পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—বৈশাখ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড গোয়েত মত মোটেই ছিল না। বরং তাহাঙ্গ বাধপোচদিন ছিল মাৰ্থীর স্বর পরিবার করিবার দিন সূৰ্য্যদেব চুল থােৱা মিলন িববৰ্ণ দ্য মুখের দিকে তাকাইলে ও পবনদেবের ও সেই সময়ে একধার কি দিবার সুযােগ ক্তিতে নত হইয়া আসিত তাহার অার একটা দুৰ্ব্বল- ঘটিত ধরে চাবি থাকিত মি: গিলফিলের সেরাদে চাহ কথাও এখানে না দিয়া পাবিতেছি না। খাটি চিত্ৰ তালার মধো । মাথা তাহার কাছে চাৰি চাহিয় এতিয়া আদৰ্শ িচত্ৰ আঁকিবার ইচ্ছা থাকিলে পুৰোহিত কাপোছ ফিরাইয়া িদত। করিয়া আবার তাহাকেই হাশয়ে ওদোষটা ঢাকিয়াই যাইতাম । মিঃ হাকিটের মাৰ্থী দরজা-জানলার পদাঙলা সরাইয়া দিলে দিনে আলো থথানিকে ভাসাইয়া দিত । ঘৱে সজা দেখিয়ে মাৱ বলিতে গেলে পাহী সাহেৰে বৃদ্ধ বয়সে বড়ই ছোট একটি টেবিলের উপর সোনালি হাতটানা ইয়া উঠিতেছিল; অবশ্য দুঃখী-দরিদের বেলা যত চোখে দণ | তাহার নিজের বেলাই এ প্রতিটি বেশী প্ৰকাশ নক্স-কা ক্ৰেমে বাধানে। সেখীন আয়না। টেলিসের সাই । তিনি দিতেন এ জগতে একজন ছাড় তাহার ‘পাশের বাতিদানের মধ্যে আজও মোমাঙি টুকর বানটিকেই তিনি সৰ্ব্বাপেক্ষা ভাল বাসিতেন। সেই লাগিয়া আছে । বাতিদানের হাতলের উপর একটি ছোট বানের ছেলেকে কিছু দিয়া যাইবার জন্যই তাহার এই কালে লেসের ক্ৰমাণ টানে, মাপানিগাগা একটি তা। তিনি মনে করিতেন, "ছেলেট বেশ দু’পয়ল নিয়েই মান সাটিনের পিন-রক্ষণ, একটা এসেগের শিশি ও একট, সবুজ তারপর বিহে হ’লে বাঙা বটটি নিয়ে রঙের বড় হাতপাথা টেবিলে পড়িয়া । আয়না সংসার পাতবে সদায় শেষ শ্যা দেখতেও একদিন হয়ত আসবে। আমার পাশে পোষাকের বায়ের উপর একটা সেলাইয়ের বায় একটি থা অসমাপ্ত গৃহের সঞ্চিত ধন তার গৃহটি আরও মধুর করেই ছোট ছেলেদের টুপি , এতকাল পড়িয়া থাকায় হলদে রং ধরিয়া গিয়াছে। দরজার গায়ে পেরেকে দুটি মেয়েদের পোষাক কুলিতেছে, সে তবে বুলি মি: গিলকিল চিরকুমার ছিলেন ? চলন হ ল নীহ তাহার বসিবার গরের খোলা টেবিল, সেকেলে চেয়ার কম পোৰাকে ছোট চটি থাটের ঠিক পায়ের কাছে সাজানে, তাহার গাছের তামাকের গদ্ধে আমোদিত জীৰ্ণ কাণেটি দেখিলে তাই মনে হয় বটে। ঘরে কোনো ছবি তাহার বিবাহিত জীবনে পালি রির কাজটা এখন একেবারেই স্নান দেওলি সাক্ষা দিত না। চম্পক অঙ্গুলি স্মরণ করাই দিবার মতন গায়ে দুই-তিনখনো হাতে-আঁকা প্ৰাকৃতিক দৃশ্যেগুণ থিঙ কোনাে সূচিশিল্প কি সোঁধীন গৃহসজ্জা