পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—বৈশাখ, ১৩২৪ পাগল কোথা হতে- আসিয়াছে কোথা তার ঘর কেহ না জানে পাগল রয়েছে মাতি দিবস প্রহর আপন গানে নগরে প্রান্তরে বনে গাহে শুধু সে পালা মুকে ভর দে’ | প্ৰভাতে প্ৰফুল্ল রবি ঢালে আকাশে কনক-ধারা পূৰ্ণিমার পূৰ্ণাকাশ শীর রসে পীযুষ পারা উৰ্দ্ধে চাহি দেখি তাহে গাহে শুধুলে ো পে লা মুকে স্তর দে ! ভ্ৰমর করিছে পান মধুর ফুলে৷ লের মধু, কলসী ভরিছে ক্ষপে রুপের কুলে কুলে বধু সম্মুখে নেহারি তাহে গাহে শুধু সে পেয়ালা মুকে স্বাকাশে বাগানে বনে, এান সুখে পাৰ্থীরা ডাকে যুবতীরা গাহে গান, শিশু মাের বু মায়েরে ডাকে মুখ নেত্ৰ শুনি তাহে গাতে শুধু সে —পোলা সপুষ্প পাদপতলে করে সে শয়ন অলস ভরে নিশি শেষে চু্যত পুষ্প করে সে চয়ন দে ! সুরভি পরশে মাতি গাছে শুধু সে —পেয়ালা মুকে ভর দে । [ :৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড একদিন শেষবার পেয়ে গেল সে নিশা-অাঁধারে নগর, প্ৰান্তর, বন জাগি আবেশে ডাকিল তারে দূর হতে প্ৰতিধ্বনি অ্যাসিল ভেসে পেঙ্গলা মুকে ভর দে ! শ্ৰীঅতুলপ্ৰসাদ সেন । দেশের কথা ময়মনসিংহের মুখপত্ৰ “চানিহির' সত্যই বলিয়াছেন বাহুং, বিদ্যাবল, বুদ্ধিব্য, খনন এবং চরিত্ৰণ এই পwবল সম্পদে যে জাতি ধনুরুপ সমুদ, লগতে সে জাতির প্রতি এবং প্ৰসায়ও তদনুরুপ। এই পঞ্চ স কটিতে হীন হইলে, সংসারে কেহ প্ৰতিপত্তি লাভ ত দুরের কথা, আত্মরক্ষা করিবার অনধিকারী: । সুতরাং সেই জাতি অল্পক্ষ্মেীৰ প্ৰতিষ্ঠা, এমন কি অরক্ষা, আশা করিতে পায়ে না। এখন দেখা যাক এই পঞ্চসম্পদ লাভের পথে বাঙালী জাতি গত এক মাসে কোন দিকে কতখানি অগ্রসর হইয়াছে বাহুবল দুঃখের ও জোর সহিত জানাইতে হইতেছে যে বাহ সঞ্চায়ের কোনো বিশেষ বাদ আমরা পাই নাই । বাঙালী পণ্টনে যোগ দিয়া দেশের যুবকেরা যে বাহুবল অৰ্জ্জনে বিশেষ উৎসাহ দেখাইতেছেন তাহারও কোনো আভাস আমরা পাহঁতেছি না। অথচ এই পরম সুযোগ অবহেলা করিলে আমাদের আর বঁচিবার অাশ একেবারেই থাকিয়ে প্ৰত্যেক গ্রামেই এমন অনেক কি নধৰ্ম্ম যুবক আছে যাহারা নিজের বা পরের থাইয়া বেকার বসি । বা অকাজে দিন বাটায় ; এমন অনেক দুঃস্থ যুবক আছে যাহারা দশ বিশ টাকার কেরাণীগিরির উমেদার , তাহদের উচিত সৈন্যদলে ভৰ্ত্তি হইয়া নিজেদের ও স্বজাতির ও স্বদেশে উপকার করা অমরা মরা জাত বলিয়া মরিতে আমাদের ভা শ্লোগ, ওলাওঠ, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, ক্ষারো প্ৰভৃতিতে ও অসহায় দুৰ্ব্বল