পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—ভাদ্র, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সেই লিলকেই আমরা সবচেয়ে বড় দলিল করিয়া চলিব শক্তি আবিষ্কারের পথ খুলিয়া দাও-সেটাকে রোধ কৰি কথা তাকে কখনই বলিতে দিব না যে ভারতবৰ্ষকে রাখিয়া যদি আমাদেৱ অবজ্ঞা কর এবং বিশ্বের কাছে চিনি আমরা টুৱা-টুকুৱা কবি৷ মাছকাটা করিবার অল্পই অবজ্ঞাতান করিয়া বাখ তবে তার চেয়ে পরমাশতা দ্বা সমুদ্ৰ পাৱ হইয়া আসিয়াছি । কিছু হইতেই পারে না। ডাইনে বায়ে দু’পা বাড়াইলেই যে-জাতি কোনো বড় সম্পদ পাইয়াছে সে তাহা দেশে যার মাথা ঠক্‌ করিয়া দোলে গিয়া ঠেকে ত দেশে দিকে দিকে দান করিবার জন্যই পাইছে। যদি সে কি সেই বড় আশা টিকতেই পারে যার জোৱে যাৰ কৃপণতা করে তবে সে নিজেকেই বঞ্চিত করিবে সকল বিভাগে আপন মঞ্চ ককে প্ৰাণ দিয়াও সংগ্ৰমাণ কৰে ? রোপের প্রধান সম্পদ বিজ্ঞান, এবং জনসাধারণের দেখিয়াছি, ইতিহাসে যখন প্ৰভাত হয় সুৰ্য্য তখন পূর্ণ কাবোধ ও আত্মক লাভ ই সম্পদ এই শক্তি দিকে ওঠে বটে কিন্তু সেই সঙ্গেই উত্তরে দক্ষিণে পশ্চিমে ভারতকে দিবার মহৎ দায়িত্বই ভারতে ইংরেজ শাসনের সালো ছাইরা পড়ে এক এক ইঞ্চি করিয়া ধাপে ধাপে বিদিত্ত রাজ-পরোয়ানা এই কথা শাসনকৰ্ত্তাদের সুর যদি জাতির উন্নতি হইত। তবে মহাকালকেও হার মানিতে কাইবার ভাৱ আমাদের উপরেও আ কারণ, দুই ইত মানুষ আগে সম্পূৰ্ণ যোগ্য হইবে তার পরে সুযোগ পরে যোগ না হইলে ৰিতি ও বিকার ঘটে পাইৰে এই কথাটাই দি সত্য হয় তবে পৃথিবীতে কোনো ইংরেজ নিজের ইতিহাসের দোহাই দিয়া এমন কথ জাতিই আজ স্বাধীনতা যোগ্য হয় নাই । ডিমক্ৰেরি বলিতে পারে—“জনসাধারণেৱ আত্মকতৃত্বটি যে একটি মস্ত মোক্‌ করিতে ! কিন্তু রোপের জনসাধারণে মতে জিনিস তা আমরা নানা বিপ্লবের মধ্য দিয়া তবে বুদ্ধিয়াছি আজও প্রচুর বীভৎসতা আছে—সে সব কুৎসার কথা এবং নানা সাধনার মধ্য দিয়া তবে সেটকে গড়িয় ঘাঁটিতে ইচ্ছা করে না কোনো কৰ্ণধার বলিত এী তুলিয়াছি একথা মানি । জগতে এক-এক অগ্ৰগামী সমস্ত যতক্ষণ আছে ততক্ষণ মিক্ৰেসি তার কোনো সেই অধিকার গাইলে না, তবে বীৎসা ত থাকিতই, ব আবিষ্কারের গোড়ায় অনেক ভুল, অনেক দুঃখ, অনেক সেই পাণের স্বাভাবিক প্ৰতিকারের উপাও চলিয়া বাইত। ত্যাগ অাছে । কিন্তু তাৱ – পাণ পায় তাহাদিগকে তেমনি আমাদের সমাজে, আমাদের ব্যক্তিস্থাতহে সেইল সেই দুঃক্ষে সমস্ত লম্বা বাস্তাটা মাড়াইতে হয় ধারণা, দুৰ্ব্বলতা যথেষ্ট আছে, সে কথা ঢাকিতে চাহিলে মা দেখিলান, বাঙালীর ছেলে আমেরিকায় গিয়া হাতে- ঢাকা পঢ়িবে না তবু আমরা আবকত্ব চাই। অন্ধকার vণ এনি পড়িণ এবং তার তত্ত্বও শিথিয়া লইল, কি ঘরে এককে শর বাতিটা মিট্‌মিই করিয়া লিতেছে যদি আগুনে কাৎলি চড়ানো হইতে সুত্ব করিয়া সম এজিনের দে আর-এককোণের বাতি জ্বালাইবার দাবী নাই, এ কাছে সমস্ত ঐতিহাসিক পালা যদি তাকে সারিতে হইত তলে কী নয় যে দিকের যে সতে দিয়াই হোক ভাবে সত্যযুগের পয়া নহিলে তার কুলাইত ন রাণে দালাই চাই । আজ মনুষ্যত্বে দেয়ালি মহোৎসবে কোমো যাহা গাঁইয়া উঠিতে বহুগের কেন্দ্ৰ কৃষ্টি ঝড় বাতাস দেশই তার সব বাতি পুৱা আলাইয়া উঠতে পা লাগিল, জাপানে তাহা শিকড় সুদ্ধ পুতিবার বেলায় বেশি নাই – তবু উৎসৰ চলিতেছে আমাদের ঘরের বাতিষ্ঠা সময় লাগে দাই । আমাদের চরিত্রে ও অভ্যাসে যদি ক কিছুকাল হইতে নিদিয়া গেছে—তোমাদের িশখা বইতে ধৰি শক্তির বিশেষ অভাব ঘটিয়া থাকে তবে আমাদেরই বিশেষ ওটাকে স্বালাইয়াল লইতে যাই তবে তা লইয়া ব্লাগাত্ৰাখি কয় দরকার করে চৰ্চা । ব্যক্তিবিশেষে র মধ্যে কিছু নাই কলাণেৱ নহে। কেননা, ইহাতে তোমাদের আলো কমিৰে এটা যদি গোড়া হইতেই ধরিয়া লণ্ড, তবে তার মধ্যে কি না, এবং উৎসবের আলো বাড়িয়া উঠিৰে যে আছে সেই আবিষ্কার কোনো কালেই হইবে না । অা উৎসবের দেবতা আজ আমাদিগকে ভিতর হইতে কৰ্ত্তত্বের সুযোগ দিয়া আমাদের ভিতরকার সূতন নুতন ভাকিতেছেন পাণ্ডা কি আমাদের নিষেধ কবি ৫ সংখ্যা কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম কাইয়া রাখিতে পালিবে ? সে যে কেবল ধনী বঙ্গনান- আশা তুষ্ক পদমানের জয় কালের মত কাছাকাছি কেই দেখিলে গদগণ ইয়। ওঠে, ক্যানাডা অষ্ট্ৰেলিয়ার করিবার সমর গেছে, আদি সেই মিথ্যা অহঙ্কার দিয়া নিজেকে মেসে ষ্টেশন পৰ্যাপ্ত ছুটয়া যায়—আর গরীবের বেলায় জুলাই রাখিব না, ধে অহঙ্কার কেবল অ্যাপন গৃহকোণের ব্যবহার উলটা -এট সহিবে না, দেবতা যে অন্ধকারেই লালিত হইয়. স্পষ্ঠা করে, িবরাট বিশ্বভাৱ দেখিতেছেন । ইহাতে স্বয়ং অন্তধাম যদি লক্ষ্মা পে অনুরে সম্মুখে ঘাহা উপহসিত লঙ্গিত । অন্ধকে অপবাদ দিয়া দেখা দা দেন, তবে ক্ৰোধক্ৰপে বাহির হইতে দেখা দিনে অ প্ৰসাদ লাভের চেষ্টা অক্ষনের চিত্তবিনোদন, আমাদের কিন্তু আশার কারণটা উহাদের মধেরও আছে, আমাদের তাহাতে কাজ নাই। যুগে যুগে আমাদের পুত্ৰ পুত্ৰ অপয়াৰ আছে বাgালীকে আনি শ্ৰ, কালি । আমি জানি মিয়া উঠিল, তাহার ভাৱে আমাদের পোঁছব দলিত আমাদের যুবকদের বনধৰ্ম্ম কখনই চিরদিন ধার করা আমাদের বিচারবুদ্ধি মুদ্ৰ-সেই বহু শতাৰ্থীর আবৰ্জনা যাক্যের মূলস পবিত্ব বিস্তু সাহিৰে না আজ বলে সতেজে তিরস্তুত করিবার দিন । সমুখে রেজের মধ্যে এমন মাঘ বিস্তর দেখিলাম ধারা চলিথা বলাম বাধা