পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রচঙ্গ-চীনের স্বাধীনতা-সমর Ꮌ8ᎼᎽ বঙ্গীয় হিন্দু সম্মেলন বঙ্গীয় হিন্দু সম্মেলনের সভাপতি শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত মহাশয়ের বক্তৃতা অতিশয় সারবান ও হৃদয় গ্রাহী হইয়াছিল। যাহারা কতকগুলি জাতির বংশগত অস্পৃষ্ঠত ও অনাচরণীয়তার বিরুদ্ধে হিন্দুশাস্ত্রীয় যুক্তি চান, তাহার। তাহা এই বক্তৃতায় পাইবেন । এই বক্তৃতাটি পুস্তিকাকারে মুদ্রিত হইয়। প্রচারিত ও রক্ষিত হওয়া উচিত। সম্মেলনে যে সব প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহার মধ্যে আমরা কয়েকটির উল্লেখ করিতেছি । “অনুন্নত শ্রেণীর লোকদিগকে অস্পৃগু করিয়া রাখার বিরুদ্ধে এই সম্মেলন তীব্র প্রতিবাদ করিতেছে এবং অস্পৃষ্ঠত দূহীভূত কaিয়৷ তাহাদিগকে দেবমন্দিরে প্রবেশ করিবার অনুমতি দিতে বলিতেছে।” "যে-সকল হিন্দু বলপূর্বক অগুধর্থে লক্ষিত হইয়াছে, তাহাদিগকে শুদ্ধি স্বারা হিন্দুধর্শ্বে পুনগ্রহণের নিমিত্ত এই সম্মেলন প্রস্তাব করিতেন্তে ” “অহিন্মুকন্তু ক যে সকল হিন্মুনারী বলপূর্বক অপহৃত হইয়াছেন, সেইসকল নারীকে শুদ্ধিদ্বারা হিন্দুসমাজে পুণগ্রহণ জষ্ট এই সম্মেলন প্রস্তাব করিতেছে।” কাকোরী ষড়যন্ত্রের মামলার রায় প্রায় ২ বৎসর আগে লক্ষুেীয়ের নিকটবর্তী কাকোরীতে রেলওয়ে একট। ট্রেনে ডাকাতি হয় । তাহার তদন্তের ফলে এক বিস্তৃত রাজদ্রোহ ও বিপ্লবের ষড়যন্ত্র আবিষ্কৃত হয় । সরকারপক্ষ এইরূপ বলেন । লক্ষ্মেীয়ে স্পেশাল জজ হামিণ্টন সাহেব এই মামলার বিচার করেন । ভারতবর্ষে যে-সমস্ত যড়ম্বন্ত্রের মামলা হইয়াছে এই মোকদ্বমাটিকে তাহার মধ্যে বৃহত্তম বলা হইয়াছে । ইহাতে আসামীদের বিরুদ্ধে আড়াই শত সাক্ষীর সাক্ষ্য গৃহীত হইয়াছিল । যে-সব লোককে গযন্মেণ্ট বিনা বিচারে বন্দী করিয়া রাখিয়াছেন, প্রকাশু আদালতে তাহাদের বিচার না করিবার এই কারণ দেথান হয়, যে, তাহা করিলে আসামীদের বিরুদ্ধে যাহার সাক্ষী দিবে, বিপ্লবীরা ব৷ তাহাদের সঙ্গীরা তাঙ্গদের প্রাণ বধ করিবে। যক্ষ্যমাণ মোকদ্দমা কিন্তু প্রায় ছুই বৎসর ধরিয়া চলিয়াছিল, এবং ইহাতে ২৫০ জন লোক সাক্ষী দিয়াছে। তাহাদের কাহারও প্রাণবধ হওয়া দূয়ে থাকুক, গায়ে আঁচড়টি পৰ্য্যস্ত লাগে নাই। এখন গবন্মেণ্ট কি বলিতে চান ? এই মোকদমায় ২২ জন আসামীর মধ্যে ৩ জনের প্রাণদও, এক জনের যাবজীবন দ্বীপান্তর, এক জনেয় ১৪ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড, জুই