পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী-আশ্বিন, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৬ষ্ঠ সংখ্যা] তিববতরাজ্যে তিন বৎসর জাকাশ দেখা দিল, আৰায় সুৰ্য্য-কিরণে চারিদিক সপ্তবিংশ অধ্যায় । রাইতে আর ইক্ষা হয় না। পথে কতকগুলি ভারতীয় ২টি টিল রাখিয়া তরে গণিয়া বন্দিতে পায়ে যে সাত হুইল । লাগিল , বড়ের বিদুমাত্ৰ নাই। আমরা সেদিন আর তিৰুতে বেচাকেনা । এবং নেপালী হিন্দু তীৰ্থযাত্ৰী সহিত সাক্ষাৎ হইল, তাহারা ইহাদের বাণিজ্য-ব্যাপার দেখিয়া অামি অবাক হইয়। এই যে মানস-সরোবর হইতে ৪টি নদীর উৎপত্তি মানস-সরোবরে অবগাহন করিয়া পূজা অৰ্চনায় ব্যাপৃত পিয়াঢ়ি । শাধা পাথর, কাল পাথর, ছোট ছোট দা, কথা গিলাম, বাস্তবিক ইহা গল্প-কথা। আমি দেখিলাম ছিল তথন বেলা প্ৰায় ১০টা হইবে তাহারা আমায় খুঁটি প্ৰভৃতি লইয়া ইহারা হিসাব করিত। এক দিগের সেবায় পরম সুখে আমার দিন কাটিতে লাগিল মানস-সরোবর হইতে একটি নদীও নিৰ্গত হয় নাই বিয়া বৌদ্ধ সাধু ভাবিয়া মানা প্রকার বাদ্র দ্রব্য উপহার জিনিষ এক একটি সাদা পাখা দিয়া গণনা করিত , ই আগষ্ট আমরা এক উচ্চ পাহাড়ে উঠতে লগিনাম নকটের পাহাড় হইতেই ঐ গুটি নদীর জন্ম হইয়াছে। বে লি দ্বিতীয়দিন বাৱেও আমি সেই মন্দিরে বাস সাদা পাথর হইলে জাহাজ বলে একটি কাল পাখ বি অামার সঙ্গীগণ আমার জন্তু একটি চমরী আনিল আমি নীট পুঞ্চ িদতে গিাছে তাই ভারতে ব্ৰহ্মপুর নদ দে দিলাম। মানস-সেরাবরের উত্তরপশ্চিমিদকে এক িবরাট ১০টি কাল পাথর হইলে একটি কাঠ, কাৰ্ট ইলে, চীতে চড়িয়া পাহাড়ে উঠিতে লাগিলা মাইল অবতী, গিণের নদীটি গঙ্গা, পশ্চিম-বাহিনী নদী পৰ্ব্বত উঠিয়াছে। আমি সেই পৰ্ব্বতে ১০ মাইল পথ উঠিয়া একটি শামুক এই-প্রকারে হিসাব করিয়া ব্যবসা পথ অতিক্ৰম করিয়া সহসা এক অপূৰ্ব্ব দৃশ্য দেখিলান শতক্ৰ, আর উত্তরের নদীটি সিন্ধুনদ—এখানে ইহার নাম আর-এক প্ৰকাণ্ড স্কুল দেখিলাম । ইহার নাম “বাক্ষরতাল । … চালাইত। অঞ্চ-শারে গুণ-ভাগের রহস্য ইহানের নিকট তাহা অার এ জীবনে তুলিব না। আজন্মের স্বগ্ন আল গীতা ইউরোপীয় কেহ নিশ্চয়ই মানসসৰোব দেখি মানস-সরোবরের স্নায় প্ৰকাণ্ড নহে। সেগান হইতে যথাৰ্থই হস্ত । … মানস-সরোবরের তীরে ৩৪ আমার প্রত্যঙ্গ-গোচর হইল । আজ আমার সম্মুখে অণুৰ্ব্ব থাকিবেন, কিন্তু চিত্রে ইহার ক্ষেপ আকৃতি দেখিয়ছি আরও ৭৪ মাইল উঠিয়া সমুদায় ব্লগটি ছবির মত দেৱ আমি এইভাবে কেনা বেচা সৰ্ব্বত্ৰই চলিতেছে দেখি সোয্যের মানস-সরোবর অষ্টকোণ-বিশিষ্ট এক বিপুল বাস্তবিক ইহা সোপ নয় অপেক্ষা অনেক দ্বন্ধু, মুখে দেখিতে পাই দেখলাম মানস-সরোবর আর ছিলাম