পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—ভাদ্র, ১৩২৪ { ১৭ ভাগ, ১ম খণ্ড ৱে মোত বদলাইয়া গোল এইবার স্তর মিষ্টফারের ভাবটা তাহার মনে চুটিয়া উঠিল, তাহাতে গানের শেখটা পালা । ভজ্ঞলোক বোধ হৱ ভাবিতেছিলেন অন্ততঃ বিশেষ কিছু মন্দ হইল না বিত্বের খাতিৱেও ‘বছর চল্লিশ’’ পরে প্রথম প্ৰেৰসীয় গান শেষ হইলে কাপেন উইরো বলিল, “াঃ টমা দৰ্শনটা না মেলাই ভাল তোমার গলা যে দেখছি আগের চেয়েও ভাল হয়ে উঠেছে কাণ্ডেন উইৰো অবশ্য মামী ও মিস আশারের দলেই মালোতে যে মিল হিবা, ৰ সঞ্চ বাণীর মতো গলা গান ভিড়িলেন। মিঃ লিফিল দেখিলেন টন। বেচারী দুরে এ স্তনতাম, তাতে আর তোমার গানে আকাশ-পাতায় কোণে চুপটি করিয়া বোবার মতন বসিয়া আছে তাকে প্ৰভেদ ; কি বল বিগেটিস, তাই না ?” এই অশোভন অবস্থা হইতে উদ্ধার করিবার জয় তিনি “বাস্তবিক : মিস সাৰ্ট, আপনাকে দেখলেই মায়ো তাহার কাছে গিয়া তাহার কোন্‌ বা আজ সকালে বে। হিংস হয়। আচ্ছ, তোমাকে ক্যাটরিনা করে তোমােহ তি ডিজাইতে গিয়া ঘোড়াৱ পেট ফুড়িয়া ও নিজের ছাত আপত্তি আছে কি ? মানির কাছে তোমার গল্প এত ভাঙিয়া আসিয়াছে, সেই কথা লিতে বসিলেন । টিন যে শুনেছি যে মনে হয় আমি ও যেন তোমাকে কতকাল তাহার কথা একেবারেই মন না দিয়া ঘরের আর এক চিনি । তুমি আনায় ক্যাটরিনা বলতে দেবে ত - দিকে চাহিয়া ছিল, তাহা তিনি দেখিয়াও দেখিলেন না । তা” অবাধ বলতে : সকলেই ত’ ঈৰ্ষায় হাতে মানুষ অনেক যন্ত্ৰণাভোগ করে ; একটা বড় ক্যাটেরিনা নয় টিনা বলে ডাকে । আশ্চৰ্য্য জিনিষ এই যে যেদিকে তাকাইলে চোখ বেন সার নিষ্টকার গরের আর-এক কোণ হইতে ডাকিয় কাটিয়া আসে, সেই দিক হইতেই , চোণটা কিছুতেই বলিলেন ওরে বাদী অায় আয়, তারো গান করতে ফেয়ানো যায় না । হবে । এখনো যে অৰ্দ্ধেক ও হানি ।" খানিক পরে সকালেই গল্প করিয়া শ্ৰান্ত হইয়া পড়িল টিনা তাহা আহ্মা পালন করিতে খুবই রাজি । স্তৱ ক্ৰিষ্টফার বোধ হয় সকলের চেয়ে বেশী। তাই :ি করিবার সময় সেই ত হয় এ রাজোর বাণী । যি আশা ক্লান্তি দূৰ করিবার জয় এই সুন্দর প্রশ্বর করিলেন ৩ প্রশংসার ভান কবিয়া মুখভঙ্গী করিয়া থাকে। এই কি গো টিন, আছ কি .