পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫২ প্ৰবাসী—ভাদ্র, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ ১ম খণ্ড কাটিয়ে এলে, সে-দিন তুমিই বা তাকে কি বলেছিলে আর নইলে যে উপায় নেই। আর কোনো পণ ভেবে পেলাম তিনিই বা তোমাকে কি বলেছিলেন, তা আমি জানি না ; না । এতদিন যে বোঝা আমি বয়েছি, আজ তোৱ কোমল কিন্তু সারাদিন বাড়ীতে বই হাতে করে বসে কাটিয়ে সদ্ধো. অঙ্গে তার ভাৱ তুলে দিতে হবে।” দাদামায়ের কা বেলা যেই তুমি বেরিয়ে গেলে অমনি দাদামশায়ের শুনে আমার গায়ের রক্ত জল হয়ে যাচ্ছিল দাদামশায় বলেন, “দিদি সুনন্দা একবারও না নড়ে নিঃকুম হয়ে সেইখানেই বসে রইলাম সামারতে দিন ফুরোলো এখন যাবার আগে তোমার পর যা শুনলাম, সে বড় কঠিন কথা। আর শঙ্করের কাছে আমার মা” বলবার আছে, তা’ বলে আমার অগ্নানা পাপের ইতিহাস । পাপ কাকে বলে তা যেতে হবে ত। তাই দিন থাকৃতে আজই তোমায় ডাক অামি জানতাম ন কিন্তু শুন্‌লাম আমার শরীরের প্রতি লাম । তাকে যা বলবার আমি বলে নিয়েছি । আর সে বিন্দু রক্তেই পাপ । বুঝলাম, অয়ের অভাবে আমি এবং পুৰুষ মানুষ তার জন্যে আমার ভাবনা কি ? বিয়ে করে আসিনি, মায়ের সঙ্গের হাত থেকে পবিত্ৰাণ দেবার ঘর সংসাৱ পাতবে, যেমন করে হোক দিনগুলো কেটে মা আমাকে নিজের হাতে বিসৰ্জন দিয়েছেন । দাদামশারে ৰ বাবে তোমার জয়েই ঘা ভাবনা।” দাদামশায় আমার পুণ্যের জোরে যদি আমার পাপটা ধুয়ে যায় তাই তার মুখের দিকে তাকালেন তোমার বিয়ের কথা আগে হাতে আমাকে সাপে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাপ * কোনো দিন ভেবে দেখিনি, প্ৰথম কথাটা শুনে আমার মুখ যায়নি। আমি যে জয়-পাণ, আমার দাগ দিলোৰে ৰি শুকিয়ে গেল ; আমি মুখটা নীচু করে পাশ ফিরে বসলাম করে ? কয়লার কালী কি ধুলে বা ? বাদামশায়ের চোখের দিকে তাকাতে পারলাম না । দাদামশায় বলেন, “দেখ, দিদি, তোকে আমি তিনি আবার বলতে লাগলেন দেখ দিদি, তোমায় ভালবাসি। কিন্তু মানুষের মাটির শরীর কিনা । এক জামি যে কতখানি ভালবাসি তা তুমি বুঝবে না । আমার ছোঁয়া লাগলেই কালী লেগে যায়। তাই তোকে বা শয়রের চেয়ে কম হবে না। হুে-দিন এ ঘর দোর শান দিয়েও আমি তোর ধরা-ছোওয়ার চারৰিচায় কাছে করে দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেলাম, সেদিন মনে করেছিলাম তোর কাছে ধরা পড়বার ভয়ে আমি চোয়ের মত পালিৰে কেকটা দিন আছি ভাল আর কাউকে বাছি না বেড়িয়েছি । আজ যাবার সময় ঘনিয়ে এল, আজ আর মত দুঃখ জগতে আর কিছুতে দেয় না। কিন্তু তোৱ আমার লুকিয়ে রাখা সাঁজে