পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্ৰদেশ, পঞ্জাব ও আসামে বাংলাদেশ ছাড়িয়া দিলে, অsান্ত যে-সব প্রদেশে বিশে প্ৰাদেশিক কংগ্রেস হয়, নাই। সুতর বঙ্গে হোমঙ্গল লীগ ( অৰ্থাৎ স্বরাজ-লিপ্ত, মণ্ডলী) স্থাপিত জাজনৈতিক নেতারা এখনও পারদৰ্শিতা অনুসারে সৰ্ব্ব হইছে, তথা সত্যেরা অধিকতর উৎসাহ ও কণিষ্ঠতা নিম্ন স্থান অধিকার করিতে পারেন নাই। সে গৌরব দেখাইছেন নানা শহরে শ থা স্থাপন, নানাহানে লাভের সম্ভাবনা এখনও হিয়াছে। অতএব নিরাশা প্ৰকা সভায় বক্তৃতা, নানাবিধ পুস্তক ও পুস্তিকা রচনা কারণ নাই প্ৰকাশ ও , এইক্লপ অনেক কাজ কয়েকটি বিক্ৰয়প্রদেশে অময়া কেবল যে বাঙালী কংগ্ৰেসওয়ালা নেতাদিগকেই হইয়াছে। বিহার বাংলা অপেক্ষা রাজনৈতিক আন্দোলনে দোষ দিতেছি, তাহ না ; এ প্রদেশের হোমল লীগও অনেক পশ্চাতে পড়িয়া ছিল তথায় এক মাসের মধ্যে বেশী কিছু কণিষ্ঠতা দেখায় নাই। এখানে প্ৰসঙ্গক্ৰমে প্ৰাদেশিক কনফারেন্সে এবং বিশেষ প্ৰাদেশিক কংগ্ৰেসে একটা অবাস্তৱ কথা বলিতে চাই কংগ্ৰেস ও হোমরুল স্পষ্ট ভাষায় জোরের সহিত হোমঞ্জল দাবী করা হইয়াছে। লীগে কোথাও কোন বিরোধের কারণ নাই ; কেন না প্ৰথম সভার সভাপতি ছিলেন খাঁ বাহাদুর সরফরাজ হুসেন মাম্ৰাজ, বোম্বাই, আগ্ৰা-অযোধ্য, প্ৰভৃতি যে-সব প্রদেশের স্বাচিরকাল রাজকৰ্ম্মচারীদের সহযোগিতা করিয়া । তিনি লীগগুলির প্রাণ অাছে তথায় তাহারা কংগ্রেস আসিয়াছেন সভাপতির অভিভাষণে তিনি হোমকুল: দে লীগের অনুমোদিত রাজনৈতিক দাবী অনুযায়ী মস্ত্ৰে দীক্ষিত হইয়াছেন বলিদা ঘোষণা করেন, ঐ আন্দোলনই করিতেছে অবশ্য ব্যক্তিগত হিংসদ্বেষাদি কারণেও উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় সভাৱ সভাপতি ছিলেন কারণে কোথাও কোথাও মনোমালিন্য ও বিরোধ হইতে ভূতপূৰ্ব্ব হাইকোটের ওজ সৈয়দ হাসান ইমাম । ইহার পারে বা হইয়াছে। তাহাকে কংগ্ৰেস ও হোমালের ঝগড়া অভিভাবণেও নিৰ্ভীক ও স্পষ্টভাবে হোমরুলের দাবী করা বলা যায় না ; একই দলের রেল বাবুর ও ভূপেন্দ্ৰবাবুর হইয়াছে মধ্যপ্রদেশের বিশেধ প্ৰাদেশিক কংগ্ৰেসে অনুচরদের মধ্যেও তা বেঙ্গলীকাজে মছলী বাজার বধিয় স্বরাজের দাবী করা হইয়াছে আমরা নাম লইয়া কোন এখন কলিকাতার হামল লীগের কথা বলি প্ৰকার গড়ার কারণ দেখিতেছি ন স্বরাজ, স্বাত্তশাসন, ইহা সমগ্ৰ বঙ্গের লোকদিগকে আহ্বান করিয়া ত স্থাপন হোমৰুল, জাতীয় আত্মকত্ত্ব,--যাহা যে নােম তাল করা হয়ই নাই; কলিকাতাতেও কোন প্ৰকাশ বিজ্ঞাপন লাগে ব্যবহার করুন দাবীটা ঠিং থাকিলেই হইল দিক সৰ্ব্বসাধারণের কোন