পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৫২ প্ৰবাসী— আশ্বিন, ১৩২৪ [ ১ ৭ ভাগ, ১৯ থ ৬ষ্ঠ সংখা ! বিবিধ প্ৰসঙ্গ—ভারতসচিবের জ্ঞাপনপত্ৰ ~ বাসিন্দা তিনি তথাকার অধিবেশনের, সভাপতি হইতে সেৰাই করে নাই, তাহাদেৱ স্বাধীনতার কি কোন মূল্য একটি সম্পূৰ্ণ স্বাধীন রাজ্যে পরিণত কহিতে হইবে, কিম্বা বলিয়া নিৰ্দেশ করেন নাই ; তিনি বলিছেন, ব্রিটিশ গবৰ্ণ পারেন না । মিসেস বেসান্ট মাদ্ৰাজের অধিবাসী, সুতরাং নাই । গণতন্ত্ৰ কি এইপ্ৰকালে প্ৰতিষ্ঠিত হইবে । শ্বেতকা অন্ততঃপক্ষে পোলদিগকে সম্পূৰ্ণ জাতীয়-আত্মকতৃত্ব দিতে দেণ্ট ও ভারত গবৰ্ণমেণ্ট । কিন্তু আমাদের পক্ষে ব্রিটিশ তিনি, সেখানে সভাপতি হইতে পারবেন না । বোম্বাই - মনুষ্যের ও তাহার সহচরের স্বাধীনতারই কি মূল আছে ? হইবে । পোলরা শিয়া, জামেনী ও অষ্টার অধীনে গবৰ্ণমেণ্ট মানে ভারতসচিব ও তাহার মাসার সত্যেরা গবৰ্ণমেণ্টের হুকুম আছে যে তিনি ঐ প্রদেশে পদাৰ্পণ অশ্বেতকায়দের স্বাধীনতার মূল্য কি অতি সামান্ত, না । ভারতবাসীদের ইংরেজাধীনতা অপেক্ষা দীৰ্ঘকাল বাস এবং ভারত গবৰ্ণমেণ্ট মানে প্ৰধানতঃ বড় বড় সিবিলিয়ান করিতে পারিবেন না ; সুতরাং নজরবন্দী-দশা হইতে মুক্তি একেবারেই নাই ? গণতরে ভিত্তিই এই, ৰে, ক্ষুদ্ৰাদপি করিয়া আসিতেছে । ইংরেজরা বলেন, ভারতে ব্রিটিশ শাসন গণ অৰ্থাৎ বড় বড় শ্বেত আমলায়া পাইলেও তিনি বোম্বাইয়ে সভাপতি হইতে পারিনে না ক্ষুৱেও স্বাধীনতার মুলা আছে, তাহারও অধিকার আছে পোল্যাণ্ডে হ্ৰণীয়, জাৰ্ম্মেন ও অষ্ট্ৰীয় শাসন অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ভারতসচিবের জ্ঞাপন-পত্ৰে আছে। The British Government and the Government ºf অথচ তাহার এই বৎসর সভাপতি হওয়ার একটা বিশেষ দুঃখের বিষয়, যে বাং।। দেশে শত শত ব্যক্তির স্বাধীনতা | নিকৃষ্ট শাসনের অধীন থাকিয়া পোলয়। । যদি একেবারে - dia on whom the responsibi ity lies for tb wre. উপযোগিতা আছে বলিয়া কংগ্ৰেস কলিকাতায় রাখা একান্ত হত হইয়াছে এবং যাহারা মিসেস বেসাণ্ট অপেক্ষা অনেক একলাকে স্বাধীনতা কিম্বা সম্পূৰ্ণ জাতীয়-আকবৃত্বের aিre and the advancement of the India prepe at আবশ্যক। যদি উহা স্থানান্তরে লইয়া যাওয়া অবশ্যম্ভাবী বেশী কষ্টে দিন কাটাইতেছে এবং তচ্ছ কেহ কেহ be the judge of the tie and the measure of cº শিখরে আরোহণ করিবার উপযুক্ত বিবেচিত হয়, তাহা advance, ºr ইত্যাবি ইয়া উঠে, তাহা হইলে এমন কোন স্থানে হওয়া উচিত , পাগল হইয়াছে বা আত্মহত্যা করিয়াছে, সেখানেও । হইলে আমাদের বেলায় এত “সোপান পরম্পরা", এত “ভারতবর্ষের লোকদের কল্যাণ ও উন্নতির দাঢ়ি ব্রিটিশ যেখানে, মুক্তি পাইলে, মিসেস বেসান্ট যাইতে পারেন বিনা