বলিয়া হিংস্ৰ জন্তুর মুখে আৰু ১ম সংখ্যা] দেশের কথা। বৎসরে যত মরে, একটা যুদ্ধে তত সারা পড়ে না। কিন্তু তাপী তাকে সেই বিপদ ৰ না ! থাকা মাদিগকে শান্বিত করেন, তাই হোৱা অামাদের বাঙালী পণ্টনে ভৰ্ত্তি হইলে মরণের তাই বা কোথায় ? প্ৰাতঃকাল দিয়ে কাল, আশা কাল, উৎসাহ স্বদেশরক্ষক সেনাদল ত কেবল বিদ্যা শিক্ষা করিয়া উদ্যম আকালার কাল, এই কালে তাদেরই নাম হুকলি । যাহোৱা মহাপাপী হইলেও আশার উদ্যমে একনিষ্ঠা সাধনায় জীবনের অক্ষা পাহারা নিযুক্ত থাকিবে এবং আমাদের দেশে পাগ ক্ষয় কবিয়ছিলেন। প্ৰথম প্ৰভাতে, দিনে বাধ্য আর রিবার এখন ৰ আসন্ন যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনাই ত নাই। বাহুবলে পুৰে, কৰ্ম্ময র উপাবনার আগে, বাহার এমন আশার কথা বলয়ে হীন হইলে মানুষ আত্মমৰ্য্যাদা ও মাতা-কুন্তা-ভগিনীীর ধরিয়া শয্যাত্যাগ করিতে পারেন, বাহারা মনে ভাবিতে পারেন-পাল হই, পাণ্ড হই, পদে-পদে পতিত হই, পদ্ধ করার মত পতিত গানের সম্মান রক্ষা করিতে পারে না কয়েক সপ্তাহ হইতে নিম্ন আনরা নিশ্চয় উস্কার লাভ কৰি,তাহারাই প্ৰ শ্ৰেণীর বেিশ্ব” স্বাক্ষর করিয়া একগুন ভদ্ৰলোক কিরুপ হিন্দু।– চুড়া বাৰ্তাসহ বাকুল হইয়া নিজেদের পরিবার স্ত্ৰীলোকদের আততায়ীর . এই পঞ্চকার প্রত্যেকেই স্বেচ্ছায় বিচারিণী হইয়াও আক্ৰমণ হইতে রক্ষা করিবার অসামৰ্থ্য জানাইয়া “চারমিহির” আনুশোচনায় শুদ্ধ পবিত্ৰ হইয়াছিলেন এবং তাই তাহারা পত্রিকায় পত্ৰ লিখিতেছেন তাহা পাঠ করিলে ক্ৰোধে লঙ্কা আমাদের স্মরণীয় ; কিন্তু যাহারা অনিচ্ছা পশুবলে দুঃখে হৃদর অভিভূত হইয় পড়ে । আমরা আত্মরক্ষায় - কাছে পরাজিত হইয়া মৰ্ম্মাহত, তাহাৱা কি আমাদের অপু অসমৰ্থ হইয়া আছি বলিয়া আমরা সমগ্ৰ জাতি জগতের ও পরিত্যজীয়া হইবেন ? কখনই না। যতদিন মাজের সমাজে নিয়শ্রেণীর হিন্দু" হইয়া আছি । সেই নিয়শ্রেণীর মধ্যে এই সহজ বোধ না জমিবে ততদিন আমাদের ক্লীৰ হিন্দু ভদ্ৰলোক সংপ্ৰতি সংবাদ দিয়াছেন মুক্তাগাছার ঘুচে নাই জানিতে হুইবে । এই কৈবা গুচাইবা একমাত্ৰ নিকটে এক মেলা দেখিতে গিয়া কয়েকটি মেয়ে বৃত্তের ঔষধ হইতেছে বাহুবলের সাধনা এবং বিদ্যশিক্ষা স্থা আক্ৰমণে অপমানিত ও লাহিত হইয়াছে হার পরে বুদ্ধিকে পরিমাতি স্বচ্ছ করিয়া চিন্তাশক্তি সঞ্জীবিত করা। তিনি জিজ্ঞাসা করিতেছেন আকারকটে থাকু প্ৰাণে সবিনয়ে নি হেণীর হিন্দু আমি বিদ্যা ও শিক্ষা প্রচারের জন্ত সামান্ত এই কয়েক সমাজকে জিজ্ঞাসা করি, এই শিগিতাঅপরিণত