পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* f ১ম সংখ্য।.] ്:്.-----്............. vo , , - চৈতন্যদেবের ভাব ও প্রভাব কোনও ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তক মহাপুরুষের প্রভাবের কথা চিন্তা করিতে গেলে প্রথমেই র্তাহার ধৰ্ম্মমতের দিকে ও তাঙ্কার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের রীতিনীতি ও গঠনপ্রণালীর দিকে দৃষ্টি পড়ে। কিন্তু নূতন মত ও নূতন সমাজরীতির প্রবর্তনে সে প্রভাবের প্রকৃত পরিচয় অতি সামান্তই লাভ করা যায়। মানুষের চিন্তু, আশা, ভাব, স্বভাব, এসকল তাহার মহামত ও সামাজিক রীতিনীতি মপেক্ষ অনেক অধিক জন্তরের বস্তু। চৈতন্যদেবের প্রভাব এদেশে স্বাঞ্জবের জীবনের ঐ অন্তরতম অংশ পর্ণান্ত গির পৌঁছিয়, ছিল । * অনেক বৎসর পূৰ্ব্বে একদিন আলমারী হইতে কতকগুলি পুরাতন পোকার-কাট বই বাহির করিয়া ফেলিক্সা দিতেছিলাম। তার মধ্যে একখানি বটতলার ছাপা বই হাতে i \ মলাট, কঙ্কণ কাগজ, অপঙ্কঃ ছাপ, কিন্তুতকিনাকার নাম ‘হাটপত্তন ! চোখে এইগুলি দেখিয়া লইতে ও মনে মনে এইৰূপ বিচার করিতে এক মুহূৰ্ত্তও লাগিল না। কিন্তু বইয়ের প্রথম দুই পংক্তির উপর দৃষ্টি পড়িবামাত্র মন স্তম্ভিত হইরা গেল । প্রশমিছ কলিযুগ সৰ্ব্বগুগগাৱ । হরিনাম সঙ্কীৰ্ত্তন যাহাতে প্রচার " কি আশ্চৰ্য্য কথা ! হাজার বৎসর ধরিয়া বে কলিযুগ প্রতিশাস্ত্রে প্রতি গ্রন্থে নিন্দিত, সেই কলিযুগ নমস্ত ! যে হাতির মানুষ চিরকাল বলিয়া আসিয়াছে স্বর্ণযুগ, সত্যযুগ পশ্চাতে, তাহার মুখে এ কি কথা ! এ কি আশাশীলতা! এ কি বর্তমানে শ্রদ্ধা ! চারিশত বৎসর পূৰ্ব্বে আমার দেশবাণী একজন তার যুগকে, তার সময়কে এমন প্রজ করিয়াছিলেন, আর আমাদের সমসাময়িক বাঙ্গালীর কেন লে শ্রদ্ধা ছারাইয়া ফেলিলেন ? ক্ষেদণ্ড জাতির জীবনে নিরাশীর ভাবের মত এমন গুরুভার বুঝি আর কিছু নাই, আর এই নিরাপার বোঝা যে তুলি কেলিতে পারে, সেশক্তির সমান কোনও শক্তিও বুঝি আর নাই। পৰ্ব্বতের | iন বেখানে দেখা ৰায় যে পাথরের স্তরের রেখাগুলি আর VG o تتظـ করিয়া ঠেলিয়া ফেলিতে পারিয়াছিল। লইয়া দু-এক পাতা উল্টাইরা দেখিতে লাগিলাম। কাৰ্য্য শিলার স্তরগুলিৰে উত্তোলন কৰিছিল, সে হাতে লইয়া মন তেমনি অনুভব করিতে স্বরে কি বিপুল শক্তি প্রয়ােগ কৰি, ৰু সঞ্চিত এই নিরাশার ও বর্তমানে অবজ্ঞার ভ স্বীয় যুগকে যাহারা শ্রদ্ধা করে না, এমন স্থা জেন না। চৈতন্যদেবেন্ধ প্রভাবের মধ্যে : বলিয়াই দেশের জীবনে নিজেদের ছাপ এখন রাখিৱা যাইতে পারিয়াছেন। - এই বর্তমানে শ্ৰদ্ধার ফলে তখনকার বাংলা সাজি জীবনচরিত লেখার রীতি প্রথম প্রতি হইল। ইহা পূৰ্বে হরগৌরী, রামচন্দ্র, যুক্টির, প্রভৃতি পুৱাল বর্ণিত বেঙ্গ ৰাজা ও অসাধারণ মাহুৱে চৰিতকাহিনীই বাংলা ৱৰ্তিা বর্ণিত হইত ; জীবিত কোনও মাছুষের চৱিত্ৰীৰ কৰি লেখনীৰ অৰােগ দিয়া বিবেচিত হইত। বাংলার বৈষ্ণৰ লেখকগণের রূপান্ত আমরা জঙ্কাৰ সমসাময়িক ভক্তগণের জীবনের স্কুঞ্জয় চিত্ৰাৰলী ৰেখিতে পাইতেছি। কল্পিত সত্য, ত্রেত,ও দ্বাপর যুগ; দেবতা, গন্ধৰ্ব্ব: রাক্ষস ; অমরাবতী, কৈলাস পৰ্ব্বত, জবোধ্য, ছত্তিলাগুৰুত্ব অতিপ্রাকৃত যুদ্ধবিগ্রহ, জযুক্তবর্ষব্যাপী তপস্যা, জাক্কাৰে পাতালে বিচরণ; ক্ষত্ৰিগণের জাহাঁচজলিম্পিক্টৰ ৰত্নাবলী, এসকলের হাত হইতে পৱিত্ৰ পত্ৰ কুৰু পাঠকের মন এই সরল বিনীত লেখকগণের গ্রন্থে বাং পল্লীচিত্র, বাঙ্গালীর ঘরের মুখচুঃখের ছবি, সত্যঙ্কার ভ্রমণের বিবরণ, ভক্তগণের সামান্ত কুলের মৃত্যু দেখিতে পাই যেন নিঃশ্বাস ফেলা রাঢ়ে। তারপকূদেখিতে পাই, চৈতন্তনেবেন্ধ স্বায়ুব-বলিয়াই শ্ৰছ করিড়ে শিক্ষা ৰিছে। ৰঙ্গর পূর্বে দত্ত্বে জন্মুক্তভঙ্গ এ সম্বন্ধু ! а в