বিচারে নিগৃহীত এইসব লোকদের জন্য কোথাও কোন যুগযুগবাণী “ক্ৰমে-ক্ৰমের ধুম পড়িয়া যায় কেন ? গবৰ্ণমেণ্ট ও ভার উপর ন্ত আছে, এই এবং সেখানে কংগ্ৰেস করিবার ব্যয়ের অবশ্যকমত অংশ প্ৰতিবাদসভা হইল না। আমরা প্ৰত্যহ দেখিতেছি, শুনিতেছি, অামাদের কথাগুলির মধ্যে কায়ার কারণ যথেষ্ট না থাকিলে আমরা নিৰ্ব্বাহ করিতে মিসেস. বেলাটের সভাপতিত্ববাণী বাঙালী ভারতসচিবের জ্ঞাপনপত্ৰ । ছেলেরা শৈশব হইতে ২৫ বৎসরের মধ্যে পৃথিবীর কঠিনতম হাসিতে পাদিতাম। দেশের লোকদের কল্যাণেরও উন্নতির দেৱ প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া কৰ্তব্য । সমগ্ৰ ভারতের কংগ্ৰেস পরীক্ষার উত্তীৰ্ণ হ, কঠিনতম কাজ ( শিখিবার সুযোগ ভার আয়ু যেকোন লোকে হাতে থাকিতে পারে, এমন কমিটির আগামী অধিবেশনেই এই প্ৰতিজ্ঞা কথা বলিতে ভারতসচিব একটি জাপান-পত্ৰে জানাইয়াছেন যে, পাইলেই শিখে ; আমাদের দেশী রাজকৰ্ম্মচারীরা যেকোন কি যে-সব ব্রিটিশ উপনিবেশের লোকেরা কুলিভিয় অঙ্ক ভারতবর্ষে দেশবাসীর নিকট দায়ী গবৰ্ণমেণ্ট স্থাপন, ব্রিটিশ | রাজকাৰ্য্যে কেবলমাত্ৰ ১৭১৫ বৎসরের অভিজ্ঞতায় পরিপক্ক ভারতবাসীদিগকে, নিজেদের দেশে এঘাৰত ঢাকিতে দিতে বিনা বিচারে শাস্তি । গবৰ্ণমেণ্টের লক্ষা । ক্ৰমে ক্ৰমে এই লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হইয়া উঠে। রাষ্ট্ৰীয় কাজ ত এই-রকমেরই কাজ । লেটা চার নাই, এবং যাহাঁদের মধ্যে কেহ কেহ ভারতবর্ষের কুলিও বিনা বিচাৱে মিসেস বেলাণ্ট ও তাহার দুজন সঙ্গীর . হইতে হইবে এবিষয়ে ভারত-গবৰ্ণমেণ্ট ও প্ৰাদেশিক শিখিতে আমাদের অনেক যুগ, অনেক শতাব্দী, বা অনেক চায় না, তাহারা পৰ্য্যন্ত এখন জামাদের মঙ্গলসাধনের বোধ৷ স্বাধীনতা কতক পরিমাণে সুপ্ত হওয়ায় সব প্রদেশেই বেশী গবৰ্ণমেণ্টগুলির সহিত পামৰ্শ করিবার জন্ত তিনি আসিতে পূজয় লাগিবে কেন ভারতবর্ষের শূদ্ৰদিগকে বলা হইত, বহিতে ভাৱ আগ্ৰহ দেখাইতেছে । জগতের অশ্বেত কম প্ৰতিবাদ হইয়াছেও তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিতে বলা ছেন। প্ৰসঙ্গতঃ ইহাও বলা হইয়াছে, বে, দেশের সভাসমিতি | তাহারা বহু জন্মের তপস্যায় তবে ব্ৰাহ্মণ লাভ করিতে জাতিদেৱ স্বনিযুক্ত হিতৈীগণ যদি মনে রাখেন যে প্ৰত্যেক হইয়াছে। ভালই হইয়ামে ; আরও বেশী প্ৰতিবাদ হইলে এবং অল্পদের মতও জানা হইবে পরিবে । কিন্তু এ বাজে কথা এখন তাহাদেরও মধ্যে দেশের লোকেরাই নিজেদের হিত সাধনের ভার লইবার আরও ভাল হইত।" সম্প্ৰতি থবরের কাগজে বলা হইতেছে সম্পূৰ্ণ স্বয়াঙ্গ এক মিনিটে দেওয়া যায় না বটে ; কিন্তু বিস্তর লোক মানে না। আমরা এমন বোকা নই, বে, যোগ্যতম ব্যক্তি, তাহা হইলে মানবজাতির কল্যাণ হয় । অথবা যে কমরেড় কাগজের সম্পাদক মোহামেদ আলী ও তাহার ১৫০ বৎসর