পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—তা, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড অসোয়াস্তিই আজ তাহার বন্ধু, শরীরের কষ্টে তাহা মনের শীতের বাতাসে ো লার মধ্যে এই ভাবে টিনা ঘণ্টার যাতনা হয়ত ডুবিয়া যাইতে পাৱে সেদিন ক্ৰয়োদশী কি পল ঘণ্টা কাটাই৷ ত্ৰি-শেষে ক্লান্ত অবসয় দেহে সৰ্ব্বাদে চতুৰ্দ্ধশী। চাদ তখন আকাশের মাঝখানে ছেড়া বেদনা ইয়া আধা ইয়া পড়িল ; আজিাগে নিবা হে’ মেঘের টুকরোগুলি তাহার উপর বিয়া টয়া তাহাকে কোলে তুলিয়া লইল টনা চাদের আলোতেই ঘরের চারিদিক এই ছোট নথিত হৃদয়খনি যখন দুঃখের দেখিতে পাইতেছিল। সে উঠিয়া জানালাৱ পৰ্দাটা সরাই ভাঙিয়া পড়তেছিল, প্ৰকৃতি তখনো চিাউদাসীনের মত দিয়া ঠাণ্ডাসাসাঁর গাৱে কপালটা চাপি পশপ্ত মাঠ ও শাস্তভাবে আপন জীণ অবিচলিত সৌন্দৰ্য্যে আপনি নিমখ বাগানের দিকে চাহিয়া হিল আকাশের তারকারাঙি তথ: সেই চিরপুরাতন পদে চাদের অালোটা কেমন যেন বিবাদ-মাথা। চুটিয়া চলিয়াই নদীর জোড়া তখনে৷ কানায়-কানা শীতের বাতাস তাহার সকল মধুৰ্গা সকল আরাম উড়াই। ভরিয়া উঠি । পুরের সুধিত তুপটিকেও ধন্ত করিতেছিল লইয়া গিয়াছে জ গা স্তৰ ইয়া ঘুমাইবার মত দুৰ্গা তগনেথি প্ৰগামিী পৃথিবীর অপরদিকে কততি গাছগুলি উখ ; নির বাতাস তাদের দোলা দিয়া দিয়া তিদেহ দিনের আলো গোগাইতেছিল। মাহুযেতিয়া হয়রান করিয়া তুলিতেছে মাসগুলিণ্ড থথর কবিয়া কাজের স্ৰোত সুতবেগে চুটিগা চলিতেছিল। জোতিী কঁাপিতেছে। দেখিয়া তাহারও যেন শীত ধবিগ্না গেল দুবীক্ষণ যন্ধের সেবার নিম বড় বড় জাহাজ ঢেউয়ের ডোবার ধারে উইলো গাছগুলি অদৃশ্য বাতাসের নির মাথায় নাচিয়া চলি বাবসায় বাণিজ্যের কঠিন যে পীড়নে শাদা হইয়া পঢ়িছে তাহারা আগে তাঁহারই বিলোহে জীণ তেজে কেবল তপন গণিকের সঙ্গ ভাটা মতন সহায়, আপনার দুঃখে আপনি ছট্‌ফট্‌ করিয়া পঢ়িা িছল ; কিন্তু নিমাহন রাজনৈতিক কাল সকালের মরিতেছে । কিন্তু প্ৰকৃতির এই বিধা মূৰ্ত্তিই আজ তাহার ভাণী সঙ্কট স্মরণ কৰিয়া কঁপিয়া উঠিতেছিলেন। এই প্ৰয়া চোখে ভাল। ইহাতে যেন একটু করুণা আভাস পাওয়া স্ৰোত কি ভীষণ বেগে কত অজানা পথের উপর দিয়া েফান প্ৰণয়ীদের নির্ণয় সুখের চেয়ে ভাল সে সুখ অজানা লোকের সন্ধানে চুটিয়া চলিয়াছে। বালিকা টাৱ সহানুভূতির লেশমাত্ৰ নাই । তাছা দুঃখের কাছে একটু নতও মুণঃখ তাহার কাছে অতি সামার, অতি নগণ্য, অতি