পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৪৪ প্ৰবাসী-ভাদ্র, ১৩২৪ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড বিস্তা নিলিখিতস্কপ —বঙ্গে দশ হাজারের মধ্যে ৯ জন থাকা আবশ্যক। কোন নারীহিতৈষী ইহার জন্য একটি স্ক জীলোক ইংরেজী জানেন, বোম্বাইয়ে ১৫, মাদ্ৰাজে ১৯, স্থাপন করিয়া তাহার আয় হইতে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করি ৫ । বাঙালী মেয়েদের মধ্যে ইহা স্থায়ী হইতে পারে। কিন্তু এইকপ আয়োজনের সফলতা শিক্ষা ও ইংরেীশিক্ষার বিস্তার কম বলিয়া তাহার বোম্বাই- শিক্ষার বিস্তার এবং অবরোধপ্ৰথার লোপ সাপেক্ষ। এই মতাজের মেরেদের চেয়ে সাৰ্ব্বজনিক কাজে কি কম দুইটিই প্ৰধান উপায় যে-দেশে বালিকা হইতে বৃক্ষা পৰ্য্য অগ্রসর হইতে পারেন ; বাস্তবিক কিন্তু তাহারা “কিছু সকল নারী নিৰ্ভয়ে নিজের পরে পদে থাট তায়াত দ্বিত অগ্ৰষয় নহেন, খুব কম অগ্ৰসর আরও লক্ষা পাবে না, তথাবার পু সমাজে ভীকতা, চরিত্রহীনতা , কাজিৰায় বিধ এই যে হারা কোন কোন দিকে পরাণ নারীর প্রতি শ্ৰদ্ধাহীনতা, প্ৰতি কোন-না-কোন দোষে ও আগ্ৰা-অযোধ্যার মেয়েদের চেয়েও কম অগ্ৰসর দোষী লোকের সংখ্যা বোধ হয় কিছু বেশী। অবশ্য, অনে যদিও ঐ দুই প্রদেশে খ্ৰীশিক্ষার বিস্তার বাংলাদেশ অপেক্ষা সং, বিজ্ঞ ও ক্ষে লোক নারীদেরই মঙ্গলের জন্তু অবরোধ কম। এরপ হইবার কারণ কি ? প্ৰথা সমৰ্থন করেন। কিন্তু, পাছে ছেলে চোর হয় বলিয়া একটা কারণ বাংলা দেশে নারীর অবরোধ প্রথার তাহার হাত ভাঙি দেওয়া, কিগা পাছে সে পড়িয়া গির বলা । ইহাতে নারীদের সম্বন্ধে বহু বাঙালী পুৰুষের মাথা ঘটাইছা ফেলে বলিয়৷ চলিতেই না দেও তাহাকে ষ্টিতে বিশ্ব এবং মনে অশুচি কৌতুহলের সঞ্চার করিয়াছে । ঘে-প্ৰকার বুদ্ধিমত্তা ও সাবধানত, ইহাও সেই জাতীয় । এইজন্য শিক্ষাপ্ৰাধা হিন্দু-মেয়েদের মধ্যে এবং বাহারা আমাদের মনে হয়, বাঙালী পুরুষেরাও যে আজকাল মানে না তাহাদে ও মধ্যে “পাছে-লোকে কিছু সায়নিক কাজে ভারতের অন্যান্য কোন কোন প্রদেশের বলে ’য় ভয় অত্যন্ত বেশী । বাংলা দেশে শিক্ষিতা পশ্চাতে পড়িা যাইতেছেন, তাহার একটা কারণ এই যে মহিলাদের কুৎসাকারী কাপুরুষদের সংগা এবং প্রভাব হোৱা নারীদের উৎসাহ, নারীদের সহানুভূতি পাইতেছে, প্ৰদেশ অপেক্ষা বেশী এমন কি শিক্ষিতার না এবং ঔদাসী ও কাপুকৃষ্ণতার জন্ম নারীদের গঞ্জনাথ স্বামী, শিক্ষিতার ভ্ৰাতা, শিক্ষিতার পিতা যিনি, এমন তাহাদিগকে সহ করিতে হইতেছে না বরং হয়, কোন কোন লোক পৰ্য্যন্ত এই দেশ দিগকে সন্তুষ্ট টু সাহস করিয়া পা বাড়াইতে চাহিলে, অন্তঃপুরিয়া থিতে ৰাগ্ৰ বাঙালীদের গল্প থিয়েটারগুলাও বাঙালী দিগের মধ্যে তাহাকে নিবৃত্ত ও নিরুৎসাহ কৱিবাৱ েদাষে মহিলাদের কাৰ্য্যশক্তি সমাক বিকশিত না হইবার একটি অভাব হয় না । ফারণ আশ্চৰ্য্যের বিষয় এই যে, অধিকাংশ বাঙালী সার প্রতুল চন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় নারীরা পৰ্য্যন্ত বুবেন না যে, যে থিয়েটারওলা তাহাদের লাহোর চীফ কোটের ভূতপূৰ্ব্ব জজ সা প্ৰভু চক্ৰ জাতির কতকগুলি ভাগিনীয় চরিত্ৰশ ব্যতীত চলে না, চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু অকালে ন হইলেও, এখনও ভাষা তথায় অভিনয় দৰ্শন করিতে যাওয়া অনুচিত, এবং কোন কাৰ্যাশক্তি ছিল বলিয়া, দেশ তাহার মৃত্যুতে নিঃসন্দেহ প্রকারে তাহাদিগকে উৎসাহ দেওয়া অনুচিত । গতিগ্ৰস্ত হইছে তিনি প্ৰথমে হোৱা চীফ কোটে সকল প্রদেশের নারীগণ কি কি সংকাৰ্যা করিয়াছেন ও ওকালতী করিতেন, পরে বন্ধের পদে উন্নীত হন। তিনি ফটিতেছেন, সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্ৰ, পুস্তিকা, বক্ততা বিশ্বা ও বুদ্ধিমান লোক ছিলেন ; উভয় কাৰ্য্যই পখী প্ৰতি দ্বারা বঙ্গের নারীদিগকে তাহা জানাইলে কিছু কাজ হইয়াছিলেন তিনি পমাৰ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই হইতে পাৱে কেবল নারীদেরই লন্ত একটি সাপ্তাহিক চাগেলার মনোনীত হইয়াছিলেন। পরে কিছু কাল এ খৰৱে কাগজ থাকিলে ভাল হয় । ইহাতে পৃথিবীর সব দেশী রাজো মীর কাজ করিয়াছিলেন । পঞ্জাবের নাম দেশের নারীদের সৎকাৰ্য্য ও নারীশক্তিবি কাশক সকল প্ৰকার সাৰ্ব্বজনিক কালে তাহার এক্সপ উৎসাহ ও গে প্ৰচেষ্টায় বৃত্তান্ত এবং তজি নানাবিষয়ক প্ৰবন্ধ ও সংবাদ ছিল যে তিনি বাঙালী হইলেও পাৰে লোকো তাকে বিবিধ প্ৰসঙ্গ—গোত্মার স্বরাজ লাভ ৫৪৫ নাদের লোক ও অন্যতম নেতা মনে কতি এক হাকে যথাযোগা ভাবে বিদায় দিবার সায়োজন করিবার লোক বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষে অল্প প্রদেশে গিয়া নিমি সম্প্ৰতি সভা আহান করিয়াছিলেন কাল বা স্থায়ীভাবে বাস করিলে তাতাদের সহিত এই প্ৰতিষ্ঠাবান ব্যক্তি তাহার পণ্ডিত্য, অধ্যাপনক্ষতা, ছাত্ৰৰে কায় সম্বন্ধই স্বাভাবিক ও বাহনীয়। যে-সকল প্ৰদেশ প্ৰতি অনুরাগ ও তাদের হিতৈষণ, ঐতিহাসিক গবেষণা পূৰ্ব্বে অগ্ৰস ছিল না বলিয়া প্ৰবাসী বাঙালী তথা অনুরাগ পৰিশ্ৰম ও কৃতিত্ব, অনাড়ম্বর সরল ব্যবহার, দিব তাৰ্য্যে বা অন্তবিধ কাৰ্যো প্ৰাধা ও সামাজিক নেতৃত্ব চরিত্র, প্ৰতি প্ৰশংসা করেন । এসমস্ত পড়িয়া অামা করিয়াছিলেন, অতঃপর সেখানে বাঙালীদের আর আঙ্গলাদিত হইয়াছি। কিন্তু ইহা অপেক্ষাও সুখী হইয়াছি প্ৰতিপত্তি না হইতে পারে । তাহা দুঃণের বিষয় নহে আর-একটি খবর পড়িয়া । এক্সপ্রেস কাগজে দেখিলা নানা কারণে সকল সময়েই এক পদেশে মানুৰ অন্য বাকীপুরের কাহার-জাতীয় লোকেরা