সাজান ছিল না। মিঃ ছিল। চিমনীর তাকের উপর কয়েকটা পুরাণে জাপি কলের কাটিত এইখানেই । তাহার সাথের চীনা মাটির বাসন । তাছাই উপরে দুটি গোল হেমের সন্ধাগুলি মধ্যে দুখানি ছবি । একটি ছবি সাতাশ বৎসর অন্দাজ ছিল বুড়ো কুকুর পোণ্টো । সামনের খাব৷ ইটার গবে নাকটা ঢুকাইয়া দিয়া সে কালের উপর লম্বা হইয়া বয়সের এক বা তাহার রং টকটকে, পুষ্ক পুৱা ঠাই পরিা থাকিত । মাঝে-মাকে কুঁচকাইয়া প্ৰভু মুখে ও উজ্জল সরল দৃষ্টি । দ্বিতীয় ছবিখানি একটি মেয়ের । মেয়েটির বয়স বৎসরের দিকে তাৰাহঁত, ঘন কত দুখ নখের কথা হইয় গেল । আতায় বেশী হইবে না, মুখানি পাটনের পাঞ্জীৱ ৰাষ্ট্ৰীয় অন্দরে একটি নিরাল ঘর ছিল, মধ্যে সবই ছোটখাট, গাল দুটি বিশেষ পুস্ত নয়, তে তাহার সাক্ষ্য কিন্তু এই নিয়ানন্দ শূন্ত ঘরের উণ্টা। সে . একটু গ্ৰাম, কিন্তু চোখ চুটি বড় বড়, তাদের দৃষ্টি ঘৰে পাঞ্জীসাহেব ও তাহার বুড়ী-কি মাৰ্থ ছাড়া আর কেহ গভীর যুবার চুলে পাউডার দেওয়া মেয়েটির কালে কোনোদিন চোকে নাই । মাথা ও মাথার স্বামী ডেভিড. চুলগুলি পিছন দিকে জড়ো করিয়া বাধা, মাথার উ লীকে লইয়াই তাহাব সংসা। ডেভিড় একাধারে ছিল গোলাপী তের িদতার কুণ নানো একটি লি। টুপি ও মালী দুই বৎসরের ৰথে চান ছা আৰ কখনও ধরণ দেখিলে তাহাকে খুব কলিকা মনে হয়, কি তাহা সেই অন্দরের খবের জানলা পদ দ্বিত ন সেই চোখে বিমান মাখানো ১ম সংখ্যা স্মৃতির সোঁৱত কুড়ি বৎসর বয়সে কুল যেীবন লইয়া মাৰ্থ৷ পাষ্ট্ৰী পতিয়াও তৃপ্তি হয় না, এই অশিক্ষিত লোকটজ তে সাহেবের সংসারে আসিয়াছিল। আর আজ তাহার ঐ পুরাতন কথা শতবার গুনিয়াও তৃপ্তি হইত না । জীবনের এই সন্ধ্যা বেলায় তাহারও বয়স পঞ্চাশের বেশী “আচ্ছা, প্যাটেন-গিরি, পাস্ত্ৰীসাহেবের কনে খেদি বই কিছু কম হয় নাই । এই এতদিন ধরিয়া প্ৰতি-বৎসর প্ৰথম গিগায় এলেন, সেদিনকার বিবারটা তোমার চারিবার করিয়া সে এই জিনিসগুলি বাড়িয়া মুছিয়া রোদে মনে পড়ে, না ? দিয়া আসিয়াছে মিঃ গিলক্ষিণের অন্দরের রুদ্ধদ্বার হা, তা পড়ে বই কি ! শরৎকালের প্রথম ঘরথানি ছিল এই-কম তাহার অন্তরের নিত যেন পরিস্কার দিনগুলি ক, সেদিনটাও ছিল তেমনি কোণের যেন একখানি দৃশ্যমান চুৰি সে গা অনেক সেদিন গিৰ্জ্জায় পাঠী ছিলেন মিঃ বেট, মিঃ পিপলি দিনের কথা ; সেদিন হইতেই তাহার বোধনে যত আশা বট নিয়ে তাত্ৰ পরিবারের বসবার জাসনে ও নিরাপা গবে এই গোপন কক্ষে সমাধিলাভ করিয়াছে। ছিলেন । আজও যেন সেই চেহারাটা আমার চোখে তাহার জীবনের প্ৰেমগান