জনের ৭ বৎসর করিয়া সপ্তম কারাদও এবং ছয় জনের প্রতি ৫ বৎসর করিয়া সভ্রম কারাদণ্ডের জাদেশ হইয়াছে। জাদেশ বে-আইনী হইয়াছে বলিতে পারি না, কারণ সমূদয় সাক্ষ্য পড়ি নাই । তবে, এতগুলি যুবকের এরূপ ভীষণ শাস্তি হইলে স্বভাবতঃ লোকদের সহানুভূতি তাহাদের দিকে যায়। এইজগু জজ যদি সরকার পক্ষের মোকদম-পরিচালকের মকুরোধ অনুসারে অল্পবয়স্ক এবং ষড়যন্ত্রের সহিত গোপভাৰে লিপ্ত আসামীদের প্রতি দয়া করিতেন, তাহা হইলে ভাল হইত। দেশকে স্বাধীন করিবার স্বাভাবিক ইচ্ছায় অনেকে ডাকাতি আদি দুষ্কৰ্ম্ম করিয়া ফেলে। উদ্দেশু ও ইচ্ছা ভাল যলিয়া ফুস্কর্মের শাস্তি হওয়া উচিত নমু, বলিতেছি না ; দও কিছু লঘু হইলে ভাল হইত বলিতেছি । চীনের স্বাধীনতা-সমর চীনের দক্ষিপে ব অর্থাৎ ক্যান্টনের দল ও উত্তরের দলের গুহুবিবাদ দীর্ঘকাল ধরিয়া চলিতেছে । দক্ষিণের দল চীনকে স্বাধীন ও বিদেশীদের সর্বপ্রকার প্রভুজ-পাশ হইতে মুক্ত করিতে চায়। আমাদের আন্তরিক কামনা, তাহাদের এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হউক। তাহারা উত্তরের দিকে বহুদূর অগ্রসরও হইয়াছে। তাহাব চীনের সর্বত্র জয়যুক্ত হইয়া চীনে এক অখণ্ড সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিলে, চীনের, এশিয়ার ও জগতের কল্যাণ হইবে। উত্তরের দলকে ইংরেজরা অনেক দিন হইতে সাহায্য করিয়া আসিতেছে, এরূপ কথা নানা স্বত্ৰে শুনিতে পাওয়া যায়। তাহ বিশ্বাসযোগ্যও বটে। চীনে যুদ্ধের যত খবর ভারতবর্ষে আসিতেছে, তার প্রায় সবই ব্রিটিশ গবন্মেণ্টের ছা কনীর ভিতর দিয়া । স্বতরাং সত্য খবর কতটা আদিতেছে বলা কঠিন। ফরাসী কোন কোন কাগজ লোককে সতর্ক করিয়া দিয়াছে, যে, বিলাতী কাগজে প্রকাশিত সব খবর ষেন সত্য বলিয়া মানিয়া না লওয়া হয় । নাস্কিনে ইংরেজরা ষে গোলাবর্ষণ করে, চীনের বলে তাহার ফলে দু হাজার চীন মারা গিয়াছে, এবং অর্ধেকটা সহর বিধ্বস্ত হইয়াছে । ইংরেজ গবন্মেন্টের মতে ইহা মিথ্যা কথা । কিন্তু বিধাতা একমাত্র ইংরেজদিগকেই সত্যবাদী এবং অপ্ত সকলকে মিথ্যাবাদী করিয়া স্বষ্টি করিয়াছেন, এমন মনে করিবার যথেষ্ট কারণ নাই । এ পর্য্যস্ত যাহা জানা গিয়াছে, তাহাতে আমেরিকা ও জাপান পুরামাত্রায় ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দিবে মনে হয় না। কারণ, সেরূপ যোগ দেওয়ায় তাহাঞ্জের লাভ নাই । জাপান চীনে নিজের বাণিজ্য বাড়াইতে চায়, জামেরিকাও তাহ চায়। চমদিগকে চটাইলে সে