প্ৰবাসী—জানি, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৬ষ্ঠ সংখ্যা] ইতিহাসের ধারা তুলাপু মুসলমান ছিল না ; মুসলমান সভ্যতা ইহাদের চিঙ্গীভূ-খাঁ এবং তৈমুর-লঙ্গের অধীনে তাতার ও তুৰ্ক প্ৰতিক্ৰিয়া চলিল ; সকল দিকে সুসভা পরিপূজা-শীল এশিয়া-খণ্ডে ও পূৰ্ব্ব-ইউরোপে কিন্তু মধ্য-যুগের অবস্থা হাতে বিধ্বস্ত হইয়া মৃতপ্ৰায় হইয়া পড়ে জাতি এই যুগে সমস্ত এশিয়ায় ও সে ছড়াইয়া পড়ে।” এই ঐীসের মত আসিয়া পড়িল। শ্ৰীষ্টান ধরে সংস্কার আয়ন্ত বহু-দিন পৰ্য্যন্ত বৰ্তমান ছিল । সত্ৰাট অক্ষর অতি উদার অৱবো স্পেন জয় করে। স্পেনে আরব সভ্যতার মধ্য-যুগের প্রায়ন্তে মিশর এশিয়া-মাইনর, ও পশ্চিম এশিয়ায় ইল ; আর রোমান কাথলিক ধৰ্ম্মের ও রোমান-কাথলিক চেতা লোক ছিলেন, চীনের মাধু সম্ৰাটুগণ বিদ্যোৎসাহী আয় এক কেন্দ্ৰ স্থাপিত হয়, আরবেরা অতি গৌরবের প্রাচীন জাতিগণের বিলোপ, ও তাদের স্থানে মুসলমান মাজকের অক্ষু প্ৰতাপ হিল না, নানা Protesta । বা ছিলেন, দুধের রাজা পিটার পশ্চিম ইউরোপে সহিত মেয় সতি প্ৰায় ৮৭ বৎসর রাজত্ব করে, সেভিল, কৰ্দোতা আরবজাতির প্রসার, নীন পারসিক-জাতির পুনরান বেিদ্ৰাৱী ধৰ্ম্ম-সম্প্ৰদায়ে উদ্ভব হইল। নুতন জীবনের সম্পৰ্শে যোগ সাধনে চেষ্টমান ছিলেন বটে, কিন্তু ভারতে, চীনে যা ও মানাদা, নগরী, শোনে আলৰ জ্ঞান ও কলার লীলাভূমি তুৰ্কীজাতির অভুদঃ এবং এই সময়েই আরবী ও ফারসী ইউরোপের লোকে চিন্তা রালো যেন দিগ বিজয় করিতে কৃষে নবজাগরণ তখনও আসে নাই স্পেনের বহু নদনদী নগরাদির আরাধ নান আরব সাহিত্যের সৃষ্টি ও উন্নতি সচেষ্ট হ’ল উপ্তর ভারতে এই যুগে ক্ৰমে স্বাধীন চিন্তায় প্রসার বৃদ্ধি পাইল ১৮ শতের শেষে জগতের পক্ষে চির-স্মরণীয় -জার এফ অধিকারের সাক্ষ্য দিতেছে। কিন্তু ১৫ শতের শেষ-ভাগে আধুনিক পহুৰী, হিন্দুস্থানী, বিহারী, মরাঠা, বাঙ্গালা মুন জীবনের আবেশে ইউরোপ কোনও গণ্ডী না মানিয়া ঘটনা ঘটিল— ইহা ফরাসী বিপ্লব । ফরাসীদেশের দরি স্পেনীয়েরা আবদিগকে বিতাড়িত করে । ইতিমধ্যে উদ্ধাম গতিতে চলিতে চাহিল প্ৰতি ভাসা সাহিত্য ও জাতির উব ; হিন্দু ও ইসলামী কৰ্ম্মক্ষেত্রে বড় বড় কৰ্ম্মবীর প্রজামণ্ডলী বহুকাল ধরিয়া ভূস্বামী অভিজাত-সমাজ-স্কার মধ্য এশিয়া হইতে আগত সলজুক ও অল্প বৰ্ব্বর তুৰ্কী-জাতি সভ্যতা ও ধৰ্ম্মের সংঘাত, এবং উহাদের ধাত-প্ৰতিঘাতের ত হইলেন ; এই যুগে কলম্বস (Columbus) মূতন নিপীড়িত হইয়া আসিতেছিল । মাঝে মায়ে মধ্যযুগে সুসলমান ধৰ্ম্ম ও সভ্যতা গ্ৰহণ করে, এবং স্পেন হইতে মধ্যে কবীর-পী, দাড়-পী, নানক, পী, প্রভৃতি সন্ত ভাগ আমেরিকা-খণ্ড আবিকার করিলেন, ভাস্কো-গামা জাৱা ক্ষেপিয়া উঠিয়া অভিজাত বৰ্গকে আক্ৰমণ করিয়া বিদূরিত হইবার কিছু