পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী— গিন, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ ৬ষ্ঠ সংখ্যা] আমার মা রইলেন, তার সেবা কোরো ; আর পারো গুণময়ও পিচু পিচু চলিলেন রাজবালাক্ষিপ্ৰ পদে এর আজৰাল কাছে িগয়া পাড়াইলে দাদেবী তােহােৱ দুই খাবার তৈরি কবিতে বিলি, গারে দিকে ফাণ্ড তার সীম হয়ো না। অামা কথা তুলে যেয়ো সেগর খুরিয়া গুণমাকে সাত পাক খাওয়ার দা য়িয়া বুলিলেন-বাজু, তুই আমার ছোট বোন, তোর ফরিল না চতু খানসামা আসিয়া খবর িদল বিলাসপুরের জমিদায় বীরেন তাহাকে ভুলিতে অনুরোধ করিয়াই তুলিতে করিয়া দিয়া লুকাইয়া আবার দয়াদেবীর স্বৱে চলি ধরে ভিক্ষে চাইছি আমি যে ক’টা দিন আছি আমার সময় বাবু বিবাহের জন্য স্বয়ং মুয়াকে দেখিতে ধারণ ফালি। রাজবালা আঁচল দিয়া চোখ ঢাকিল আমারই থাকতে সি আসিল । তাহার মুখ কৌতুকের হাসিতে উজ্জল হই ধীনেও চোখের জল সুধিতে মুছিতে চলিয়া গেল । স্বাদবালা তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল— আমি ওকে গুণময় বলিলেন - মোহিনী, মায়াকে একটু সাজিয়ে মাজবালা সেই ভোৱে স্নান করিয়া পবিত্ৰ হইয়া তীৰ্থ ওদিয়ে বৈঠকখানায় নিয়ে আয় । রাজবালার সেই হাসি প্রণয়লীলার দীপ্তি বসিয়াল বিয়ে করব না, কখনো বিয়ে কব না দাতা তপস্বিনী যে ভাবে দেবতার মন্দিরে যায় সেই ভাবে বুধিয়া দয়াদেবী বিরক্ত হইয়া বলিলেন – বাড়ীতে ঘরে পাইতে-হাপাইতে গুণম গুণময় চলিয়া গেলেন আসিয়া ঘরে ঢুকিলেন মায়া ঘুম হইতে লাগিয়া বাবার তবে চোখ বুজিয়া দয়াদেবীর ঘরে গেল। দয়াদেবী তাহাকে দেখিয়া আশ্চৰ্য্য ও অভাব নেই বায়ু, তুমি আমার এই ঘরটিতে এসোমা বালার দিকে চাহিয়া হাবিতে-হাসিতে বলিলেন--রা বিছানায় পড়িয়া ছিল, গুণম বাহির হইয়া বাহঁতেই মায়া ইয়া গেলেন-এ যেন মূৰ্ত্তিমতী ব্যথা খুঁজে বার করেছি ! এইবার তুমি আঁদি –তুমি আমি তোমার হাতে ধরে ভিক্ষে ঢাচ্ছি, আমায় একটু মায়ের গলা জড়াইয়া ধরিয়া বলি-মা, আমি ৰাৱেন রাজবালা জিজ্ঞাসা করিল—দিদি, এখন কি মুখ ধোবে ? নিরুপন্দ্ৰবে মরতে দাও । ঘরাও বেী এ খালি হতে আর বে, আমি লুকোবে, এসে দাদাফে ছাড়া অার কাউকে বিয়ে করব না। আজ আর দয়াদেবী বিরক্তি প্ৰকাশ করিতে পারিলেন । দেৱী হবে না। দাদেবী দৃষ্টি নভ করিয়া কাতর স্বরে বলিলেন -- … দয়াদেবী দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলিক্ষ্মা চোখ ছিলেন। (ক্ৰমশঃ । না। তিনি শুধু বলিলেন—মোহিনী আসুক । চার বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে আমার একটা ভিক্ষে আছে রাজবালা বিস্ময়ে ডয়ে দুঃখে অভিভূত হইয়া কঁাদি র । মোহিনী এখনো মুছে ।—বলিয়া ব্লাজবালা উচু টুল ফেলিল । চমকিয়া উঠিয়া গুণময় গম্ভীর হইয়া বলিলেন—অ্যা ! নিয়া থাটের পাশে রাখিল এবং তাহার উপর কুপার তাহার চোখ দিয়া শ্ৰীল পড়িতে দেখিয়া দৱাদেবী লছ ? ভালো আমার মরতে তার বিলম্ব নেই—অামার কথানি ছোট রেফাবিতে রিয়া মান, পার জিভ-ছাল, কোমল মন ভিজিয়া উঠিল, তিনি নরম স্বরে বলা বাদো কথা কখনো তুমি শোনোনি, এই শেষ অনুরোধটি ভালো ওগো ভালো মামা স্কার ডাবর ও এক ঘটা জল সাজাই স্থা রাখিল ; তারপর উঠিলেন—াজু, তুই কাঁদসি