না, তাই সব বলে দ্বি মুখখানা দেখে আমার দৰ প্ৰতিজ্ঞ ভেসে গেল ভগবান যে বুড়ো মরণকাণ অবধি তোকে আগলে এল, তার একই শূল মন ফেলে রাখেন না ; কাউকে না কাউকে তার অনুরোধ রাথিস, দিদি। তো নিজের চোখে এখনো মাখানে আসন দেনই তাই সেদিন থেকে আমার ধরা পড়েনি, আমার চোখে অনেক দিনই তা ধরা পড়েছে বুক জুড়ে তোর মুখখানা জেগে রই শঙ্কর মামাবাড়ী আমার শঙ্কর যে দিনে দিনে তোকেই তার চোখের ঘ ছিল, তাকে আমি ইচ্ছে করেই কাছে নিইনি ; কিন্তু করে তুলছে তা আমি দেখেছি, আজ সকালে তার প্রমাণ কি দিয়ে যাব কোথায় ? তুই এসে তার ঠাই জুড়ে পেয়েছি। সুনন্দ, আমি জানি তো মনে কোথাও একটু বসলি। সেদিন থেকে প্ৰাণ দিয়ে কেমন করে তোকে পাপ নেই, গঙ্গাজলের মত তুই নিৰ্ম্মল । কিন্তু মানুহে হাতে করে গড়ে তুলেছি, কত দুঃখ পেয়েও তোকে ছানি, সমাজে তাতে বে কি হয় না ভাই । মানুষ তার টি তা ত তুই জানিস দিদি। দুঃখের একটি আঁচড় তোর শরীর নিয়ে বড় ভয়ে ভয়ে বাচিয়ে চলে। তাই বলছি দ্বিনি গায়ে লাগতে দিইনি, পাপের ধূলিকণাও পারে ঠেকতে আমার এই একমাথা পাকা চুল চয়ে তুই বল, দিইনি। বুক দিয়ে সব থেকে তোকে আমি বাচিয়ে আঁধার কারের শেষ রশ্মি, শরকে তুই সনাদের ছো এনেছি। কিন্তু হলে কি হয় দিদি, আজ বাবার আগে সমাজের মানুষ হয়েই চলতে দিবি । তুই যদি কঠোর হাে অতি কঠিন আঘাত আমাকেই তোৱ প্ৰাণে দিতে হবে তবে তার পুজবের মন একদিন তোকে ভূলবেই ভুলবে। আমার এ ঘর বাড়ী কিছু আমি শঙ্করকে দিয়ে যাৰ না। তোমার রাগটা বাড়িয়ে তোলবার জন্তে আরো বলতে তোরই নামে লিখে দিয়েছি। নইলে তুই দাড়াবি থাকৃতাম । ভাবৃতাম তুমি আমারই উপর রাগ কয়েছ । কিন্তু এখন বুঝেছি আমার উপর নয়। সেই পৌষ সংক্রাত্তি ঘরবাড়ীর কথায় আমার গারে যেন কে বিচুটি দিয়ে দিনে তুমি বোধহয় আমার কি বলবে বলে এসেছিলে তবু কথা কইলাম না ; তারই কথামত মাথায় তোমার হাতে একছড়া ফুলের মালা ছিল । হাসিমুখে সেটা দিয়ে প্ৰতিজ্ঞা করলাম। কিন্তু যখন করলাম তখন আমার হাতে তুলে দিয়ে তুমি কি বলতে যাবে, অমনি আমি লাম কতখানি করেছি। আগে একদিনও বুঝিনি বলে উঠলাম, “আচ্ছা বোকা যাহোক তুমি, এখন থেকে পয়ে তিনি আরো বলেন, “দিদি, আশীৰ্ব্বাদ করছি আর জন্মে জন্ধে বেগার থেটে ময় কেন ? যখন একজন আসবে তখন ধ সাবিী হয়ে জন্মো । তোমার এজন্মের তপস্যায় ফুলের মালা জুগিও । বেনা বনে শুধু শুধু মুক্তো ছড়াও কেন ?” সমস্ত কালী ধুয়ে যাবে এজন্মে দেবতা নীরবে ব্যথাভা চোখ তুলে আমায় দিকে বেলন তোমার স্বামী, পৃথিবীর পাপ তাকে স্পৰ্শ করে চাইলে সতীলক্ষ্মী হয়ে তার