হার বিদীসম্বনী গিয়া কাজ করবেই । তাহারা বিণাত উন বা আয়োজন করিতেছে । কাহারেরা অশিক্ষিত নিম্নশ্ৰেণী ন, প্ৰতুল চণ্ড চট্টোপাধ্যায়ের মত যে সব প্ৰবাদী লোক, লোকের বাড়ী চাকরী করে, তুলি পান্ধী মতে, ও বালীখ্যাতিলাভ কৰিয়াছেন, তাদের অন্যান্য দৈহিক শ্ৰমের কাজ করিয়া য়োজগার কয়ে যে অনুকরণীয় মদ্যপান তাহাদের মধ্যে প্ৰচলিত। যদুবাবু নানাপ্রকারে সিবিল সার্বিস পরীক্ষা ও সংস্কৃত । তাহাদেৱ কল্যাণ সাধনের চেষ্টা করিয়াছেন। পশ্চিমে হোলী বা দোলের সময় অশ্লীল গান, অথন্ত পাঞ্জাগতি, সিবিল সাধিসে লোক নিয়োগের প্রণালী সম্বন্ধে বিবেচনা পরস্পরের গায়ে রং, গোবর, নৰ্দ্দমার জল ও ফাদা নিক্ষে, বেিয় রিপোট করিবার জন্য যে কমিটি নিযুক্ত হইয়াছিল, দায় একটি প্ৰস্তাব ভাৰী চমৎকার । কমিটির মতে , মাতলামি, প্ৰভৃতি লক্ষিত হয়

  • *". ""

লিয়নপদ-প্ৰাধা যে যে বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারে হোলী” প্ৰচলিত করিবার ও মদ্যপান নিৰায়ণের তাহা হইতে বাদ দেওয়া উচিত অতি সমীচীন চেষ্টা করিয়াছেন এবং তাহাতে কৃতকটা সিদ্ধিলাভ । ভারতবর্যে করিয়াছেন অজন্তু কাহারেরা তঁহায় প্ৰতি কৃতজ্ঞা অধিকাংশ লোকের শাস্ত্ৰ সংস্কৃত ট সংস্কৃত মহাকাবা ও পুরাণাদিতে বৰ্ণিত পুরুষ ও দেখাইতে চায় নিম'শ্ৰেণীর লোকের প্রতি এই চরিত্রের প্রভাবে যুগে যুগে ভারতবর্থের অগণা প্ৰাণের টান দেশ-সেবকের চরিত্রের অলঙ্কার । ষের জীবন ও পারিবারিক আদৰ্শ গঠিত হইয়াছে যদুবাবুর মত বিয়ান, বিচক্ষণ ও চরিত্ৰবান্‌ অধ্যাপককে সভ্যতার মূলস্বত্ৰ সংস্থত সাহিত্যে নিহিত । সুতরাং গবৰ্ণমেণ্ট শিক্ষাবিভাগের উচ্চতম শ্ৰেণীর কাজ দিতে যায় তাৱতবৰ্ষ শাসন করিতে আদিৰে, লাটন, গ্ৰীক পারিলেন না, অথচ শাদা চামড়ার জোরে কত টন্‌ ডিক্ হারি এক্সপ কাজ পাইতেছে। এইপ স্থায়সঙ্গত ব্যবস্থার কোন আধুনিক ইউরোপীয় ভাষা, প্ৰভৃতি তাতাদের ফা শিক্ষিত ভারতবাসীদের হাড়ে হাড়ে বসিতেছে সরকার হইলেও সংস্কৃত জানা সাপ অনাবশ্যক এবং হয় ভয়ানক গোতার স্বরাজ লাভ | মাপক যমুনাথ সঙ্গ তারের পাটনা ত্যাগ ভারতবর্থে গোমা প্ৰতি ২৩টি জায়গা পোটুগালের বাপক যদুনাথ সরকার বহু বৎসর পাটনা কলেজে অধীন। ৫ বাম্বাইয়ের মেসেজ নামক দৈনিক কাগজে যোগাতার সহিত ইতিহাসের অধ্যাপকতা করিতে দেখিলাম, পোটুগাল-বিকৃত স্থানগুলি সম্প্ৰতি স্বয়াজ লাভ হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় তাহাকে ইতিহাসে অধ্যাপক করিয়াছে ; অৰ্থাৎ তথাকার অধিবাসীরা দেশের আভ্যন্তরীণ নীত করায় তিনি বারাণসী বাইতেছেন। তদুপলক্ষে কাজের বন্দোবস্তে ও সম্পাদনে কতৃত্ব কৱিৰা অধিকার বিহারী বাঙালী হিন্দু মুসলমান একত্ৰ হইয়া পাইয়াছে ১১৫ ।