পূৰ্ব্বোই তুৰ্কীয়া গ্ৰীলে মাৰ্গের, ও নানা নবীন সম্প্ৰদায়ের প্রসার । মায় উপদ্বীপে (ascoda-Gana) ভাৱতে আসিবার হুল-পুহ বাহির অনাবিক লুণ্ঠন ও অ তাচারের ধাৱা প্ৰতিশোধ লইবা ও দক্ষিণ-পশ্চিম-ইউরোপে মুসলমান ক্ষমতা বিস্তার করে ও বীপ প্ৰভৃতিতে ইসলাম ধরে প্রচার ; বহিৰ্ভাৱতেত্ব কহিলেন, মাজ ন্ (Magellan) জগৎ পরিক্ৰম করিয়া অন্ধ প্ৰয়াস পাইত শতে ভলতেয়ার (Voltaire); শ্ৰীসেৱষ্টনী সভ্যতা ? বাইহান্তীয় Byzantine সভাত আদিম অধিবাসী সভা মোন ও প্লেব ডাতির সহিত উত্তর দিলেন । সো (Rousseau) প্ৰকৃতি পণ্ডিতগণের লেখার প্রচারে এই নুতন মুসলমান ক্ষমতার নিকট হারি মানিল ; এই হইতে আগত মোঙ্গোল বংশীয় বৰ্ম্মী ও শ্যামীজাতির বৈজ্ঞানিক যুগের আরম্ভ হইল। স্পিনোজা (spinoza ) ‘সকল মানুষই সমান' এই সাম্য -নীতি ফরাসী দেশে বিস্তুত ঘূৰ্বের, ফলে ইউরোপে এক নুতন -জাগরণ হইল, সংঘৰ্ষ, যোন-ণুের জাতির পরাস্তব, এবং আধুনিক বৰ্গী ও দৰ্শন-বিষয়ক প্ৰবন্ধ ধৰ্ম্ম ও গোড়ামির বাধ ভাঙ্গিয়া চিন্তার হইতেছিল । জন-সাধারণ, অভিজাত-বৰ্গের বিৰুদ্ধে ক্ষিপ্ত ষ্টী চিন্তার প্রাধান্যের যুগের গাঢ় নি। ভাঙ্গিল। শ্যামীদের প্রসার । চীন বরাবরই অনেকটা স্বতন্ত্ৰ ; কিন্তু স্নোতকে উন্মুক্ত করিয়া দিল, ১৭ তে শেষভাগে হইয়া রাজ্যে থিাৰ ঘটাইল ; রাজার শাসন দুৱ করিয়া প্ৰণা মধ্য-যুগে জগতের আধুনিক জাতিগুলি বিশিষ্টা লাভ এই যুগে কোরিয়া ও জাপান চীনের সম্পূৰ্ণ ৰূপে অনুযায়ী ' ইউরোপে মুদ্ৰা-ঘরে উত্তৰ ও প্রচার, জগতে জ্ঞান-বিস্তারের ত স্থাপিত কলি ; পরে রাজাকেও বধ করিল ও. রাজ্যে ফরিয়া উঠিল। পশ্চিম ইউরোপে ফরাীি, ইংরেজ, ইটালীয় শিখা ইয়া দাড়াইয়াছে পথ পরিস্কার করিয়া নুতন যুগ আনয়ন করিল। ইউরোপে অভিজাত বৰ্গকে যথেষ্ট লাহিত কলি । নুতন, মতের জান, প্ৰভেন্সাল, স্পেনীয় ও পোটুপী জাতি ও সাহিত্যের এই যুগ বেকন (Bacon, নিউটন (Newton), গালিলেও উীপনায় উীপ্ত হইয় ফরাসীরা তাহাদের সাম-নীতি ও আধুনিক যুগ খান, ইল ; যোদ্ধবর্থের আভিজাত্য ও ভূম্যধিকারিত্বের (Galileo) ও ক পানিকস (Copernicus)এর যুগ প্ৰজা-শক্তির প্রাধারের কথা জগতে ঘোষিত কলি । ইহায় ১) প্ৰতিষ্ঠা হইল। এই মধ্য-যুগে ফরাসী পশ্চিম ইউরোপে রোমান সভ্যতার উপর খ্ৰীষ্টানী ছাপ স্নাফাএল (Raphael, মিল - অাছেলো (Michelফলে ফরাসী দেশের প্রজা-শক্তিত্ব সহিত ইউরোপের অী সাহিত্যের জাগরণ ; ফরাসী ও কেলটিক্-ওয়েলশ, জাতি পড়িবার পর হইতে গ্ৰীক চিন্ত-প্ৰণালী ও গ্ৰীক সাহিতোৰ | Angelo, টসিআন (T ) প্ৰভৃতি শিল্পী, শেক্সপিয়র দেশের, রাজ-শক্তির সভাৰ্য হইল। এই সর্বের মধ্যে থা লইল, ফরাসী জাতির সভার গ্ৰহণ করিয়া ফরাসীতে সহিত পশ্চিম ইউরোপ সংশ্ৰৰ ভাগ, করিয়া ছিল ; গ্ৰীক