সেবা কোরো । তার চরণ প্ৰসাদে তোমার দৃষ্টি যেন বলে গেল, “সুনন্দা, তোমায় মুখে এমন কথা ! আমি যেন কিছুই বুঝিনি এমনি ভাবে বারে তুমি তোমার তপস্যার ফল পাৰে । নেহা কঠিন প্ৰতিজ্ঞা করে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম । খাপছাড়া-কনের কি একটা পিঠের গল্প জুড়ে ই দিন থেকে শঙ্করের জন্য আমার উমার তপস্যার সুত্ব দিলাম। কিন্তু তোমায় ঘা দিতে আমার বুকে যে কত জনি ছিলাম বালিকা, সেদিন হঠাৎ এক মুহূৰ্ত্তে নারীর থানি লগত তা ত তুমি বুঝতে না । তুমি মনে করতে আমার পাষাণ-হৃদয়ে কোথাও এক ফোটা কোমলতা নেই। জেগে উঠল। বুঝলাম, না জেনে দিলেও তোমাকেই কিন্তু সেই পাষাণভেদ করেই আমার হৃদয়ে সহস্ৰধাৱা কয়ে দিয়ে ফেলেছি । সজ্জানিবারণ সকল-যিনি তিনিই মারমুখ রেখেছেন ; তাই এ দানের কথা তুমিও জাননি সেদিন তোমার কথা বলা হ’ল না । মান মুখে তুমি ধৰি জানিনি। তোমার ভাল বেসেছি বলেই আজ চলে গেলে । আমি তোমায় শুনিয়ে শুনিয়ে খুব হাসির হয় তোমাৰ ভুলতে হবে। কিন্তু মানুবের মন যেটা ভুলতে চায় তুলে ও-পাড়ার মন্দাকে রাজ্যের হাসির বয় দিতে ইটেই যে তার সমস্ত হৃদয় জুড়ে বসে। এতদিন যা ছিলে বসলাম । মন্দা শুনেছিল কি না জানি না, কিন্তু তুমি যে তোমােৱ পথ মাড়াব না প্ৰতিজ্ঞা করতেই তুমি আমার শুনেছিলে তা জানি । হয়ে বসলে। সোজা পথে ত মানুষের মন চলে না তোমায় ভাল বেসেছিলাম বলেই তোমাফে আদি বে আশাই তাকে টেনে নিয়ে চলে অত করে বা দিতে চেষ্টা করতাম, আমার নির বলে তার পর অল্পে আয়ে আমি তোমার পথ থেকে সরতে বুকলেই যে তোমার মঙ্গল। তোমারি মঙ্গলের জলে আমি করলাম। হঠাৎ সরলাম না, পাছে তুমি টের পাও । সাধ করে তোমার কাছে খোসনাম হায়াতে চাইতাম । দি ভাবেই সরতে বাগলাম, যেন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নইলে আমার কিসের গরজ দেখেলার সাধটা ফুরিয়ে যাচ্ছে তোমার উপর যে যে অপমানের বোঝা নিয়ে আমি জয়েছিলাম, সে যায় একটা টান ছিল, সেটা আমি নিজের কাছেও অপমান ৰ হ’য়ে আমায় ঘিরেই থাকুক ; আয় কাউকে দীৰার করতে সুত্ব করে দিলাম , বেন খেলারই আনন্দে সে বোঝা মাথায় নিয়ে মাথা হেঁট করতে আমি দেবো না মায় শুধু সঙ্গী নিয়েছিলাম অার তোমাত আমি তার এককণা সম্পৰ্শ করতেও দিতে আগে তোমার সঙ্গে আমি কখনও বিয়ের কথা বলিনি, পারব না। তাই এ অপমানিতার কাছ থেকে দূরে রাখবার ল অহৱই তোমায় বউয়ের কথা বলে ফ্যাপাতে জন্যই তোমায় আমি অত করে থা দিতাম। তোমায় মিল কয়ে দিলাম। তুমি রাগ করতে, আমি আমার উপর পালে কলয়ের ছাপ দিতে আমি প্ৰাণ থাকতে পারব না ।