পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] লেগে রয়েছে, কেষ্ট ছোড়া একবার বেরুলে দেউড়ী আগ লাতে আগলাতে আমার প্রাণ যায়, তা মা কিছুতে শুনবে না।” ● দাসীর বক্তৃতায় আর উৎসাহ না দেখাইয়া-সঞ্জয়, শঙ্কর ও অপূৰ্ব্ব বাড়ীর ভিতর ঢুকিয়া পড়িল। সদর দরজার পরেই উঠান, ডান পাশে বসিবার ঘর, বাপাশে রায়, ভাড়ার ইত্যাদি, দরজার মুখোমুখি উঠানের উণ্ট। দিকে দোতল। অন্দর মহল। সদর দরজার দুই পাশের ঘরগুলি একতলা বলিয়া অন্দরের জুতলা হইতে দুষ্টটি ছোট ছাদে আসা যায় এবং অনেকখানি আলো-বাতাসও পাওয়া ষায় ছেলেরা বসিবার ঘরেই বসিল । ঘরখffন বসিবার জন্যই ব্যবহৃত হয় বটে, কিন্তু বসিবার ঘর বলিতে আজিকাল যে গুৎস্বামীর ঐশ্বৰ্য্য দেখাইবার ঘরগুলি দেখা যায়, ইহা সে-রকম কিছু নয়। ঘরের দুই পাশে দুইটি সরু তক্তপোষের উপর দুখানা সতরঞ্চি লক্ষ্মেী-ছিটের চাদর দিয়া ঢাকা, বঁাশের উপর বেত জড়ানে দুই তিনখান হাল্কা চেয়ার, একটি সেইরকম ছোট টেবিল ঘিরিয়া মাঝখানে সাজানো এবং দেয়াল ঘেঁসা একটি ছোট কাঠের টেবিলের উপর একটি কেরোসিনের আলো, একটি ঘড়ি ও একটি ক্যালেণ্ডার বসানে। ঘরের সাজসজ্জার ভিতর দেয়ালে একখানা বিলাতী চিত্রকরের আঁকা ‘প্রার্থনা’ ছবি ছাড়া আর কিছু নাই, কিন্তু ঘরের দেয়াল, মেজে, দরজা, জানুলা এবং সামান্ত আসবাবগুলি প্রত্যহ সষত্বে ঝাড়া মোছা এবং ঘসামাজায় এমন উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে যে, প্রথম দৃষ্টিতে ঘরখানা ধনীর ড্রসিংরুম বলিয়াই ভ্রম হয় । মনে হয় যেন একেবারে নূতন ঘরে নূতন পালিশ করা জিনিষপত্র দিয়া এইমাত্র কে সাজাইয়া রাখিয়া গিয়াছে। সঞ্জয়রা তিনজনেই একখান তক্তপোষের উপর বসিয়া পড়িল । ঝি তাহীদের বসাইয়া হাত নাড়িতে নাড়িতে ভিতর বাড়ীতে খবর দিতে গেল । সঞ্জয় শঙ্করের সহপাঠী। তাহারই সঠিত আজ বৎসর ইষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হইতে ডাক্তারী পাশ করিয়া বাহির ইয়াছে। সকল নূতন ডাক্তরের মতই তাহারও পশার ऍ६ जभिबारह, छांश दिन भद्रगांब्र । प्रज्ब्रां९ चवगब्र 3 জীবনদোলা yస్ట్రి _ প্রচুর। কিন্তু কথায় বলিতে অবসর প্রচুর বলিয়াই কাৰ্য্যত তাহার কিছুই অবসর নাই। দেশ-হিতৈষণার একটা খেয়াল তাহার মাথায় ছেলে-বেলা হইতেই ছিল । পড়াশুনা সাঙ্গ করিয়াই তাই সে কাজে ঝাপাইয়া পড়িয়াছিল। যে মানুষ একটা কাজে মন দিয়া লাগে, এবং কিছু করিতে পারে, আমাদের দেশের নিয়ম হইয়া উঠিয়াছে দেশের সমস্ত কাজের মধ্যেই সেই মানুষটাকে ধরিয়া টানাটান করা। সঞ্চয় অনেক যোগfড়যন্ত্র করিয়া একট। দাতব্য চিকিৎসালয় খাড় করিবার চেষ্টায় ছিল । ষাহীদের ঔষধ ও চিকিৎসার প্রয়োজন আছে অথচ ভিক্ষা করিতে লজ। বোধ করে, এমন অনেক ভদ্র পরিবার খুজিয়া বাহির করিয়া তাহদের সাহায্য করা ৪ তাহার খেয়াল ছিল। এই সূত্রে নানা মানুষ তাহার পরিচয় পাইয়। তাছাকে শারীরিক ও মানসিক সকল রকম হিতসাধন-প্রচেষ্টার সহিতই জড়াইয়। তুলিতেছিল। অবশু তাহার নিজের যে ইহাৱে বিশেষ কিছু আপত্তি ছিল তাহা বলা মায় না। সেই রকমই একটা উপলক্ষে তাহারা এখানে আসিয়াছে । শুভ্ৰবেশিনী, উজ্জল গৌরবর্ণ একটি মহিলা কিছুক্ষণ পরে ঘরে আসিয়া ঢুকিলেন। তাহার শরীর দীর্ঘ, উন্নত, চোখ দুটি আয়ত, কপাল বিস্তৃত, মুখের কাটে কোথাও দুৰ্ব্বলতার চিহ্ন নাই। বয়স তাহার পঞ্চাশের কাছাকাছি, চলাফেরা ও কথাবার্তায় আত্মপ্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট রূপ ফুটিয়া উঠে, কিন্তু মুখে এখনও নববধূর মত একটি সলজ নম্র হাসি লাগিয়া আছে। उिनि घरङ्ग झुकिएउद्दे ८श्रणब्रा उिनछन ७ब्रि দাড়াইল। তিনি হাসিয়া বলিলেন, "তোমরা ব্যস্ত হ’চ্ছ কেন ? এই ষে আমিও বসছি।” সঞ্জয় সকলের আগে বলিল, “মাসিম, সে মেয়েটির कि इ'ज ?” মাসিম বলিলেন, “কি আর হবে, বাছা ? বিধবা মেয়ে, ৬াকে রাখতেও পারে না, ফেলতেও পারে না। এমন ক’রে আর ফেলে রাখলে ময়ে’ই ষাৰে মেয়েট । বাপ মা হ’ম্বে সেটাও সন্থ করতে পাছে না, অথচ ভাক্তার ডাক্বার সাহসও নেই। আমি তোমাদের কথা বললাম,