পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপিলমুনির চেলা ৷ তোমাকে চক্ষে অঙ্গুলি মীদেখাইলে কোনো কিছুই তোমার জ্ঞানের গোচর হইবে "অতএব প্রণিধান কর – নিউটনের শাস্ত্রে যেমন পৃথিবীর ফলাকর্ষণ-কাৰ্য্য এবং র গ্রন্থাকর্ষণকার্য একেরই সামিল, আর, সেইজষ্ঠ য়েরই সাধারণ নাম মাধ্যাকর্ষণ ; বল্টার Voltaর) শাঙ্গে ট্রা ধাতু পৃষ্ট মৃত ভেকের পদপঙ্গনের গোড়ার পিার, এবং আকাশবিহারী বিদ্যুৎপন্দনের গোড়ার 厲 ধারণ নাম তড়িৎ ( electricity) ; কপিলমুনির শাস্ত্রে তুমি ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডের মুপ্তি এবং বৃহদূত্রহ্মাণ্ডের প্রলয় করই সামিল, আর সেইজন্য দুয়েরই সাধারণ নাম অব্যক্ত ; ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডের-সুপ্তি হইতে পুনরখান, এবং ইরহ্মাণ্ডের-প্রলয় হইতে পুনরুত্থান, একেরই সামিল, fর, সেইজন্য দুয়েরই সাধারণ নাম প্রবোধন বা বোধোদয় । ছাড়া, কপিলমুনির শাস্ত্রে ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডের অন্তরালোক এবং স্থব্ৰহ্মাণ্ডের বহিরালোক একেরই সামিল, আর সেইজষ্ঠ ফুয়েরই সাধারণ-নাম সৰ্বগুণ ; ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডের অন্তরষ্ককার বৃহদৱহ্মাণ্ডের বহিরন্ধকার একেরই সামিল, আর, দুইজষ্ঠ দুয়েরই সাধারণ নাম তমোগুণ ; ক্ষুদ্রব্রহ্মাণ্ডের ক্ষোভ এবং বৃহদব্ৰহ্মাণ্ডের বহিঃক্ষোভ একেরই সামিল, র, সেইজষ্ঠ দুয়েরই সাধারণ নাম রজোগু। এইখানে ইতি করা যা"। যা হো’ক একটি বিষয় আজ আমি তোমার নিকট হইতে শিক্ষা পাইলাম মন্দ না ; তাহ ই যে, জগ বিধাত জ্ঞানি-মহাপুরুদিগের সমদৰ্শিত যেমন ক-সমাজের সকল রোগের মহৌষধ-ৰ্তাহীদের শিষ্যায়ু দিগের পক্ষপাতদুষত ভেদদার্শতা তেন্নি লোকমাজের সকল রোগের মূল ইতি প্রশ্নোত্তর সমাপ্ত। স্নাত্তর শেষ হইল বাচা গেল—এখন প্রকৃত প্রস্তাবে fাবর্তন করা যাক । জামরা কথায় বলি "অমুক ব্যক্তি অমুক ব্যক্তির উপরে গুণ করিয়াছে দার্শনিক পণ্ডিতের, আবার, অধিকন্তু বলেন এই যে, জ্যে বিষয় মাত্রই জ্ঞানের উপরে গুণ রিয়া জ্ঞানকে বন্ধন করে। এ সন্ধে কয়েকটি বিষয় 書"" . . . প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩২৪ [អ៊ុម្ភ : পিায়, যেমন একেরই সামিল, আর, সেইজষ্ঠ ছয়েরই . অথচ তাঙ্গ কোনো ইঞ্জিয়েরই গোচর নহে। [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড o - প্রথম দ্রষ্টব্য। প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞানের অরুণোদয় । প্রত্যুৎপন্নবুদ্ধির একটা গোড়ীৰ্ঘ্যাস এমন কি, বুদ্ধি বুদ্ধিই হয় না, যদি বাস্তবিক বলিয়া বিষয় ; আর সেইজষ্ঠ, বাস্তবিক সত্ত্বাং জ্ঞানকে বন্ধনুঃarর কিছুই তাহার নিকটে