পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১৩ প্ৰবাসী-ভাদ্র, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১৯ খণ্ড ইহাকে সমাদর করেন দা—কেননা ইহা তার দানের পরে নয় কোনো আগন্তকের উপর পুণ্যের উদোয় অজানা গাতীৰ্থে দেখা গেছে, বে-পাণ্ডার না আছে যদি উপস্থিত না থাকে তবে এরা অল না-থাইয়া মণি বিদ্যা না আছে চারিত্ৰ, ধনী হীলোক রাশি রাশি টাক গেলেও নিজের হাতে এক কোদাল মাটি ফুটিবে না চালিয়া দিয়া তার পা পূজা করিয়াছে। সেই সময়ে তার কেননা এরা এখনো সেই বুড়ির কোল থেকে নামে নাই যে ক্তিবিহুৰলতা ভাবুকের চোখে সুন্দর, কিন্তু এই অবিচলিত বুড়ি এদের ফাতিকুল ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম ভালোমন্দ শোওয়া-বসা স নি, এই অপরিমিত বদান্ততা কি তা দ্বার পথে বাহির হইতে বাধিয়া দিয়াছে ইহাদেব দোষ দিতে পারি এই শ্ৰীলোক ক এক-পা অগ্ৰসৱ করিয়াছে ? ইহার উত্তর না, কেননা, বুড়ি এদের মনটাকেই আফিম খাণ্ডাইরা ঘুম এই যে, তবু ত সে টাকাটা খরচ করিতেছে সে যদি পাড়াইয়াছে। কিন্তু অবাক হইতে হয় যখন দেখি, এখন পাণ্ডাকে পবিত্ৰ বলিয়া না মানিত তবে টাকা খরচ কবিতই তার কালের শিক্ষিত যুবকেরা, এমন কি, কালেজের তা দা, কিন্তু নিজের জন্ম কারিত সে কথা ঠিক, কিন্তু তা ছাত্রেরাও এই বুড়িতন্থের গুণ গাহিতেছেন। ভাৱতবৰ্ষকে একটা মন্ত লাভ হইত এই যে, সেই খরচনা করাটাকে সনাতন ধাত্ৰী বাথে চড়িতে দেখিয়া ইহাদের ভাগি কিম্বা নিয়ে জন্য খরচ-করাটাকে সে ধৰ্ম্ম বলিয়া নিজেকে বলেন, ওটা ধড় উচ্চ জায়গ ওখান হইতে পা মাটিতেই তোশাইত না,—এই ে মোহেৱ দাসত্ব হইতে তার মন মুক্ত পড়ে না ; বলেন, ঐ কাখে থাকিvাই আবকত্বের দ্বাজদণ্ড থাকিত । মনের এই মুক্তির অভাবেই দেশের শক্তি হাতে ধৰিলে বড় শোভ হইবে বাহিরে আসিতে পারিতেছে না। কেননা যাকে চোখ অথচ স্পষ্ট দেখি, দুঃখের পর দুঃখ, দ্বি বুজিয়া চালানো অভ্যাস করানে হইছে, চোখ পুলিয়া ভিক্ষ যমলোকের যতগুলি চর আছে সবগুলিই আমাদের চলিতে তার পা কঁপে ; আমুখত দাসের মত যে কেবল ঘরে ঘরে বাসা লইল । বাদে ডাকাতে তাড়া কৰিলেও যেমন মন্দিধের জন্যই প্ৰাণ দিতে শিথিয়াছে, আপনি প্ৰভু হইয়া আমাদের অঙ্গ তুলিবার হুকুম নাই তেমনি এই অমঙ্গল স্বেচ্ছায় শ্ৰাৱধৰ্ম্মের জন্য প্ৰাণ দেওয়া তার পক্ষে অসাধা গুলো লাফ দিয়া যখন ঘাড়ের উপর পাত বসাইতে আসে এই জঙ্গই আমাদের পাড়াগাহে অন্ন জল স্বাস্থা শিক্ষা তখন দেখি সামাজিক বন্দুকের পাশ নাই। ইয়াদিগন্ধে আনন্দ সমস্ত জ্বাজ ভাটার মুখে । আত্মশক্তি না জাগাইতে খেদাইবার অন্ত্ৰ জ্ঞানের অস্ত্ৰ, বিচার-বুদ্ধির অস্ত্ৰ। বুদ্ধি শান্ধিলে