ব্যাপী ব্রিটিশ শাসনের পরও “ক্ৰমে ক্ৰমে কথাটা শ্বেতাঙ্গণ আমলাদের কথাটা মানিয়া লইব, যে, রাষ্ট্ৰীয় পরকে কেনই বা একথা বলি, কেনই বা সোণাদি । আমরা ভ্ৰাতা শোকৎ আলীকেণ্ড ছাড়িয়া দৈওয়া হউক। এইসব এমন ভাবে বলা হইতেছে, যেন স্বরাজ গাইতে কাৰ্য্য চালাইতে শিথিতে ১০১৫ কিম্বা জোর ২-২৫ বৃহত্তর ও বৃহত্তম লোকসমষ্টির কথাদুলিয়া কেবল নিজের লোকদের সম্বন্ধে বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্নও আমাদের আরও কত যুগই লােগা উচিত। জাপান যেদিন । । বৎসরের বেশী ॥াগে। নিজের বা নিজ নিজ পরিবারের বা ক্ষুদ্ৰ ক্ষুদ্ৰ শ্ৰেণীর সুখ হইবাছে ঠিক হইয়াছে। নিয়মত শাসন প্ৰণালী অনুসারে শাসিত হইতে আছ ভারতসচিব বলিতেছেন, আমাদিগকে অনেকগুলী ধাপ সুবিধা দেরিতে যে পরিমাণে অভ্যন্ত হইয়াছি, সেই পরিষাণ কিন্তু বঙ্গে যে বিনা বিচারে হাজার লোক নিৰ্ব্বাসিত, করিল, তাহার পর শক্তিতে ইউরোপের প্রধান জাতিদের ক্ৰমে ক্ৰমে পার হইতে হইবে, এবং প্ৰত্যেক ধাপের পর পরে মুফবিয়ানা, পরের প্রভুত্ব, পরের-কাণ-সাধন বাপ জেলে বনী বা জেলের বাহিরে কোন না-কোন গ্ৰামে নজৱ- সমকক্ষ হইতে তাহার কত ২ৎসৱ লাগিয়াছে। । শ্বেত আমলাৱা বিচার করিবেন, ৰে, আমরা পরের ধাপটায় দেশ আমাদিগকে সম্ভ করিতে হইতেছে। যাহাকে ব্যপদেশ বন্দী হইয়াছে, দেশের কোথাও কোন প্ৰতিবাদসভার ভারতে ত্রিটিশশাসনকাল অপেক্ষা অনেক কম । । উঠিবার জন্ম পা বাড়াইবার যোগ্য হইয়াছি কি না। বলিতেছি, তাহা আন্তরিক হিতৈষণা হইলেও যে আমাদেয় তাহাঁদের স্বাধীনতা-লোপের কোন প্ৰতিবাদ হইল না, ফিলিপিনোৱা আমেরিকানদের দ্বারা বিদিত হইবার পর চমৎকার ব্যবস্থা। আমরা স্বরাজ পাইলে যাহাদেৱ প্ৰভুত্ব সম্পূৰ্ণ হিত হুইবে না যে শিকে তাহার বাপ-যা বা তাহাদের মুক্তির বা প্ৰকাশ্য বিচারের দাবী হইল না, ১৭ বৎসরের মধ্যে সম্পূৰ্ণ স্বরাজ পাইয়াছে । তাছায়া চাকরী যাইবে, তাহারাই হইবে আমাদের যোগ্যতার চাকরেরা সৰ্ব্বদা হাত ধরিয়া হাঁটায় ও আগলাইয়া বেড়ায়, তাহাদের জন্য দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া একটা প্ৰস্তাব পৰ্যায় আমাদের চেয়ে কিসে বেশী কৃতিত্ব দেখাইয়াছে ? বৰ্তমান বিচারক। এমন ব্যবস্থা আমরা চাই না। যদি অঙ্গীকার সে কি কখনও মাম্বব হয় ? শৈশবে ইহা দরকার বটে ; পরে যাহাদেৱ নামাক নাই, যাহারা গোপনে ইউরোপীয় ঘুরে অবসানে যে যে সৰ্বে শান্তি স্থাপিত ৫ বৎসর পয়ে আমরা সম্পূৰ্ণস্বরাজ ক্ৰমশই এই প্ৰয়োজন কমিতে থাকে, এবং ভারত- ইহা লোপ পায় ১৫২৭ বৎসরের বেশী সময় লাগে না । কান- রিয়াছেন তাহার একটা সৰ্ত্ত এই, যে, পোলাগুকে সচিব অবশ্য নাম, করিয়া আমলাদিগকেই যোগ্যতার বিচারক - আমরা ১৫০ বৎসর শাসিত হইবার পরওঁ কি শিশুই আছি ? —ােৱ েগা নেিয় িক ? - ""