হয় না, বুক ফুলাইয়া আপন আনন্দে বিভোর হইয়া চলিয়া তুচ্ছ । সকলের ছোট পাৰ্থীষ্ট সারাদিন খুজিয়া ছোট একটুখানি গােৰা লইয়া গিয়া যখন দেখিতে পায় যায়া টিনা জানালার গায়ে মুখটা চাপিয়া ধরিণ ; চোখ দিয়া শল্প, ছিডি, তখন তাহার বুকের ভিতর লুকাই দে জল করিতে লাগিল দিয়া সে যেন বাঢ়িল অৎপিণ্ড ভয়ে উদ্বেগে কাপিতে থাকে, সে যেমন কাহায়ে ভিতর আগুন পুরিয়া শুকনো চোখে বসিয়া সে ভয়ে কঁাপিয়া চোখে পড়ে না, কাগারো দয়া পায় না, জগতের এই ষ্ট্ৰীণ উঠিতেছিল লেডি শোরেল থাকিতে যদি এই উন্ম তাণ্ডব নৃতোর কাছে টনাব দুঃখ ও তেমনি কাহায়ো চোচে আবেগ তাহাকে পাইরা বসে তবে ত অার সে আপনাৰে পড়ে না, কাহারো কণা পায় না সে যে অতি ছোট, সামলাইতে পারিবে ন অতি তুচ্ছ ক্ৰমশঃ) আর স্তর ক্ৰিষ্টফার ? আহা তিনি যে টনকে বড় হে শ্ৰীশাৱা দেবী। করেন ; আজ আণ্টনির বিবাহের কথায় তাহার আনন্দ যেন ধরিতেছে না আর টনা কিনা সমস্তক্ষণ দিয়া বড়'র বিপদ বসিয়া মনটাকে বিধ করিয়া তুলিতেছে ? বড়ই বিপদ ঃগ চিরদিন স্য টিনা বাধিতে কঁাপিতে বলিয়া উঠিল, “হে ভগবান, তুমি চাদেই গ্ৰাসয়ে রাহু, তারাদলে নয় দয়া কর আমি যে ওই ছাই কথা না ভেবে পারছি ন ৫ম সংখ্যা] কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম ~ ~ ~~ ~ মনটার মধ্যে নয় আমাদের গাড়ির ঢাকাতেও ক্ষণে ক্ষণে কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম চমক লাগিল । বাও নামিয়াছে, ইটাম-লাইনের মেয়ামতও বাম্বলা হাওয়া দিয়াছে কি, অমনি আমাদের গলি * যার আরম্ভ আছে তার শেষও আছে স্নাশাৰে সদর রাস্তা পৰ্যাপ্ত বা বহিরা বায়, পথিকের জুতা এই কথা বলে, কিন্তু ট্যানালাদের অন্যায় শাস্থে মেয়া ছাতার মতই শিরোধাৰ্য্য হইয়া ওঠ, এবং অন্তত মতের আর শেষ দেখি না তাই এবার লাইন-কাটায় ই গলি-চর জীবেরা উভচৰ জীবের চেয়ে জীবনধাত্ৰায় সহযোগে যখন চিৎপুর রোচে জলজোতের সঙ্গে জনাজাতে যোগ্যতর নয় শিশুকাল হইতে অামালের বারান্দা হইতে দেখিয়া হেমন আম্ৰ হইতে লাগিল তখন অনেকদিন ইটে বছর বছর লক্ষা করিতে কবিতে আমার চুল পাকি? পরে গীভাবে ভাবিতে লাগিলাম, সহ করি কেন? সহ না করিলে যে চলে এবং না করিলেই যে ভালো ইথার মধ্যে প্ৰায় ষাট বছর পর হইল চলে চৌরঙ্গী অঞ্চলে একবার পা বাড়াইলেই তা বোঝা তথন বা ছিল কলীয় যুগের প্রধান বাহন, এখন বিদ্যাৎ তাহাকে একই সহৱ, একই সুনিসিপালিটি ; কেবল