প্রতীয়মান না হয়। স্বপ্ন স্থাছে। (১) বাস্তবিক সত্ত্ব জ্ঞানের উপরে গুণ করে অর্থাৎ প্রভাব সঞ্চার করে ; তথৈব (২) জ্ঞানকে বন্ধ করে অর্থাৎ আপনাতে আটক করিয়া রাখে ; 粟 দুই আ বাস্তবিক সস্তু সত্ত্বগুণ-শব্দের বাচ্য। -- যেমন, লঘুতা= লঘুত্ব = লঘুত্ত্বগুণ ; সংত = সত্ব = সত্ত্বগুণ । - দ্বিতীয় দ্রষ্টব্য। সাংখ্যাঞ্জে বলে যে, চুম্বকের সন্নিধ্যগুণে :ে যেমন চুম্বকরূপে পরিণত হয়, তেমনি, জ্ঞানের সান্নিধ্য তেমনি সৰ্বগুণ বুদ্ধি-রূপে পরিণত হয়। সাথোরই বা কি, আর বেদাস্তেরই বা কি-এই রকমের রূপক গুলি বড় কাজে জিনিষ ; তাই অভিনবত্র তী দৰ্শন-কাজীদিগের স্থানান শলাকা। কিন্তু তথাপি এটা ভুলিলে চলিবে না ৰে সাংখ্যের উপদিষ্ট এই গোঁহ-চুম্বকের কথাটি রূপক (figure of speech of? ) of: কিছুই নহে । অ কথাট অর্থাৎ ঐ রূপকের যবনিকার আড়ালের ভিতরে কথাটা আমাদের প্রতিজনের নিজের বুদ্ধি থাটাইয়া পরীক্ষ করি। দেখিবা বিল। তাতে পিছপাও হইলে চলি না। অতএব সাংথ্যের ঐ বচনটিকে পরীক্ষার কষ্টিপাথ ঘৰিয়া দেখা যাক ! - এটা আমাদের সকলেরই দেখা কথা যে, প্রতিজনে আমরা প্রত্যুষে নিদ্রার মাতৃক্রোড় হইতে জাগিয়া উঠিব সময় সদ্যঃপ্রতিভাত বাহা জগতের বাস্তবিক সত্তায় বি নিবন্ধ না করিয়া কিছুতেই ক্ষান্ত থাকিতে পারি ন আমাদের সদ্যঃপ্রভূত বোধের এই যে একটা ক্রোড়-ব্যা বিষয় যাহাকে আমরা বলি বাস্তবিক সত্তা, তাহ পদা কি ? তাছা ঘটাবাটর বাস্তবিক সত্তা—অথচ তাহী ঘটীৰ নহে; তাহ সমস্ত ইঞ্জিয়-গোচর বিষয়ের বাস্তবিক সত্তা দেখা মনের কার্য্য হইতে পারে, কিন্তু বুদ্ধির কার্য স্বতন্ত্র। স্বাস্তবিক সত্ত্ব অবধারণ করাই বুদ্ধির একমাত্র কার্য। লোহ কর উপনাটির যবনিকার আড়ালের ভিতক্সের না। কথাটা আর কিছু ন—তাই এই – বাস্তবিকু সত্ত্ব কিছু আর জ্ঞান নহে। ঘটাবাটিও ন-বাস্তবিক সত্তাও তেন্নি-জুইই—জ্ঞানের বিষণ্ণ ত্রি। কিন্তু তাহার মধ্যে বিশেষ একটি দ্রষ্টব্য এই যে,. বাস্তবিক সত্ত জ্ঞানের এম্বিতরে একটা ক্রোড় ঘাস বিজয় যে সন্নিধানবৰ্ত্তী চুম্বকের বা তাস গায়ে লৌহ যেমন চুম্বকরূপে পরিণত হয়, অধিষ্ঠাতৃজ্ঞানের সি গায়ে লাগিল্প সত্ত্বগুণ তেমি বুদ্ধিরূপে পরিণত হয়। শ্যের এই স্থানটির সঙ্গে Kantএর মতের ঐকানৈক্য সাং systhetic unity of consciousness: o stoo করিয়া আমরা পাইতেছি— ১ } synthetic unity of the manifold got ( & ) consciousness. দেখিতে *ÈK È ço, Synthetic unity of the ifold=বস্তু সকলের জ্ঞান মুথে একত্ব=বাস্তবিক - সত্ত্বগুণ ; *T*, * consciousness = #43:44 ষ্টাতৃ চৈতন্থ। সাংখ্যে বলে “অধিষ্ঠাতৃ চৈতন্তের সান্নিধ্যসত্ত্বগুণ বুদ্ধিতে পরিণত হয় "; কান্ট বলেন " Con9u#nềssâã #fã#f3::l