সভায় ইহা স্থাপিত হয় নাই । দাবী এই যে ভারতবর্ষের রাষ্ট্ৰয় কাৰ্যনিৰ্ব্বাহে, অৰ্থাৎ জানকতক লোক মিলিয়া পরশপা পরস্পরকে সভাপতি আইন প্ৰণয়ন, করস্থাপন, সংগৃহীত রাজস্ব কিক্ষপ কাদে আদি নিৰ্ব্বাচন করিয়া ইহা প্ৰতিষ্ঠিত হয়। ইহার স্থাপন কি, মাণে বান্ধিত হইবে তাহ নিৰ্দ্ধারণ, শিক্ষা স্বাস্থা পদ্ধতির দোষ না হয় ছাড়িয়া দিলাম। এই লীগ কাজও শাস্তিরণ আদির ব্যবস্থা করণ, ইত্যাদি ব্যাপারে ভারত তি সামান্ত করিাছেন । কাজের মধ্যে গোলদিঘীর পাড়ে বর্ষের লোকেরই কতৃত্ব থাকিবে । টাকতক ৰক্ত তা ইহার সত্যেরা করিয়াছেন । বঙ্গের দুঃখের বিষ, ভারতবসের কোন কোন অনগ্ৰস কোথাও ইহার শাখা স্থাপিত হয় নাই ; সেন্ধপ চেষ্টা প্ৰদেশ হইতেও দেশের লোকেরা প্ৰাদেশিক কংগ্ৰেস কবি পৰ্য্যন্ত হইয়াছিল কি না বলিতে পারি না। এই দাবীর সমৰ্থন কলি, কিন্তু, শিক্ষাভিমানী একখানা চটি বহি পৰ্য্যন্ত ছাপাইয়া লোকদের রাজনৈতিক বাঙালী কিছুই কলি না দেশেই রাজনৈতিক বা ºার চেষ্টা করেন নাই সুতরাং কংগ্রেসওৱালা অন্যবিধ আন্দোলন চালাইবার জন্য একটা কেন্দ্ৰীয় সমিতি চেয়ে কলিকাতার হোমঙ্গল লীগের কৰ্ত্তারা যে থাকে । এই কী চালাইয়া আন্দোলন করিতে হয়। বা জনহিতৈষণায় পুরম উৎসাহী, তাহা বাংলাদেশে, এই কলের নাম ভারতসভা বলুন, বা প্ৰাদেশিক কংগ্ৰেং কমিটিই বলুন,—কলাট অনেক দিন হইতে স্বা সুরেন্দ্ৰবাবুর ও হার দলের লোকদের হাতে । তাহারা অনেকদিন হইতে এই কলটির কোন ব্যবহার করিতেছেন: বঙ্গের দৈনিক ইংরেজী কাগজ না, অথচ কল চাইতে আপনাদের অসামৰ্থ্য জানাইরা যােহাৱা বাহিরের খৰত্ন সুখে না, কুপমণ্ডুফের মত রাজনীতিক্ষেত্ৰ হইতে অবসরও গ্ৰহণ করিতেছেন না। তাহাদেৱ আত্মসাত্মা খুব দাড়িতে থাকে। বাঙালীয় সম্প্ৰতি ত কাটিতে মরিচ দরিয়াছে, ও উহা বােমেরামত অনেকটা সেইক্লপ ইয়াছে। বাংলা দেশের বাহিয়ে অবস্থায় পড়িয়া আছে বলিলেও হয়। আপনাদের কতৃত্ব ও ভারতবর্ষের লোকেরা জীবনের কোন বিভাগে কত উ;ি প্রাধান্ত রক্ষার দরকার হইলে হয়ত দলের লোকেরা কখন করিতেছে, বঙ্গের বিস্তৱ শিক্ষিত লোকে তাহার কোন কখন কাটি টপিয়া থাকেন। কিন্তু উহা এখন এমন অকেজো খবর রাখেন না। সুতরাং, তাহারা মনে করেন, ইয়া পড়িয়াছে যে ইহার দ্বারা হাবড়াদের দুরবিয়ানা বৎসর, এমন কি ১৭ বৎসর পূৰ্ব্বে ও বাংলা অদ্যা প্ৰদে ক্ষাও অার হইতেছে না অপেক্ষা যেরপ অগ্রসর ছিল, এখনও তাই আছে বুদ্ধি অথচ ইহা বলা যায় না যে দলের নেতা বাবু ইহা মহা ভ্ৰম । রাজনৈতিক আন্দোলন, সমা জরাগ্ৰস্ত ও অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িয়াছেন। আগামী