্চিত করিয়াছে, ইহা দি মায়া বুদ্ধিতে পাতি ও ত তাহাকে দেখিতে আসেন নাই, চাকর মায়ার সহিত বিবাহ দিয়া দিলে বীরেন জ্বর-জামাই ইয়াই দিতে দিতে আঁচল দিয়া চোখের জল সুছিতেছেন মার তবে সে উহার উপর মায়ের মমতা দেখিয়া হিংসা করিকে ত তিনি পীর কুশল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন নাই ! থাকে, তাহা হইলে মেরেটাকেও পরের বর জিতে যাইতে ক্ষুধিত ক্ৰদ্ধ বাঘিনীর মতন পাইয়া পড়িয়া বীরেনের পাতি - তাহার, বাপ ধীরেনের যে বিষম ক্ষতি কৰিয়া দেবী স্থির করিলেন একবার মরণা চেষ্টা তিনি না এবং বিষয়সম্পত্তিটাও দুরের কোনো লোকের হাতে কোল হইতে বইখানি ছোঁ মারিয়া কাঢ়িা লইয়া চুড়িয়া তাহার দে আসলে. পুৰণ কবিতে হইবে তাৰাদি }