Synthetic unity of the fold-categories of the understandings of Kant fox Synthetic unity of the মাaিld-এ বস্তু সকলের বাস্তবিক সন্তা-সন্তুষ্ট না -বুদ্ধির ধোস্তু দিয়া ঘটপটাদি বহিৰ্ব্বস্তুর মধ্য হইতে সত্ত্বী: thing-in-itself ) খুড়িয়া বাহির করিবার iায় পণ্ডশ্রম করিয়াছেন বিস্তর ; শেষে যখন দেখিলেন তাহা নিতান্তই একটা অসাধা ব্যাপার, তখন তাহার ধা তত্ত্বজ্ঞানের প্রতি অনাস্থ জন্মিল আতান্তিক। A^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ প্রাক্তার সন্ধান পাইতে এখন আর কাছারে বিলঙ্গ । অধিষ্ঠাতৃ জ্ঞানের সাধি-গুণে বুদ্ধিরূপে ੋ,ੇ বন্ধিবরে স্বরূপ দত্তার জন্ত্ৰেণ করিতে বাঞ্জনিতান্তই বুধ TTSDDS BBBB BBBBBS BB BBBB BBB দ্বারা নহে, পরস্থ প্রকৃষ্টরূপ সাধনভজন স্থার ; কেমন সত্ত্ব বুদ্ধিমনের অগম্য। তৃতীয় দ্রষ্টব্য। ঐ রকম রূপক-শ্রেণীর আর-একটি কথা সাংখ্যে মাছে এই যে, অধিষ্ঠাতৃ জ্ঞানকে আপনার সহিত জড়াইয়া একীভূক্ত করিা তাহার ভোগ-সাধন করা সম্বগুণের পরার্থ স্নার সৰ্বগুণের স্বচ্ছ দর্পণে আপনার স্বরূপের প্রতিরূপ দৰ্শন করিয়া আত্মপরিচয় লাভ করা অধিষ্টাছ জ্ঞানের স্বাধী সত্ত্বগুণ চায় অধিষ্ঠাতৃ জ্ঞানকে আপনাতে আটক ক্ষরিক্স। রাপিয়া মুখাদি ভোগ করাইতে ; অধিষ্ঠাতৃ জ্ঞান সৰঞ্জৰ । আপনার প্রতিবিম্ব দৃষ্টি আপনাকে চিনিতে পারিয়া তাহার - যখন চক্ষু ফোটে, তখন, সে চাম্র ত্রিগুশের বন্ধন টুটিয়া আপনার স্বৰামে বা স্বরূপ ধানে প্রত্যাবর্জন করিতে। এ-যাহ আমি সরল করির সাঙ্গাইরা বলিলাম ইহার মূলের । স্যাচার অবগত হইবার জন্তু যদি কাহারে ঔৎসুক ੇ, তবে তিনি পাতঞ্জল দর্শনের বিভূতিপাদের অংশ স্বত্র এ তাহার ভোজরাজকৃত টাকার ভিতরে প্রণিধানপুৰ্ব্বঙ্ক তলাইয় দেখিলেই লন্ধমনোরথ হইবেন সন্দেহ নাই। - - চতুর্থ দ্রষ্টব্য। । সত্ত্বগুণ অথব, বাঙ্গ একই কথা, বাস্তবিক সন্তু জঙ্কিাছ জ্ঞানকে বন্ধন করি আপনাতে আটক কৰিয়া রাখে ছি কিন্তু তা বলিয়া তাহ, বটীবাটর স্থায় জ্ঞানের সংকীর্ণ । বিচরণক্ষেত্রও নহে, আর র স্তার জ্ঞানের ক্ষুদ্রায়তন পিঞ্জরও নহে, পরস্তু তাহা মহাকাশের স্থায় বিশাল বিশ্ব কোষ; আর নিখিল ব্যক্ত জগৎকে ক্রোড়ে করিয়া সেই স্বল্প এবং বৃহদায়তন সৰ্বগুণই ( বাস্তবিক সত্ত্বাই) যেহেতু সাংখ্যাদি শাস্ত্রে প্রকৃতির প্রথমজা , কিনা বুদ্ধি, মহাৰু নামে সংঞ্জিত হইয়াছে দ্রষ্টব্য সমাপ্ত}: প্রকৃতির প্রথম ধাপের, কিনী মছত্তরে, পর্যালোচনাকাৰ্য্য আমার যতদুর সাধ্যায়ত্ত্ব তাছা কথঞ্চিৎ প্রকারে করিয়া কুকিলাম। আগামী বীরে আদি হইতে অস্তু পর্যাঞ্জ সমস্ত ধাপগুলির রীতিমত পর্যালোচনায় প্রবৃত্ত ছ বাইরে। - ঐদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।