পীৰাগীর উদ্ধার নাই—এই কথা মনে করিয়া, শাসনের প্রতি যাদের ভক্তি অটল তারা বলে, “ঐ অট নিজে কল্যাণ নিজে কৰিবা শক্তিকে একটা বিশেষ কি আমাদের একেবারে নাই ? আমরাও সাহাগ শিখি পাড়া জাগাইবার চেষ্টা করিলাম একদিন পাড়ায় আগুন এবং যতটা পারি থাটাইব । অস্ত্ৰ একেবারে মাই বলিলে লাগিল । কাছে কোথাও এক ফোটা জল নাই ; পাড়ায় অতুক্তি হয়, কিন্তু অপাসের আইনটা িবষম কা। অহ লোক ধাড়াইয়া হায় হায় করিতেছে আমি তাদের ব্যবহার করিতে দিয়াও যতটা না-দিতে পারা যায় তারই দিলাম, নিজের মজুৰী দিয়া যদি তোমরা পাড়ায় একটা উপর বোলজানা কোক । ব্যবহারের গত্তি এতই, তার কুয়োড়িা দাও আমি তার বাধাইবার খরচা দিব ।” তার একটু এদিক-ওদিক্‌ হইলেই এত দুৰ্জ্জয় কানমলা ; সমস্ত তালি, পুণ্য হইবে ঐ সেয়ানা লোকটার, আর তার মজুৰী গুর পুরোহিত, তাগাভাবিছ, সংস্কৃত শ্লোক ও মেয়েলি । জোগাইৰ আমরা, এটা ফাঁকি !” সে কুয়ো খোড়া হইল। এত ‘য়ে ভয়ে সাবধানে বঁাচাইয়া চলিতে হয় যে, ডাকাত সা, জলের কষ্ট রহিয়া গেল, আর আগুনের সেখানে বাধা পড়িলে ডাকাতের চেয়ে অনভ্যাসের বন্দুকটা লইয়াই 'পৱে পড়িতে হয় এই যে অটল দুৰ্গশ, এর কাণ—প্রামের কিছু যাই হোক, “য়ের বেটিা অক্ষয় হোক বলিয়াই কাৰ্য্য তা এ পৰ্য্যন্ত পুণ্যের প্রলোভনে ঘটয়াছে তাই যখন আশীৰ্ব্বাদ কর হইল তখন দয়ালু লোক একথাও সকল অভাবই পূরণ করিবার বরাৎ হয় বিধাতার বলিতে বাধ্য যে, “মানুষদের বাধে কবিয়া বেড়াইতে ৫ম সংখ্যা] কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম হও । বতরাজ্যের জাতের বেড়া, আচারের বেড়া রাষ্ট্ৰনীতি বয়স্বরে বলিতেছে, এস তোমরা, তোমাদে কবিয়া পাকা করাই যদি পুনজীবন হয়, যদি বৰ্ণ যেমনি হোক তোমাদেৱ দেশ যেখানেই খাৰু, ভারত লনি করিয়া জীবনের ক্ষেত্ৰকে বাধাগ্ৰান্ত ও বুদ্ধির ক্ষেত্ৰকে শাসনতন্ত্ৰে ভারতীয় প্ৰজায় অাপন অধিকার অাছে, তাহ সাঁকরাই আমাদের গৌরবের কথা হয়—তবে সেই গ্ৰহণ কয় ?” একথাও বলিতে হয়, এই অক্ষমদের ৪ই বেলা লালন কিন্তু ইংরেজের রাষ্ট্ৰনীতি আমাদের বেলােয় খাট বার জন্তু দল বাধা । কিন্তু দুই বিপরীত কুলকে এক এমন একটা কড়া জবাব শুনিবার আশঙ্কা আছে । ভারত চাইবার সাধা কোনো শক্তিমানেরই নাই । তৃষার্তের বৰ্থে ব্ৰাহ্মণ যেমন বলিয়াছিল, উচ্চতর জ্ঞানে ধৰ্ম্মে কৰে ধষ্ট সমস্ত চুরমাৱ করিবে, তার পরে চালুনি হি জল পুত্ৰেয় অধিকার নাই, এও সেই-কমের কথা । কিন্তু নিতে ঘন ঘন ঘাটে-ঘরে আনাগোনা, এ আবদার ব্ৰাহ্মণ এই অধিকারভেদে ব্যবস্থাটাকে আগাগোড়া পাকা বিধাতার সহ হয় না। ! করিয়া গাঁথিয়াছিল— বাহাকে বাহিরে পঙ্গু করিবে তা অনেকে বলেন, এদেশে