পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১G৬ বাছাছুরের মত হৃদয়বান সাহসী ও কৰ্ম্মতৎপর লোক অধিকন্তু ধীর এবং বিবেচক ও হন, তাহা হইলেই আদর্শামুরূপ কাৰ্য্য হয়, ইহা বলাই আমাদের উদ্দেশু। খড়গ বাহাঙ্কুরের কাজের দ্বার। এই একটি মহা উপকার হইয়াছে, ষে, একটা ঘোর সামাজিক অমঙ্গলের প্রতি সৰ্ব্বসাধারণের দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়াছে । খড়গবাহাদুর যাহা করিয়াছেন, তাহার দ্বারা কেবল একটা মাত্র দুবৃত্তের শাস্তি হইয়াছে। রাজকুমারীর সম্পর্কে পিতামহী বা মাতামহী যে বৃদ্ধ তাহাকে পদম্প্রসাদ নামক যে লোকটার হাতে দিয়াছিল, তাহার শাস্তি হয় নাই। পদম্প্রসাদ রাজকুমারীকে হীরালালের নিকট বিক্ৰী করিয়াছিল, কিন্তু তাহারও শাস্তি হয় নাই। হীরালালের দুবৃত্ত সহচরদেরও শাস্তি হয় নাই । বস্তুত:, কোন বাড়ীর সব দেওয়াল, আসবাব ও বিছানা হইতে এক-একটি করিয়া ছারপোকা বাহির করিয়া মারা যেমন দুঃসাধ্য ও ব্যর্থ চেষ্টা, দু-একটা বদমাইসের প্রাণবধ করিয়া সামাজিক দুনীতির জড় মারিবার চেষ্টাও তেমনই ব্যর্থ। তাহ। করিতে হইলে সামাজিক নানা কুপ্রথার মূল উচ্ছেদ করিতে হইবে, নারীজাতি সম্বন্ধে পুরুষদের হীন ও জঘন্ত ধারণা বিনষ্ট করিতে হইবে, নারীদিগকে শৈশব হইতে স্বশিক্ষিত, সাহসী, আত্মনির্ভর-পরায়ণ এবং আত্মরক্ষায় সমর্থ করিতে হইবে, দুশ্চরিত্র পুরুষ খুব উচ্চপদস্থ ও ধনী হইলেও সমাজে তাহাদিগকে অবজ্ঞার পাত্র করিতে হইবে, এবং শৈশব হইতে পুরুষজাতীয় লোকদিগকে সচ্চরিত্র করিবার চেষ্টা করিতে হইবে। তম্ভিয়, শৈশব হইতে আরম্ভ করিয়া সকল বয়সের নারীজাতীয়াদিগের বিরুদ্ধে ষে কোন দৈহিক অপরাধ বা অপরাধ চেষ্টা হয়, তাহার শাস্তি বৰ্ত্তমান সব শাস্তি অপেক্ষা কঠোরতর হওয়া দরকার। নারীদের সম্মতির বয়সও স্বামী ভিন্ন অন্ত সকল পুরুষের পক্ষে একুশ বৎসর করা উচিত। নিরাশ্রয় বালিকা, যুবতী ও অন্য নারীদের + আশ্রম . কলিকাপ্তার ও অন্যান্ত সহরেম বেতাদের গৃহে অনেক জয়ৰাৰ বৃলিকা আছে, বাহাদিগকে পালিকারা পাপ

প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৪৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ব্যবসায়ের জন্ত রাখিয়াছে। কুস্থান হইতে এইসব বালিকাদের উদ্ধারসাধন করিবার ক্ষমতা পুলিসের আছে। কিন্তু উদ্ধার করিয়া রাখিবার জায়গা যথেষ্ট নাই। এইরূপ বালিকাদের বিবাহ মুসলমান সমাজে ও খৃষ্টীয় সমাজে হইতে পারে ; কিন্তু হিন্দু সমাজে সচরাচর হয় না,—হইতে পারে না বলিতে পারি না। যাহা হউক, ইহাদের যাহতে সুশিক্ষা ও সদুপায়ে বঁচিয়া থাকিবার উপায় হয়, সেরূপ ব্যবস্থা করা প্রত্যেক ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের উচিত। এ বিষয়ে হিন্দুসমাজের কৰ্ত্তব্যই সকলের চেয়ে কঠিন, কারণ, ভদ্র হিন্দুসমাজে এইরূপ বালিকাদের স্থান পাওয়া কঠিনতম । এইরূপ বালিকা ছাড়া, যে-সব হিন্দু কুমারী, সধবা বা বিধবা ধৰ্ষিত হন, তাহাদের আত্মীয়, স্বজন যদি তাহাদিগকে গ্রহণ না করেন, কিম্বা যদি এইরূপ কুমারী ও বিধবাদের বিবাহ না হয়, তাহা হইলে তঁহাদের জন্যও সুপরিচালিত আশ্রমের প্রয়োজন আছে। তাহার জন্য হিন্দুসমাজকে উদ্যোগী হইতে হইবে। তদভাবে অগত্য যদি ধষিত নারীরা মুসলমান বা খৃষ্টিয়ান হইতে বাধ্য হন, তাহা হইলে হিন্দুসমাজের লোকদের চীৎকার করিবার কোন অধিকার থাকিবে না। তাহাদের কেহ কেহ যে বেশ্বাগ্রেণীভুক্ত হইয় পড়েন, তাহতে হৈ চৈ পড়ে না। এইরূপ একটি আশ্রমের জন্ত কলিকাতার মেয়র যে একটি ফণ্ড খুলিয়াছেন, দলাদলি ভুলিয়া এবং তিনি আগে কেন এরূপ কিছু করেন নাই, এবম্বিধ আপত্তি না তুলিয়, তাহাতে সকলের যথাসাধ্য দান করা কর্তব্য। শণীমোহন ও বাঁশরীভূষণ নানা থবরের কাগজে প্রকাশিত দুটি সংবাদের প্রতি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি। একটি খবর এইরূপ— चैश्छे ८छलांब्र झेशभजैौ &ारभन्न झप्रछ उप्रांजौ नाभंक এক দুৰ্দ্দাস্ত ও দুৰ্বত্ত ব্যক্তি কত নারীর যে সৰ্ব্বনাশ করিয়াছে তাহ কেহ বলিতে পারে না। তাহার গুয়ে কেহ তাহার বিরুদ্ধে নালিশ করিত না, স্বয়ং শাপ্তিও