আমাদের দেশে যাহা আধা ঘণ্টার হয় এদে খাশয় । বারিাশি স্বন্ধে শুভ্ৰ স্থির । উত্তর-পশ্চিম দিকে ইহার পরিধি প্ৰা ২৫ মাইল হইবে সেই রাত্ৰে মানস এই ব্লদের মধ্যে আড়াই মাইল বিস্তুত এক পৰ্ব্বত প্ৰাকারের তাহা সমাধা কৰিতে তিন দিন সময় লাগিতা। আর এক শুভ্ৰ কৈলাস-শিথর মানস-সরোবরের স্বচ্ছ জলে প্ৰায়াপাত সরোবরের তীরে এক ৰোহ্মমন্দিরে আশ্ৰয় লইলাম চাহ রহিয়াছে । মানস-সরোবর হইতে “বাক্ষলতােল’ কিছু কারণে মানস-সরোবরের তীরে যে কয়দিন বাস কৰিয়া ৱি প্ৰশান্ত মুৰ্ত্তিতে গাড়াইয়া আছে ? এমন মহান অপূৰ্ব্ব দিয়ে প্রধান সামা আমাকে একটি গল্প বলিলেন, আহ । ইয়াদে ভিতর কোনো যােগ নাই—কিন্তু ১৭৯৫ ছিলাম তাহার কথা কখন তুলিব না। তীৰ্থযাত্ৰীদিগের ভিতর সৌন্দৰ্য্য এ জীবনে আর দেখি নাই । চারিদিকে কি শান্ত শুনিয়া অবাক হইয়া গেলান এই লামাটি যতদুর সম্ভব ং পর অস্বাভাবিক বধা হইলে বা অন্য কোন আমার যশ এঙ্কপ প্ৰচারিত হইয়াছিল যে তীৰ্থযাত্ৰী এক গীয় পবিত্ৰ ভাব । স্বচ্ছ বারিাশি কি স্থির ! পাবি অঞ্চ এবং অশিক্ষিত, তবু, ইহাকে মিথ্যাবাদী বলিয়া সনে কারণে বাতালের জল. উপচিয়া কোনও ধারা মানস বাপিকা অামায় পরিপে বরণ কৱিৰায় জন্ত ব্যাকুল ধূলা মলিনতা এ রাজ্যে কোথায়ও নাই। এই সেই দেবত করিতে পারি ন নানারাপ কথা-প্ৰসঙ্গে ইনি ছিলেন সরোবরে গিয়া পড়ে এদেশের লোকের বলে “রাহ্মসাল হইল বাহিত কৈলাস পৰ্ব্বত । এই সেই দেবতার বিহার ভূমি যে, “তোমাদের লামারা কেমন লোক হয় জানিনা, আমাদের তি, মানস -সরোবর পীর সহিত ১৫ বৎসর অন্তর সাক্ষাৎ অষ্টবিংশ অধ্যায় । পবিত্ৰ মানস-সরোবর। নিমেষের মধ্যে পথের সকল দুঃখ এদিকে লামাদিগের তির ব্যভিচার অতাও প্ৰবলা য়ে।” রাক্ষসতাণ হইতে ১৩ মাইল নামিয়া আমি এক কষ্ট বুলিয়া গেলাম। এতদিন অনাহারে অনিদ্ৰায় বিপদ এই ত এখানকার আলচু লামা, ধিনি এই মানস-সরোবয়ের উপত্যকায় পড়িলাম । সেখানে ৬ ফুট চওড়া এক নদী হিমাচল-শিখরে প্ৰেমের ফঁাদ । সৎ ভীষণ দেশ কি ভাবে অতিক্ৰম করিয়াছি সব ভুলিয়া তীরে বৌদ্ধ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন এক দায়ী বিয়া যাইতেছে, ইহাও গগার এক উপনদী। ভারতবৰ্ষ আমি তখনও তীৰ্থযাত্ৰীদিগের সঙ্গ ত্যাগ করি নাই । গেলাম। আজ আমার প্রাণে আনন্দ মাত্র ধরে না। এ ঋগের ফাঁদে পড়িয়া তাৰ কি পতন না হইল। সেই তিৰুতের মধ্যে হিমাচলের উপরে “পুব্লাং, নামে যে সহয় , তাহদের মধ্যে কাহারও কাহারও আমার প্রতি অগাধ বিপুল সুখে তুলনায় পথের কষ্ট কি ছায় । আজ যাহা, দ্বীলোকের জন্য সেই লামা দেবোত্তর সম্পত্তি পৰ্য্যন্ত বাজেয়াপ্ত আছে এই নদী তাহার নিকট দিয়া প্ৰবাহিত