পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—বৈশাখ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড যজ্ঞের কাঠ কুশ ঘব সমস্ত ফেলে রেখে লোহার ধাম নিয়ে কাছে থাকবে, অপালা কখনও তেমন মনে করেননি, তাই টেছিলেন। বাড়ীর দুয়ারে অপালাকে কিরতে দেখে অল্পদিন পরেই আপনার দুঃখ কষ্ট সব সেরে গিয়েছিল—তিনি ভায় মুখে ৰে আনন্দপটে উঠেছিল অপালায় আৰু তাই মনে 'স্বচ্ছন্দে সংসার করছিলেন এদিকে অভিমানী পুৰন্দরের পড়ে শল্পীর অবশ ! আহা এমন পিতা, তার এত কষ্ট মাথায় কি এক খেয়াল চাপল, সে তার পিতাকে জানাল কিছুতেই সংসার চলে না, দারিদ্রা ঘুচে না সমবেদনায় তার মত সেও সমুদ্ৰ পাৰ হ’য়ে বাণিলো বাবে ; পিতা পালার বুক ভরে উঠল; শেষে একটি দীৰ্ঘনিশ্বাস মেলে প্ৰথমতঃ আপত্তি করেছিলেন—তা সে শোনেনি ; সকুলের কলসী নিয়ে তিনি সরস্বতীর খাটে স্বানে চলে গেলেন কাছে বিদা নিয়ে তাদের ঘাটের সবচাইতে ছোট আর কতকাদূর গিয়ে দেখেন কাশবনের ধারে যেখানে পথটি জীৰ্ণ যে ভিাখানি তাতে উঠে বা টীঘর ছেড়ে সে দূৰ বেঁকে গেছে তাই পাশে ছোট্ট একটি কাটা গাছের সামান্ত বিদেশে চলে গেলা । যাবার সময় একটা কোন দেবতার ছায়ায়, স্বামী নৌকা পড়বার জন্য যে সব কাঠ জড়ো ক তোলে সে মুখে আনেনি তাদের সাহায্য চায়নি রেখেছেন তার এক ধারে, ধুলার উপর প’ড়ে আছে একজন সব জলে তার ডিঙা ভ সঙ্গে অভিমানের ভরে পাণ তুলে মানুষ ! কি ভয়ঙ্কর বাবাসে তার সমস্ত শীর ডাকা দিয়ে সে চলে গেল পশমী কাপড়, সোনা গান, কাঠের আল কাট পচে খসে পড়বার উপক্ৰম হয়েছে, মুখখানি কোঁটা, লােহার আয়, যা িক বসতি নেিয় বেিদশে বিেরয়ে ঠাট-খানি ফুলে উঠেছে, যেখানে চাও সেইখানেই দুরন্ত ছিল তারই বিনিময়ে সে অা এই দুরন্তু বাধি নিয়ে ফিরে ব্যাধির চিহ্ন, তা’ থেকে অবিশ্ৰাম পুরন্দ্ৰ গ’লে পড়ছে— এসেছে ; চেয়েছিল অধঃপাতে পেতে কিন্তু অধঃপাত যে কি সে সণা ! অসত্যু বাধি তাকে জড়িয়ে ধরেছে এমন ভীষণ তা সে ভাবেনি । আর দিনে সে অশালা পাপের সে আলিঙ্গন অসহ হলেও এ জীবনে ছাড়াবা নয় কাছে শেল বিদায় চাইতে এসেছে বুধে সে হতাশ হয়ে পড়েছে, মুথে তার কি বেদনার চিহ্ন অপালা সরস্ব তীর গলে ধুয়ে ভাই পুৰন্দরের শরীয় চোখে তার কি কাতর চাউনি : অপালা আর মানে যা ওয়া পরিকার করে দিলেন, তার ক্লান্তি দুগ্ধ করার চেষ্টা করলেন, হ’ল না। কিসে এই বাধিকাতার লোকটির বেদনা মুছান কৰ্ম্ম কত ক’রে ও সেদিন একটিার তাকে তাদের বাড়ীতে যায় জানবার জন্ম তিনি দিয়ে পাড়ালেন । দেখলেন এ আর আনতে পারান । সাবৰ্ত্তে সেই কনকনে শীতো কেউ নয়, তারই ছোট-বেলার বন্ধু, “পুরন্দর