পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৌশলে, কারুকার্ধ্যে এবং সুঠাম গঠনে একটি রত্ন বিশেব । আগ্র বা দিল্লীর কেল্লা ইত্যাদিতে এর কাছে দাড়াতে পারে এমন কিছু নাই । মন্দিরগুলির কাছেই চিতোরের স্বৰ্য্যকুগু । গোরক্তে কলুষিত হবার আগে এই কুণ্ড থেকে সপ্তাশ্বের আবির্ভাব হ’ড ব’লে কিম্বদন্ত্ৰী আছে। সূৰ্য্যকুণ্ডের কাছেই কুম্ভের জয়স্তম্ভ । স্থপতিবিদ্যার, ললিত কলার ও প্রস্তর ইহা হিন্দু প্রবাসী—বৈশাখ, ১৪৩৪ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড পাহাড়ের পথে কিছুদূর যাবার পর গোমুখী ধারা এবং পাথর বাধীন প্রকাও জলাধার কুণ্ডে পৌছালাম । এই গোমুৰীয় পাশে পাহাড়ের গায়ে রাণী বিন্দার নামে গহবরের মুখ দেখা খায়। গহবরটি পাথরের দেওয়ালে বন্ধ করা। এইখানে চিতোরের করে। হাজার কুঙ্গললনা অগ্নি প্রবেশ ক’রে জোহরব্রত পালন করেন । কিছু দূরে জয়মল্ল ও পুত্তের বাড়ী। এই দুই রাজপুত বীরের বাড়ী৪ ধ্বংসের পথে চলেছে । তার পর পদ্মিনী মহল। পদ্মিনী মহলের কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছে । অধিকাংশই এখানে সেখানে ধ্বংস হ’য়ে পড়ে যাচ্ছে। মেরামত অতি “হাতুড়ে” ভাবে করা হয়েছে দেখলে মনে হয় ; না কবৃলেই ছিল ভাল। মহলের সামনে প্রকাও পুকুর । আশ্চৰ্য্য ব্যাপার এই, যে, চিতোরের পাহাড় কোনধানেই নীচের সমতল জমীর থেকে চারশ ফুটের কম উচু নয় ; অথচ এই সকল জলাশয়ে বারো মাস জল থাকে। কারুকার্ষ্যের জয়স্তম্ভ স্বরূপ। গঠন রেখা, অলিন্দ গবাক্ষ’ খিলানের রচনাকৌশল,ভিতর ও বাহিরের প্রস্তরখোদন কাৰ্য্য, অসংখ্য মুক্তি থোদন ও বিন্যাস এবং স্থাপত্য-কৌশল প্রদর্শন হিসাষে ইহার তুলন। জগতে নাই বোধ হয় । চিতোরে আর একটি কীৰ্ত্তিস্তম্ভ আছে । সেটিও অতি সুন্দর । কিন্তু তাঁহাতে কুম্ভ জয়স্বম্ভের ( থীরাংকুম্ভের ) বিরাট গাম্ভীৰ্য্য নাই। কুম্ভের জয়স্তম্ভের নীচে ঢালু কুষ্ঠ মইtল, চিতোর