নবেম্বর আন্দোলন, সমাজসেবা, ইত্যাদি বিষয়ে বাংলা এখন না। মাসে তাহার ৭০ বৎসর বয়ঃক্ৰম পূৰ্ণ হইবে এই বয়সে অগ্ৰবৰ্ত্তী প্ৰদেশগুলির সমকক্ষ নহে তিনি বঙ্গের জেলায় জেলায় শহরে শহরে বাঙালী সিপাহী বাংলা ছাড়া আর কোথাও সাহিত্যক্ষেত ক্ষাৰে সংগ্ৰহ করিবার জন্য বস্তৃতা করিয়া বেচাইতেছেন। তিনি মত লেখক এবং বিজ্ঞানক্ষেত্ৰে জগদীশচন্দ্ৰ ও প্ৰফুল্লচ যে তাই িদলের দ্বারা একটা প্ৰাদেশিক কংগ্ৰোস আহ্বান সমকক্ষ বৈজ্ঞানিক না থাকিলেও, নানা প্রদেশে সাধিষ্ঠা করাইয়া কংগ্ৰোস মমেলীগের সন্মিলিত দাবী বঙ্গদেশের ও বৈজ্ঞানিক প্ৰতিভার বেশ পরিচয় পাওয়া যাইতেছে তরফ হইতে সমৰ্থন করিবার চেষ্টা করিতে পারেন না, সুতরাং এসব বিষয়েও বঙ্গের প্রাধান্ত বেশী দিন থাকিবে ইহা বিশ্বাসযোগ্য নহে তবে এ চেষ্টা হইতেছে না কেন ইহা সুখেরই বিষয় হইবে । কিন্তু বাঙালী বধি এই দাবী পৃত্যেক প্রদেশের প্রত্যেক জেলা হইতে সব প্রদেশের সমকক্ষও না থাকে, পিন্ধাইয়া যায়, করা চাই। যে বিহারকে বাঙালীরা কতই না অনুন্নত হইলে সাতিশয় দুঃখের বিষয় হইবে মনে করেন, তথা ভূতপূৰ্ব্ব হাইকোটের জজ হাসান মরবারবার এই প্রকার কথা িলবিয়া হয় ভালে ইমামের মত লোক মফঃস্বলে গিয়া েহামরুল প্রচার করিতে কের বিরক্তি উৎপাদন করিতেছি। কিন্তু উপায়। এক-একটি জেলার পক্ষ হইতে সমগ্ৰ ভারতের একাণ আমাদিগকে করিতেই হইবে। দাৰী সমৰ্থনা আহ্বত সভায় বক্তৃতা করিতেছেন। আজ বাংলার রাজধানী কলিকাতা হইতে যে হাট ৰ (২৮ ভাদ্র) গায় এইরুপ এক সভার বৃত্তান্ত পড়িয়া উৎ- দৈনিক ইংরেজী কাগজ ৰাছিয়া হয়, তার প্রত্যেকার। সাহিত হইলাম । বাংলা দেশ কি ঘুমাইতেছে ? আমরা কাল আছে। তাহাদেৱ স্বাত্মা এই ফাজ হইতেছে। তাহাঙ্গে জানি বঙ্গের কোন কোন পুব উৎসাহী লোক জেলায় মতের সঙ্গে আমাদের মত সৰ সময় মিলে নারি আছেন । তাহারা কলিকাতার মুখ অপেক্ষা না করিয়া আমরা দুঃখিত নই। এমন কাগজ হইতে পায়ে না, যাহার স্বয়ং নিজ নিজ জেলায় সভা আহ্বান করিয়া এই দাবী লেখা সৰ্ব্ববাদীসক্ষত হইবে। আমরা এখন যাহা বসিতে বাংলা দেশ ডুবিতেছে, তাহারা রক্ষা কঙ্কন। চাই, তাহা এই যে, তাদের কোনটি হইতেই আমরা জানি অন্ত কোন কোন প্রদেশে মফঃস্বলের সৰ প্রদেশের রাজনৈতিক আন্দোলুন লোকেরা রাজধানী মুরবিদের অপেক্ষা করিয়া বসিয়া চেষ্টা, পুস্তকাদি রচনা ও প্রচার ও অল্প থাকেন না। যখন ধাতু কৰ্ত্তব্য বোধ হয় তাহারা করেন। সাৰ্ব্বজমিক কাজেয় খবর পাওয়া ৮ বাংলা দেশেও সেই রীতি প্ৰবৰ্ত্তিত হউক । ব্যবস্থাপক সভা’ ৰৱেক বৎসর