পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যায়াম-প্রতিযোগিতায় নারী— মেয়ের যে শুধু গৃহ-বন্ধনের মধ্যে থাকিয়া স্বামী-পুত্র ভ্রাত প্রভৃতি পুরুষ জাষ্ট্ৰীয়-স্বজনের দেবী ও পরিচর্য্যা এবং সন্তান প্রতিপালন করিতেই হুটু হইয়াছে, পুরুষ শাস্ত্রকার ও সমাজ পরিচালকগণের দ্বার প্রচারিত এই ধারণ পৃথিবীর সর্বত্ৰ বৰ্ত্তমান ছিল। স্বছ ও কোমলাঙ্গী নারী, অস্তঃপুরের কোণেই তাহার যথার্থ স্থান, গুহের বাহিরে উন্মুক্ত আকাশের নীচে রোঁয়াতপ, ঝড়-বৃষ্টির সহিত যুঝিবার মত মনোভাব ও দেহ তাহার নহে, এইসকল কথা শুনিয়া শুনিয়া নারীরাও এত দিন আত্ম-বিস্তৃত ছিল । বহু শতাব্দীর এই অন্ধসংস্কার তাহদের দেহমনে এমনই মজ্জাগত হইয়া পড়িয়ছিল যে, ভগবানের অপুৰ্ব্ব দান আলো-হাওয়াও তাহারা অবাধে, নিঃসঙ্কোচে উপভোগ করিতে দ্বিধা করিত। মেয়েদের দৈহিক শক্তি থাকাটা দোষের বলিয়া গণ্য হইত। যে মেয়ে যত দুর্বল, কোমল ও অল্প আঘাতে ভাঙ্গিয়া পড়িতে পারিত, সেই তত মুনার বলিয়৷ খ্যাতি লাভ করিত। কিন্তু এই ভাব চিরদিন থাকিবীর নহে। পাশ্চাত্য দেশে এই মনোভাবের আমূল পরিবর্তন ঘটয়াছে ; মিস কাসেল