পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—বৈশাখ, ১৪e৪ [२१* छोश, »न १७ 彎 y জগমঙ্গির প্রসাদ, পিছোলা হ্রদ, উদয়পুর সেকেও ক্লাসে যেতে চান, তাহ’লে বিছানা যা দরকার গায়ে জড়িয়ে নেবেন, আর অন্য লটুবহর তিন চারটি খামে পুরে পকেটে রাখাই শ্রেয়: । এর বেশী জিনিব হ’লে সারারাত বসে কাটাতে হবে। ফুে-গাড়িতে আমি উঠেছিলাম, সেটি রেলগাড়িআবিষ্কারক মহাত্মা জর্জ ষ্টিফেনসনের আমলে তৈরী। আমার ঠাকুরমার বাসন রাখার জন্য একটি সেকেলে ধরণের শালকাঠের সিন্ধুক ছিল। সেটির থেকে এরকম দুখানি গাড়ি তৈরী করা চলত। কাঠও বোধ হয় কিছু বঁচিত। সিন্ধুকটি এমন কিছু অত্যাশ্চৰ্য্য গোছের বড় ছিল না। সাধারণ সেকেলে ধরণের শালকাঠের বড় সিন্ধুক। * ..., মারারাত জায়গার অভাবে ও শীতে আড়ষ্ট হয়ে tভারে প্লাজমীরে পৌঁছালাম। শরীরের মানি দূর করার "ঙ্গ রেটিংক্রমে ঠাও জলে স্বান করলাম। গায়ে জল . द्रुश्रृंह হ’ল বুঝিবা আমি "আজ মৰ্ব গয়া”। স্নানের পর প্রচুর গরম চা, রুট, মাখন, ডিম ইত্যাদি খাওয়াতে রক্ত-চলাচল ফের আরম্ভ হ’ল । আবার অন্ত এক ট্রেনে উঠে ঘণ্ট। পাচ ছয় শুকুনে পাহাড় আর শরের বন দেখতে দেখতে যাবার পর চিতোর গড়ে পৌঁছলাম । ষ্টেশন থেকে তিন মাইল দূরে চিতোর দুর্গ। চারিধারে সমতল জমি ঘের চিতোরের পাহাড়, তার মাথায় মন্দিরের চুড়, রাজপ্রাসাদ, রাণাকুম্ভের জয়স্তম্ভ, গলদেশে ছয় সার দুর্গপ্রাকার, রোদের আলোয় বক্‌বক্ কর্ছে,— সে এক অপরূপ দৃশু ! ফিরবার পথে দেখা যাবে ঠিক ক’রে ট্রেনে উঠবার জোগাড় করলাম। উদয়পুর-চিতোরগড় রেলওয়েটি আমাদের বারাসতবসিরহাট বা হাওড়া-আমতার মত ছোট মাপের । ট্রেনে আমার সহযাত্রী ছিলেন বোম্বাইয়ের এক মাড়ওয়ারি জৈন পরিবার। ভদ্রলোকটি আমার বম্বৰ । সদে ছিলেন তার গৃহিণী, দুটি ছোট ছেলে এবং একটি