পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጏጫ\ প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড বাপের বাড়ীর ঐশ্বৰ্য্য-বর্ণনায় প্রীত হইয়া বিজনবাল স্থাসিয়া ফেলিল ; বলিল, “রাখছে ন! আবার ? মেমন পোড়া দেশে জন্মেছি । তা দিদির মেয়ে হ’লেও তার ভাবনা নেই। জমিদারী ত পাবে টাকা ন হয় নাই পেল ?” ভবানী বলিল, “এটাও অন্যায় না, বাছ ? মেয়ে ব’লে লাখ লাখ টাকা হাত ছাড়া হ’য়ে যাবে? ভগবান করুন যেন ছেলেই হয় । না ; আমি উঠি, বেলা গেল।” ভবানী উঠিয়াই পড়িল । বিজনবালা আচারের হাড়িকুড়ি তুলিয়া ভাড়ারে লইয়া চলিল। తాiēపతాపాsz বীরভূমের শর্করা-শিল্প শ্ৰী গৌরীহর মিত্র ১—চিনি আমাদের নিত্য ব্যবহার্ধ্য দ্রব্যের মধ্যে চিনি অন্যতম। আজকাল বিদেশীয় চিনি আমাদের স্বদেশী চিনিকে পরাজিত করিয়াছে । বেশী দিনের কথা নয়, এই অল্পদিন পূৰ্ব্বে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে চিনি প্রস্তুত হইত। আজকাল কলকারখানায় বৈজ্ঞানিক উপায়ে নানা প্রকার শাকসবজী, গাছ-গাছড়া ও ফলমূল এমন-কি কয়লা এবং আলকাতর হইতেও চিনি প্রস্তুত হওয়ায় আমাদের দেশী চিনি একরূপ উঠিয়া গিয়াছে। তবে কতকগুলি নিষ্ঠাবান হিন্দুপরিবারে এখনও দেশীচিনি ব্যবহৃত হয় বলিয়া কোথাও কোথাও অতি সামান্য পরিমাণে আজিও চিনি প্রস্তুত হইয়া থাকে। বীরভূমের বহু পল্লীতে চিনি প্রস্তুত হইত। বীরভূমে প্রায় বিদেশীয় চিনি কিনিবার প্রথাই ছিল না। দেশী চিনি না হইলে আমাদের ঠাকুরদেবতার ভোগই হইত না। আজকাল সকল জিনিবেই ভেজাল হইয়াছে । অল্প গুড় মিশান বিদেশী চিনি আজকাল দেশীচিনি বলিয়৷ বাজারে চলিয়া যাইতেছে। আমরা ধৰ্ম্মরক্ষার ভানে ঐৰূপে প্রস্তুত চিনিকে দেশী চিনিরূপে গ্রহণ করিয়া ঠাকুর দেবতার ভোগে লাগাইতেছি। এবং জানিয়া শুনিয়া এইরূপে ধৰ্ম্মরক্ষা হইল বলিয়া মনকে প্রবোধ জিতেছি । - - o 燃 * . আমাদের দেশ সোনার দেশ । এখানকার মাটি এমন স্বন্দর যে, তাহাতে যে-কোন চাবেই বেশ ভাল ফসল পাওয়া যায় । আখেয় চাষ এখানে প্রায় সৰ্ব্বত্রই হয়, কিন্তু আমাদের অমনোযোগিতার জন্য তাহাতে লাভ হয় খুব কম। একটু চেষ্টা করিলে মাটির পাট ভাল করিয়া সার ও জলের সুব্যবস্থা রাখিয়া ভাল বীজ লাগাইতে পারিলে অতি অল্প আয়াসেই এখান হইতে প্রায় চারিগুণ অধিক ফসল উৎপন্ন হইতে পারে। পূৰ্ব্বে এদেশে আখের চাব খুব বেশী হইত-যত্বের জন্য ফসলও বেশী পাওয়া যাইত। এখন যত্বের অভাবে ভাল ভাল পুকুর পুষ্করিণী বুজিয়া যাওয়ায় নষ্ট হইয়া যাইতেছে । প্রধানত: এই আখের গুড় হইতেই বীরভূমে চিনি প্রস্তুত इड्रेउ । বীরভূমের কুঁখুটিয়া, দুবরাজপুর, পণ্ডিতপুর, র্তাতিপাড়, রাজগঞ্জ, করমকেল, জামথলে, রামপুর, মল্লিকপুর, কালিপুর, মহুদরী, ভেড়ামারি, হজরতপুর, খোটালী, উপুীকুড়ামিঠা, বোলপুরের সন্নিকট আদিত্যপুর প্রভৃতি গ্রামে চিনি প্রস্তুতের কারখানা ছিল, এখন যে-সমস্ত কারখানা প্রায়ই লুপ্ত হইয়া যাইতেছে। এইসমস্ত গ্রামের মধ্যে দুবরাজপুরের সন্নিকট কুঁখুটিয়া গ্রাম চিরদিনই চিনির জন্তু দেশ-বিদেশে বিশেষ ভাবে পরিচিত। পূৰ্ব্বে এখানে খুব বড়রকমের চিনির কারখানা ছিল। দৈনিক ১••v• একশত ১৫ •/*