…গলতে বাবার আগে ছোট দয়থানির ভিতর হিংসা যেন কি-একটা বড় তুলি আমাদের গান-টান কিছু শোনাবে না । দিয়াছিল। টনা এতদিন পাখীটির মতন আন যনে গা ঠাং তদ্রতার ক্ৰটিা মনে পড়াতে লেডি আশারের গাহিয়াই কাটাইয়াছে দিকে চাহিয়া বলিলেন, “আপনি নিশ্চয় তাস খেলে যায় নাই । যে খানি পাথা তাকে অাদরে দ্বিা রাগ্নিাছিল, আনন্দে সে তাঁরই আশ্ৰয়ে দিন থাকেন ? নিশ্চয়ই । আহা বেচার স্তব জনের তা গেলা কাটাইতেছিল এতদিন প্ৰেমের মধুর তালেই তাহ মা হ’লে একাত চলত না । হৃদ নাচিাছে ; কখনো বা সামার ভছে বুক হক দল অা শান্তি আর নাই। আজ টিনা তখনই আসিয়া বাজনার সামনে বলি গান করিয়া কঁপি উঠিয়াছে ধরিতেই দেখিল, অ্যাণ্টনি আস্তে - আস্তে সরিয়া আসিয়া জয়গঞ্চ ও বিশ্বেৰে আৰাতে তাধার সমস্ত দা দোলা বাজনার পাশে দাড়াইল । টিনার তাহাতে কতই না দিয়া উঠিয়াছে আনন্দ । সুথের সম্পৰ্শে তাহার গলায় দেন নুতন শক্তি গানের শেষে সার কিষ্টফার ও তাহার গৃহিণী, লেমি জাগিয়া উঠিল। মিল আশার যখন মহা আড়ম্বর করিয়া আশা ও নি গিলফিনকে লই তাল খেলিতে মেিল প্ৰশংসয়ানভাবে ‘আসিয়া আণ্টনি কাছে ধাড়াইল টনা েখল দেখা ছলে জমিদার মহাশয়ের হাতের স্বাহ তখন টিনা বেশ বুলি যে এ ঘটােটা সত্যকায় আনন্দের যোসিয়া বসিল, । নবীন প্ৰণয়ী দুইটি পাছে মনে কয়ে হে অভাবই জানাইতেছে । নিজের শ্ৰোতায় গৰ্ব্বে যে অবজ্ঞার সাধিয়া আসিয়া, তাহাঙ্গে গাছে পড়িতেছে, তাইলে এ ৫ম সংখ্যা] স্মৃতির সেীরভ কীয়া যায় বাহেিয় দিয়া গােল শ্ৰয়ালইল । প্ৰথমে জয়ের আনন্দেই তাতার মনটা পুসী এমনিতর উদাস প্ৰকাণ করে চলেছে। ও দেখছি লৰ ইয়াছিল।, গৰ্ব্বের বেশ একটা শক্তিও আছে । সেই ভুলতে পারে । আমাকে ও কতইনা ভালবাসার কথা জোরও তাহার খানিকটা লাভ । আগুনের ধারে মিস শোনাত ! বেড়াবার সময় ওইনা আমার হাতখানা নিজের গৱে কাছ-ঘাঁসিয়া তাহার চেয়ারের পিছনে হাত হাতের মধ্যে তুলে নিত ; ওইনা রোজ সন্ধ্যায় আমায় বা একটু হেলিয়া যেখানে আণ্টনি প্ৰেমিকের মতন চোথে চোথে তাকাবার জন্তে কাছে এসে দাড়াত ” সিমা ছিল, টিনার দৃষ্টি কিন্তু সেই দি ক ! বুকের ভিতর অতীতের এই-সৰ মধুর মুর্তগুলি চোখের উপর তাসির যেন একটা ঠেলিয়া উঠিয়া তাহার নিশ্বাস আটকাইয়া উঠিতেই তাহার বুক ঠেলিয়া কাজা আসিতে লাগিল চোখ এক-রকম না তুলিয়াই, সে দেখিতে উ: কি নির, কি নির ?” বিছানায় পড়িয়া কতক্ষ স, অ্যাণ্টনি মিস আশারের হাতখানি তুলিয়া, ধরিয়া বরিয়া সে কাদিয়া বালিশ ভিনাইল ভাষায় হাতের গহনা দেখিতেছিল দু’জনের মাথা ঘরে যে কতক্ষণ পড়িা ছিল, তাহা সে টেই পাৱ দিকে কিয়া পঢ়িাছে, বিয়েজ কেঁাড়া নাই ; মন্দিরের ঘণ্টা তাহার চেতনা ফিরাইয়া দিলা