পদে পদে এত যে দুঃখ দাবিদ মনকে ও পঙ্গু করিয়াছিল জ্ঞানের দিকে গোড়া কাটা উীর মূল কারণ এখানকার সম্পূৰ্ণ শাসনভার পরজাতির পঢ়িলেই শ্বের দিকে ডালপালা আপনি শুকাইয়া বায় লয়। কথাটাকে বিচার করিয়া দেখা দরকার ই জ্ঞানের শিকড়টা কাটতেই আর বেশ কিছু ইংরেজ রাষ্ট্ৰনীতির মূলতত্ত্বই, বাষ্ট্ৰতরে সঙ্গে প্ৰজাদেহ করিতে হয় নাই--তার পর হইতে তার মাথাটা আপনিই যোগ। এই রাষ্ট্ৰত চিরদিনই একতরফা আধি- দুইয়া পড়িয়া ব্ৰাক্ষণের পদয়াজে আসিয়া ঠেকিয়া ৱ ছিল তার বুকে শেল হানিছে, একথা আমাদের কাছেও ইংরেজ আমাদেৱ জ্ঞানের স্থা বন্ধ করে নাই—- গিাৱ ঢাকা নাই । এই কথাই সরকারী বিদ্যালয়ে সেইটেই মুক্তির সিংহার। রাজপুজবেরা সেজন্য বোধ কৰি ময়াসদরে বসিয়া পঢ়ি, শিখি, এবং পড়িয়া এগ জামিন মনে মনে আপ সোস করেন এবং অন্তে আস্তে বি য়ে এ কথাটাকে আমাদের কাছ হইতে ফিরাইয়া দুটো একটা জানলাদরজাও বন্ধ করিবার গতিক দেখি ইয়াৰ উপায় নাই কিন্তু তবু একথা তারা কোনোদিন একেবারে লিতে নগ্রেস বল, লীগ বল, মূলই এইখানে পরিবেন না যে, সুবিধার খাতিয়ে নিজের মহাকে এসমস্তর । া ণীৰ সাধাগে আমাদের সকলেই অধিকাটা আঘাত করিলে কলে সেটা মতই হয় । আত্মহতার ভারতশাসনে আমাদের স্বাৰা অধিকাটা ইয়েজে সেই সায়াগেরই প্ৰকৃতিগত, তেমনি ইংরেজ রাষ্ট্ৰতন্ত্ৰে ভারতের প্রজার আপন অধিকার সেই বাৰ্নীতিরই জীবন মনস্তরের মধ্যেই নিহিত-এই আশার কথাটাকে বধি ময়েই। কোনো একজন বা দশজন বা পাঁচশো আমাদের শক্তি দিয়া ধরিতে পারি তবে ইহার জন্ত ছবিস্ত ইংরেজ বলিতে পারে ভারতীয় ছাত্ৰকে সায়াগ শিখি- দুঃখ সহা, ত্যাগ করা, আমাদের পক্ষে সহজ হয় । যদি যোগটা ন দেওয়াই ভাল, কিন্তু সায়াগ সেই পাঁচশো আমাদের দুৰ্ব্বল অভ্যাসে বলিয়া বলি, ফায় ইচ্ছা কৰ্ম্ম, বে কে লক্ষা দিয়া বন্ধৱে বলিবে, “এস ওর আর নড়াচড় নাই, তবে যে সুগভীর নৈয়া আসে, তোমাদেৱ বৰ্ণ যেমনি হোক, তোমাদের দেশ তার দুই-রকমের প্রকাশ দেখিতে পাই —হয় গোপনে যেখােনই থাক, আমাকে গ্ৰহণ করিয়া শক্তি লাভ কর।” চক্ৰান্ত কবিয়া আকস্মিক উপদ্ৰবের বিস্তাৱ করিতে থাকি , দি কোনো দশজন বা দশহাজার জন ইংরেজ রাজ- নৱ ঘৱে কোণে বসিয়া পরপয়ের কানে-কানে বলি চার মঞ্চে বা খবরের কাগজের স্তন্তে চড়িয়া বলিতেও অমুক লাটসাহেব ভালো কিম্বা মৰ, অমুক বাক্তি মী যে, ভারতশাসনতন্ত্ৰে ভারতীয় প্ৰজার কতৃত্বকে সভায় সচিব থাকিতে আমাদের কল্যাণ মাই, মস হেৰ মাকারে প্রবেশে বাধা দেওয়াই ভালো, কিন্তু সেই ভারতসচিব হইলে হয় ত আমাদের দিন হইবে নয় ত বাজার ইংরেজের মরণাকে তিরস্কার বরিয়া ইংরেজের আমাদের ভাগে এই বিড়াল বনে গিয়া বনবিড়াল হইয়া I