আমাদের পশ্চাতে ; আমাদের জাতির কাছে লানং সতিয়াও ইং: ৭ ইতিবাস ক্ষে তাহা সপোহনবাণ দিয়া অামাদের ভবিষ্যৎকে ফলটি ভারতবাসীর অধিকারে অনিবার আক্ৰমণ কৰিয়াছে; তাহার বিপুল শুদ্ধপত্ৰে সে ংহক আমাদের তবে ও অমর তমনি মানুষের মত নুতন যুগের প্রভাত সুৰ্গাকে স্নান করিল, নব-নৱ-অধ্যবসা মানুষ চাই যারা বাহির হইতে দুঃখ স্ব জনদের নিকট শীল আমাদে যেীবনধৰ্ম্মকে অভিভূত করিয়া দিল, অঙ্গ ইতোধিকার সহিতে প্ৰস্তুত, বা বিক্ষণ তার আশাকে নিৰ্ম্মন বলে আমাদের সেই পিঠের দিকটাকে মুক্তি দিতে অতিক্ৰম করিয়াও মনুষ্যত প্ৰকাশ কৱিৰা গু গ্ৰ হইবে, তবেই নিতামুণগামী মহৎ মহুৰাৱে সহিত যোগ , ভারতের জরাবিহীন জাগ্ৰত ভগবান ম আমাদের দিয়া আমরা অসীম বাৰ্থতার লম্বা হইতে বঁচি, সেই জানাকে আহবান করিতেছেন, যে আধা অপৰিমেয়, যে মনুষ্যত্ব যে মৃতুঞ্জী, যে চিঙ্গাগক, চির সানৱত, যে অপরাজিত, অমৃতলোকে যার অনন্ত অধিকার *ার দক্ষিণ হস্ত, জ্ঞানজ্যোতিরালোকিত সত্যের পুখে যে আস্থা আন অঞ্চ প্রথা ও প্ৰভুহের অপমানে ধূলায় চিরযাত্ৰী, যুগযুগের নবনৰ তোরণারে যাহার জয়ধ্বনি লুকাইয়া আপাতের পর আঘাত, বেদনার পর বেদনা উসসি হই দেশদেশান্তরে প্রতিধ্বনিত তিনি ডাকিতেছেন, আত্মানং বিকি ? আপনাকে জন বাহিরের দুঃখ শ্ৰাবণের ধারার মত আমাদের মাথা আজ আমরা সম্মুখে দেখিলাম বৃহৎ এই মানুষের পৃথিবী, উপর নিরস্তু বধিত হইয়া, অহরহ এই দুঃখণ্ডোগের ৰে ং এই মানুষের ইতিহাস । মানুষের মধ্যে ভূমীকে আমর তামসিক অশুচিতা , আজ তাহার ”প্ৰায়শ্চিত ফয়িতে প্ৰত্যক্ষ করিতেছি ; শক্তির সে চড়িয় তিনি মহাকালের হইবে তাহা প্ৰায়শ্চিন্তু কোথাৱ ? নিজের মধ্যে নিজের পথে চণিস্থাছেন, রোগ তাপ বিপদ মৃত্যু কিছুতেই ইচ্ছা? :থকে বরণ কবিয়া ই দুঃখই পবিত্ৰ হোমাছি, তাহাকে বাধা দিতে পারিল বিশ্ব প্ৰকৃতি বামালো সেই আগুনে পাপ পুড়িবে, মূঢ়তাবাল হইয়াউড়ি৷ থাকে বরণ করি লইল বাহবে, তা হাই ইয়া মাটিতে নিশাইৱে । উতলা মহোজ্জল, অতিদূর ভবিষ্যতের শি৭ চুড়া তুমি দীনের ঐ না । আমাদের মধ্যে যে অদীন, যে অমর, ইতে তার জন্য আগমনীর প্রভাত-রাগিণী বাজিতেছে যে প্ৰভু, যে ঈশ্বর অাছে, হে মহেশ্বর তুমি তাহারই প্ৰভু ই মা আজ আমার মধ্যেও আপনাব আসন বুজিতে ডাক আঞ্জ তাহাকে তোমার রাজসিংহাসনের দক্ষিণপাৰে। হেন ; ওরে অকাল -দৰা-জাতি, আয়-অবিশ্বাসী ভাঙ্গ, দীন লঙ্কিত হউক, দাস লাদিত হটক, মুঢ় তিয়াত ইয়া নত মূঢ়, আজ ঘরের লোকদের লইয়া ক্ষুদ্ৰ চির-নিৰ্ব্বাসন গ্ৰহণ কক্কক্‌ দাদ দ্ৰ বিদ্বেষে কলহ করিবার দিন নয়, আজ তুৰ রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর উ—১২