মনে লগুলি উড়িয়া আসিয়া অ্যাণ্টনির গালে ঠেকিতেছিল, সে হইল, লেডি শোরেল হয়ত খোঁজ কবিতে লোক পাঠাই অামার গহনাপরা হাতগানা ঠোঁটের কাছে তুলিয়া ধৰিল বেন । তাড়াতাড়ি উঠিয়া সে পোষাক পরিচ্ছদ ছাড়িয়ে নার মুখচোখ দিয়া যেন আগুন চুটিতে লাগিল, সে অার আরম্ভ করিল, আর যেন নীচে বাটতে না হয় বসিয়া থাকিতে পারিল না। তাড়াতাঢ়ি উঠিয়া পড়িয়া খুলিয়া একটা আলগা পোষাক পরিতে-না-পরিতেই শুনিল, বি একটা পুঁজিবার ছলে একটু এদিক ওদিক রিয়া শেষে দরজা কে ঠক্‌ ঠক্‌ করিতেছে ; তখনি শাগিরি গলা— “টিনাদিদি, গিমি জিগেষ করেন, তোমার কি কিছু বাহিরে গিয়া একটা সোমবাতি লইয়া সে বারান্দা পার অসুখবিসুখ করেছে ?” ইয়া সিঁড়ি দিয়া উঠিয়া নিজের ঘরে গিয়া দরজা বন্ধ করিয়া টিনা দরজা খুলিয়া বলিল, “ধন্যবাদ, মিসে পাৰ্প, ছিল আমার বড় মাথা ধরেছে। গিহিমাকে বল গিয়ে গান ধরে গিয়া তাহার কি কান্না ? “হে ভগবান, আমি যে করবার পর থেকেই মাথাটা কেমন ধরে উঠেছে। যার সইতে পাবি না - আঙুলগুলা মুঠা করিয়া চাপিয়া ওমা গো । তবে ওখানে দাড়িয়ে-দাড়িয়ে কঁপাছৰে বা সে কপালে কিতে লাগিল, যেন এখনি ভাঙিব মারা পড়বে দেখছি, এখনো ওয়ে নি কেন ? এস আমি চুলটা বেঁধে চেকে-চুকে গরম করে শুই দি ” তারপর সে খুব লোৱে পায়চারি করিতে লাগিল না, ন, ধনুবাদ ; সত্যি বলছি, আমি এখুনিয়ে দিনের পর দিন এমনি চলতে থাকবে, আর আমাকে পড়ব শুভরাত্ৰি, শাপিমিণি ; অত বোকোনা, আমি তাই বলে-বলে দেখতে হবে, হা আমার কপাল । লক্ষ্মী মেয়ের মতো এখুনি দিয়ে পড়ব । কিছু একটা আঁকড়াইয়া ধরিবার জন্য যেন তাহার টিনা ধাইমাকে জড়াইয়া ধৰিয়া চুম্বন কলি। শাপ সমস্ত শরীরটা কেমন করিয়া উঠিতেছিল। টেবিলের উপর গণি কিন্তু অত সহজে তুলিবার পাত্ৰী নয়। তাহার পালি এটা ছোট ক্ষমাল ছিল।' সেইটাকে তুলিয়া সে কুটিকুটি খুকীটিকে বিছানায় না শোয়াইয়া সে কিছুতেই ছাড়িবে না , বেিয় ছিাড়া ফেলিয়া পাকাইয়া মুঠিতে শক্ত করিয়া বেচারী টনার আঁধা ঘরের সাথী বাড়িটিকে সুখী সে বেিল। আজ যেন তাহার ইটালীয় রকটা সজাগ হইয়া তুলিয়া লইয়া গেল বেিদ্ৰাহ স্বত্ব কৱিধা িদয়াছে। কিন্তু বুকের ভিতর যাহার কায়া গুৱাইয়া উঠিতেছে ভাবিতেছিল, “শেষে কিনা অ্যােণ্টনি আমার মনের সে বিছানায় পড়িয়া থাকে কি করিয়া ? সে বিছানা ছাডিয়া যে একবাৱটি না তাকিয়ে আমার চোখের সামনে উঠিয়া পড়িল । এই শীতে কন্‌কনে বাতাস আয় ৫০৭