বয়দা, অত্যাচারিতা প্ৰচেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানের সংবাদ আমরা পাইয়াছি নিৰ লেীর হিন্দু মেয়ে কোণায় দাড়াইবে সমাজ তাহাৰ হুল পযন্ত করিবে না, পিতামাতা স্বামী তাহাবে একটু হে ভালবাসা দিতে বাধারণা থানার স্বৰ্গত কাজাকাটী একটি বিখ্যাত গ্ৰাম, পরিবে নাতদৰস্থা । যদি আশ্ৰয় পাইবার অাশায়, স্নেহভাল এামবাসী ভদ্ৰলোকদের উদ্যোগে গত ১লা ফেক্ৰয়ারী হইতে স্থামে বা পাইবার আশা অন্ত সাথে সাদয় সহানুভূতি পাইয়া সেই একটি ধাইংরেজী বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে। আশা করি বিদ্যালয়টি । সালের সাশ্ৰয় গ্ৰহণ করে তবে তথা কে দায়ী —ারমিহির স্থায়ী হইবে ।-বরিশাল হিতৈষী তাহার জন্তু দ্বাধী কাপুকৃষ্ণ আমরা — ফাহদের শক্তি নাই যোগে হনপুরে একটি এট্ৰান্স স্কুল স্থাপিত হইতেছে । তি অবলাকে রক্ষা করিবার অথচ অবলার উপর অত্যাচার দালান প্ৰস্তুত হইতেছে। হিন্দু ও মুসলমান ং হইবে নপুর বিলক্ষণ আছে গল্পে যে-সকল গাড়ী যাতায়াত করে তাহাদিগের নিকট চান্দা- ইচ্ছা বে অপমানের জন্য আমার প্ৰায় দশ হাজার টাকা সংগ্ৰহ হইয়াছে। পুৰ সঙ্গ য়ছে.ৰোঞ দায়ী নহেন, তাহার জন্য ঠাহাদের ত্যাগ পাকা চলিবে ।--হিন্দুরঞ্জিকা করার মতন পুধবতা ক্লীবতা আর কিছু নহে অপচ রাগনিয়া গ্ৰাম জেলা একটি প্রধান মহকুমা। ইহার পরিমাণফল্প আমাদের দেশেরই শিক্ষা বৰ্গমাইল ; অধিবাসীয় সংখ্যা প্ৰায় পঁচিশ হাজার এই অঞ্চলে হিন্দু মুসলমান বেীন্ধ তিন জাতিরই বাশ । শিক্ষিক র সঙ্গে-সঙ্গে আমাদিশ্বকে পাকস্তায় নাম স্মরণ করিতে লোকের সংস্থা নিতান্ত কম এজন্য গত দুই বৎসর বাৰ্তাহাৰী প্ৰধান প্ৰধান ব্যক্তিরা মিলিয়া সৈন্থৰাজী: গ্ৰামে একটি উচ্চ ইংরাজী অহলা ীেণী কুন্তী তারা মন্দোদরী তথা । ল স্থাপনের আয়োজন করিয়াছেন । সতি স পৰ্যন্ত খোলা পঞ্চক: রেমিতং মহাপাতকনাশনং। হইছে ছাত্ৰ সংখ্যা দুই শতের উপর। শিক্ষকদের মধ্যে এম, তাৱত সীৱ তুমি, সেই ভারতের নয়নায়ী, সীতা সাবিত্ৰী মেয়েট, দুইজন আণ্ডারমেদুয়েট। যা , পালি, পাখি, ছিল নাম ছাঙ্কিা পাচজন চিারিণীর নাম লইয়া শয্যাত্যাগ প্রভৃতি শিক্ষায় জও শিক্ষুক সাধু হইয়াছে —জ্যোতি ৰে। বাধিক -এই পঞ্চ কঙ্কার নাম পুরণ আমাদের মহাপাতক কাশিমবায়ারের মহারা সা মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী বাছাছুরের মত ইহাদেৱ কণা দনে পঢ়িলে আমাদের মনে ভরসা হয়—পাপী বিদ্যোৎসাহী জমিদার অতি অল্পই দেখা যায়, তাহা মহালের ধৰ্ব্বত্ৰই