Shakespeare), িমলটন (Milton), ভাসসো (rasso), নেপোলেণ্ডন (Napoleon এর আবিৰ্ভাৱ। সেনানী নন্ধি-গণের চিয়া ও বাণী কিছুকালের জন্ত পশ্চিম হারিওস্তো ) (Ariosto). কামো এন্দ, (Camoens প্রভৃতি নেপোলেওন অসাধারণ রণনৈপুণ্য দেখাইয়া ফ্ৰান্সকে নিজের রোমাঙ্গ’কাহিনী রচিত হইল তাহা জগতের সাহিতেঃ এক ইউরোপের জীবনে আর কাৰ্য্যকী হইতে পারে নাই, কবির যুগ এই যুগে আধুনিক ইউরোগ যে বেশে বশে আনে ; ; সালের গৌরব ইউরোপময় ছাইরাস সুক্ষে, বস্তু ; বিগত শতাব্দীতে ইউরোপ তাহারই উদ্যোধন কারণ গ্ৰীক ভাষা ও গ্ৰীক সাহিত্যের চর্তা রহিত হইয়াছিল বাহির হইল সে বেশ এখনও ধারণ করিয়া আছে পদ সানন্দে তাহাকে সম্ৰাটুকুপে গ্ৰহণ করে রিবার প্রয়াস, করিয়াছি মধ্য-যুগে পশ্চিম ইউরোপের কিন্তু ১৪৫৩ সালে যখন তুৰ্কীরা কস্তান্তিনোপল জয় কলি তাতে ও প্ৰাথণ্ডে ইউরোপের প্রসারের সূত্ৰপাত একচ্ছত্ৰ অধীশ্বরের স্থায় রাজ্য কবিবার পর ১৮১৫ সালে রোমান-কাথলিক খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্মের চরম পরিণতি ; এই যুগে তখন গ্ৰীক পণ্ডিতের পুথিপত্ৰ ইয়া পশ্চিম ইউরোপে এখন হইতে আমেরিকায় নবীনতর ও মহত্তর ইউরোপের ও আটালু (Waterio) ক্ষেত্ৰে তিনি পরাজিত হন। ফ্ৰাক্ষে ইউরোপে কতকগুলি খ্ৰীষ্টান সাধকের ও পণ্ডিতের উদ্ভব আশ্ৰম সন্ধানে গমন করিলেন তাহারা গ্ৰীক ভাষায় ঘৱৰ এই যুগ । িকন্তু আমেরিকায় এই নুতন ইউরোপের পুনরায় ১৭৮৯ সালের বিবের পূৰ্ব্বের মত, রাজ-শাসন এই সময়ে রোয়ে ধৰ্ম্ম-গুরু পোপ িদগের অব্যাহত প্ৰভাব উপদেশ দিতে লাগিলেন । ; ফলে ইউরোপে গ্ৰীক সাহিত্যের পাতন ঐ েদশের আদিম জাতিকে উচ্ছেদ কবি। তবে হইল। বিজেতা ইংরেজ ও জন্মান কতৃক আনীত হয়।. কিন্তু ছিল। মধ্য-যুগে ধৰ্ম্মভূমি পাল ন উদ্ধারে কৃত-সংকল্প চৰ্চা নুতন করিয়া জাৱন্ত হইল, প্রাচীন গ্ৰীক মনের সহিত সভ্য আমেরিকা বাসীরা ত ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের পরে ১৮৭২ সালে আবার প্রজাতন্ত্ৰ প্ৰবৰ্ত্তিত হয় । ফ্ৰাণে ফ্ৰাদেৱ নরমান ও অনান্য জাতীয় ঘোড়গণের অভিধান, ও পুনঃ পরিচয় ঘটিল, ইউরোপে চেতনার সাড়া পড়িয়া গেল সংঘৰ্ষে আসিয়া মারা পড়িল । এবং মেক্সিকো ও কাতান ফ্ৰাপের এই সামা-বাৰু আধুনিক সভ্যতার একটি খুব বড় আবজাতির সহিত সংস্পৰ্শ, তাহার ফলে ইউরোপের চিন্তা ও রেনেসাঁস Renaissance বা ‘নব জীবনের যুগ’ পড়ি ং মধ্য-আমেরিকার, তথা পেঙ্কর প্রাচীন সভ্যতাকে কথা । যদিও এই কথাটি সৰ্ব্বত্ৰ সন্মানিত হয় না। সভ্যতায় আরব ও এশিয়াৰ প্ৰভাৰ কিছু-কিছু আসিয় পড়ে। খ্ৰীষ্টানী যুগের চি ( বা চিন্তাৱ কণ্ঠরোধের) বিৰুদ্ধে মান কাথলিক গোড়ামির নিকট খণি দেওয়া হই ১৫০ °র পুরে ইউরোপের ইতিহাস বৈচিত্ৰময়, অল্প ৭১২ সালে
