পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] aసి দরবার ঘর ছাড়িয়ে তুলসী ভবানীর সুন্দর মন্দির। তারপরেই তোপখান ও সেনানায়কদের মহল । তোপখানায় অনেকগুলি পুরাণে। কামান আছে। আমাদের প্রদর্শক ( একটি ১৬১৭ বৎসর বয়সের ব্রাহ্মণ ছেলে ) তার মধ্যে একটি রাণা প্রতাপের কণমান ব’লে দেখাল । সেটি অষ্টধাতুর বলে শুনলাম। দেখে মনে হ’ল গন্‌ মেটাল। আরো অনেকগুলি ভিন্ন ভিন্ন রাণার কামান ক’লে প্রসিদ্ধ। এগুলির গায়ে সিন্দুর দেখে পূজা হয় বলে মনে হ’ল । তোপখানার প্রাঙ্গণ পার হ’য়ে রাণ প্রতাপের মন্ত্রী ভীম শাহের বাড়ীতে গেলাম। সেটি এক প্রকাণ্ড প্রাসাদের ংসাবশেষ মাত্র এবং ধী অাছে তাও দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে । তোপধানার কাছেই নেীলাথাবিন্দার ( নঙলাখ ভাণ্ডার ? ) বা পুরাতন রাজকোষ । তারপর চিতোরের রাণীদের বিবাহ মণ্ডপ সিঙ্গার ছাউড়ি। এটির গায়ে অদ্ভুত খোদাইয়ের কাজ করা আছে । ভিতরেও অতিস্বন্দর কাজ করা বিবাহের বেদী, হোমকুণ্ড ইত্যাদি । তোপথানা ছাড়া এ সবই ধ্বংস হ’রে চলেছে । তার পরই রাণাকুম্ভের প্রকাও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ । যেটুকু ঠিক আছে, তা গোয়াল ও আস্তাবল করা हप्ञtछ । अझ ७ख्प्ले cभग्नायज्र श्रब्रtश् ८झथा ८गंण । শুনলাম সেটুকু মহারাণ। সজ্জন সিংহ ক’রে গিয়েছেন। কুম্ভ মহালের ধ্বংসাবশেষ যা আছে, তার থেকেই মুসলমান প্রভাবের পূৰ্ব্বে এদেশের রাজপ্রাসাদ কি আশ্চৰ্য্য স্থপতিকৌশলের নিদর্শন ছিল, তা বোঝা যায়। সম্পূর্ণ অবস্থায় এ যে কি ছিল, তা কল্পনাও করা যায় মীরাবাইয়ের মন্দির, চিতোর (লেখক কর্তৃক গৃহীত ফটো) না। কুন্তমহালের এক অংশে একটি স্বড়ঙ্গ পথ আছে। শোনা যায়, যে, পদ্মিনী অন্য রাজ-অন্তঃপুরের মহিলাদের সঙ্গে এইখানেই “জহরত্ৰত” পালন ( অগ্নিপ্রবেশ ) করেন । কুম্ভ,মহলের কিছু দূরে দুটি মন্দ্রির আছে। একটি বোধ হয় ভবানী মন্দির, অগুটি প্রসিদ্ধ মীরাধাইয়ের বিষ্ণুমন্দির। মীরাবাইয়ের মন্দিরের ভিতর বাহির সমস্ত কারু-কার্ধ্যে ভরা। মুসলমান বিজেতার অত্যাচারের পরেও তার যা আছে, তাহার সৌন্দর্য অতুলনীয়। এই মন্দিরের কাছে একটি ছোট জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে । সেই মন্দিরটি আয়তনে ছোট, কিন্তু স্থাপত্য