পুনর রাত সে সেই গাছের তলায় কাটাৰে ব’লে পড়ে রইল । কাজ একি দশা! পালা চমকে উঠলে পরদিন সকালে পুৰন্দকে গাছের তলা না হ’ল বুঝি এ পুকুন্দর নয় । কিন্তু পুরন্দর যখন নিজের পরিচয় অপালা দিয়া মনে ফিরে এলেন পুন্দর চ'লে গেণ দিয়ে তার দুঃখের কাহিনী কইতে ল্যগণ তখন অার বিশ্বাস কিন্তু এমনি ছোয়াচে অবস্থা নিয়ে সে এসেছিল যে অনিষ্কার না করে উপায় কি ? অপাগার চোধে গুণ এল ন-জেনে আপনাকে দিয়ে গেল দুই নিপু বিধ—এক বি বেলায় যেমন ভাবে তিনি পুরন্দরের পাশে বসতেন ঠিক রাগে বিল আর এক বি অ’ বিধ পুন্দরের তেমনি ভাবে গিয়ে তার পাশে বাসে সব কথা শুনতে রোগের সম্পশে সেই রোগ ঠাৱ পোনার শরীরে ফুটে উঠা, লাগলেন । পুৰন্দন তাকে দূরে দাড়াতে বলেছিল সে কথা পুন্দরের দুরবস্থার চিন্তায় তার মন বিষাদে ডুবে গো তিনি গ্ৰাহ করলেন না দুঃখের উপর দুঃথ-স্বামীও শেসে অপােলাকে তা ছেলেবেলা তাদের সুখেই কেটেছিল ; কিন্তু, তারপর করলেন ধরে তিনি রাজরাণী ছিলেন এখন সে ঘরের আপালার বিঙ্গে হ’বে গলে পুন্দরের প্রাণ সঙ্গীহাৱা হ’য়ে তিনি কেউ নন । এতদিনের এত ভাগাসা প্ৰতো মই কাতর হয়ে পড়েছিল অপালারও প্ৰথমটা ভাই জিনিষ থেকে মনটাকে জোরে টেনে ছিড়ে নিরে তাকে চা পুকুন্দরকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু পুন্দর যেতে হ’ল পাতায় পাতায় তখন শিশির 'রে পড়ছি যেমন মনে ছিল যে সে চিরকালই অপালার কাছে চারদিক কুয়াশায় ঢাকা, তারই ভিতর দিয়ে দুঃখেরবো ১ম সংখ্যা] পুস্তক-পরিচয় মাথা নিয়ে অপাৰ৷ চ’লে গেলেন সে অাজ কত শত পুস্তক-পরিচয় বৎসরের কথা, কিন্তু তার নাম করে দেশের মানুহ এখনও গেীরব করে তার রচনা খেদের অলঙ্কার প্ৰায়শ্চিত্ত-তৰ—মোহাগৰ মোজাকার উীন প্ৰণ ২৯ নং অ্যাপার সাকুলার রোদ কলিকাতা, মোহাম্মদী সে শ্ৰীরমেশচরণ বসু মজুমদার ; প্ৰকাশিত । ছয় পয়সা । এই চটি বইখানিতে খ্ৰীষ্টানদেৱ প্ৰান্তি--ত বা Doctrice of tornement যে আসার ও ফুল তাঙ্কাই যুক্তিক গু নামা লোকে হারামণি অভিমত দিয়া প্ৰমাণ কৰিবা চেষ্টা করিা অবশেষে এই উপসংহাৰ ক্ষা ইয়াছে যে- ল প্ৰায়শ্চিত্তবাদ প্রচার করেন, স্বয়ং বিশ্ব সহো হে স্বাহা করি যি স্কে উদ্ধৱ পাইব’ এই ৰিশ্বাস ভালো, মাছ পরাণ আমার সোতের দান্না । ব্যক্তি একটি পুণ্য লইয়া বাজার নিকট পতি হহঁৰে সোহা ৰণ গুণ ফল পাইবো ইসলামের বিবেকানুমোদিত এই বিধান ভালো ? (আমার ভাসাইলে কোন ঘাটে । বইখানি নামে পাৱ বানান ভুল আছে। আন্ধা, পাছে অস্কার, আন্ধার নিই ঢাল, পীযুষ-প্লাবনী—সেথ মহম্মদ আলী ৰুক প্ৰীত । মাথার নাকে কেবল বাদে লহরি মালা ( গো ) প্ৰকাশিত। হাবড় তারার