হইয়াংলাহল’ ভক্তির উদয় হইয়াছিল।” বিশেষতঃ একটি বালিকা দেখিলাম, জন্ম সাৰ্থক হইল পৃথিবীতে মানস, কবি। দিল, সেই সুন্দরীর পিতাকে মন্দিহের সম্পত্তি দান গঙ্গায় আর-এক উপনদীর সহিত মিলিত হইয়াম । বালিকা বলি কেন যুবতীয় । আমি স্পষ্টই তাহার ব্যবহারে সরোবরের স্থায় নিৰ্ম্ম-জলপূৰ্ণ হ্ৰদ আর নাই । ইহা ১৫৫ করিয়া অব ঝ মন্দিরের যথাসৰ্ব্বস্ব লইয়া সেই সুধীর নদীর তীরে আমরা সেই রাত্ৰি বাস করিলাম । সেখানে তাহার অন্তরের ভাব বুঝিতে পারিণাম । তখন আঁীমা ফুট উচ্ছে অবস্থিত এই কৈলা-শিখলে হিন্দুদিগের সঙ্গে কোথায় পলাইয়া গিয়াছে। সম্প্ৰতি শুনিতে পাইতেস হইতে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর তাবুও পড়িয়া- প্ৰাণে এই চিন্তার উদয় হইল —“এ বয়সে এ ভাব কিছু টি আরাধ্য দেবতা মহেশ্বর বাস করেন। বেীদিগের নিকট সেই পাপা লাদা সেই গ্ৰীৱ সহিত হতো নামক স্থানে ল সচরাচর এই সময় এখানে বিলক্ষণ বেচা কেনা অস্বাভাবিক নয়, সকলের মুখে আমার সুখ্যাতি সে ইহা পবিত্ৰ তীৰ্থ। এই হ্ৰদ হইতে নাকি চারিটি নদী বাস করিতেছে। পথে মালিখা ময় তুমি কি এই পাপিষ্ঠকে দেিয় থাকে । তিব্বতে ক্ৰয় বিক্ৰয়ের ব্যবস্থা কড়ই অল্পত । বেচারা আমায় পাবার জন্য ব্যাকুল হয়েছে ।” আদি চারিদিকে নিৰ্গত হইয়াছে। এই ৪টি নদীই ভারতভূমিতে দেবিয়াছ ? আমি বুণিাম পথে আসিবার সময় যে রাজ্যে টাকা-কড়ির বড় চলন নাই । তিব্ধত হইতে তখনই তার মন হইতে এ ভাৰ দূর করিবার জন্তু কৃত প্ৰবাহিত হইয়াছে। লোকে বলে দক্ষিণের নদীতে রৌপ্য সুন্দরী এবং তাছার সামা আমায় আতিথ্যে অনুী ব্যবসায়ীয়া মাখম , লবণ, পশম, , ভেড়া, ছাগল, চামর সঙ্কল্প হইলাম। মনে করিলাম, ধৰ্ম্মভাব প্ৰাণে জাগ্ৰত শ সিয়া যায়, পশ্চিমের নীতে স্বৰ্ণয়ে, উত্তরে হীরক করিয়াছিলেন, তাহারা এই দম্পতি । হয়। সংসা ে প্ৰতি বিক্ৰয়াৰ্থ লইয়া আসে। বিনিময়ে ভাৱতবৰ্ষীয় কবিয়া এভােব ডুবাইয়া িদব ! আদি সদাসৰ্ব্বদা তার মনে ো ো য় পূৰ্ব্বের নদীতে পায়া। মানস-সরোবরকে সুদূর মানুষের হৃদয় চেনে সাধ্য কার? পরদিন আমি মান হাবীর নিকট হইতে শস্য, তুলা, কাপড় প্রভৃতি ক্ৰয় বৌদ্ধধর্থের মহান আদৰ্শ মুদ্ৰিত করিবার চেষ্টা কবিতা পৰ্ব্বত-শিখর হইতে দেখিলে একটি অতি বিস্তীৰ্ণ প্ৰক্ষুটত সরোবরের তীরে ভ্ৰমণ করিতে বাহির হই এই সকল ব্যাবসায়ীরা পাচে ইএ কত হয় তাহা বেী শ্ৰমণের বিবাদ করা, সংসারে ভোগসুখে নিমগ্ন পদ্মফুল বলিয়া মনে হয় তাকাই অপুৰ্ব্ব সৌন্দৰ্ঘ্য দেখিয়া প্ৰাণ মুগ্ধ বাহা মুখে যোগ কবিয়া বলিতে পারে না, ৪টি ঢিলে পাশে কতদূর হীন কাঙ্ক বৰ্ণনা করিতাম । ভোগে মুক্তি নাই,