কেন ? বোমা রাখতে হবে সকল কথার শেষ, রাদেবীকে ধরিয়া ধীরে ধীরে তুলিয়া বসাইয়া তাহার হাতে এই মমতার স্পৰ্শ পাইয়া রাজবালার চোখ দিয়া অঞ্চ কি ? া িদুটি আলোয় ভয়ে” দেখাও উজল দেশ ঢালিয়া দিতে লাগিল ধা বেগে বহিতে লাগিল, সে কম্পিত কণ্ঠে বলি-দি -আমি মরার আগে তুমি বিয়ে কোরো না মহাবেদীকে মুখ ধোয়াইয়া ঔষধ খাওয়াইল । তারপর গুময় যে দেশতে ভালোর সঙ্গে তুমি আমাকে ধাড়ী পাঠিয়ে দাও বিয়া বলিয়া উঠিলেন— আমি বিয়ে করব ভালোয় কথা কৱ, ষ্টাভ আলিয়া মেলি ভুজ তৈরি করিবার জন্য দল গরম —তার আত্মাণ মাসে বিয়ে হৰে শুনছি, এখন দ্বা ৰা কে বললে ? ব্লা বুদ্ধি ? বলেছে ভালোই বে দেশতে আলোর মাঝে করিতে দিয়া মোহিনীকে দুধ আলি দিয়া আনিতে বলিতে যাবি কি ? করেছে । তুমি ত মরতে বসেছ, বিয়ে না করলে আনার ঘটায় পরিচয়, —তোমার দুটি পায়ে পড়ি দিদি, তুমি আমাকে বাঁচাও কলা-ধ বজায় থাকে কেমন করে । যে দেশতে সবার পরাণ অামি জামাই-দাদাকে বিয়ে করতে পারব না । সহজ স্বাধীন সুখে অরক্ষণ পরেই রাজবালা ফিরিয়া দয়াদেবী বাথিত হইয়া বলিলেন—বিয়ে কোরো । কিন্তু আসিল, তাহার নিত্য ভরে, নিতা হয়ে পিছনে-পিছনে আসিলেন গুণময় দিয়ে কটা িদন বেঁচে অাছি . গুণময় বলিলেন—তুমি দাদেবী অতিমাত্ৰ আশ্চৰ্য্য হইয়া বন্দিলেন-জামাই বক্ৰ কুটিল দুখে, দাদাকে বিয়ে ফরবি কে বলছে ? গুণদয় বিরক্ত হইয়া বলিয়া উঠিলেন—তোমার এখানে কি কবে রা, তুমি আমার সঙ্গে হাতে একটু যে দেশতে বিড়ম্বন৷ বোলে এস রাজবালা আবেগের কোকে তার মা ও ভগ্নীপডিয ত কোনো গা দেখছিনে। তুমি দি এখন কিছুকাল নাইকো কোনো কাজে রাজবালা গুয়ে অভিভূত হইয়া থাটের ওপারে দয়াদেবীর গোপন ষড়যন্ত স্নাশ করিয়া ফেলিয়া কুষ্ঠিত সচিত হইয়াস মরো : সফলতার তুৰ্য্য বেথা করিয়া গেল দাদেবীর চোখে জল আসিতেছিল, তিনি তাড়াতাড়ি আকাশ চুক্তি বাখে, কোল ঘেঁসিয়া গিয়া বসিল । গুণময় দমিবার পাত্ৰ নন ক যে দেশতে যাবার লাগি দয়াদেবী উৎসুক হইয়া বলিলেন—বল ক্লাজু, ও ফিরাইয়া কঠিন ইয়া হিলেন তিনিও থাটের উপর উঠিয়া বসিয়া যুকিয়া রাজবালার হাত কে ধাত্ৰা সবার সুত্ব বলে ীর কাছে গোপনতার যেটুকু সঙ্কোচ ছিল সেটুকুও ধরিয়া বলিলেন--রা, তোমার হাতখানি কি নরম। যে দেশতে আছেন বসে রাজবালা মাকে বাচাইবার অন্ত যুৱাইয়া বলি চিয়া যাওয়াতে গুণময় । স্পষ্ট ভাষায় বলিলেন— , রাজবালা হাত ছাড়াইয়া লইয়া পিছন ফিরিয়া বসিল । প্ৰাণের পর গুই ; জামাই-দাদা মাকে বলছিলেন । লো আমরা খেলা করিগে, স্বৰ্গী আগলে বসে থাকা কি সই দেশে আল আলোর স্বাবে ময়, তাহার দীৰ্ঘ ঘন চুলের গোছা হাতে তুলিয়া মাসিমারও মত হয়েছে ? তোমার সাঙ্গে লব ভালোর দীক্ষা বিলেন—এই সকাল বেলা তুমি চান করেহ, রাজু। কী রাজবালার আপাদমস্তঞ্চ অলিয়া উঠিল, তাহার মনে রাজবালা চুপ করিয়া বহিল। এরই লাগি সবার প্রাণে ন্দয় চুল তোমার ! তোমার সব ভালো রা! দয়ামে ধী দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন—তামার মাধ ল, এ লোকটা মানব না দানব । সদাই প্ৰতীক্ষা জিবালা উঠিয়া ধরা হইতে বাহির হইয়া গেল সবুর সইছে মা মোহিনী দুধ জ্বাল দিয়া অনিল । রাজবালা দয়াদেবীর হেমলতা দেী বায়ু, আমার কাছে আয়