করিয়া হাসিতে সুহু কবিয়া তখন পরমাণু এই,—আমাদের স, ওদের সত্ব না। যদি চৌরঙ্গী যাতায় সেহিয়াছিল অদৃশ্যে, এখন তাহং অভাবা হইয়া উঠিল পনেরো আনার হিন্দা নামেরই থাকিত, এবং রাস্তা উৎখাত দিকে মরিকার কালের পিপড়ার মত মানুষ আকাশে মা লাইন মেরামত এমন সুমধুর গজগমনে চলিত, অ্যাজ থামেলিয়াছে, একদিন এই আকাশে ও ভাগৰ বা লইয়া তবে ট্ৰাম কোপানির দিনে জাহার রাত্ৰে নিদ্ৰা থাকি সরিকদের মধ্যে মামলা চলিনে এটলি তার দিন গণিতেছে জর মানুষ একরাবে, তাদের সনাতন টিকি কাটিয়া সাফ অামাদের নিরীহ ভালোমানুষটি বলেন, “সে কি কথা লি, এবং জাপান কালসাগরে এমন এক বিপৰ্য্যয় লাফ আমাদের একটু অসুবিধা হইবে বলিয়াই কি ট্ৰামের রাস্ত আছিল যে পঞ্চাশ বছরে পাঁচশো বছর পাৱ হইয়া গেল মেরামং হুইবে না ? কিন্তু বাৱ জলধারা সম্বন্ধে আমাদের রাস্তাৱ আতিথেয়তা “হইবে বই কি ? কি এমন আশ্চৰ্য্য সুস্থ মেজাজে, যেন ছিল তেমনিই আছে। যখন কন্‌গ্রেসের ক-অপরেরও এবং দীৰ্ঘ মেয়াদে নয় ।” পৱন হয় নাই তখনো এই পথের পথিকবধুদের বর্ষার গান নিরীহ ভালোমানুহটি বলেন—সে কি সম্ভব ? ইতেছে তার চেয়ে আরো ভালো হইতে পারে এই ভরসা ভালোমানুষদের নাই বলিয়াই অহরহ ছা জ্বলে সাগর সাতরি পার হবে ? তাদের বক্ষ ভাসে, এবং তাদের পথঘাটেরও প্ৰাসেই দশা। স্নায় আছে যখন হোময়লের পাকা ধলটা প্ৰায় এমনি করিয়া দুঃথকে আমরা সৰ্ব্বাঙ্গে মাখি এবং ভাঙা আমাদের গোঁফের কাছে বুলিছা পড়িল— আজিও সেই শিপের আলকাংরা মত সেটাকে দেশে চারদিকে একই গান—মেঘমায়ার রাগণ, গড়াইয়া ছড়াইয়া পড়িতে দিই। ছেলেবেলা হইতেই কাণ্ডটা দেখিয়া আসিতেছি , সুতরাং কথাটা শুনিতে ছোটো, কিন্তু আসলে ছাটো নয়। যাপারটা আমাদের কাছে অভাবনীয় নয় । যা অভাবনীয় কোথাও আমাদের কোন কতৃত্ব আছে এটা আদি কিছুতেই নয় তা লইয়া কেহ ভাবনাই করে না আমরাও ভাবনা পুৱামাত্ৰায় বুঝিলাম না। বইয়ে পড়িয়াছি, মাছ ছিল কঁাচে করি নাই, সহাই করিয়াছি । কিন্তু চিঠিতে যে-কথাটা টবের মধ্যে ; সে অনেক মাথা খুঁড়িয়া অবশেষে বুলি ৰে অমনিতে চোখ এড়াইয়া যায় সেটার নীচে লাইন কাটা কাঁচটা জল নয়। তার পরে সে বড় জলাশয়ে ছাড়া পাইল, দেখিলে যেমন বিশেষ করিয়া মনে লাগে, আমাদের রাস্তার তবু তার এটা বুঝিতেঁ সাহস হইল না যে জলট। কচ নয় ; জলাশয়তার নীচে তেমনি জোড়া লাইন ফাট দেখিয়া, শুধু তাই সে একটুখানি জায়গাতেই বিতে লাগিল। ঐ মােথা