ত:ল কেবল চলে নিশুইত ব্লাইতে পদার বই । অত্যন্ত ৰেীয়কৰ সং যোৰা ভাষায় ইসলা ন পাঁচ বারের রচনা । ( তারার তলে চলে চলে নি ইত ব্লাইতের ধারা সচরাচর কথাবাৰ্তা বলিরা থাকি তাহা ব্যবহার কাৱ সুবিধা এইবে সাণের সাথী চলে ৰাতি নাই গো ফুল কিনারা তা দেবাইবার ইনায় অচলিত শব্দ করিলে বা শোচনী ( দিবারাতি চলে গো বাতি জ্বলে সাথে সাথে গো জাতীয় ফোয়ার মোঙ্গালে হক প্ৰীত । এনে অচিন ফুলে নদীর কুলে ডাকে গো কা কারা, কলিকাতা ! ছাপা কাপজ াৈনে গো পরা বঁধানো ভালো । মূল বারো মানা পরে বই দুঃস্থ সমাদের দুৰ্দশার লতি লক্ষ্য কৱিা লিখিত কুলে ভিড়া, ক্ষেণেক জিন্না", সোতেৱে ছাড়া” নয়টি স্নাতীয় চীপনার পদ্য ইহাতে স্থান পাইয়াছে অকুল পাড়ি থামতে নারি, আর চলে যে ধা ইহা দ্বিতীয় সংস্করণ মুসলমান-মাতাকে উন্নতির পথে উদ্ধ ক)ি চালিত ৰুরিবার উদ্দেশ্যে লিখিত চাস । তার চলি বে-ঠিকান মে স্বাৰে সে প্ৰাহের মধ্যে কবিহের অ্যাভা পড়িয়া এক-একবার চিকচিক করা: কুলের কুল গো, দইরার সাগর উঠিয়াছে আয় কয় বা কে, কেমন ডাকে, পাই গো সাগর ( থে আলেকজেণ্ডার-পঞ্চাৰন সিংহ এম-এ বি এল এ প্ৰকাশক সেন ৷ এও কোং বিলছিংস, কলিকাতা কৰ্ণালিস তোমার কোলে লইবা ইলে, ক্ষু চাইমু, গিয় a t * * পৃষ্ঠা আলেকজেণ্ডাৱে একখানি উৎকৃষ্ঠ ছবি আছে। মূল্য তোমার বুকে নিবু; দুখে, ছাইমু গিল্প বাঁধা বারো অানা, আবাধা মাট জানা সংগ্ৰাহক —শ্ৰীক্ষিতিমোহন সেন ইহা আলেকজেণ্ডারের জীবনচতি ও তৎসংষ্টি কাশে ইতিহাস টাৱে লিখিত বিবরথের বঙ্গানুবাদ । ইহা মুল দুটা হইতে অনুবাদিত না ইংরেজী অনুবাদের অনুবাদ তাহা জানালে হা নাই চিত্ৰ-পরিচয় অনুবাদের রচনা ও ভাষা অতি উৎকৃষ্ট হইয়াছে । অনুবাদের সঙ্গে-সঙ্গে অনুবাদক প্ৰসঙ্গত আধুনিক গবেষণা অবসান আবিষ্কারের ক্ষল এবং নিয়ের মধ্য কুটনোট মিী যোগ এই প্ৰাচীন পুস্তকের উপায়েত বৃদ্ধি করিয়াছেন। পশিষ্ট্ৰে দিবসের অবসান-দাহ্মা শাপ্তি মোহন ৰূপে মাঝে পুৰেব্যবহাওঁ খ্ৰীক নামের পরিচয় বাধা করিা দেওয়াতে পারে দিবসের সকল অশান্তি-কোলাহলের স্তব্ধ হয়ে যাওয়া খুব সাহায্য করা হইয়াছে। ইতিহাস ও জীবনচরি ইংর একত্ৰ সমাপ হওয়াতে বইখানি সুখপাঠ্য ও সয় হইয়াছে। হায়া জীবনের অবদান—চরম দিনে জীবনের সকল অপুৰ্ণ ব্যৰ্থতা কাহিনী পড়িতেভালোবাসেন হোৱা এই ঐতিহাসিক খ্ৰী এক অচেনার কোমল স্পাশে বিলীন যাওয়া—বাতাসের পারে ত হইবেন—হাতে অনেক কৌতুকক কাহিনী সংগৃহীত যাৱে ণে শতদলের পাপড়ি রেণু নাযারা হয়ে করে পড়ার অঙ্গর বদলে বাংলায় লেখা ঠিক নয়, কারণ কে আমরা বাঙালীয়া স উচ্চারণ দি না, খ খ উচ্চারণ কৰি