ও অনুবাগের পালা ওই লুকানে ছ। বটকে সঙ্গে করে তিনি বারাণ্ডা দিছে ; কোণটিতে চিরদিনের মত লুকাতি । নিয়ে আসছিলেন, কনের মাথাটা বরের কনুই ছ পানীসাহেবের ধার কথা পরিধান মনে আছে—এমন বড় বেশী উচুতে ওঠেনি । মেয়েটি ছোটখাই দেখতে, লোক সে-এামে এক মাথা ছাড়া আর কেহ ছিল বলি বোেধ একটু ময়লা ধরণের বাটা। কালো কুচ কুচ চোখ আর মনে রাখা ত দুরের কথা, গিদার ভিতর কেমন উদাস-পারা চাউনি, যেন কিছু দেখতেই পায় না । পাষ্ট্ৰী-পরিবারের বসিবার জায়গাটিতে যে ব্যাটিন মোক-লেখা মি: হাকিট বলিল, “কলের গায়ে নিশ্চয় বিৰে মাল-পাথরটি আছে তাহা তাহাই স্মৃতিতে স্থাপন করা পোষাকটাই ছিল ।” হইয়াছিল, ইহার বেশী অঞ্চ খবর জানিতই বা কয়জন ? ওঃ সে এমন বিশেষ কিছু চটকদাহ নয় । এটা গ্রামের যে দুইচাৰিজন বুকুী সেই নববধূর আগমনের শাদা টুপি আর একটা শাদা মসলিনের পোষাক। কি কথা আজও মনে কাথিয়াছে ভগবান তাহাদেৱ বৰ্ণনা-শক্তিটা মি: জিঞ্চিলের তখন বা চেহারা ছিল, সে আর তোমা। দিতে তুণিয়া গিয়াছিলেন তাছাদের কথা হইতে যে টুকু কি বল্‌ ! তুমি যখন এগাছে এলে তার আগে তা কষ্টস্তষ্টে আদায় করা যায়, তাহাতে মনে হয় গিলছিল চেহারাই ছিল সে অার-একরকম রং ছিল টকটকে বধু ছিলেন বিদেশিনী । আহা অাৰু তার চোখ দুটি কে চোখের চাউনি ছিল ক্ৰুকে, দেখে মনে সুখ হ’ত । সে আর কি বলব ? গলাও ছিল তেমনি রবিবার দিন যেন তার সুখের বান ঢেকে যাছিল। কিন্তু ঠি, গিগায় তার গান শুনলে গায়ে কাটা দিয়ে আমার এমন পোড় মন, মনে হ’ল এত সুখ ওঁর কপালে। উত । সইবে না বলতে কি, মিঃ হাকিট, এই বিদেশী লোক এক প্যাটেন-গিরিই প্ৰামে কইয়ে বলিয়ে বলিয়া নাম গুলোর কোনো মুরোদ নেই। আমিও বন্ধুসকালে আমাদে তার কারণ তার স্মৃতিশক্তিটা গা- ৰ মনে ম-ঠাকরণের সঙ্গে এইসব দেশে বেছি ত, সবই নি হাবিতে খুব কস্ত আর রাজ্যের লোকের ঘরোয়া কথা ওদের খাওয়া-দাওয়া তার বিদিকিছি সব ধণাত্মণে গুলা ৬াহার লাথিত ও ভাল গিলক্ষিণ-গৃহিণীর মৃত্যুর কথা বৎসর পরে মি: হাকিট এই গ্ৰামে আসেন তাহার গিলকিল-গিরি দেশ ইটালীতে, না ?” এক কাজ ছিল প্যাটেন-গৃহিণীর কাছে যত সেকালের খবর তাই হবে বোধহয়, তবে আমি ঠিক কথা জানি না নেওয়া । সেই পুৰাতন প্রশ্ন ও তাহার পুরাতন উত্তরগুলি নি গিলফিলের কাছে তার ওঁর কথা বলবার জোট । যে কতবার নাড়াচাড়া হইত তাহার ঠিকানা নাই। অনেক ছিল, আর অক্ষ লোকে ত কিছু জানেই না শিলিত লোকের যেমন প্রিয় পুস্তকের কথা হাজার বা ছেলে-বয়েসেই বোধ হয় এদেশে এসেছিলেন, ইংবিীতে