পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

س۹bوچ পাত্রের এই তরল অংশকে কোংরা গুড় বলা হয়। এই কোংরা গুড় পিঠা এবং মুড়ি দিয়া খাইবার জন্য ব্যবহৃত হয়। গুড়ের কঠিন অংশই চিনি। যতটা অংশ কঠিন অর্থাৎ চিনি হয় ততটা অংশ কুরিয়া বা চাছিয়া লইয়া পুনরায় পাট-শেওলা চাপা দিন রাখা হয়। যে পর্য্যন্ত ন নাদের সমস্ত অংশই চিনিতে পরিণত হয় সে পৰ্য্যন্ত পুনঃ পুন: ঐক্কপ করা হইয় থাকে। নাদের সমস্ত অংশ চিনিতে পরিণত হইতে অন্ততঃ ২৫ পচিশ দিন সময় লাগে। চিনি তৈয়ারি হইলে তাহাকে রৌদ্রে শুকাই মুদ্রগর দিয়া পিটাইয়া আউড়িতে (অন্ধকার শুষ্ক ঘর ) বস্তা বন্দী করিয়া রাখা হয়। নাদের তলদেশ হইতে যে চিনি পাওয়া যায় তাহাকে ছিটনীর চিনি বলে। এই দেশী চিনির রঙ লাল আভাযুক্ত ; এবং ইহা আস্বাদন কালে ঠিক চাপাফুলের সৌরভের স্বভ্রাণ অনুভূত হয়। ঐ তিন মণ গুড়ে ত্রিশ সের হইতে এক মণ পৰ্য্যন্ত চিনি পাওয়া যায়। বাকী সমস্তই কোংরা এবং ‘গাদ’ । ‘গাদ বিক্রীত হয় না । গরুর খাদ্যের জন্য কতক অংশ রাথিয়া অবশিষ্ট একেবারে অব্যবহার্ষ্য বলিয়া পরিত্যক্ত হয়। নিম্ন-প্রদত্ত হিসাব হইতে বোঝা যাইবে যে, কোংরা গুড়ের মূল্যও নিতান্ত অল্প নহে। ঐরুপভাবে চিনি তৈয়ারি করিতে কারিকরের সঙ্গে আর একজন মজুরের প্রয়োজন হয়। সে দৈনিক ছয় আনা হিসাবে তাহার মজুরী পাইয়া থাকে। এথন ৩/• তিন মণ গুড়ের দাম ২২২ বাইশ টাকা এবং তাহা হইতে যে w• ত্রিশ সের চিনি পাওয়া যায় তাহার দর ॥• আট আন সের হিসাবে ১৫২ পনর টাকা । বাকী কোথরা’ বিক্রয় করিয়া নৃনাধিক ১২২ বার টাকা পাওয়া যায়। সুতরাং কারিকর ২২২ বাইশ টাকার গুড় ক্রয় করিয়া পরে চিনি এবং “কোংরা’ বিক্রয় করিয়৷ ২৭২২৮ সাতাশ আটাশ টাকা আন্দাজ পায় ; এবং উহা হইতে পাট-শেওলা, কয়লা, ক্ষার দুধ ও মজুরীর খরচ জন্য কিছু বাদ যায়। এই হিসাবে একজন কারিকর ২৫ পচিশ দিন পরিশ্রম করিয়া কারবার চালাইলে প্রত্যহ ১২ ॥১া এক টাকা পাচ সিক হিসাবে উপায় कॅग्न ! প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড পূৰ্ব্বোল্লিখিত প্রণালী ব্যতীত অন্ত প্রকারেও চিনি প্রস্তুত হইয় থাকে । (২) অল্পপরিমাণ চিনি প্রস্তুত করিতে হইলে সাধারণতঃ বালি গুড়কে শক্ত কাপড়ে বাধিয়া একটি বড় পাটার উপর রাখিয়া প্রস্তরের চাপ দেওয়া হয়। এইরূপ করিলে গুড় হইতে তরল পদার্থ বা ‘কোংরা বাহির হইয়া যায়। পরে কাপড় হইতে গুড়ের কঠিন অংশ লইয়া পাটার উপরে পিতলের মাপা সের বা ঘটির দ্বারা ঘষিতে হয়। এইরূপ পুনঃপুনঃ ঘর্ষিত হইলে ঐ কঠিন গুড় চিনিতে পরিণত হয়। এই চিনি প্রথমোক্ত প্রণালী মত প্রস্তুত চিনি অপেক্ষা নিকৃষ্টতর। (৩) সময় সময় চুবড়ীতে গুড় রাখিয়া পাট-শেওল৷ চাপা দিয়া রাখা হয় । ৭৮ সাত আট দিন এইরূপ ভাবে গুড় থাকিলে তাহা হইতে ‘মাং' ( গুড়ের তরল অংশ ) ঝরিয়া যায়। চুবড়ীর ভিতর যে কঠিন অংশ থাকে তাহাই চিনিরূপে পাওয়া যায়। ঐৰূপভাবে প্রস্তুত চিনিকে দলে চিনি বলে । চুবড়ীর নিম্নভাগে যে তরল গুড় থাকে তাহা এবং ‘মাং পুনরায় গরম করিয়া ঠাও। হইলে আবার ঐরুপ ভাবে পাট-শেওলা চাপা দিয়া রাখিয়া “গোড়’ চিনি প্রস্তুত করা হয়। ‘গোড়’ চিনি প্রস্তুত করিবার সময় যে ‘মাৎ গড়াইয় পড়ে তাহ গরম করিয়া ‘চিটে গুড় প্রস্তুত করা হয় । এই ‘চিটে গুড় তামাক মাখাইতে এবং মদ প্রস্তুত করিতে ব্যবহৃত হয়। (৪) আবার সময় সময় গুড় ‘চলিসায়’ (এক বস্ত গুড় ) শক্ত ভাবে বাধিয়া ঝুলাইয়া রাখা হয়। তাহা হইতে গুড়ের তরল অংশ নীচের পাত্রে ঝরিয়া পড়ে। ‘চলিসা" নামাইয় তাহা হইতে ধূলা ময়লা ধুইয়া বাছিয়া পুনরায় শক্তভাবে 'চলিসা বাধিয়া ঝুলাইয়া রাখা হয়। পরে গুড় শক্ত হইলে তাহাকে শুকাইয়া পিটাইয়া চিনি প্রস্তুত করে । তদনন্তর চিনি আউড়িতে বস্তাবন্দী করিয়া ब्रांथं श्ध्न । ভারতবর্ষে প্রতি বৎসর প্রায় ১০১২ দশবার কোটি টাকা মূল্যের চিনি বিদেশ হইতে আমদানী হয়। পূৰ্ব্বে दूँभूीक्षांश सrफ़द्र ५१ २२ छूहे $ांक ७ष५ फिनिब्र भ१ १:v সাত আট টাকা ছিল ; এবং প্রতিযোগিতাওঁ বেণী